নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুষুপ্ত পাঠক

লেখক

সুষুপ্ত পাঠক › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিকতা বাড়ছে, আস্তিকতার রূপান্তর হবে

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

বিশ বছর আগেও এত নাস্তিক ছিল কিনা সন্দেহ আছে। শুধু বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে এখানে। এবং এই নাস্তিকতার প্রসারের ক্ষেত্রে ইন্টানেট এক বিশাল ভূমিকা রেখেছে। ইন্টারনেটের আগে নাস্তিকতার পাঠ কঠিন ও প্রায় অসম্ভব ছিল। মনে আছে প্রবীর ঘোষের লেখা বই “ আমি যে কারণে ঈশ্বর বিশ্বাস করি না” মলাট ফেলে দিয়ে বাড়িতে পড়তে হয়েছিল। আরজ আলী মাতুব্বরের “সত্যের সন্ধানে” পড়ে প্রশ্ন করার সাহস জুগে ছিল। এসব স্কুল লাইফের কথা। হুমায়ূন আজাদের “আমার অবিশ্বাস” কতবার পড়েছি বলার মত নয়। ঈশ্বর বা আল্লা নেই এই বিষয়ে তখন পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণপত্র, নানা থিউরি, আত্মা ইত্যাদি বিষয়ে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এভাবে ঈশ্বর বিতর্কর একটা সমস্যা আছে। এখনো বলতে গেলে বিজ্ঞান হাঁটা শুরু করেছে। আধুনিক বিজ্ঞানের বয়স ১০০ বছরের বেশি নয়। এই ১০০ বছর বিজ্ঞান পৃথিবীকে বদলে দিয়েছে। মানুষ চাঁদে গিয়েছে, মঙ্গলে যান পাঠিয়েছে। ক্লোন করেছে জীবদেহের। ডারউইন থিউরি, নিউটন, আইনস্টাইন, হকিং... তবু ঈশ্বর নেই এ বিষয়ে আস্তিকের মনে কোন রেখাপাতই ঘটাতে পারে না। তাই বিজ্ঞানের প্রফেসর নেকীর আশায় পায়ে হেঁটে ইজতেমায় যায়। রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমাজ বিজ্ঞান গুলে খাওয়া লোক খেলাফতে আস্থা রাখে স্রেফ ভক্ত আর ধর্মীক চেতনা থেকেই। বিজ্ঞানকে গুলে খাওয়া মানুষ দিব্যি নবীর সমস্ত সুন্নতে বৈজ্ঞানিক ফজিলত আবিষ্কার করে ফেলে। এদের সঙ্গে তর্ক করে লাভ নেই। আর আল্লা বা ঈশ্বর আছে বা নেই বলে রাত পার করে দেয়া যাবে তবু তর্ক শেষ হবে না।



