![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের পররাষ্ট্র নীতি- "সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়"। অর্থাৎ পৃথিবীর সমস্ত দেশের সাথে বন্ধুত্ব রাখার চেষ্টা করবে, কখনো কারো সাথে শত্রুতা তৈরী করবে না। যখন একটি সামরিক জোট গঠন করা হয় তার বেশ কিছু উদ্দেশ্য থাকে, আর মূল উদ্দেশ্য প্রথম প্রেসার ক্রিয়েট করা, কাজ না হলে সামরিক শক্তি প্রয়োগ। এখন সৌদি-তুরস্কের সামরিক জোট গঠন করার প্রয়োজন পরল কেন? মধ্য প্রাচ্যের দিকে তাকালে খুব সহজেই এর উত্তর পাওয়া যায়। রাশিয়া ব্যাক ইরান-সিরিয়া ইরাকও বলা যায় অন্যদিকে আমেরিকা ব্যাক সৌদি-তুরস্ক মেইনলি সুন্নি প্রধান দেশগুলি। সৌদি সুন্নি প্রধান দেশগুলি নিয়ে একটি বলয় তৈরি করেছে, এই দেশগুলি কোন রকম ন্যয় নীতির তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন বিদ্রোহী ও জঙ্গী সংগঠন তৈরি করে মধ্য প্রাচ্যে অশান্তি তৈরির মূল ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে। আইএস সহ অন্যান্য সংগঠন এদের হাতেই তৈরি। সিরিয়ার সব বিদ্রোহী গ্রুপ তৈরি, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেয়া, আবার উক্ত গ্রুপগুলোর উপর বোমা ফেলার কাজ এরায় করে যদি কথা না শোনে যেমন আইএস। আজকের সিরিয়া হয়েছে সকল দেশের অস্ত্র পরিক্ষাগার। যার যখন ইচ্ছা এখানে এসে অস্ত্র পরিক্ষা করছে, যখন যার উপর খুশি বোমা ফেলছে। এককথায় অস্ত্রগুলো শান দিয়ে নিচ্ছে বর্তমানের এই টালমাটাল অবস্থায়, কখন কি হয় বলা তো যায় না। ইরাক চায় তার দেশ থেকে তুর্কি সেনা প্রত্যাহার করুক কিন্তু তুর্কি করবে না। ইরাক জাতিসংঘ পর্যন্ত গেছে এই বিষয় নিয়ে। কোন প্রকার আন্তর্জাতিক আইনকানুনের কোন বালায় নেই। এরই মধ্যে বাসার সরকারের আমন্ত্রণে রাশিয়া সিরিয়ায় ইনভল্ভড। বিশ্ব পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত ঠিক তখন আমেরিকা ন্যাটোর মদদে সিরিয়ায় রাশিয়ার জঙ্গীবিমান ভূপাতিত করল তুরস্ক। তুরস্ক বলছে, ১৭ সেকেন্ড তার আকাশসিমায় ছিল এর মধ্যে দশবার সতর্ক করা হয়েছে, খুব সম্ভবত হলান্ডের এক গবেষক গবেষণা করে বলেছে, ছয় সেকেন্ডের জন্যে ঢুকেছিল আর রাশিয়া বলছে, তুর্কি আকাশসিমায় যায়ই নি। বিমানটি দুই থেকে আড়াই কিমি উপরে উড়ছিল, তাহলে তুর্কি সিমান্ত থেকে তিন থেকে চার কিমি দূরে কেন ভূপাতিত হল? তুর্কি উপকূলে তুর্কি ফিসিং নৌকা ও অসামরিক জাহাজ গুলি করে সরিয়ে দিয়ে রাশিয়া বুঝিয়ে দিল বেশি লাফালাফি কর না এতে পরিনাম খারাপ আছে। এই ঘটনার পর পাল্টা গুলি তো দূরের কথা নিজ সিমায় টহল দিতেও যায় নি তুর্কি নৌবাহিনী।
আমেরিকা কখনোই রাশিয়ার সাথে জড়াবে না। তারা চায় ন্যাটো ও সুন্নি মুসলিম তথা সৌদি নেতৃত্বে রাশিয়াকে প্রতিরোধ করুক। এতে এক সাথে অনেকগুলি ফায়দা আছে, যেমন- সিয়া, সুন্নি, কুর্দি তথা মুসলিম বিশ্ব বিভক্ত করা, টালমাটাল অবস্থায় তেল সম্পদ কড়ায়ত্ব করা, ইসরাইলের সাম্রাজ্যবাদ নীতির প্রসার করা, বিশ্বকে কুক্ষিগত করার পদ্ধতি সহজ করাসহ শত শত ফায়দা আছে। ঠিক সমীকরনে বাংলাদেশ কি করে সৌদির নেতৃত্বে সামরিক জোটে যোগ দেয়। যে সৌদি দীর্ঘ ছ'মাস ধরে ইয়েমেনে নির্বিচারে বোমা ফেলছে হুতি বিদ্রোহ দমনের নামে, ১৭ বছরের কিশোরসহ অনেক সিয়াকে মৃত্যু দন্ড দিয়েছে, শুধু এই বছরেই ১৫০ এর উপরে মৃত্যু দন্ড কার্যকরেছে যা চীন, ইরানের পর তৃতীয়। পশ্চিমা বিশ্বে ভাইরাল, আইএস সৌদি একই শুধু এইটুকু পার্থক্য, সৌদি পশ্চিমাদের বন্ধু আর আইএস শত্রু।
সুতরাং আমাদের কষ্টের টাকায় বোমা কিনে নারী ও শিশুদের হত্যা করি, সিয়া সুন্নি পার্থক্য করে মানুষ হত্যা করি, ইসরাইল, আমেরিকার স্বার্থ উদ্ধারে এগিয়ে যাই, বসতবাড়ি ভেঁঙ্গে চুড়মাড় করে দেই। মানুষ উদ্বাস্ত হয়ে রাস্তায় ঘুমাক তা কি করে চাই? পাকিস্থান আমাদের উপর যা করেছিল সেই কাজগুলি করতে আমরা কি করে সহযোগী হই? বিবেক বঞ্চিত মানুষের স্বার্থ উদ্ধারে ন্যয় নীতি বিরোধী কোন কাজে আমার দেশ সাহায্য সহযোগীতায় হাত বাড়াবে না এই কামনায় শেষ করছি।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:০৬
শুভ্র বিকেল বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। আমাদের সবার কথা বলা উচিত, ঝুঁকিও বাড়ছে।সিয়া বা মন্দিরে যে হামলা হচ্ছে তার বীজ এখান থেকেই আমদানি। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পাঠা সউদ গং আম্রিকার ইশারায় এই জোট করেছে। যাতে মুসলিম দিয়ে মুসলিম দমন করা যায়!
এমনিতেই আমেরিকার গায়ে রক্তের হোলি!
মুসলিম ইস্যুতে তপ্ত রাজনীতি!
এইবার নতুন চাল মুসলিম জোট ভার্সসে মুসলিম জোটের বাইরে যারা
ইহুদী এজেন্ট, জানোয়ার সউদ গংয়ের ধ্বংস ছাড়া ইসলামের মুক্তি নেই।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:০৮
শুভ্র বিকেল বলেছেন: হুম ঠিক বলেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২
মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: ভালো বলেছেন। এর বিরুদ্ধে সকলের কথা বলা দরকার। জোটে জড়িয়ে বাংলাদেশ নিজের জন্য বাড়তি ঝুকি তৈরি করছে, সেটাও বিবেচনার বিষয়।