নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুভ্রতার মাঝেই আমি!!

শুভ্র বিকেল

নিজেকে জানুন ।

শুভ্র বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম ও নাস্তিক বিষয়ক!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

ধর্ম মানুষের জন্য, মানুষের কল্যানের জন্য। যা কিছু কল্যানকর তাই ধর্ম। ধর্ম মানব জীবনে বয়ে আনে অনাবিল সুখ ও শান্তি। অর্থাৎ ধর্মের কাজ হল সুন্দর শান্তিময় মানবজীবন গঠনে সহায়তা করা সুতরাং মানুষের জন্য ধর্ম, ধর্মের জন্য মানুষ নয়। কিন্তু আমরা কখনো কখনো ধর্মের জন্য হয়ে যায়। ধর্মের জন্য জীবন উৎস্বর্গ করতে প্রস্তুত হয়ে যায়! সত্য বলতে কি এটাই জঙ্গিবাদের প্রথম স্টেপ। এটাই জঙ্গিবাদের উৎপত্তির স্থল। ধর্মের উপরে আমার থাকার কথা, তা না হয়ে ধর্ম আমার উপরে উঠে গেছে। কাঁধে চেপে বসেছে। মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত অর্থাৎ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব! আর সেই শ্রেষ্ঠ জীবের পথ প্রদর্শক হল ধর্ম! সেই ধর্ম যখন পথের কাঁটা হয়ে দাড়ায়, জীবনের বুকে ছুরি চালায়, মানুষের মৃত্যুর কারন হয়ে দাড়ায় তখন তা আর ধর্ম থাকে না, অধর্ম হয়ে যায়। আর এই অধর্মকে ধর্ম মনে করেই কতল চলছে, মানুষে মানুষের বুকে ছুরি চালাচ্ছে। খুন হচ্ছে মানুষ। লাল রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে রাজপথ ও মানুষের হৃদয়। ভিন্ন মতাবলম্বীর কারনে বিভিন্ন ধর্মের উদ্ভব হয়েছে। আবার একি ধর্মের শ্রেণীবিভাজনের সৃষ্ট হয়েছে। যেমন খৃষ্টদের মধ্যে আছে পাদ্রী, ক্যাথলিক, মুসলিমদের মাঝে সিয়া,সুন্নী, আহমাদিয়া! এই শ্রেণীবিভাজন উপর আছে উপ শ্রেণীবিভাজন। প্রত্যকে তার নিজের বিশ্বাসকে সঠিক মনে করে। যে, যে ধর্মের মধ্য দিয়ে বড় হবে, যে ধর্মের পুস্তক পড়বে, সে, সে ধর্মকে আকড়ে ধরবে, ভালবাসবে, বিশ্বাস স্থাপন করবে, এটা স্বাভাবিক। এখন নিজের এই বিশ্বাসকে অন্যের উপর চাপানোকে বলে নিয়ন্ত্রণ। এই নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়েই শুরু হয় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, রক্তের খেলা। আমরা নিজের ধর্মকে বিশ্বাস করার সাথে সাথে অন্য ধর্মকে অবিশ্বাস করছি, মিথ্যে বলছি, হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠছি, উপহাস বিদ্রুপ করছি! আবার আমার ধর্মকে নিয়ে যখন অন্যরা একই কাজ করছে, তখন তা ধর্মীয় অনুভূতীতে আঘাত, ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত, এটা কেউ করতে পারে না আর করলে তার উচিত জবাব দেয়া আমার দায়িত্ব। এখন ধর্ম রক্ষার নিমিত্তে অস্ত্র ধর, বুকে ছুরি চালাও। আমি বেমালুম ভুলে গিয়েছি, আমিও একই কাজ করেছি বা সমর্থন করেছি। অন্য ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যখন কেউ একজন ক্রিটিসাইজের সুরে উপস্থাপন করছে তখন আমি হাসিতে আটখান হয়ে যাচ্ছি। যেমন সেদিন ইস্টার সানডের হোলি ডে নিয়ে কথা হচ্ছিল আমার এক কলিগের সাথে, আমি জিজ্ঞাসা করলাম ইস্টার সানডে কি? ওনি বলল, যীশুর মৃত্যুর তিনদিন পর এই দিনে আবার জীবন ফিরে পায়! আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম, এ বিষয়ে তুমি কি মনে কর? সরাসরি উত্তর, "It's a child story". সত্যি বলতে