নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুভ্রতার মাঝেই আমি!!

শুভ্র বিকেল

নিজেকে জানুন ।

শুভ্র বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম ও মানবতা।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৫:০৮

ধর্ম তাহাই যাহা মানুষের কথা বলে, মনুষত্বের কথা বলে, মানবতার কথা বলে, মহানুভবের কথা বলে, সহিষ্ণুতার কথা বলে। ধর্ম কখনই হিংসা বিদ্বেষের কথা বলে না, মারামারি, হানাহানি, কাটাকাটির কথা বলে না। সব ধর্মেই উদারতার কথা বলে, শান্তির কথা বলে। যেখানে শান্তির পায়রা উড়ে নাই সেখানে ধর্ম নাই। যাহারা সকাল থেকে সন্ধ্যে অব্দী অমুকের মারো, তমুকের কাটো বলিয়া গলা ফাটাইয়া ফতুয়া জাহির করিয়া বেড়ায়, খুব দুঃখের বিষয় তাহারা ধর্ম কি এখনো বোঝে নাই। ফাইভের ছাত্র যেমন পরীক্ষায় গণিত ছাড়া বাকিগুলো মুখস্ত লিখিয়া দিয়া আসে, ফতুয়া জাহির করা মানুষগুলোও ঐ রকম মুখস্ত বলিয়া যায়, আত্মস্ত করিতে পারে না। আজকের বিশ্বে যে ধর্ম নিয়া চরম বাড়াবাড়ি চলিতেছে তাহা ঐ ধর্মগ্রন্থ মুখস্ত মানুষগুলোর জন্যই। যতকাল না মুখস্ত ছাড়িয়া আত্মস্ত করিবে ততকাল এইভাবেই চলিতে থাকিবে। দারিদ্র্যের দুষ্টু চক্রের মত এখানেও মুখস্ত চক্র চলিতেছে, মুখস্ত শিক্ষক থেকে মুখস্ত ছাত্র, মুখস্ত পীর থেকে মুখস্ত অনুসারীগণ, মুখস্ত উস্তাদ থেকে মুখস্ত শিষ্য। এই মুখস্ত তুলিয়া দিবার জন্য সরকার প্রাণপণ চেষ্টা চালইয়া যাইতেছে তেমনই ধর্ম শিক্ষার ক্ষেত্রেও স্ট্রিম রুলার চালাইতে হইবে তাহাতে যদি সফল হয় তবেই ধর্ম হাফ ছাড়িয়া বাচিবে, সাধারণ মানুষও হাফ ছাড়িয়া বাচিবে নইলে ঐ ধর্মপন্ডিতগণের স্ট্রিম রুলারে সাধারণ মানুষ মরিবে, ধর্মও মরিবে। সকল ধর্ম পন্ডিতগণের জানিয়ে রাখা উচিত যে, ধর্ম প্রতিষ্ঠা হইয়াছে মানুষের কল্যানের জন্য, ধর্মের কল্যানের জন্য মানুষ হই নাই। তাই ধর্ম সর্বদা মানুষের কল্যান করিতে থাকিবে, মানুষের অকল্যাণ করিতে নয়, জীবন নিতে নয়। যাহারা ধর্মের নামে মানুষের জীবন নিতে উদগ্রীব তাহারা মুর্খ, গোড়া কিংবা মুখস্ত বিদ্বার অধিকারী। তাহাদের মাঝে বিনয়িতা নাই, নম্রতা নাই, ভদ্রতা নেই, আছে শুধু উগ্রতা। আর এই উগ্রতায় আজকের বিশ্বে ধর্মীয় ডামাডোলের মূল কারণ। আরেকটা কারণ নিজে কি করিলাম না ভাবিয়া অন্যেরা কি করিল তাহা নিয়া মাথা কুটিয়া মরা। নিজের প্রতিদিন কতবার ফরজ ছুটিয়া গিয়াছে তাহার হিসাব না করিয়া কাহার সুন্নত ছুটিয়া গেল তাহা নিয়ে ডামাডোলে সামিল না হইলে যেন নিজের ধর্ম থাকিবে না, তুমি ধর্মতত্ত্বের বাহিরের মানুষ হইয়া যাবা। মসজিদ কিম্বা মন্দিরে গিয়ে কপাল ঠুকিবার আগে নিজের অন্তরে একখান মসজিদ কিম্বা মন্দির তৈয়ার করিতে পারিলেই কেবল তুমি ধার্মিক হইবে সাথে মানুষও হইবে নইলে তুমি ধার্মিক হইবে বোটে মানুষ হইবে না, তাই আজ ধার্মিকের অভাব না থাকিলেও মানুষের বড় অভাব আছে, এই অভাব যে সহজে পূর্ণ হইবার নয়। ইহা যে আজ বড় ধরনের শুন্যের কোটায় পড়িয়া রহিয়াছে।
ধর্ম আসিয়াছে মানব মনে জড়তা, কঠোরতা, হীনতা, নীচুতা, শঠতা দূর করিয়া মহানুভাবতা, মানবতা, উদারতা, নম্রতা ও মনুষ্যত্ব জাগরণ করিয়া এক মহাশান্তির বিশ্ব গঠন করিবার জন্য যেখানে কোন প্রকার হিংসা বিদ্বেষের ছোয়া থাকিবে না, জাতিতে জাতিতে হানাহানি থাকিবে না, এক ধর্ম থেকে অন্য ধর্মে দ্বন্দ্ব সংঘাত থাকিবে না। এক মানুষ থেকে অন্য মানুষের মাঝে, এক জাতি থেকে অন্য জাতির মাঝে, এক গোষ্ঠী থেকে গোষ্ঠীর মাঝে সহজ ও সরলীকরণ চলাচলের জন্য একটি ব্রিজ থাকিবে সেই ব্রিজের নামই ধর্ম। এই ধর্ম সর্বদা মানব জাতির কল্যান করিতে থাকিবে। উঁচু-নিচু, জাত-অজাত-বিজাত, ধার্মিক-অধার্মিক