নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশা নিয়ে বসে আছি ।

রানার ব্লগ

দূরে থাকুন তারা যারা ধর্মকে পুঁজি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দূরে থাকুন তারা যারা ১৯৭১ থেকে অদ্যাবদি বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত এবং সকল পাকিস্তানী প্রেমী , রাজাকার ও তাদের ছানাপোনা ।

রানার ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপ্রাসাঙ্গিক

২১ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১০

ব্রিটিশ আমলে একটা নিয়ম ছিলো, রাস্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ পদে শুধু মাত্র বংশিয় শিক্ষিত ছেলে বা মেয়েদের নিয়োগ দিতে, তাদের যোগ্যতার সাথে সাথে তাদের আভিজাত্তের পরিক্ষাও দিতে হতো। এই সকল পরিক্ষায় পাশ করলেই তাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়গ দেয়া হতো, এর পেছনের যুক্তি ছিল এমন যে এরা সব সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আসছে এদের নিজেদেরি সন্মান বাচানর দায় আছে এরা ক্ষুধার্ত না আর্থের লোভ এদের থাকলেও তার ব্যপকতা অপরিসিম না। নিজদের আত্ম সন্মান বাচানর তাগিদে এরা দুর্নিতিগ্রস্থ হাওয়ার আগে তিন বার ভাববে।

এই ক্ষেত্রে আপনি বলতে পারেন যারা দরিদ্র তাদের সন্তানরা কি ভালো অবস্থানে যেতে পারবে না?? দেখুন দারিদ্রতা আর সম্ভ্রান্ততা এর মধ্য ব্যাপক পার্থক্য আছে। আপনি দরিদ্র কিন্তু আপনার ব্যাক্তিগত সামাজিক মান সন্মান ও আপনার পরিবারের সম্ভ্রান্ততা কোন রকম প্রশ্নের সম্মুখিন নয় এমন দরিদ্র পরিবার অনেক আছে, যারা অর্থনিতির প্রবল চাপে টিকতে পারে নাই কিন্তু যুগ যুগ ধরে তারা সম্ভ্রান্ত পরিবার। অর্থ বৈভব আপনাকে ধনী বা অর্থশালী করতে পারে সম্ভ্রান্তশালী করতে পারবে না। ওটা মানুষের জিনের মতো বংস পরস্পর আসে।

পোকায় খাওয়া জনগস্টি দিয়ে আপনি যদি আপনার কার্যক্রম চালান আপনার কাজ কতো টুকু চলবে জানি না কিন্তু আপনার কাজের শ্রি যে দর্শনধারি থাকবে না তা বলে দিতে পারি, দুর্নিতি, মিথ্যা অভিযোগ, চুরি, ঘুস, ইত্যাদির সহ অবস্থান স্বাভাবিক ভাবে চলতে থাকবে।

ভারতে দেখবেন তারা তাদের সকল গুরুত্বপূর্ণ পদে উচ্চ বংশিয়দের নিয়গ দিয়ে রেখেছে যেমনঃ মুখার্জি, ব্যানার্জি, চট্রপধ্যায়, ইত্যাদি, ওই সব পদে নিম্ন বংশিয় সে যতো বড় বিদ্দান হোক তার কোন এন্ট্রি নাই। এর ব্যাতয় ঘটেছে মোদি ও অমিত সাহ দের সাথে দেখুন এখন ভারতের পরিস্থিতি। মোদি, অমিত সাহ দাগি আসামি।

আমাদের বাংলাদেশেও সময় এসেছে এমন করে ভেবে দেখার। অজাত কুজাতের কাছে অর্থ এলে তারা কি পরিমানে রেসিস্ট হতে পারে একটু ভেবে দেখবেন। সমাজের ভেতর বিসৃংখলা সৃস্টির প্রধান কারন অজাত কুজাতদের গুরুত্বপূর্ণ পদে দাখিল করা। আমাকে আপনারা অনেকেই গালা গাল করবেন, আমি সব অভিজোগ মাথা পেতে নিব কারন আমি আপনি বা আপনারা না।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: না গালাগাল করবো না।
অভিজোগ (অভিযোগ) মাথা পেতে নিতেও হবে না।

