নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য ও সুন্দর এর পক্ষে তেলবাজির বিপক্ষে.।.।.।.।

সুশীল

সুশীল › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাঃ হতেই পারে

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:০৭

১। যদি এ তালিকা ৭১ সালের সরকারি দলীলের আলোকে হয় তাহলে তা অস্বচ্ছ হোয়ার কোন সুযোগ নেই। কারণ যারা সরকারী খাতায় রাজাকারের নাম দিয়েছে সুযোগ সুবিধা নিয়েছে তখনকার সরকার তাদের নামই তালিকা করেছে।
২। বরং রাজাকারের তালিকা স্বাধীনতার পরে করা হলে বা এখন নিজেদের লোকদের নাম দেখে যাচাই বাচাই এর নামে যদি কাটা ছেডা করা হয় তাহলে তা হবে চরম স্বেচ্ছাচারিতার শামিল এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি
৩। রাজাকারের তালিকায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাত, জাতীয় পার্টী সহ অন্য অনেক দলের লোকের নাম থাকবে এটা স্বাভাবিক, এতে হইচই করারত কিছু নেই, যদি তখঙ্কার ইতিহাস ও পরিস্থিতি আমাদের জানা থাকে।
৪। স্বাধীনতা পরবর্তী দালাল আইনে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, শুধু গ্রেফতারের কারনে তাদের রাজাকার বলার সুযোগ নেই যতক্ষণ তাদের অপরাধ প্রমাণীত না হয়েছে, কারন একজন ব্যক্তিকে এমন অপবাদ দেয়া যাবেনা যার কারনে সে সামাজিক ভাবে হেয় হবে
৫। সরকার প্রকাশিত এ তালিকায় সেরকম অনেক লোকের নাম আছে। যাদের নামের পাশে লেখা আছে দালাল আইনে গ্রেফতার বাট অভিযোগ প্রমাণ হয়নি, সুতরাং তারা রাজাকার নয়, সে হিসেব এই প্রথম তালিকায় সবাই রাজাকার নয়।
৬। রাজাকারের নামের তালিকায় যে সকল মুক্তিযোদ্ধার নাম আছে দেখে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, আগেই চেচামেছি না করে মাথা ঠান্ডা করে ভাবুন, এ দেশে কত হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে!!!!??? সচিব পর্যন্ত ভুয়া সার্টীফিকেট নিয়েছে.। সুতরাং রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যেতে পারে
৭। যারা মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে রাজাকারের তালিকায় নাম দেখছেন হতে পারেত, তারা তখন হয়ত তালিকাভুক্ত রাজাকারই ছিল, মুক্তিবাহিনির সাথে ওঠা বসা ছিল, পাকিস্তানের গোয়েন্দা হিসেবে কাজ করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বেশী মিশেছে, তাদের তথ্য পাচার করেছে। এবং এরাই হয়ত দেশ স্বাধীন হোয়ার পরে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম নিয়ে এসেছে, কারন তাদের ওঠা বসা মুক্তিযোদ্ধাদের সাথেই ছিলো।
৮। মোটকথা, রাজাকারের তালিকা যদি ৭১ সালের সরকার করে থাকে এবং তা যদি সে সময়ের দলীলে থেকে থাকে তাহলে সে তালিকা ই অরিজিনাল।
৯। আমাদের রাজনৈতিক দুরবৃত্তায়ন আর সকল ক্ষেত্রে দলীয় করনের মানসিকতায় নির্ভেজাল রাজাকার নির্ভেজাল মুক্তিযোদ্ধায় পরিণত হতে পারে। আওয়ামীলীগ হলে বিএনপি তাকে রাজাকার বলে, আর বিএনপি হলে আওয়ামীলীগ তাকে রাজাকার বলে।
৯। আমরা রাজাকারের তালিকা অরিজিনালটায় প্রকাশ হোক তা চাই, কাটা ছাডা করে মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের সাথে বেঈমানি করার সুযোগ নেই।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:০৫