নির্বিশেষে সমাজের সকল শ্রেণীর সম নীতি ও বন্টনের মাধ্যমে একটি সুসম, ন্যায় ভিত্তিক সমাজ গঠনে যে উঁচু মাপের ধর্মের প্রয়োজন তাহার নাম মানবতা। আজকের এই মানসিক বিকারগ্রস্থ পৃথিবীর জন্য দায়ী এই মানবতার অভাব। এই মানবতার অভাবেই চলিতেছে মারামারি, কাটাকাটি, দেশ দখল, জায়গা দখল, ভারি অস্ত্রের মহড়া, পারমানবিক বোমা ছেড়ে আরো বহুগুণ শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমা তৈরির মহোৎসব। এর একটি বোমায় একটি জাতি, একটি জনপদ সম্পূর্ণ ধ্বংস হইতে পারে আর মাত্র কয়েকটি বোমায় সারা পৃথিবী ধ্বংস হইতে পারে। এই ভয়াভহ দূর্ঘটনা থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করিবার সবচেয়ে বড় অস্ত্র মানবতা। এই মানবতায় মানব জাতিকে রক্ষা করিতে পারে, পৃথিবীকে রক্ষা করতে পারে, জাতিতে জাতিতে কিম্বা ধর্মে ধর্মে সংঘাত থেকে রক্ষা করিতে পারে। আজকের পৃথিবীতে বাচিয়া থাকার মন্ত্র হইতে পারে এই মানবতা। যেখানে মানবতা নাই সেখানে মনুষ্যত্ব নাই, বিবেক নাই। মানবতার ঘাটতি দেখা দিলে চিন্তার উদ্রেক হইবে, কপালে ভাজ পড়িবে। একদিকে মানুষ যেমন টাকার পাহাড়ের উপর ঘুমতে যায় অন্যদিকে ঠিক তেমনই প্রতিদিন প্রায় নব্বই কোটি মানুষ ক্ষুদার জ্বালা নিয়ে ঘুমোতে যায়। সারি বিশ্বে দশ ভাগ মানুষের যে সম্পদ বাকি নব্বই ভাগ মানুষের সম্পদ তার থেকে অনেক কম। এর অন্যতম প্রধান কারণ ঐ মানবতার অভাব। তাই আসুন আমি মুসলিম, আপনি হিন্দু, তিনি বোদ্ধ, ওনি খ্রীষ্ঠান সকল ধর্মের উপরে মানব ধর্মকে স্থান দিই, মানব জাতিকে রক্ষা করি।
মানবতার আলোকছটা ছড়াবার জন্য, মনুষ্যত্বের বাতি জ্বালাবার জন্য প্রথম আগাইয়া আসিতে হইবে তরুণদের। একমাত্র তারুণ্যের হাত ধরেই মানবতার বিজয়মাল্য পরিতে পারে। হিন্দু, মুসলিম, বোদ্ধ, খ্রিষ্ঠান প্রত্যেকে তাহার নিজ নিজ ধর্মের গুণগানে ব্যাস্ত। তাহারা নিজের ধর্মের গুণগান করিতেছে করিতে থাক, আমাদেরকে এই প্রত্যেক ধর্মের মাঝে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করিতে হইবে, একে অন্যের মাঝে ভালসার বীজ বপণ করিতে হইবে, সম্প্রীতির বন্ধন তৈরি করিতে হইবে, প্রত্যেকের মাঝে রজনীগন্ধার সুভাস ছড়াতে হইবে, সকালের মিঠেল আলো মুঠি মুঠি ছড়াতে হইবে মসজিদ, মন্দির, পেগোডায়। সম্প্রীতির সুবাতাস বহিতে থাকবে পৃথিবীময়। আমাদের ভুলিয়া গেলে চলিবে না যে, যে যতবেশি ধর্মভীরু তার মধ্যে ততবেশি কঠোরতা। ঐ ধর্মভীরুকে শতভাগ সম্মান জানিয়ে, শ্রদ্ধা রেখে কঠোরতার বুকে আঘাত হানিতে হইবে যাহা সহজ কর্ম নহে। সকালে মসজিদ হইতে নামাজ পড়িয়া মন্দিরে পাহারা দিতে হইবে যাতে করে তাহারা নির্বিঘ্নে পূজা-অর্চণা করিতে পারে কিম্বা পূজা-অর্চণা শেষ করিয়া মসজিদ বা পেগোডার সামনে সারি বেঁধে দাড়াইয়া থাকিতে হইবে। ধর্ম তাহার কর্ম করিয়া যাক, আমরা মনুষ্য সেবায় নিয়োজিত করিতে পারিলেই হইল। কেহ মসজিদ কিম্বা মন্দিরে যাইতে চাহিলে যেমন আমরা পৌছাইয়া দিব তেমনই কেহ যদি বেশ্যাখানায় কিম্বা সরাইখানায় যাইতে চাহে সেখানেও পৌছাইয়া দেওয়া আমাদের কর্ম তবে আমরা মানুষ হিসাবে তাহার কর্মের ভাল মন্দের দিকগুলি স্মরণ করিয়া দিতে পারি বাঁধা দিতে পারি না। স্বচ্ছ, গন্ধ, দূর্গন্ধ সকল জলই তাহার ইচ্ছেমত গড়িবে অযথা আমরা তাহার মাঝে বাঁধ দিতে পারি না, ইহা আমার বা আমাদের ধর্ম নহে, কর্মও নহে। আমাদের ধর্ম মানবতা, এই ধর্মকে সকল জাতির মাঝে পোথিত করিতে হইলে, মানুষের মাঝে নবরূপে এক আবহ তৈরি করিতে হইলে, মানবসত্ত্বাকে অন্ততপক্ষে মনুষত্বের কাতারে আনিতে হইলে সর্বপ্রথম আমাকে আপনাকে আগাইয়া আসিতে হইবে, বিপদসংকুল এই মহাপথে মাথা আগাইয়া দিতে হইবে।