তারচেয়ে বরং ঈশ্বর আছে এটা মেনে নিই আসুন! বেচারা ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের তো কোন বিরোধ জিইয়ে রেখে লাভ নেই। “ঈশ্বর” শব্দটাকে আমরা তাই মেনে নিলাম। আপাতত তিনি ঊর্ধলোকে থাকেন না পাতালে থাকেন সে বিতর্কও তুলবো না। বরং আস্তিকদের দাবী মোতাবেক তিনি সাত আসমানে থাকেন সেটাই মেনে নিব। কাজেই ঈশ্বর মহাশয় এখন কোন ফ্যাক্ট নন। এটাই ইন্টানেট যুগে ধর্ম আলোচনার মৌলিক পার্থক্য। ঈশ্বর বা আল্লা আছেন এটা স্বীকার করেই ধর্মীকদের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। এভাবেই খুলে গেলো এক নতুন যুগের ধর্মালোচনা। ঈশ্বর বিশ্বাস করেও যেখানে যে কেউ হতে পারে প্রচলতি ধর্ম অবিশ্বাসী। ব্যাপারটা যে দুনিয়াতে একদমই আনকোরা তা কিন্তু না। এ ধরনের মানুষ আগেও ছিল খুবই সংখ্যালঘু অবস্থায়। এই ইন্টারনেটের যুগে এবার তাদের সংখ্যা বাড়তে থাকবে আশা জাগনিয়াভাবে। বলা বাহুল্য নাস্তিকদের চেয়ে এদের সংখ্যাই বেশি হবে সঙ্গত কারণেই। কারণ বেশির ভাগ মানুষ “ভবিতব্য” “দৈব” “ভাগ্য” মত ব্যাপার ত্যাগ করতে পারবে না। মানব জীবনের উত্থান পতন, গ্রীক নাটকের নিয়তির নিষ্ঠুর খেলার মত মানুষ নিজের জীবনে এরকম অদৃশ্য কুশিলব আবিষ্কার করতেই থাকবে। জীবনের এই অনিশ্চতার খাঁজেই জন্ম নিয়েছে সাধারণ মানুষের একদমই নিজস্ব ঈশ্বর বা আল্লা। তারা নিজেরাও জানে না অনেক ক্ষেত্রে তাদের ধর্মীয় ঈশ্বর বা আল্লার সঙ্গে তাদের নিজস্ব ঈশ্বর বা আল্লার তফাত রয়ে যাচ্ছে। এই নিজস্ব আল্লাকে বেশির ভাগ মানুষ ত্যাগ করে উঠতে পারবে না। তারা আস্তিক, কখনও প্রচলিত সব ধর্মগুলো থেকে তারা বিশ্বাস হারিয়ে ফেললেও আস্তিক থেকে যাবে। আমি সেই আস্তিকের বন্দনাই করি। আমি স্বপ্ন দেখি সারা বিশ্বে সেই আস্তিকে ভরে উঠছে। প্রচলিত ধর্মমত থেকে সরে আসছে। মানব ধর্ম প্রসার হচ্ছে।



আমাদের বাউল দর্শন এই আস্তিকতার খানিকটা ধারন করে। বাংলার বাউল সাধকরা সবাই এমন এক ঈশ্বরের ভজনা করেছেন যিনি আসলে প্রচলিত সব ধর্মীয় ঈশ্বর থেকে আলাদা। এ জন্য এই সাধকদের কাফের, ধর্মদ্রোহী ইত্যাদি ফতোয়ার শিকার হতে হয়েছেন। কিন্তু বাংলার কৃষক, মাঝি, জেলে এই চেতনার সঙ্গে পরিচিত। দুঃখের বিষয় রাত জেগে পালা গান, বাউল গানের আসরে গূঢ় ঈশ্বর চিন্তার যে দর্শন চলতো গ্রাম বাংলায় তার বিপরীতে বাংলার মধ্যবিত্তকে ড্রয়িংরুমে পিচ টিভিতে এক ভালগার ঈশ্বরের সঙ্গে পরিচিত হতে হয় জাকির নায়েকের ভাষ্যে। ইন্টারনেট সেই মধ্যবিত্তকেই পাল্টে দিতে পারে তার আস্তিকতা ধরনকে। এ এক রূপান্তর। খুবই ধীর কিন্তু চলমান এক ধারা।



