![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
##দিন দিন আমাদের এই পৃথিবীটা খুব ভয়ংকর হয়ে উঠছে। আমেরিকা বা রাশিয়ার কাছে যে পরিমান পরমানু বোমা আছে তা দিয়ে এই গোটা পৃথিবীকে বহুবার ধংস করা যায়। আর এই দুই পরাশক্তির মধ্যে যখন অস্ত্রের মোহড়া চলে শুধু উদ্বেগ নয় মহা উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাড়ায়। আজ আমরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কতটা নিকটে তা নিয়ে আলোচনা করব। অনেক দিন ব্লগিং করা হয় না হাত-মাথা জড়িয়ে যাচ্ছে। তাই ভাঙ্গা ভাঙ্গা ও ছন্দপতনে লেখা শুরু করলাম, তাছাড়া কোন প্রকার গবেষণা ছাড়া নিজের সাধারণ জ্ঞানে লেখা ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি
## কোথা থেকে শুরু করব বুঝতে পারছি না। বর্তমান বিশ্বে সবচে, আলোচিত বিষয় সিরিয়া হলেও তা একমাত্র কারন নয়। গত কয়েকদিন ধরে সিরিয়ায় রাশিয়ার বিমান হামলা পরিস্থিতি বহুগুনে ঘোলাটে করে দিয়েছে। মোদ্দা কথা এখানে আমেরিকার একছত্র আধিপত্যে আঘাত হেনেছে যা বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম প্রধান কারন হতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যে তেল সম্পদকে সামনে রেখে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার আমেরিকার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ।যুগ যুগ ধরে এই চিন্তা করে এলেও আফগানিস্তানের পর ইরাক হামলার মধ্যদিয়ে সেই সফলতা আসে ঠিকই কিন্তু এই আফগানিস্তান, ইরাক বা লিবিয়া আমেরিকার গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। এই এলাকা এখন জঙ্গী ও সন্ত্রাসের কার খানা। সাবেক সোভিয়েতকে পরাভূত করতে ওসামা বিন লাদেন ও তার জঙ্গী সংগঠন তৈরী করে আমেরিকা। প্রশিক্ষন ও অস্ত্র সব কিছু দেয়। জঙ্গিরা তার প্রতিদান দেয় টুইনটাওয়ারে হামলা করে। এবার অস্ত্র ও প্রশিক্ষন দিয়ে আইএস তৈরী করেছে আসাদ সরকারের পতনের জন্য। আই এস তার প্রতিদান দিতে ভোলে নি।
##একের পর এক যখন গণতন্ত্র রপ্তানির নামে তেল দখলের রাজনীতি করছে তখন সাবেক সুপার পাওয়ার রাশিয়ার পক্ষে আর বসে থাকে সম্ভাব হয়নি। শুধু তাই নয়, এসব দেশগুলো রাশিয়া পন্থি। তাই এদের পতন করা গেলে রাশিয়ার শক্তিও কমবে। অন্যদিক ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে আমেরিকা ও ইউরোপের সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক শীতলতম অবস্থায় পৌছেছে যা ঠান্ডা যুদ্ধ বা কোল্ড ওয়ার পরবর্তী শীতলতম। ন্যটোর বিশাল সামরিক মোহড়া, ন্যটো আক্রান্ত হলে দ্রুত সামরিক সহায়তার জন্য স্পেশাল ফোর্স গঠন, রাশিয়ার আশেপাশে ন্যটো ভুক্ত দেশগুলোতে সৈন্য ও সামরিক ভারি অস্ত্র মোতায়েন আরেকটি বিশ্ব যুদ্ধের ইঙ্গিত বহন করে। অতি সাম্প্রতিক রাশিয়ার সাথে ব্রিটেনের কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা এ আশংক্ষা আরো বাড়িয়ে তুলছে। অন্যদিকে রাশিয়ার ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে অনেকটা বেড়িয়ে এসেছে পুতিন সরকার যা একটি বড় ধরনের যুদ্ধে সাহস জোগাচ্ছে। অতি সহজে ক্রিমিয়া দখল ও ইউক্রেনের অন্যান্য এলাকায় রাশিয়া পন্থী প্রভাবে সরকারের আয়েত্তের বাইরে চলে গেছে। এ অবস্থায় যেমন ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকিত একইভাবে অনেকেই মনে করে রাশিয়া তার সাবেক সোভিয়েতের দিকে ধাবিত হচ্ছে বিশেষ করে পশ্চিমারা মনে করে।
