নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুভ্রতার মাঝেই আমি!!

শুভ্র বিকেল

নিজেকে জানুন ।

শুভ্র বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

নেতৃত্ব ও সাহিত্য।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৪

দুই মেরুর দুইটা আজ এক জায়গা করলাম। নেত্রীত্ব ও সাহিত্য সাধারণত: দুটো দু পথে চলে, কাকতালীয়ভাবে এদের মধ্যে দারুন সাদৃশ্য দেখা যাচ্ছে। আসলে আমাদের দেশের নেতা-নেত্রীরা জনগণের চাওয়া-পাওয়ার উপর গুরুত্ব দিয়ে রাজনীতি করেন। অর্থাৎ নেত্রীত্বের ধারক ও বাহক জনগণের চাওয়া-পাওয়া, আশা-আকঙ্ক্ষা। জনগণ যেদিকে যেভাবে ঘুরবে নেতারাও সেদিকে সেভাবে ঘুরবে। আর অধিকাংশ সাহিত্যবিশারদগণ লেখালেখী করেন পাঠকের জন্য। পাঠককে গলধ:করন করানোই তার উদ্দেশ্য। অর্থাৎ কোন বিষয় কিভাবে লিখলে পাঠক খাবে, পাঠককে আকৃষ্ট করা যাবে, পাঠক মনে স্থান করে নেয়া যাবে। এখানে লেখকের মূল উদ্দেশ্য থাকে পাঠকের খুশি করা মনোরঞ্জন করা। পাঠকের মনোরঞ্জন করা কোন সাহিত্য নয়। এটা আমার কথা নয়, বাঙলা সাহিত্যর প্রতিকৃত প্রমথ চৌধুরীর। আর রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ভাষায় জনগণের চাওয়া পাওয়া পুরণ করায় নেত্রীত্ব নয়। কিন্তু উপরের দুটি কাজই আমরা অহরহ করে থাকি।
এখন প্রশ্ন নেত্রীত্ব ও সাহিত্য তাহলে কি?
নেত্রীত্ব হল নিজের চিন্তা চেতনা, দূরদর্শী সিদ্ধান্ত জনগণের মাঝে এমনভাবে প্রথিত করা যাতে করে জনগণ নেতার সিদ্ধান্তে উদ্বুদ্ধ হয়ে নেতাকে সমর্থন জানায়। এখানে জনগণের প্রভাবে নেতা প্রভাবিত নয়, নেতার প্রভাবে জনগণ প্রভাবিত।
এবার আসি সাহিত্যে, সাহিত্যও নেত্রীত্বের মত, নিজের চিন্তা, চেতনা, ভাবনাকে পাঠক হৃদয়ে স্থান করে দেয়া। লেখক তার নিজের মত করে লিখে যাবেন, নিজের চিন্তা চেতনার প্রতিফলন ঘটাবেন।লেখার সময় ঘূণাক্ষরেও পাঠক শব্দটার আসবে না। লেখক তার বক্তব্য নিজের মত করে সাজিয়ে তুলবেন, ফুটিয়ে তুলবেন। নিজের জগতে নিজের মত করে বিচরণ করবেন। কিন্তু লেখক যদি নিজের লেখা না লিখে পাঠককে খুশি করতে বসেন তখন আর তা লেখা থাকে না অলেখা হয়ে যায়। পাঠক মনোরঞ্জন করতে গিয়ে অনেক লেখক অনেক সময় অনর্থক কিছু বিষয় সামনে নিয়ে এসে সাহিত্যের বদলে অসাহিত্য রচনা করে বসেন। এই অসাহিত্যের প্রাদুর্ভাব ও একইভাবে অনেত্রীত্বের প্রাদুর্ভাব আমাদের সমাজে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃতী লাভ করেছে। সমাজের অস্থিমজ্জায় চেপে ধরেছে। অথচ একটি সুষ্ঠু সমাজ ও দেশ গঠনে সব থেকে গুরুত্ব পূর্ণ এই দুটি বিষয়। মেধা শুন্য ও মেধার অপব্যবহার দুটোই অসম্ভব রকমের ক্ষতিকর। আমাদের সমাজে অষ্টপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে মেধার এই অপব্যবহার।

মাধ্যমিকে পড়ার সময় একবার দেখেছিলাম উদাহরণ হবে বাস্তবের সাথে সঙ্গতি ও সামঞ্জস্যপূর্ণ। যেমন মাছ জলে বাস করে এটাকে উদাহরণ দিয়ে গাছে ধরিয়ে দিলে তা আর সাহিত্যের মধ্যে পড়বে না। আবার বোধোগম্যও একটা বিষয়। শব্দ ব্যবহারে সাবলীল হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের অনেক নবীন লেখকগণের উদাহরণ ও শব্দের ব্যবহার অনেকটা আনকমন। কখনো কখনো জলের মাছ গাছে ধরিয়ে দেয়, পাখীরা আকাশে না উড়ে জলে খেলা করে। পড়তেই দাঁত ভেঙ্গে যায়, বুঝে উঠা বহু দূরের কথা। নতুন নতুন শব্দের ব্যবহার, সুন্দর সুন্দর উদাহরণ সাহিত্য সমৃদ্ধিতে অবদান রাখে। কিন্তু দূর্ভেদ্য শব্দ ও উদাহরণ ব্যবহার করে পুরা সাহিত্য কর্ম দূর্ভেদ্য করে তোলে। সাহিত্য কর্মে এই দূর্ভেদ্য ভেদ করে সহজ, স্বাভাবিক ও সাবলীল ভাষায় সাহিত্য রচনা করা অত্যান্ত জরুরী। সাহিত্যের রসে সবায় যাতে তৃষ্ণা মেটাতে পারে, এ গন্ধে সবায় যাতে শুভাসিত হতে পারে, পাঠক হৃদয়ে আলোড়িত করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরী কেননা এখানেই সাহিত্যের পূর্ণতা নিহীত।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৪০

অদৃশ্য প্রতিভা বলেছেন: সত্যিই। তাই!!!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৩৯

শুভ্র বিকেল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রতিভা ভাই তবে প্রতিভা অদৃশ্যে রাখলে হবে না সামনে আনতে হবে। আপনার প্রতিভা মানুষের দোর গোড়ায় পৌছে দিতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.