খন্ডিত হোক তব মাথা আজি, ধরিব অন্তরে মানবতা,
বিপদসংকুল শত পথে, চলিবে তাহা চির বহতা।
অন্যের ব্যাথায় ব্যাথিত, পরম সুখি অন্যের সুখে,
আমি যে কাঁদিয়া মরি অন্যের একটু খানি দুখে।
একটু খানি সুখের তরে হে পৃথিবী আমার এ প্রাণ,
হাসিতে হাসিতে তোমার তরে দিব আজি বলিদান।
নিজ হাতে মুছিয়া দিব সকল দুখিনী মায়ের অশ্রুজল,
পুচ্ছে ফেলিয়া শঠতা দেখিব মুখখানি তার হাস্যোজ্জ্বল।
জানি আসিবে ঝড় কালো মেঘে ছেয়ে, সকাল দুপুর,
আসুক বৈশাখী ঝড়, টলিব না, নড়িব না চাহিয়া সুদুর।
মানবেরে তুলিয়া, মানবসত্ত্বা জাগাইয়া ক্ষান্ত হইব আমি,
সুখ-দুখ ভাগাভাগি পরমসুখে থাকিবে আমার প্রিয় ভূমি।
যত কৃচ্ছতা, শঠতা, ইর্ষা-রেসারেসি হইবে দূর,
বাঁজিবে চারিদিকে সর্বদা মহানুভাবতা সুর।