২১ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৭

রানার ব্লগ বলেছেন: পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে আমি হতাস। আমাকে একটা গুরুত্বপূর্ন পদ দেয়া হোল আর আমি যদি সেই পদের মূল্যি না বুঝি সেই পদ কে নিজের ঝোলা ভরার আলাদিনের চ্যারাগ মনে করি তবে তো লোক আমার পরিবারের খজ নেবেই তাই না, তারা জানতে চাইবে কোন ভুক্ষার পরিবার থেক এয়ামি এসেছি, যার পরিবার তাকে তার দায়িত্ববোধ শিখায় নাই, অন্যের প্রতি সন্মান দেয়া শিখায় নাই।

২| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বৃটিশ করেছিলো কয়েকটি কারণে: কলোনীর প্রতি আনুগত্য, সমাজের মাথা উঁচু পরিবার, শিক্ষা শুধু এসব পরিবারে ছিলো; মোদী ও অমিত শাহ এসে গেছে ধর্মীয় ছদ্মবেশে। ইউরোপের মতো সবাইকে শিক্ষিত করে ফেললে, সমস্যা থাকতো না।

২১ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১১

রানার ব্লগ বলেছেন: বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষার হার কতো? ২০১৮ সালের হিসেব মোতাবেক ৭৩ শতাংশ। তারপরেও দেখুন বাংলাদেশের সম্পুর্ন চিত্র। যার যেমন খুশি করছে, না আছে নিজেস্ব রুচি বোধ, না আছে সামাজিক শিক্ষা, না আছে পারস্পারিক সন্মান দেয়ার কালচার, এক জন মানুষ অন্য একজন কে রাস্তায় নামাতে বিন্দু মাত্র কুন্ঠা বোধ করে না, নিজ অবস্থানের প্রতি না আছে কোন দায়িত্ব বোধ। উপরের সব গুলই আসে পরিবার থেকে , যদি পরিবার না জানে বাচ্চা কোথা থেকে শিখবে। এখন আমাকে যদি আপনাদের রেসিস্ট মনে হয় , ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার লেখায় রেসিসমের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। বাপ ভালো হলেই যে ছেলে ভালো হবে এমন না। আবার গোবরে পদ্ম ফুল ফোটে। বংশীয় আভিজাত্যের দিন শেষ।

২১ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০৪

রানার ব্লগ বলেছেন: ভাইজান আপনি পুরটা পড়েন নাই, এক বাপ দিয়ে পারিবারিক স্মভ্রান্ততা আমি বুঝাই নাই। অনেক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান দের উচ্ছন্নে যেতে দেখেছি কিন্তু এদের কেই দেখেছি নিতির প্রশ্নে অটল থাকতে। আমরা যে সুভাস চন্দ্র বোসের নাম শুনে আহা উহু করি ইনি কিন্তু সম্ভ্রান্ত বোস পরিবার থেকে এসেছেন। আমি বার বার পরিবারের কথা বলছি । আর দারিদ্রতা সে যে কারো জন্য হতে পারে কিন্তু বংশিয় মার্জিতবোধ ওটা যায় না। আআমকে রেসিস্ট বলেন ক্ষতি নাই, আমি এমন বলছি না আমার বংশ খুবি উচু তারপরেও আমি বোলব পারিবারিক সম্ভ্রান্ততা খুবি দরকার।

৪| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬

আমি সাজিদ বলেছেন: ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তরের সাথে একমত।

২১ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৩

রানার ব্লগ বলেছেন: কতো কাল গোবরের দিকে তাকিয়ে থাকবেন। এইবার আশে পাশে তাকান, আর গোবরে খালি পদ্মই ফোটে না বিশাক্ত জীবাণু ও হয়।

৫| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪০

ঘরহীন বলেছেন: প্রচন্ড রেসিস্ট পোস্ট, প্রতিবাদ করতে বাধ্য হলাম তাই। আমার দেখা অনেক অসাধারণ মানুষই, একেবারেই নিম্নবিত্ত, অজ্ঞাতকুলশীল পরিবার থেকে উঠে আসা। তাদের চরিত্র ও সততা দেখলে যে কেউ স্যালুট করতে বাধ্য।

