নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য ও সুন্দর এর পক্ষে তেলবাজির বিপক্ষে.।.।.।.।

সুশীল

সুশীল › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশ কোনদিকে যাচ্ছে, কি হচ্ছে বুজতে পারছিনা।

২৪ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

দেশ কোনদিকে যাচ্ছে, কি হচ্ছে বুজতে পারছিনা। তবে এতটুকু বুজতে খুব অসুবিধা হচ্ছেনা যে, দেশ এ মহামারী মোকাবেলায় অনেক পিছিয়ে, সমন্বয়হীনতা চোখে পডার মত।.........।।
১। দেশের জনগণ ব্যাপকহারে সচেতন নয় এবং নানাবিধ সীমাবদ্ধতার কারণে বিধি নিষেধ পুরা মানছেনা।
২। চায়না ফেরত ৩১৬ জনের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা গেলে ও ৩ দিনে ইতালী ফেরত প্রায় চারশতাধিক লোকের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা যায়নি। হোম কোয়ারেন্টিন মানে ঘরে ঘরে রোগ হাতে করে পৌছায় দেয়া।
৩।প্রথমদিকে সব আক্রান্ত কেস ইতালী ফেরতদের মাধ্যমেই হয়েছে। যদি তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা যেতো পরিস্থিতি হয়ত ভিন্ন হতে পারত।
৪। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে না পারায় এ ভাইরাস কমিউনিটি লেভেলে ছডানোর সুযোগ করে দেয়া হলো। যার প্রমাণ মিরপুরে মারা যাওয়া দুজনই অজানা ব্যক্তির মাধ্যমে আক্রান্ত
৫। এখন পর্যন্ত ঢকাতে হজ্জ ক্যাম্প ছাডা অন্য কোন জায়গা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন এর জন্য নির্ধারন করতে পারেনাই। ইজতেমা মাঠ এবং দিয়া বাডির প্লান ইতোমধ্যে বাতিল।
৬। বড সরকারী মেডিকেল সহ অনেক হাসপাতাল এখনো করোনা চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত নয়, (প্রথম আলোর রিপোর্ট)। কিছু স্থানে ডাক্তার রুগী অমুক দেশ ফেরত শুনেই লাপাত্তা। আবার কোথাও ডাক্তার আসিবার পূর্বে রুগী পালাইয়া গেলো। ইসলাম গ্ণী সাহেব করোনায় আক্রান্ত জেনে ডাক্তার নার্স কেইউ আর আইসিইউতে প্রবেশ করেন নাই।
৭। ডাক্তার এবং নার্সদের পর্যাপ্ত (পিপিই) এর ব্যবস্থা নেই। অনেক জায়গায় তাই রুগী ভর্তি না করার নোটিশ দিচ্ছে। রুগী আসা শুরু করার আগেই রুগী ভর্তি না করার নোটিশ কিসের প্রমাণ!
৮। করোনা পরীক্ষা সীমিত জায়গায় হওয়ার কারণে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে টেস্ট করার আগেই মারা যাচ্ছে। এতে করে ওই হাসপাতালের নার্স চিকিৎসকরা নিজেদের অজান্তেই এই ভাইরাস বহন করে ছডানোর ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
৯। স্বয়ং ঢাকায় করোনা আক্রান্ত এক রোগীকে সেবা দিয়ে ডা. পলাশ আক্রান্ত হয়ে নিজে এখন আইসিইউতে। আল্লাহ তাকে সুস্থ্য করুক। কিন্তু এরকম অব্যবস্থাপনার সমাধান হওয়া জরুরী।
১০। যখন লকডাউনের জোর কথা চলছে তখন ১০ দিনের ছুটি দেয়া হলো। প্রাথমিকভাবে এটি পজেটিভ। কিন্তু এর পরবর্তী কার্যকররন ভয়াবহ।
১১। ছুটি দিয়ে সবাইকে যার যার জায়গায় অবস্থান করতে বলাটা ভালো হতো। এখন সবাই এক সাথে ঈদের মত যেভাবে গণ পরিবহনে গাদাগাদি করে যাচ্ছে তাতে প্রতি ঘরে ঘরে এ ভাইরাস চলে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক, এবং তাই হবে।
১২। অর্থাৎ কেউ বাহিরে যাবেনা, নিজ জায়গায় অবস্থান করবে। এরকম নির্দেশনা হলে শহরে এটা সেনা বাহিনী বা আইনশৃংখলা বাহিনী দিয়ে চেক দেয়া সহজ হতো। এখন সবাই গ্রামে ছডিয়ে চিটিয়ে হাট বাজারে আড্ডা দিবে। প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যায়ে সেনাবাহিনী সহজে মনিটরিং করতে পারবেনা।
১৩। ঢাকা থেকেই কোটি মানুষ গ্রামে ফিরবে। সবাই ঢাকায় নিজ যায়গায় অবস্থান করলে অন্তত কেউ আক্রান্ত হলে টেস্ট করানো এবং হসপিটালে নেয়া অন্তত গ্রামের চেয়ে ভালো হতো। এবং সরকার কারা আক্রান্ত তা চিহ্নিত করে তাদের আলাদা ব্যবস্থা নিয়ে অন্যদের সুরক্ষা দিতে পারতো।

হয়ত আমাদের কর্তারা আমাদের থেকে ভালো বুজছেন।

বাস্তবতা হলো, নিজেদের চরম অবহেলা, অব্যবস্থাপনা, মাত্রাতিরক্ত অসচেতনতা করে চলতে থাকলে আল্লাহ কিছু করবে কিভাবে?, এটাত তার ধর্মে নাই। এরপরেও বলতে হচ্ছে, এবং হবে, আল্লাহ হেফাজত করুক সবাইকে... ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: মসজিদ , মন্দির, চার্চ সব বন্ধ করে দেয়া দরকার।বাইরের দেশে এই সব জায়গা থেকেই করোনা বড় আকারে ছড়িয়েছে। মালয়েশিয়ার অবস্থা দেখেও যদি শিক্ষা না হয় তবে কিছু বলার নাই।

২| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দেশের এই অবস্থা দেখে মন হয় । চোর পালালে বুদ্ধি বাড়বে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.