![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, অধ্যাপক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চেয়ারপারসন, উন্নয়ন অন্বেষণ। উনার একটি কলামের কিছু অংশ এখানে দিয়ে আমাদের অর্থনৈতিক বাস্তব অবস্থা বুজবার চেস্টা করছি।
১। "পৃথিবীর কোথাও যা ঘটা সম্ভব নয়, তা ঘটছে বাংলাদেশে। প্রবৃদ্ধি লাফিয়ে বাড়ছে অথচ কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাচ্ছে। বৃষ্টি হচ্ছে অথচ মাটি ভিজছে না, তা কি হয়? জনগণের একটা বিরাট অংশ শুধু বেকারই থাকছে না, বেকারের সংখ্যাও বাড়ছে। আয়–উপার্জনের বাইরে রয়ে যাচ্ছে বিপুলসংখ্যক তরুণ। বিশ্বব্যাংক ও আইএলও বলছে, ১৫-২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে অধ্যয়ন অথবা প্রশিক্ষণের বাইরে রয়ে যাওয়া যুবসংখ্যা ১০ বছরে ১০ ভাগ বেড়েছে। ২০০৫ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩১ ভাগ। দক্ষিণ এশিয়ায় বেকার যুবকের হারও সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে—শতকরা ৯ দশমিক ৪৫ ভাগ। ব্রিটিশ কাউন্সিল বলছে, শিক্ষিত যুবকদের শতকরা ৪৭ ভাগ বেকার। শিক্ষিত মানুষের দক্ষতা বেশি, এই অনুমিতিতে তাদের আয় ও সঞ্চয় বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু বেকারত্ব বেড়ে যাওয়ায় সেটা থেকেও দেশ বঞ্চিত হচ্ছে। উপরন্তু অধিকাংশ মানুষ অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করায় মজুরি ও অধিকার দুইই কম।"
২। "মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে গড় পদ্ধতি অনুসরণ করে অর্থনৈতিক অসমতাকে কার্পেটের নিচে রেখে দেওয়া হচ্ছে। দুজন ব্যক্তির একজনের আয় যদি ১০ টাকা হয় এবং আরেকজনের ১০০ টাকা, তাহলে তাঁদের গড় মাথাপিছু আয় হবে ৫৫ টাকা। অথবা বিল গেটস বা মুকেশ আম্বানিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিলে জনগণের মাথাপিছু আয়ের অসম্ভব রকম উল্লম্ফন ঘটবে। বড় ধরনের অর্থনৈতিক অসমতা এই গড় হিসাবের মারপ্যাঁচে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। অথচ ‘মধ্যক’ নির্ণয়ের মাধ্যমে এই সমস্যার একটি সমাধানে পৌঁছানো যেত। ধরা যাক, একটি পাড়ায় পাঁচজন লোকের ব্যক্তিগত আয় ৫ টাকা, ১৫ টাকা, ১৩ টাকা, ১০ টাকা এবং ৭ টাকা। এ ক্ষেত্রে বড় মানের সংখ্যাগুলোর স্থান হবে ওপরের দিকে এবং ছোট মানের সংখ্যাগুলোর স্থান হবে নিচের দিকে। এই মানক্রমে কেন্দ্রের সংখ্যাটি হবে মধ্যক। অর্থাৎ ক্রমটি ১৫, ১৩, ১০, ৭, ৫ হবে। কেন্দ্রীয় সংখ্যাটি ১০ এবং এটিই মধ্যক। মাথাপিছু আয় এভাবে নির্ণয় করলে প্রকৃত তথ্য কিছুটা হলেও জানা যাবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মধ্যকের নিচে অবস্থিত মানুষকেই দরিদ্র বলা হয়। বর্তমানে ব্যবহৃত ১ দশমিক ২৫ পিপিপি ডলারের দারিদ্র্য পরিমাপের হিসাব নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার স্লোগানের সঙ্গে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।"
অর্থনৈতিক বাস্তব অবস্থা প্রকাশ না করে গোজামিলের আশ্রয় নিয়ে মুখে শান্তি পাওয়া যায়, চেয়ার মজবুত থাকে কিন্তু সাধারণ মানুষ দিন ভালো যায়না। তাই সুন্দর ও বাস্তবিক পরিকল্পনার আলোকে পলিসি গ্রহণ করে অর্থনৈতিক বৈষম্য দুর করুন।
২| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: ফাঁক ফোকর যেন ধরা পড়ে না যায় তার জন্য মাসিক বেতন হিসেবে লোক রাখা হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমাদের উন্নয়ন হচ্ছে কাজীর গরুর মত!