২১ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯

রানার ব্লগ বলেছেন: অবশ্যই এটা রেসিস্ট পোস্ট। প্রতিবাদ করুন কোন সমস্যা নাই। বাংলাদেশের এক জন কে দেখান যার জন্ম সম্ব্রন্ত পরিবার থেকে হয় নাই কিন্তু সে তার কর্ম ক্ষেত্রে মহান। আর দারিদ্রতা আর অসম্ভ্রান্ততা এক নয়। একজন সম্ভ্রান্ত বংশীয় লোক গরিব হতে পারে, কিন্তু তার পারিবারিক ইতিহাস তাকে অন্যায় করতে বাধা দিবেই। আমি কোথাও বলি নাই দরিদ্র নিম্নবিত্তরা সম্ভ্রান্ত না। বাংলাদেশের যাদের কে দেখবেন মহান হিসেবে গন্য করা হয় তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড এ একটি কথা লেখা থাকে দেখবেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে এসেছেন। বঙ্গবন্ধু, মাওলানা ভাসানি, এ কে ফজলুল হক, নজরুল ইসলাম , শামছুর রহমান, ডক্টর মুহাম্মাদ শহিদুল্লাহ, এই রকম আরো অনেকেই, এরা কিন্তু পরিবার কে সম্ভ্রান্ত করে নাই এরা আসছেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে। গোবরে পদ্ম ফুল ফোটে সত্যি, কিন্তু এমন পদ্ম কটিতে এক জন আমাদের দরকার হাজারে একজন।

৬| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আসলে আপনাকে রেসিসট বলিনি। আমি বলতে চেয়েছি যে পোস্টটা তে রিসিসমের গন্ধ আছে। সুভাস বসুর নাতনী শরমিলা বসু বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে বিতর্কিত করার জন্য একটি বই লিখেছেন যেটার নাম 'ডেড রেকনিং: ১৯৭১ এর বাংলাদেশ যুদ্ধের স্মৃতি'। এটি মনে হয় একটি ফরমায়েশি লেখা ছিল। এই বইয়ে উনি স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানিদের নৃশংসতাকে হালকা করার চেষ্টা করেছেন এবং আমরা বাড়িয়ে বলছি এটা বলতে চেয়েছেন। এই লিঙ্কটা দেখুন ডেড রেকনিং - উইকিপিডিয়া

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে চাকরী নিয়ে আসত যারা তাদের বেশীর ভাগই ছিল অসৎ। কাজেই তাদের সিদ্ধান্তকে বাহবা দেয়ার কিছু নাই। তারা এ দেশে যা কিছু ভালো কাজ করেছে সেটাও নিজেদের স্বার্থে করেছে। আপনি এভাবে না বলে বলতে পারতেন যে সব পরিবার বংশপরম্পরায় খারাপ কাজে যুক্ত বা দাগী অপরাধী আছে যে সব পরিবারে তাদের ক্ষেত্রে লোক নিয়োগের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সতর্ক থাকা উচিত।

৭| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লিঙ্কটা ঠিকভাবে দিতে পারিনি। তবে আপনি গুগল সার্চ দিলেই পাবেন।

৮| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি কি বলতে চেয়েছেন তা খানিকটা আন্দাজ করতে পারছি, কিন্তু ক'জনকে ধরে ধরে বোঝাবেন? হয় ভাবনা পাল্টান- না হয় সঠিক জায়গায় পোষ্ট দিন( বুঝে নিন কি বলতে চেয়েছি)