আমি তাই বলি, ভাই, ধর্মীয় বই পড়–ন। বেশি বেশি করে ধর্মীয় বই পড়–ন। শুধুমাত্র ধর্মীয় বই পড়ে যত মানুষ নাস্তিক হয়েছে তত মানুষ বিজ্ঞানের বই পড়ে হয়নি, ডারউইনের বিবর্তনবাদ পড়ে হয়নি, কোন নাস্তিকের লেখা বই পড়ে হয়নি। অনেক মাদ্রাসার ছাত্র ঘোর নাস্তিক হয়ে গেছে। মানুষের মধ্যে যারা ঘৃণা, বিদ্বেষ, সংক্রিনতা, সাম্প্রদায়িকতার বিষ লালন করে চলে তারা ধর্মীয় বইয়ের ভেতরের এই নির্যাসগুলো গ্রহণ করবে এ জন্য যে তারা আসলে মনের ভেতর এসবই লালন করে। কিন্তু দুনিয়ার বেশির ভাগ মানুষ এরকম না। তারা আসলে অসাম্প্রদায়িক কিন্তু তাদের সাম্প্রদায়িক বানানো হয়েছে। তারা হতে বাধ্য হয়েছে কারণ তারা ধর্মর কাছে জিম্মি। একজন ক্ষমতাবান ঈশ্বর যিনি তাকে অমান্যর শাস্তি সরূপ আগুনে পোড়ানোর আগাম প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছেন। আমার নিজের বিশ্বাস এটার চাইতেও দুনিয়ার জীবনের অনিশ্চতা ব্যক্তিকে সাহসী হতে বাধা দেয়। সে ভয় পায় ঈশ্বরের বিধানের কোন একটার সঙ্গে দ্বিমত পোষন করলে ঈশ্বর হয়ত তাকে দারিদ্র দিয়ে, অভাব দিয়ে বা আরো বড় কোন সাংসারিক সমস্যা দিয়ে শাস্তি দিতে পারেন। এই ভাবনা তার চিন্তাকে মুক্ত হতে দেয় না। কারণ সে কখনো জানেনি কে এই ঈশ্বর? কারা এই ঈশ্বরের প্রতিনিধি? ঈশ্বরের প্রতিনিধিদের জীবন ও কর্ম, ঈশ্বরের বাণীর সবিরোধীতা, ঈশ্বরের উদ্দশ্য এসব তার অজানা। এই অজানাই জানছে গত পাঁচ-ছয় বছর। আপনার পাশেই আছেন একজন নাস্তিক, যিনি প্রকাশ করেন না নিজেকে, হয়ত পরিপাশ্বিক চাপে আপনার সঙ্গে নামাজও পড়েন! তিনি হয়ত নাস্তিক নন, আস্তিকই, এক সময় আপনার মত প্রচলিত ধর্মর উপর আস্থা ছিল, আজ নেই। কিন্তু তিনি আস্তিক, রূপান্তিত আস্তিক। বাংলার গগন হরকার বাংলা মাঠে ঘাটে খুঁজে বেড়াতেন সেই ঈশ্বরকে “আমি কোথায় পাবো তারে...”। যে মাটিতে এমন সাধক মানুষ জন্মে সেখানে সময়িক পিচ টিভির প্রসার হতে পারে। জাকির নায়েক যত লেকচারই ঝাড়–ন তাদের মন কিছুতেই পাবেন না। আর মধ্যবিত্ত তো সবেমাত্র ইন্টারনেটে খুঁজতে শিখেছে। আর বিশটা বছর যেতে দেন...। আমি ভাই সত্যি আশাবাদী।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

কাফের বলেছেন: আপনার কথা বাস্তব
ব্লগেই তার প্রমাণ আছে এখানে অনেকেই আল্লাহকে সুপার ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনার বা একটা শক্তি বলে বিশ্বাস করে যার সাথে কোরআন নাজিল করা আল্লাহর কোনো মিল নাই!
তবে তারা কিন্তু খাটি মুসলিম ;)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫

সুষুপ্ত পাঠক বলেছেন: @কাফের, আমি ঠিক এই মুসলিমদের কথা আমার লেখায় বলিনি।
ভাল কথা, দেখলাম তিন বছর ধরে ব্লগে আছেন, একটাও পোস্ট লিখেননি। কেন ভাই? ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে ফেললাম, সম্ভব হলে উত্তর দিয়েন।

২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

পথিক০২১ বলেছেন: You are absolutely right about one thing, "There will be many like you in near future ". However, you are indeed wrong about one thing and that is this Ishwar or God that you speak of in such demeaning manner is also more kind then what you depict him as, in your word,"A God who has promised eternal punishment if you disobey him ". Brother there is a phrase in English, "Do not underestimate the power of forgiveness". Sadly, you ill mouth Peace TV but I failed to see you have never ever spoken one word about GOD TV, let alone any of those TV evangelist who appear on regular basis through Satellite TVs here in Bangladesh. It seems you are an Atheist but an Atheist who only has problem with Islamic God, Allah. All the other Gods, Jesus, Brahma seems to be just fine in your book. Isn't that so brother?

