মোল্লাতন্ত্র কহেন...

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩

এইবার শাহবাগীগো দৌড়াইয়া পালানোর জায়গা থাকবো না। আযানের সময় মাইক বাজাইয়া জোয়ান পোলা-মাইয়া নাচানাচি করা বাইর হইবো ইনশাল্লাহ! আর ঐ যে পোলাগুলা (বেত্তমিজের একশেষ!) রাস্তার মইদ্দে শুইয়া শুইয়া না খাইয়া কী এক তামাশা করতাছে, ৬ তারিখ তৌহদী জনতার বেমক্কা স্রোতের ধাক্কায় কই যাইবো গা! কয় রুমি ইস্কোয়াট! কত্ত বড় সাহস! যেইখানে ইসলামের হেফাজতের আন্দোলন শুরু হইছে সেইখানে বাগরা দেবার সাহস করে! খেলা তো মাত্তর শুরু। ১০০ ভাগ মুসলমানের দেশে (১ কোটি হিন্দু এমতেই যাইবো গা! আমরা তো আর যাইতে কই না। অরাই যাইবো গা। গেলেগা আর কি করা যাইবো।) কুন নাস্তিক-মুরতাগো ইস্থান নাইক্কা। হ হ, আমরাও জামাতীগো পছন্দ করি না। এই কথা সত্য। অরা বি মুসলমানই না! অগো নেতা মওদুদির ইসলাম মানা আমাগো পক্ষে সম্ভব না। আমরা তাই জামাতি ইসলাম করি না। যেই সব বেত্তমিজ নাস্তিক ব্লগার কয় আমরা জামাতের লোক, অগো ট্যাকা খাইয়া আন্দোলন করতাছি অরা ইসলামের শত্র“। আমাগো আন্দোলন ইসলামের শত্র“গো বিরুদ্ধে। রসূল নিয়া কুটক্তি করে যারা অগো বুঝাইতে হইবো নাস্তিক-মুরতাদগো এই পাক-বাংলায় রক্ষা নাই! ... মাইন্ড করেন ক্যা, পাক মানে তো ‘পবিত্র’... অন্য কিছু না হে: হে: হে:! যাক এইবার ছয় তারিখের কথায় আসি।

সাঈদী ছাবের ফাঁসির রায় হইবার পর আমরা তো কিছু কই নাই। হুনছেন আপনেরা, কন? কিন্তু ইন্টার নেটে নবীরে নিয়া আকথা-কুকথা কইলে চুপ কইরা বইয়া থাকন যায় নি। ঐ যে একটা ব্লগার রাজীব না কি, অরে যারা মারছে অরা তো মুজাহিদ! এই দুনিয়ায় যারাই আল্লা আর তার রসূলরে নিয়া আকথা-কুকথা কইবো অগো সবাইরে এই দশাই করা হইবো। দেহি কোন নাস্তিক আবার সাহস করেনি। কয় কি, বাক স্বাধীনতা! কথা শোনেন! এইসব খ্রিস্টানী ব্যাপার-স্যাপার এইহানে চলবো না। কিয়ের বাক স্বাধীনতা? আবার কয়, ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’! এইটা কোন মুসলমান মানতে পারেনি। কিতাবে কইছে ইসলাম কায়েম কর। আল্লার আইন প্রতিষ্ঠা কর। এরই জন্য এছলামী রাষ্ট্র প্রয়োজন। সেক্যুলার রাষ্ট্র তো খ্রিস্টানী রাষ্ট্র। শাহবাগীরা এই সগল কথা চিল্লাইয়া চিল্লাইয়া কইতে থাকে। কয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা! আরে মুসলমানের পোলার মুখে কই শুনমু ইসলামী চেতনার কথা তা না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। ঐ সব বাদ দেন। দেশে একটাও কওমি মাদ্রাসা আর তার তালেবর এছলামী সৈনিক জ্যান্ত থাকতে এইসকল অনৈছলামীক ব্যাপার-স্যাপার বরদাস করা হইবো না। ৫০ লক্ষ তৌহদি জনতা ৬ তারিখ ঢাকারে ঘিরা ধরবো, তখন বুঝবো কত খেজুরে কত বিচি হয়! আগেভাগেই কইয়া রাখি, এই দেশে এখন থিকা আমরা যা কমু তাই হইবো। এই যে স্যাক সাবের দল, দেহেন না আমাগো কথা না শুইন্না পারছে নি? কত তেল মারতাছে পায়ে দেখছেননি! হে: হে: সবই আল্লার ইচ্ছা!

আল্লায় চাইলে মোল্লার শাসনই মানতে হইবো কিন্তু। বহুদ কথা কইছেন কিছু কই নাই। ‘মোল্লার দৌড় মজিদ পর্যন্ত’! এইবার বঙ্গভবন পর্যন্ত দেখবেন। খেলাফত প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত মুমিন মুসলমান কিয়ামত পর্যন্ত থামবো না। কই এরলাই¹া জোয়ান মরদ পোলা চিল্লান দিবো আল্লাহ আকবর! হের বদলে, কয় কি, ‘তোমার আমার ঠিকানা’ আর বেকতে মিল্লা চিল্লায় ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’! শুনছেন একবার কথাগুলি। মুসলমানের কিবলা হইল মক্কা। কই ‘মক্কা-মদিনা’ কইয়া চিল্লাবি তা না, অগো বলে ঠিকানা পদ্মা-মেঘনা-যমুনা! কেমুন হিন্দুয়ানী কারবার। আবার সবাই মিল্লা মোমবাতি জ্বালাইয়া স্মরণ করে শহীদগো লাই¹া। এইসব তো হিন্দুগো কাজ কারবার। আর কয় শহীদ? কিয়ের শহীদ! ধর্মের লাইগা মরলেই শুধু শহীদ হওন যায়। ৬ তারিখ মরলেই কেবল শহীদ হওর যাইবো। সোজা কথা, এইটা এছলামের পথ। নাস্তিক-মুরতাদগো পথ ঐটা। আর আমরা অগো বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। শুনছি শাহবাগীরা এরমধ্যেই দলাদলি হইয়া গেছে হে: হে: হে:। স্যাক সাবের পাটিও অহন আমগো মুখের দিকে চাইয়া আছে। সবাই কয়, হুজুররা হরতাল দিলে কড়া হয়। হেরা রাস্তায় বাইর হইলে মাইনষে ঘরের মধ্যে বইয়া থাকে। কয়, আইজকা বাইর হমু না, হুজুরগো মিটিং আছে। দেখছেননি, কেমুন দ্যাশের মইদ্দে ঢাক ঢাক পইরা যায়। হে: হে: হে: সবই আল্লার ইচ্ছা!

যাক, শেষ করনোর আগে একটা সুখবর দিয়া শেষ করি, সরকার আমাগো ইজ্জদ দিয়া কথা রাখছে। নাস্তিক ব্লগারগো শাস্তি দিতে এইবার ট্রাইব্যুনাল গঠন করছে শুনছি। আর আমরা যে অগো মানে নাস্তিকগো তওবা কইরা মুসলমান হওনের শেষ সুযোগ দিছি সেইটা সরকারও সমর্থন করছে। এখন তিনটারে ধরছে! খেলা তো মাত্তর শুরু। ব্লগগুলারে মুখে টেপ মাইরা, চোখ বাইন্দা বোবা-কালা কইরা রাখমু। হে: হে: হে: এইবার ঠ্যালা বুঝবোনে!

১ টি +০/-০