৯| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮

প্রামানিক বলেছেন: ব্রিটিশ আমলে উচ্চবংশীয় লোকদের যে ব্রিটিশরা চাকরি দিত তার অনেক কারণ আছে, সেই সময়ে হিন্দু ধর্মে জাত পাতের দারুণ বাড়াবাড়ি ছিল। মুখার্জি, ব্যানার্জি, চট্রপধ্যায় এরা সবাই হলো ব্রাহ্মণ জাতি। হিন্দু ধর্মে ধর্মীয়ভাবে ব্রহ্মণদের পুজা অর্চনাসহ শিক্ষা-দীক্ষা, পান্ডিত্য করার অনুমতি থাকলেও শুদ্রদের শিক্ষা করার অনুমতি ছিল না। নিম্নজাতের হিন্দু ছেলে মেয়েদের শিক্ষা করা তো দূরের কথা একসময় পাছায় ঝাড়ু বেঁধে হাটতে হতো তার কারণ নমঃশুদ্ররা রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে সেই রাস্তা বা মাটি অপবিত্র হয়, সেই অপবিত্র রাস্তায় বৈশ্য, শুদ্ররা অপবিত্র না হলেও ব্রাহ্মণরা অপবিত্র হয়, যে কারণে অপবিত্র রাস্তাকে পবিত্র করতে পাছায় ঝাড়ু বেঁধে রাস্তা ঝাড়ু দিতে দিতে নমঃশুদ্রদের হাঁটতে হতো। নমঃশুদ্রদের ছুঁলে শরীর অপবিত্র হয়, মুসলমানদের হাতে ভাত খেলে জাত যায় ইত্যাদি ধুয়া তুলে আর সিরাজুদৌলার পতনে ইংরেজদের মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে এই ব্রাহ্মণরা উচ্চপদের চাকরিগুলো বাগিয়ে নিত। যেহেতু তারা উচ্চপদে থাকতো তাই পরবর্তীতে উচ্চপদে লোক নিতে গেলেও তারা ব্রাহ্মণ জাতিকেই বেছে বেছে চাকরি দিত।
সততা এবং উচ্চবংশ এক জিনিষ নয়। যে সৎ সে ধনী ঘরের সন্তানও হতে পারে আবার গরীব ঘরের সন্তানও হতে পারে। বাংলাদেশে এখন চাকরি ক্ষেত্রে চরিত্র দেখে চাকরি দেয়া হয় না, চাকরি দেয়া হয় বিভিন্ন জনের সুপারিশে বা ঘুষের টাকার উপরে, যে কারণে চাকরি জীবিদের সৎ অসৎ বাছাই করার সুযোগ এখন খুবই কম। বাপের জমিজমা বিক্রি করে বিশ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে কেউ যদি চাকরি নেয় সে চাকরিতে ঢুকে কখনই সৎ থাকতে পারে না, সৎ উপায়ে সারা জীবনে বিশ লাখ টাকা জমানো সম্ভব নয়, যে কারণে বাপের বিক্রি করা জমির টাকা আগে উঠাতে হবে এমন চিন্তা থেকেই সে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পরে। অনেক সময় অনেক কর্মচারী বা কর্মকর্তা সৎ থাকতে চেয়েও সৎ থাকতে পারে না। দুর্নীতিগ্রস্ত উপরের কর্মকর্তার চাপে পরেও দুর্নীতিগ্রস্ত হতে বাধ্য হয়, তা না হলে চাকরি থাকে না।

১০| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০

সত্যপীরবাবা বলেছেন: ১)বাংলাদেশে যারাই কিছুটা নাম কামান বা ক্ষমতাবলয়ের মধ্যে বা আশে পাশে থাকেন তাঁরা এবং তাঁদের পূর্বপুরুষ স্বয়ংক্রিয়ভাবে অভিজাত বা সম্ভ্রান্ত বংশ হয়ে যায়। বাপ ঘুযখোর পুলিশ হোক, দাদা নোটবই ছাপানো প্রশ্নফাঁস করা শিক্ষক হোক, চাচা-মামা ছিঁচকে চোর হোক, আপন ভাই লম্পট হোক, একজন কেষ্টু-বিষ্টু হলেই পুরো বংশই নিমেষেই সম্ভ্রান্ত হয়ে যায়। তখন বাবা হয়ে যায় দূর্নীতির বিরুদ্ধে সতত যুদ্ধরত ড়্যাম্ভো, দাদা ঘরে ঘরে আলো পৌছে দেয়া বিশাল শিক্ষাবিদ, চাচা-মামা আমদানি-রপ্তানির ব্যবসায়ী, ভাই জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব।