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২২

সুষুপ্ত পাঠক বলেছেন: @পথিক, পিচ টিভিতে যা দেখানো হয় তা কি আপনি দেখেন? যদি কোন ইসলামী টিভিতে রাত-দিন নামাজ কিভাবে পড়তে হয়, রোজা, যাকাত, হ্বজ ইত্যাদি বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকতো তাহলে আমার কোন মাথা ব্যথা হতো না। পিচ টিভিতে এ্সবের আড়ালে জেহাদী, ইসলামী রাষ্ট্র, খেলাফত, মৌলবাদ ছড়ানো হয়। আপনি যে গড টিভির কথা বললেন সেটা কি বাংলাদেশের কোথাও দেখানো হয়। এদেশের কোন ডিশ অপারেটর কি খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারের টিভি সম্প্রচার করবে? তারচেয়েও বড় কথা, গড টিভি কি খ্রিস্টান জিহাদের ডাক দেয়? বলে একমাত্র খ্রিস্টান রাষ্ট্রই সকল সমাধান? স্রেফ ধর্ম বিষয়ক কোন টিভি চ্যানেল নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই। পিচ টিভি সেই ক্যাটাগরিতে পারে না।

৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

কাফের বলেছেন: আমার একজন পরিচিত আছে যে ধর্মে বিশ্বাস করে না কিন্তু ইশ্বর জাতীয় কিছু একটা আছে বলে মনে করে আপনি বোধহয় এদের কথাই বলছেন?

উপরে যাদের কথা বলেছি এদের ইশ্বরও কিন্তু প্রচলিত ধর্মীয় ইশ্বর থেকে আলাদা কিন্তু এরা নিজেস্ব ইশ্বরকে ধর্মীয় ইশ্বর বলেই মনে করছে।

ভাই নিজের ভাবনা গুলো গুছিয়ে লিখতে পারি না, তার উপর গোলামী করি কাজের মাঝের ফাকা টুকু পড়তে পড়তেই চলে যায়।

ভালো থাকবেন।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

সুষুপ্ত পাঠক বলেছেন: @কাফের, আমার একজন পরিচিত আছে যে ধর্মে বিশ্বাস করে না কিন্তু ইশ্বর জাতীয় কিছু একটা আছে বলে মনে করে আপনি বোধহয় এদের কথাই বলছেন?

হ্যাঁ ঠিক এদের কথাই বলেছি।

এই যে ব্যস্ততার মাঝে আমাদের সঙ্গে আছেন তার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। সময় পেলে কিছু লিখবেন আশা রাখি। ধন্যবাদ ভাই।

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: এটাই বাস্তবতা ।

৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৪

বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: একটা কথা মনে রাখেন ভাইজান। নাস্তিক বাড়তেছে তার সাথে কিন্তু প‌্যাকটিসিং মুসলিমের সংখ্যাও বাড়তেছে কিন্তু। আর সত্য কথা বলতে আসলে নাস্তিক না ধর্মবিদ্বেষীদের সংখ্যা বাড়তেছে এইটা নিয়া আলাপের হেতু আছে। এই যে কাফের নামে একটা ব্লগার উপরে লিখছে, ও কি আসলে নাস্তিক না ধর্মবিদ্বেষী? ও যদি সত্যিই নাস্তিক হইত তাইলে এই কাফের নামটা নেয়ার দরকার ছিলো। তিন বছর ধরে ব্লগে আছে অথচ নিজের কোন লেখা নাই কেন ওর? আসলে এরা হইল স্ট্যাটাস দেখাইতে আগ্রহী। সাফ কথায় ধর্মবিদ্বেষী। আরে ভাই তুমি নাস্তিক এইটা তোমার বিষয়, তুমি তোমার মত চল আর এ্ক জনেরে গুতানোর কি দরকার? আর একজন কি কর্ম করল কি কর্ম করল তাতে তোমার কি? আসলে এখনকার সমাজে নাস্তিক নাম নেয়া বা নিজেকে নাস্তিক বলা বা প্রচার করা একটা ফ্যাসন। আসলে এই লোকগুলা অন্যদের সহমর্মিতা বা নজর আকৃষ্ট করতে চায় আর তার ধর্মরে গালি দেয়। এদের এই পথ ধরে যারা চলে বা চলছে তারা কি আসলে সমাজে কোন পরিবর্তন আনতে পারসে? তসলিমা নাসরিন কি আজ পর্যন্ত বাংলার নারীদের জন্য কিছু করতে পারসে নাকি বেগম রোকেয়া করসে? কথায় আছে সব শালাই বুর্জোয়া মুখে যত কইক আমি সমাজতন্ত্রী বা গণতন্ত্রী।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