কি আমি নিজেও হেসে আটখানা হয়েছিলাম। যে ছেলে ভুলানো গল্প শুনে আমি হাসিতে আটখানা হলাম তাই অন্যের ধর্মীয় বিশ্বাস, আজীবন লালিত স্বপ্ন, মনের মনিকোঠায় সযত্নে গেঁথে রাখা। তা আমার জন্য যতই তাচ্ছিল্যের হোক না কেন। ধর্ম একটি পরম সহিঞ্চুতার নাম, ধর্যের নাম। আমাদের সকলের এই দুটি শব্দ সর্বদা মাথায় ধারন রাখা অবশ্য কর্তব্য। মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিন বলেছেন, "তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কর না" অথচ অথচ ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির চরম সীমায় পৌছে গেছি। আসলে ধর্ম নিয়ে যারা এত বেশি বাড়াবাড়ি করে তারা অন্ধ, তাদের জানার পরিমান খুবই সীমিত আর জানার মাধ্যম অন্য ব্যক্তি, যে ব্যক্তি নিজের স্বার্থ চরিতার্থে সুবিধাজনক অংশটুকু তুলে ধরে। যেমন নাস্তিক ও ইসলামের ক্রিটিসাইজ বিষয়ে কুর-আনে এসেছে, পবিত্র কোর-আনের সূরা আন-নিসা এর আয়াত ১৪;
"(অপরদিকে) যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালা ও তার রাসুলের নাফরমানী করবে এবং তার নির্ধারিত সীমারেখা লংঘন করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে(জলন্ত) আগুনে প্রবেশ করাবেন, সেখানে সে অনন্তকাল ধরে থাকবে, তার জন্য (রয়েছে) অপমানকর শাস্তি!"
"বিদ্রুপকারীদের জন্য আমিই আপনার পক্ষ থেকে যথেষ্ট" (সুরা আল হিজর:৯৫)
এখানে স্পষ্টত, ইসলামের বিদ্রুপকারীদের বিষয়ে আল্লাহ নিজেই শাস্তির ব্যবস্থা করবেন! এখন কোন কোন অনির্ভরযোগ্য হাদিসে নাকি কতল করার কথা বলা আছে। এ বিষয়ে দুটি কথা না বললেই নয়! হাদিস লিখেছেন সাহবীগন। নবী করিম (স) এর জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পরে সাহবীগন, নবী করিম (স) যা বলেছেন ও করেছেন সেগুলো তুলে ধরেছেন যা হাদিস! এই হাদিস বর্ণনার বেশ কিছু নিয়ম আছে আমি সেদিকে যাব না শুধু একটি কথা বলি, হাদিস এবং কুর-আনের মধ্যে কোন অবস্থায় সাংঘর্ষিক হবে না আর যদি হয় তা হলে কুর-আনকে সঠিক বলে ধরে নিতে হবে। প্রিয় বন্ধুরা, এটাই আমার মেইন পয়েন্ট, হাদিসে যদি থেকেও থাকে কোতল করার কথা, কে কখন কিভাবে করবে তার কোন ব্যাখ্যা নেই। এ দায়িত্ব আমার নাকি সরকারের বা অন্য কোন মোহলের তার কোন স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। আর কুর-আনের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় গ্রহনযোগ্য নয়। এখন কি আমি বলতে পারি, কোন নাস্তিক বা ইসলামের বিদ্রুপকারীদেরকে গায়ে হাত তোলা দূরের কথা একটা ধমকও দেয়া যাবে না। তবে সঠিক না হলে বলা যেতে পারে অথবা তাদের থেকে দূরে থাকা যেতে পারে। কেননা এর ফয়সালা করার দায়িত্ব সরাসরি আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

নতুন কিছু শুনলাম না।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৫:২১

শুভ্র বিকেল বলেছেন: নতুন গ্লাসে পুরনো মদ!

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:২৩

এ আর ১৫ বলেছেন: বিদ্রুপকারীদের জন্য আমিই আপনার পক্ষ থেকে যথেষ্ট" (সুরা আল হিজর:৯৫--- ধন্যবাদ এই আয়াতটা জানানোর জন্য !!!

১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৫:২১

শুভ্র বিকেল বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.