২) সম্ভ্রান্ত হওয়ার এই প্রক্রিয়া ব্রিটিশ আমল না, তারো আগে হতেই চালু। এখনকার তথাকথিত "সম্ভ্রান্ত" বংশের সম্ভ্রান্ত হয়ে ওঠার পিছনে কোনই পুণ্যাশ্রয়ী কারন নাই, পুরোটাই রাজানুকুল্য -- এই রাজানুকুল্যের প্রতিদান তারা দিয়েছে নিজ দেশের মানুষের প্রতি সমস্ত অবিচারে সাহায্য করে। আর এই রাজানুকুল্য তাঁরা যে উপায়ে হাসিল করেছেন সেইসব বিযয়ে যদি আপনার উচ্চ ধারনা হয়ে থাকে তাহলে আপনার জ্ঞানচক্ষুর উন্মেষ ঘটানোর সামর্থ্য আমার নাই -- মন্তব্যের পরবর্তী অংশ অর্থহীন আপনার জন্য।

৩) তাই পরিবারে সম্ভ্রান্ততার ল্যান্জা ধরে ঝুলে থাকা ব্যক্তিদেরই আভিজাত্যের পরীক্ষা নিয়ে বড় বড় পদে বসায়ে সমস্যার যে অতি সরল সমাধান (সঠিকভাবে বললে ভুল এবং বর্ণবাদী সমাধান) আপনি প্রস্তাব করেছেন তার কোন বাস্তব প্রমান নাই। বাংলাদেশে স্বাধীনতা পূর্ব এবং উত্তর সময়কালে শাসকশ্রেনী বরাবরই এই তথাকথিত সম্ভ্রান্ত/অভিজাত বংশ থেকে আগত। তা এই "সম্ভ্রান্ত" বংশাগত শাসকশ্রেনী ঠিক কি কি "মহান" কর্ম সাধন করেছে এই দেশের জন্য (একই সাথে অ-সম্ভ্রান্ত মানুষদের জন্য, যারা সংখ্যাগুরু)? কয়েকজনের নাম উল্লেখ করতে পারবেন অবশ্যই --- শেখ মুজিবের নাম আসবে ধরে নিচ্ছি -- তাঁদের অবদান কি বংশের সম্ভ্রান্ততার জন্য নাকি তাঁদের ব্যক্তিত্বের জন্য? আর যদি বলেন এই ব্যক্তিত্ব বংশের সম্ভ্রান্ততা-উদ্ভূত স্বয়ংভু তাহলে বাল্মীকী ডাকাতই থাকতেন, বুদ্ধ যুদ্ধ করে রাজ্যসীমা বৃদ্ধি করতেন, এরশাদ চাচা মসজিদেই সময় ব্যয় করতেন। ব্যক্তিত্ব কোনো ভাবেই বংশের সম্ভ্রান্ততার উপর নির্ভর করে না --- তবে ঢাকাইয়া ভাষায় "খাসলত" বলে একটা শব্দ আছে, সম্ভ্রান্ত-বংশীয়রা অহরহ এই খাসলত প্রকাশ করে।

৪) ব্রিটিশ শাসনামলে আভিজাত্যের পরীক্ষা নেয়ার প্রসঙ্গের উল্লেখ দেখলাম। ব্রিটিশ বেনিয়া আভিজাত্যের পরীক্ষা নিত "অর্ধ-মানব নেটিভ" রা "সভ্যতার আলো" পেয়েছে কিনা -- এই যেমন ছুরি-কাঁটা চামচ দিয়ে খেতে পারে, জুতা পরে, চেয়ারে বসতে জানে -- এই সব নিশ্চিত করার জন্য, জুতা বাদ দিয়ে চটি পরে গেলে ব্রিটিশ কৌলিন্য (!) ক্ষুন্ন হয় তাই। এই কৌলিন্যের গালে বিরাট চড় কষেয়েছিলেন বিদ্যাসাগর, চিত্তরন্জন, মহাত্মা গান্ধী, ফজলুল হক, মৌলানা ভাসানী -- আভিজাত্যের এই পরীক্ষার বিপরীত কাজ করে। অন্যদিকে জিন্নাহের মত অনেকেই খুশি মনেই এই পরীক্ষা দিয়েছেন। অবাক হব না কষ্ট পাবো বুঝতে পারছি না, একজন ব্লগার (চাঁদগাজীর ভাষায় সমাজের অগ্রসর অংশ) আভিজাত্য পরীক্ষার পুনপ্রবর্তনের ইচ্ছা পোষন করেন।