সুষুপ্ত পাঠক বলেছেন: ধর্মবিদ্বেষী আসলে কারা? মুসলমানরা মূর্তি পূজার নিন্দা করে না? বলে না এটা শিরক? এই কথা শুনে কেউ যদি দুঃখ পায় সেটা কি ধর্মবিদ্বেষী হবে না। ধরেন, খ্রিস্টান যীশুকে ঈশ্বর পূত্র বলে, মুসলমানরা এটাকে শিরক বলবে, এটা ধর্মবিদ্বেষী না? কাবার ভেতর ঢুকে মুহাম্মদ যখন আরব প‌্যাগনদের তাদের ধর্মকে বাতিল বলেছি সেটা ধর্মবিদ্বেষী ছিল না? তাহলে একজন নাস্তিক যে আপনার ধর্মকে বিশ্বাস করে না সে যদি আপনার ধর্মকে সমালোচনা করে তাহলে সেটাকে কেন ধর্মবিদ্বেষ বলা হবে? আর ধর্মবিদ্বেষ নাস্তিকদের চাইতে আস্তিকদের মধ্যে সবচাইতেস বেশি। আর আস্তিকদের মধ্যে মুসলমানদের মধ্যে বেশি।

৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: মাইন্ড ইট। আমি ধর্মবিশ্বাসীদের কথা এখানে বলতেছি না। ধরেন আপনি নাস্তিক মানে কি? আপনি কোন সৃষ্টিকর্তায় যারাবিশ্বাস করেন না. ঠিকতো? আর যারা ধর্মে বিশ্বাস করে তার মানে সে অন্য ধর্মগুলাতে অবিশ্বাস করে বা তার নিজের ধর্মরে শ্রেয় মনে করে, তা না? তাইলে ধার্মিক ব্যক্তি মাত্রই কম বেশী ধর্মবিদ্বেষী তাই কিনা? যদি তাই হয় তাইলে এই ফাও যুক্তি যে দিলেন নামুতার মানে কি? আর আপনে যে বলতেছেন বিশ্বাসীদের মধ্যে মুসলমানের সংখ্যা বেশী আপনাকে কে কইল? নাকি বাংলাদেশের কথা কইতেছেন? দুনিয়া যদি হয় তাইলে আপনেকে কমু একটু গুগল কইরা দেখতে। ভন্ডামি ছাড়েন। প্রকৃত নাস্তিক হন আত্মপ্রতারণা বাদ দেন।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৬

সুষুপ্ত পাঠক বলেছেন: শুক্রবার মসজিদে যান? জুম্মায় কিরকম বিধর্মীদের সমালোচনা করা হয়? তারপরও মুসলিমরা বেশি ধর্মবিদ্বেষী না? ইসলামের ধর্মগ্রন্থ কোরআনে যেভাবে বিধর্মীদের অভিশাপ দেয়া হয়েছে তার তুলনা নাই। আমি বলছি না এটা অন্য ধর্মগ্রন্থে একেবারে নাই। কিন্তু মুসলিমদের ধর্মাচারনে এটা বেশি। ইহুদী খ্রিস্টানরা তাদের ধর্ম বিকৃত করে ফেলেছে-এই যে এটা বারবার বলেন, এটা অন্যর ধর্ম নিয়া বিদ্বেষ না? অথচ এটার উপর মুসলমানের ঈমান আনতে হবে! কাজেই নাস্তিক ভাল, ধর্ম বিদ্বেষী ভাল না এইসব বলে লাভ নাই। আপনরা যেমন অন্যর ধর্মর বিদ্বেষী, নাস্তিকরা সমস্ত ধর্মের বিদ্বেষী, ব্যস।

৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৯

বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: আপনি কতটুকু পড়ছেন জানি না? আর যদি ভুল না করি মুসলমান পিতার সন্তান । যদি তা না হয় আসে পাশে অনেকের সাথে মেশেন বা বন্ধু বান্ধবদের আর বেশীর ভাগ মুসলিম আর তাদের কাছ থেকে এইগুলা জানছেন, ছিক কিনা? যদি মুসলিম ফ্যামিলির থেকে না হন তাহলে বলব শুধু নিজের ধর্ম যা ইসলাম না সেইটা সম্পর্কে আর শুধু ইসলাম সম্পর্কে আপনার জানা সীমাবদ্ধ। কিন্তু যেভাবে আপনি বলতেসেন তাতে তো মনে হয় দুএকবার হইলেও মসজিদে গেসেন। যাহোক গিয়ে, অন্য ধর্মতেও কোন ছাড় দিয়া কথা নাই।খোজ করেন গিয়া যান। ইসলাম ফোকাসে আসে কারণ এই ধর্মের লোকসংখ্যা বাড়তেছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের জন্য এবং এই ধর্মের লোকজন বেশী পশ্চিমা বিশ্বে যাইতেছে। ভারতে যদি আপনি থাকতেন তাইলে দেখতেন ভারতে হিন্দুরা শুধু শান্তি শান্তি করে না তাইলে ভারতে ৯২তে বাবরী মন্দির ভাঙা হইতো না । আপনের পাশের দেশে বার্মা [মায়ানমারে] খোজ নিয়া দেখেন গিয়া ওইখানে মুসলিমদের দূর করার জন্য বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নেতৃত্বে আন্দোলন হইতেছে। যদি বুদ্ধ আজকে বাইচা থাকতো কনফার্ম কচু গাছে ঝুইলা আত্মহত্যা করত। আর চীনেতো মহা আনন্দে মাঝে মধ্যেই মুসলমানদের শায়েস্তা করা হয়।এইগুলা সবগুলা তো ধর্মে নাই আবার আছে। সব কিছু ফালায়া থুই এই যে কিছুদিন আগে দেশে স্থানে স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ হইলো এই কি কোনো বিচার হইছে? আদৌ কি প্রমাণ হইছে কে এই লোকগুলারে মারছে কারা লুটপাট করছে? দেশে তো ধর্ম নিরপেক্ষ সরকারতো ক্ষমতায়। পুলিশ, গোয়েন্দা আর প্রশাসরন তো সবই এদের নিজেদেন দখলে। কোর বালদা ছিড়ছে এরা? আর আপনের মতো আবাল নাস্তিকেরা কি করসেন? খালি ব্লগে আইসা মুসলিমগোরে গালিগেলাজ দিয়া বিকৃত আনন্দ পাইছেন। আরে বাল পারলে এই লোকগুলারে যারা অসহায়ের মত লুটপাটের স্বীকার হইছে তাদের পক্ষে ব্লগে আন্দোলন করেন। রাজাকার কুত্তার বাচ্চাগুলাকে ফাসি দিতে পারছেন আর সরকাররে আর একটা শাহবাগ কইরা সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের বিচারে বাধ্য করতে পারছেন? মিয়া কুত্তার মত মুসলমানদের হোগায় কামড় না দিয়া কিছু কইরা দেখান যে আমি আসল নাস্তিক আমি ইশ্বরের বালেরও নিকুচি করি না। আমি মানুষের জন্য করতে পারি ইশ্বরের হাতের সাহাস্য আমার আমাদের দরকার নাই। পারবেন? যদি পারেন তখন নাস্তিক হিসেবে নিজেরে দাবী কইরেন। আবালচোদা হইয়া মুসলিমদের গাইল পাইরা ফ্যাসনের নাস্তিক হইয়েন না। আপনের কল্যান কামনা করি সবসময়। :)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