## এদিকে বিভিন্ন ইসুতে চাইনা-আমেরিকা সম্পর্কও বেশ শীতল, তাইওয়ানের স্বাধীনতা প্রশ্নে দীর্ঘ দিন ধরেই শীতল হয়ে আছে। চীন শত শত ভারী অস্ত্র তাইওয়ানের দিকে তাঁক করে রেখেছে। অন্যদিক তাইওয়ান প্রনালীতে (চীন-তাইওয়ান পৃথক করেছে যে প্রণালী) আমেরিকান রণতরী ঘুরাঘুরি করছে তাইওয়ানকে সেভ করার জন্য। এছাড়া বিভিন্ন দ্বীপ নিয়ে জাপান, ভীয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ অন্যান্য দেশের সাথে রয়েছে শীতল সম্পর্ক। জাপান চীন মাঝে মাঝে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলে। আর এসব দেশগুলোকে আমেরিকা সহায়তা দিচ্ছে ফলশ্রুতিতে চীন আমেরিকা যুদ্ধ অবসম্ভাবী হয়ে উঠছে। একই সাথে এবং সময়ের প্রয়োজনে চীন রাশিয়া শীতল সম্পর্ক দিন দিন উষ্ণ হয়ে উঠছে। প্রায় প্রায়ই রাশিয়া বলছে চীন আমাদের সাথে আছে। জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য এদুদেশ ভেটো প্রদানসহ অন্যান্য কাজ একসাথে করতে দেখা যায়। বংলায় একটা প্রবাদ আছে, “শত্রুর শত্রু বন্ধু হয়” তাই চীন রাশিয়া বন্ধু হয়ে উঠছে।
## ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমেরিকা ঘোড়নার হলেও সবাই যে আমেরিকার সাথে থাকবে তা কিন্তু নয়। ইউরোপের সবচে, শক্তিধর রাষ্ট্র জার্মানের সাথে রাশিয়ার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বানিজ্য আছে। জার্মান সিংহ ভাগ গ্যাস আমদানি করে রাশিয়া থেকে, সম্পর্কও বেশ উষ্ণ। তাছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষত এখন যায় নি জার্মানদের মন থেকে। তাই এই রাষ্ট্রটি রাশিয়ার সাথে থাকবে বলে মনে হয়। অন্যদিকে ফ্রান্সর অবস্থা বেশ নড়বড়ে, ইরাক যুদ্ধে বিরোধীতাকারী এদেশের অবস্থান কি হবে বলা মুশকিল। সুতরাং এই এলাকায় রাশিয়ার প্রথম টারগেট থাকবে ব্রিটেন তথা লন্ডন। যেমন ছিল হিটলারের। ওনি তো লন্ডনকে অক্ষশক্তির যুদ্ধের সদরদপ্তর করতে চেয়েছিলেন। আমেরিকার পরীক্ষিত বন্ধু ব্রিটেন। ন্যানসেল ম্যান্ডেলা টনি ব্লেয়ারকে বলেছিলেন, মি ব্লেয়ার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রি নয়, আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রী।
## আর মধ্যপ্রাচ্য? এটা বলার অপেক্ষা রাখে না আমেরিকার একমাত্র পুজি সিয়া-সুন্নির দ্বন্দ্ব। সৌদি আরবের নেত্রীত্বে সুন্নি, আর ইরানে নেত্রীত্বে সিয়া সম্প্রদায় জোট বেঁধেছে। আইএস কে অস্র ও প্রশিক্ষন সৌদি, কাতার, তুরুস্ক দিয়ে আসছে, আমেরিকা তো আছেই বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে সিয়া সম্প্রদয় ও রাশিয়া আসাদের হাত শক্তিশালী করছে। ইরাকও ইরানের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। এই দ্বন্দ্ব এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে, সৌদি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের সাথেও সম্পর্ক করতে পিছপা হচ্ছে না। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, বিশ্বে যত বড় বড় সন্ত্রাসী ও জঙ্গী সংগঠন হয়েছে তা এখান থেকে এবং আমেরিকা ও তার বন্ধু রাষ্ট্রের হাত ধরে। তাই মধ্য প্রাচ্য আজকের এ রক্তের দায় আমেরিকা এড়াতে পারে না।
## পরিশেষে বলা যায় শীতল যুদ্ধো পরবর্তী সবচে খারাপ সময় অতিবাহিত করছে আজকের পৃথিবী। অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত এসব রাষ্ট্রসমুহের মধ্যে যদি একবার যুদ্ধ বেঁধে যায়, বিশ্বের যে কোন সম্প্রদায় বা রাষ্ট্র নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। নিশ্চিহ্ন হতে পারে গোটা পৃথিবী বা মানব সম্প্রদায়। এই যুদ্ধের ভয়াবহতা বুঝতে হবে বিশ্ব নেতাদের। একগুয়েমিতা সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে। তাই একগুয়েমি নয় সহনশীলতার মাধ্যমে বাস্তবতা বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কোন রাষ্ট্র প্রধানকে জোর করে ক্ষমতা চ্যুত করে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় ইরাক লিবিয়া তার জলন্ত প্রমান। সুতরাং বোধোদয় হোক বিশ্ব নেতাদের, শান্তি ফিরে আসুক এ বিশ্বে, সুখে থাক মানব সম্প্রদায়।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:৪৮
শুভ্র বিকেল বলেছেন: পুতিন মারা গেলে আরেক পুতিনের জন্ম হবে।
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০১
বিপরীত বাক বলেছেন: নাহ।। সম্ভব না। পুতিন ছিল কেজিবি হেড।। আর সে পার করে এসেছে বিশেষ এক সময়ের পরিবেশ। ওই পরিবেশই তাকে ভালো হোক মন্দ হোক নিজের আদর্শের উপরে দাড়িয়ে থাকতে শিখিয়েছে।।
ওরকম পরিবেশ আর নেই কেজিবিও আর নেই।।
আমেরিকা বিরোধী সব নেতার ই কোন উত্তরসুরী ছিল না। যার জন্যে কেউ আর পরে।দাড়াতেপারেনি।।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:০৯
শুভ্র বিকেল বলেছেন: হ্যা পুতিন গোয়েন্দা বিভাগে জব করার সময় বিভিন্ন দেশ ঘুরে বাস্তব জ্ঞান অর্জন করেছেন যা শক্তিশালী পররাষ্ট্র নীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গেছে শুধু অর্থনৈতিক মন্দার কারনে। আর একারনেই আমেরিকার সাথে টক্কর দিতে পারে নি। এখন অর্থনীতির সাথে সামরিক দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
নেতা যেই আসুক আমেরিকা যে তাদের জাত শত্রু তা তারা জানে।
৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৬
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: কোন রাষ্ট্র প্রধানকে জোর করে ক্ষমতা চ্যুত করে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় ইরাক লিবিয়া তার জলন্ত প্রমান। সুতরাং বোধোদয় হোক বিশ্ব নেতাদের, শান্তি ফিরে আসুক এ বিশ্বে, সুখে থাক মানব সম্প্রদায়।
তাদের বোধোদয়ের উপরই কি আমাদের শান্তি ?
কিছুই কি করণীয় নেই?
তবে এই জীবনের আর কি বা মূল্য?
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:১৩
শুভ্র বিকেল বলেছেন: বিশ্ব নেতারা যেহেতু বিশ্ব নেতৃত্ব দিচ্ছে তাই বিশ্ব শান্তি তাদের হাতেই। এখানে আমাদের খুব বেশি কিছু করার আছে বলে মনে হয় না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৯
বিপরীত বাক বলেছেন: পুতিন মারা গেলেই রাশিয়ার লাফালাফি বন্ধ হয়ে যাবে।।।