৫) বংশের সম্ভ্রান্ততার ধারাবাহিকতায় বড় পদে আসীন হওয়া অথবা কোনো একটা নির্দিষ্ট কর্মে নিয়োজিত হওয়া -- এর সাথে বর্ণাশ্রম প্রথার পার্থক্য কি?

৬) একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন। আপনি কি নিজেকে সম্ভ্রান্ত বংশের অংশ মনে করেন? যদি করেন তাহলে আর কোনো প্রশ্ন নাই, আমার মত শুদ্রের ব্রাহ্মণকে প্রশ্ন করা শোভা পায় না, আর যদি না করেন তাহলে পরবর্তি প্রশ্ন --- আপনার অ-সম্ভ্রান্ততা কি কোন ভাল কাজের বা কৃতিত্বের পথে বাঁধা হয়েছে?

৭) অ. ট. --বংশের সম্ভ্রান্ততা বা আভিজাত্য প্রকশে যারা ব্যগ্র, তাদের জন্য একটা চমৎকার বাংলা প্রবাদ আছে -- খালি কলসী বাজে বেশি।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২৭

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি বংশীয় আভিজাত্যের কথা বলি নাই, আমি পারিবারিক মূল্যবোধের কথা বলছি, এই গুলা এমনই এমনই আসে না এই গুলা আসতে হলে বংস নামক ল্যঞ্জা থাকার দরকার আছে, পরিবার থেকে যে শিক্ষা একটা মানুষ পায় তা তার জীবন কে গঠনে সহয়তা করে। এই বার বুঝে নিন বাকি কথা গুল।

১১| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সামন্তবাদী চিন্তা ধারার ফসল।মানুষ বংশে বড় হয়না বড় হয় কর্মে।
মামা আমরা সৈয়দ বাড়ীর লোক হয়ে রিকশা চালাব,ইজ্জত যাবে না।তার চেয়ে চলেন ,চুরি করি।
মামাঃ চুরি করলে ইজ্জত যাবে না?
ভাগ্নেঃ চুরি করলে তো কেউ দেখবে না( নাটকের সংলাপ)

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২৩

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি অনেক রিক্সা চালক কে দেখেছি মানুষের সাথে খুবই মার্জিত ব্যাবহার করেন, তাদের আচার আচরন দেখলে আপনার মনেই হবে না তিনি রিক্সা ওয়ালা, আবার এমনো রিক্সা চালোক দেখেছি মানুষের সাথে কুকুরের মত আচরন করে, আপনি হয়তো তার দারিদ্রতা কে দায়ি করবেন , দেখুন দারিদ্রতা আপনাকে সাময়িক ভাবে অবিন্যস্ত করে তুলতে পারে কিন্তু আপনি আপনার ন্যাচার কখনোই লুকাতে পারবেন না।

১২| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: রানার ব্লগ,




লেখাটি মোটেও অপ্রাসঙ্গিক হয়নি।
আপনার ইশারাকৃত বক্তব্য অনেকেই পাশ কাটিয়ে সম্ভ্রান্ত- অসম্ভ্রান্ত আর ধনী-দরিদ্রের ভেতরেই পাক খাচ্ছেন। কিন্তু এই প্রবচন বা প্রবাদ বাক্যটি তো এমনিতে আসেনি --
নদীর পানি ঘোলাও ভালো
জাতের মেয়ে কালাও ভালো।

১৩| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫১

সত্যপীরবাবা বলেছেন: @আহমেদ জী এস, আপনি সজ্জন এবং জ্ঞানী লোক, পোস্টের ইশারাকৃত বক্তব্য আপনি ধরতে পেরেছেন। আমি পারি নাই। ইশারাকৃত বক্তব্যটি কি, সরল ভাষায় জানালে আমার ধরতে সুবিধা হত।