আখ্যাত বলেছেন:
এই তালিকা ফালিকা কমডে ফেলে দেয় দরকার
বিভাজন, ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ একটা দেশ গড়া যায় কিনা দেখেন
নাহলে ভারতে লাথি আর মিয়ানমারের গুতা খেতে খেতে মরবেন

২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: এখন আমাদের দেশ গড়ার কাজে মনোযোগ দিতে হবে। তালিকা করে টাকার অপচয় আর সময় নষ্ট করার দরকার নাই।
দেশে সৎ লোক নাই স্বচ্ছ তালিকা তৈরি করা সম্ভব না।

৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: গু ঘাঁটলে গন্ধ বের হবেই - হতেই পারে...

৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৭

সুশীল বলেছেন: উপরের ৩ টি মন্তব্যই খুবই চমৎকার এবং বাস্তব সম্মত। দেশে বিভাজন না করে সবাই মিলে দেশকে কিভাবে গডা যায় তাই ভাবা উচিত। কিন্তু দুখ হলো আমাদের দেশের শাসকরা সেটি কবে বুজবেন, সেটি উনারাই জানে। একদিকে মিয়ানমার ১০ লাখ লোক চাপিয়ে দিছে, অন্যদিকে ভারতে যে পরিস্থিতি তৈরী হচ্ছে বড বিপদ অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। ওহে শাসক শ্রেণী জনগনের ভাষা বুজুন।

৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৬

একাল-সেকাল বলেছেন: কাদের সিদ্দিকি কে রাজাকার বলার মাধ্যমে আমরা এই তালিকার সাথে পূর্ব পরিচিত বৈকি! B-)

৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২০

চোরাবালি- বলেছেন: যে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের নাম রাজাকারের তালিকায় নাম এসেছে তারা কি আসলে দুই পক্ষেই ছিল নাকি?

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৭

সুশীল বলেছেন: হতে পারে, কেউ নভেম্বর মাস পর্যন্ত বেতন ভাতা সহ রাজাকার থেকে ডিসেম্বর মাসে অবস্থান চেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে। অথবা কেউ রাজাকারদের পক্ষের গোয়েন্দা ছিলো তাই মুক্তিবাহিনির সাথে ছিল পরে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছে। অথবা ভাতা নিয়েছে আবার যুদ্ধের পক্ষে ও থাকতে পারে।

৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: "মূল তালিকা"। তারা কখনই এটিকে মানবেনা বা ঘোষণা করবে না।

সেই সময়ের পরিস্থিতি দ্বারা এটি প্রমাণিত যে (৭০ এর নির্বাচন এ) ,৯৬% এরও বেশি লোক আওয়ামি লিগার ছিলেন - আছেন।
কাজেই সেই সময়ে তাদের দলেই রাজাকার বেশী থাকবে এটাই স্বাভাবিক ।এখন উনারা যদি এটা না মানেন তাহলে কি বলার আছে । আর এই তালিকার জন্য, তাদের লজ্জা না করে গর্ব বোধ করা উচিত ।তবে তারা গর্ব অনুভব না করে এখন লজ্জা পাচছেন।এটা উচিত না।

৪৮ বছর পর অযথা এখন এই জাতীয় প্রশ্ন উত্থাপন করা অর্থহীন , আমি দেশপ্রেমিক,তুমি রাজাকার (এটি দ্বারা দেশে কেবল মানুষে মানুষে বিভক্তি/বিভাজন ই তৈরি করবে)।
এখন আমরা সবাই বাংলাদেশী,প্রত্যেককে দেশের উন্নয়নে মনোনিবেশ করার চেষ্টা করা উচিত।
তিনি কে ,কোন দল করেন (আওয়ামী লীগ.বিএনপি, জামাত, জাতীয় পার্টি) এভাবে মূল্যায়ন করার দরকার নেই।কারন ১৬ কোটি মানুস নিয়েই বাংলাদেশ আর আমরা সবাই বাংগালী

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১০

সুশীল বলেছেন: এক্সাক্টলি, এটিই হোয়া উচিত। বাট আমাদের রাজনীতিবিদরা কবে বুজবেন, সে প্রত্যাশায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.