সুষুপ্ত পাঠক বলেছেন: সামুতে যে সব সময় আমার কল্যাণ কমনা করার কেউ আছে এইটা জেনে অবাক হইলাম। যা হউক, যা লিখছেন এর বেশি কিছু যে বলতে পারবেন না জানতাম। নতুন কিছুও বলেন নাই। সব ইসলামিস্ট এইরকম আবলতাবল বকে যখন উচিত কথা বলি। ব্লগ জগতে তো আর নতুন না। কোন ধর্ম কতটুকু দোষ করছে ভাল করেই জানি। আর এইটাও জানি ইসলামই একমাত্র ধর্ম যে রাজনীতি করে। আমাদের দেশে একমাত্র ইসলামই বিপদের কথা। জঙ্গিবাদ, শরীয়া আইন, ইসলামী রাষ্ট্রের ভয় এখানে আছে সো ইসলামকেই সমালোচনা করবো বেশি। অন্য ধর্মগুলো তো বাংলাদেশে রাজনীতি করতে আসছে না। বার্মায় আর ভারতে মুসলমানের পুটু মারার জন্য যত পারেন কান্দেন সমস্যা কি? দরকার পরলে মুজাহিদ হইয়া পাকি ভাইয়া লগে ফের মুম্বাই হামলা চালান। নাফিসের মত আমেরিকা উড়ায় দিতে রওনা দেন। কাঁচি দিয়া নিজের ইয়ে ফাঁড়েন আমাদের কি? কিন্তু এই মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাওয়া, অনেক রক্তের বিনিময়ে পাওয়া দেশে ইসলামী শাসন হওয়ার জন্য স্বাধীন হয় নাই।এই কথাগুলো আপনাকে বললাম কারণ আপনার কথা শুনে আপনাকে বিশেষ গোত্রের লোক বলেই সন্দেহ হচ্ছে। একটা অনুরোধ, আপনার কথা শুনে যা বুঝলাম তাতে প্রোফাইল পিকচারটা আপনার সঙ্গে যায় না। দয়া করে ওটা বদলায় মসজিদ কি খেজুর গাছ দিলে মানানসই হবে। ধন্যবাদ।

৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১

বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: প্রথম কথা আবুল তুমি আমার শত্রু না তোমার খারাপ আমি কেন চাইতে যামু চুদু? ইসলামী একমাত্র ধর্ম যা রাজনীতি করে!!!!!!! এই জাইনা তুমি ব্লগিং করতে আইছো! আহারে বোকাচোদা! মুক্তিযুদ্ধ করছ? হয়তো সেই সময় তোমার জন্মই হয় নাই। তবে একটা জিনিস মনে রাইখো কাগু, ধর্মনিরপেক্ষ বা ধর্মযুক্ত রাষ্ট্র বানামু এই চিন্তা নিয়া যুদ্ধে যায় নাই সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা। তারে মারতেছে তার পরিবাররে মারতেছে এই জিনিসটারে উপলব্ধি কইরা ৭১এ সাধারণ কৃষক জনতা যুদ্ধে গেছিলো। তোমার আমার মত আতেল হইয়া এত চিন্তা করে নাই ডিম আগে না মুরগি আগে? তারা টের পাইছিল যুদ্ধে যাইয়া যদি পাকিস্তানীদের প্রতিরোধ না করে তাইলে তাগো খরব আছে জ্যান্ত থাকর লাগবো না। আজ শোনো বাল আজকে ডিসেম্বরে মেজাজটা খারাপ করায়ো না, মুক্তিযুদ্ধ তোমার বাপের সম্পত্তি না যে এক আইডিয়োলজিতে দেখতে হইবো। তুমি মাদারচোদ কেঠা কে আমারে মুক্তিযুদ্ধের অবতার ব্যবহার করার ক্ষেত্র বাধা দেওয়ার। বাছাধন পারলে যুক্তি নিয়া আসো,জানি তা পারবা না হাজার হোক তুমি তো শখের নাস্তিক, একটা ব্লগ মাইরা গার্ল ফ্রেন্ডরে কও- "ডারলিং দেশটা মৌলবাদীতে ভরে গেলো, কি বলব জানো আমি না আজকে এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে সেই রকম একটা কঠিন ভাবের একটা লেখা লিখছি ব্লগে।" শালা নাস্তিকেও ভেজাল!!!! কই যামু!!!!!!!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.