![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কয়েক পর্বে জামাতের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। জামাতের উৎপত্তি, কারন ও কার্যক্রম থাকবে এই সব পর্বগুলোতে। ইতিহাসে একটি পুরনো দল জামাত সবসময় ঝন্ঝাটের মধ্য দিয়ে গেছে। সাম্প্রদায়িক সংঘাতে পাটোয়াসী এই দলটি বার বার নিষিদ্ধ হয়েছে এমনকি তাদের গুরু আবুল আলা মওদুদীর ফাঁসির রায় হয়েছিল সাম্প্রদায়িক সংঘাতে অসংখ্য মানুষ হত্যার দায়ে। যা হোক প্রথম পর্বে থাকছে জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদীকে নিয়ে।
আবুল আলা মওদুদী ১৯০৩ সালে ভারতের হায়দ্রাবাদের আরঙ্গবাদ নামক স্থানে জন্মগ্রহন করেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট ছিলেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তেমন ছিল না। বাসায় ইসলামী শিক্ষা গ্রহন করে সরাসরি অস্টম শ্রেণীতে ভর্তি হন। মাদ্রাসা ফারকুনিয়া থেকে তিনি সেকেন্ডারি কম্প্লিট করেন। তারপর বাবা মওলানা আহমেদ হাসানের মৃত্যুতে অর্থ সংকটে লেখাপড়ায় ইতি টেনে সাংবাদিকতা পেশায় চাকরি নেন।
জমিয়ত-ই-ওলামা হিন্দ এর আল জমিয়াতে অনেক বছর কাজ করার পর ১৯৩৭ সালে মওদুদী জমিয়ত-ই-ওলামা হিন্দের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পরেন। এই বছরেই তিনি মুসলিম সম্ভ্রান্ত ও বিত্তশালী পরিবারের মেয়ে মাহমুদা বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি শশুরালয় থেকে প্রচুর অর্থনৈতিক সাহায্য পান মূলত এই টাকা দিয়ে গবেষণা ও রাজনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে যান কিন্তু স্ত্রী মাহমুদা বেগম ছিলেন অত্যান্ত মডার্ন, স্বাধীন চেতা, তখনকার যুগে বাইসাইকেল চালিয়ে বেড়াত, পর্দা ডিজার্ভ করত না, একইভাবে মওদুদী সাহেবও শরীয়া ডিজার্ভ করতেন না, তিনি ডিজার্ভ করতেন স্ত্রীর টাকা দিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধার।
উইকিপিডিয়া থেকে একটি কটেশন, In that year he also married Mahmudah Begum, a woman from an old Muslim family with "considerable financial resources". The family provide financial help and allowed him to devote himself to research and political action, but his wife had "liberated", modern ways, and at first rode a bicycle and did not observe Purdah.
ইসলামে নারীকে কঠোরভাবে পর্দা করতে বলা হয়েছে, পর্দা করা ফরজ, এ বিষয়ে কুর-আন ও হাদিসে অনেক জায়গায় আলোচনায় এসেছে তার দু একটি তুলে ধরা হল- আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন : “(হে নারীগণ!) তোমরা তোমাদের ঘরের (বাড়ীর চতুর্সীমানার) ভিতর অবস্থান কর এবং বাইরে বের হয়োনা – যেমন ইসলামপূর্ব জাহিলী যুগের মেয়েরা বের হত।” (সূরাহ আহযাব, আয়াত :৩৩)আল্লাহ তা‘আলা আরো ইরশাদ করেন : “(হে নবী!) আপনি আপনার পত্মীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, যখন কোন প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হয়, তখন তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দাংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। (যেন পর্দার ফরজ লংঘন না করে। এমনকি চেহারাও যেন খোলা না রাখে। তারা যেন বড় চাদরের ঘোমটা দ্বারা নিজেদের চেহারাকে আবৃত করে রাখে।) ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (সূরাহ আহযাব, আয়াত : ৫৯)
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন – “যে সতর দেখবে এবং যে দেখাবে, তাদের উপর আল্লাহ লা‘নত করেন।” (বাইহাকী)রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো ইরশাদ করেন – “স্ত্রীজাতির পর্দায় গুপ্ত থাকার সত্তা। কিন্তু যখনই তারা পর্দার বাহিরে আসে, তখন শয়তান তাদের দিকে ঝুঁকে।” (তিরমিযী)
পর্দার কঠোরতা সম্পর্কে খুব বেশি আলোচনার প্রয়োজন নেই কেননা আমরা সবাই কমবেশী জানি। এখানে স্পষ্ট দেখা যায় তিনি ইসলামকে গুরুত্ব দেন নি, গুরুত্ব দিয়েছেন নিজের স্বার্থকে, শশুরালয় ইউজ করেছেন বড় হওয়ার সিড়ি হিসেবে। শশুরের টাকা দিয়ে গবেষণা করেছেন, রাজনীতি করেছেন, রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন। শশুরালয় থেকে এতো সুযোগ-সুবিধা পাওয়া সম্ভবত তিনি স্ত্রীকে ইসলামের পথে আনার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে ভাবেন নি বা ভাবলেও কঠোর হতে পারেন নি। নিজের স্ত্রী বেপর্দানশীল হয়ে সাইকেল নিয়ে রাস্তায় ঘুড়ল, আমি কুর-আন হাদিস নিয়ে গবেষণা করলাম, এই গবেষণা কিয়ামতের দিন কতটুকু কাজে আসবে আমার জানা নেই। ইসলাম কোন অবস্থায়, কখনো এটা গ্রহণ করে না। নিজের স্ত্রীকে ইসলামী ছায়াতলে নিয়ে আসা ওয়াজিব। কেন তিনি আনতে পারলে না?
তার কোন ছেলে মেয়েকেই দেশে রেখে স্টাডি করান নি, তার প্রতিষ্ঠিত জামাতে ইসলামের ধারের কাছেও ঘেষতে দেন নি, বিষয় পরে আলোচনা করব।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৭
কারাবন্দি বলেছেন: একজন ব্যক্তি তার চিন্তাধারা থেকে কিছু মতামত দিতেই পারে। কিন্তু সেটি মানেই তো একটা দল নয় । তাহলে আপনার এটিও বলে দেয়া উচিত যে , মওদূদী সাহেব নিজেই বলে গেছেন যে এটি তার ব্যক্তিগত মতামত মাত্র। যে কোন সময়ে কুরআন - হাদীস বিরোধী হলে তা প্রত্যাখ্যান করতে হবে !!
শেখ মুজিব আওয়ামীলিগের গুরু। তিনি হুকা, গাজা খেতেন । তিনি বাল্যবিবাহ করেছেন । তিনি বাকশাল কায়েম করেছেন । তাই বলে কি আওয়ামীলিগের সবাইকে হুকা-গাজা খাওয়া, বাল্যবিবাহ , বাকশালে অভিযুক্ত করতে হবে ?