১৪| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১৭

রানার ব্লগ বলেছেন: জ্বি আপনি ঠিকি ধরতে পেরেছেন আর এক জন পেরেছেন চাদ গাজি ভাই। আমি বুঝতে পারছি না এখানে সব বেশ ভারি ভারি ব্লগাররা আছেন তারা আসলেই বুঝতে পারছেন না নাকি না বোঝার ভান করছেন। @ আহমেদ ভাই

১৫| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২১

রানার ব্লগ বলেছেন: পিরবাবা@ আমি মোবাইল থেকে কমেন্টস পড়ছি এমনিতেই আমার বাংলা লেখার পরিসিমা সিমিত তার উপরে মোবাইল যাই হোক আমি আপনার বিশাল কমেন্টের উত্তর দিব। আমার ইংগিত টা কেন,কা কে উদেশ্য করে এটা বুঝতে কেন যে সময় নিচ্ছেন কে জানে।

১৬| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩১

সত্যপীরবাবা বলেছেন: @লেখক, আপনার প্রতিমন্তব্য সাহায্য করল ইংগিত টা ধরতে। আমার বুদ্ধি-জ্ঞান শ্রদ্ধেয় ব্লগার আহমেদ জী এস এবং চাঁদগাজীর ধারের কাছেও না, ওনারা যা নিমেষে ধরতে পেরেছেন, আমার মাথায় গজাল ঠুকে ঢুকাতে হয়।

১৭| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২১

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

১৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:০৭

বুর্জোয়া বলেছেন: অপ্রাসঙ্গিক শিরোনামে প্রাসঙ্গিক অনেক কিছুর খোজ পেলামঃ
১) আভিজাত্য বা সম্ভ্রান্ত এসব ভারী ভারী শব্দগুলি শুধু মাত্র অর্থ-বিত্তের সাথে সম্পৃক্ত নয়, পাশাপাশি শিক্ষা, মূল্যবোধ, রুচি সহ অসংখ্য ধনাত্বক বিশেষণের সাথে যুক্ত। অন্যদিকে অর্থ-বিত্ত ও বৈভব ছাড়াও অন্যসব ধনাত্বক বিশেষণের গুনে আভিজাত্য বা সম্ভ্রান্ত অধিকারী হওয়া সম্ভব।

২) কর্ম যেরূপ ব্যক্তিকে মহৎ করে তেমনি পারিবারিক শিক্ষা ব্যক্তিকে মহৎ কর্মে উৎসাহিত করে। তাই জীবনের সকল ক্ষেত্রে বংশীয়ভাবে আভিজাত্য বা সম্ভ্রান্ত নিশ্চিত হওয়ার পূর্বে ব্যক্তিগত আভিজাত্য ও সম্ভ্রান্তের খোজ নেয়াটা জরুরী। তাতে করে গোবরে পদ্মফুল অবহেলায় হারিয়ে যাবে না, আবার আলেমের ঘরে জন্ম নেয়া জালেম যোগ্যতার চেয়ে বেশি পেয়ে না যায়।

শেষকথাঃ বিশৃংখলা (দূর্নীতি, মিথ্যা, ঘুষ) যা কিছুই বলিনা কেন এসব রোধে ২(দুই) ভাবে কাজ করা যায়, প্রথমতঃ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সর্বসাধারনের শিক্ষা, মূল্যবোধ, রুচি এসবের মান নিশ্চিত করা (Circle of Concern), দিত্বীয়তঃ যে পক্রিয়ায় তাদের নিয়োগ করা হচ্ছে সেটাকে এরকম ভাবে ঢেলে সাজানো (Circle of Influence) যেখানে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত উভয় ক্ষেত্রে আভিজাত্য ও সম্ভ্রান্তের দিকগুলি বিবেচনা করা হবে, যাতে যোগ্যতার চেয়ে কেউ বেশি পেয়ে না যায়।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২৪

রানার ব্লগ বলেছেন: এর পরেও আমাকে কেউ রেসিস্ট বললে আমি কি আর করতে পারি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.