আজি ভাঙ্গিতে হবে মসজিদ-মন্দিরের ঐ দোয়াড়,
ঝুলিবে সেথা মানবতার তালা, বন্ধ হইবে খোয়াড়।
যত গানের পাখি আছে আসিবে ঐ ধর্মাশালয়,
আরো মধুর করিয়া তুলিবে আমাদের দিশালয়।
গলাগলি ধরি, কুলাকুলি করি হিন্দু-মুসলমান,
আমাতে তোমাতে সুখ-স্বপ্ন সমানে সমান।
হোক না পূজা আমার মসজিদে, তাহাদের মন্দিরে হোক আযান,
আমার অন্তরে বাজুক উলু ধ্বনি, তাহার অন্তরে আযান সমান।
গাহিয়া চলিব আমরা দুজন এক প্রাণ,
একই সুতায় বাঁধা মোরা হিন্দু-মুসলমান।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:৫৯

তোফায়েল আহমেদ টুটুল বলেছেন: পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র প্রাণী যে মানুষ হয়ে জন্ম গ্রহণ করার পরেও আবার নিজেকে মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হয়।
কোন ধর্মকে অবমাননা করা আমার সাধ্য নেই। তার পরেও যদি আমার লেখায় কোন প্রকার অবমূল্যায়ন হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি এবং ভুল ধরিে শোধরানোর সুযোগ করে দিলে বড় উপকৃত হইব।

মানব ধর্ম



সৃষ্টি করিয়া ঘোষনা করিলেন প্রভু
আশরাফুল মাখলুকাত সৃষ্টি ইনসান
তবে কেন হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃষ্টান
মানুষে করেছে মানুষে ব্যবধান
সবার দেহে একি রক্ত একি প্রান
আত্মা জীবন সেতো বিধাতার দান
বাইবেল বেদ গীতা পবিত্র কুরআন
ধর্মের পরিচয় শুধু মানুষের কল্যাণ
কে ডাকে আল্লাহ ঈশ্বর কে ভগবান
আমি ডাকি আল্লাহ সাক্ষী কুরআন

পৃথিবীতে আছে কি কোন ধর্মের বাণী
মানুষে মাুনুষে করিতে কাটাকাটি হানাহানি
মানুষ এনেছে ধর্ম হিন্দু মুসলিম খৃষ্ট্রানি
বাইবেল কুরআন খোলে দেখ বেদখানি
দাউদ মুসা ইব্রাহিম ইসা মোহাম্মদের বাণী
রাম কৃষ্ণ শিব গৌতম বুদ্ধের জীবনী
কোথায় পাইবে খোজে মানুষের অকল্যাণ
স্রষ্ট্রার কাছে হিন্দু মুসলিম সকলেই সমান
কোন সে স্রষ্ট্রা সৃষ্টি করে হিন্দু মুসলমান
সন্তান দিল কে তাদের যত বৌদ্ধু খৃষ্টান

ধনী আর গরিব মানুষ করেছে ব্যবধান
ব্যথা পাইলে সকলের কেঁদে ওঠে প্রাণ
বাবা মা ভাই বোন সকলের সমান
আত্মীয় স্বজন সকল ধর্মে রয়েছে টান
বাঁচিবার তরে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধু খৃষ্টান
সকল ধর্মে মানুষ করিবে মানুষে সম্মান
মান অহংকার যত করে দাও কুরবান
হিংসার পতনে সৃষ্টি ইবলিশ শয়তান
দুনিয়ার বাহাদুরিতে বাজি রাখ জান
মুত্যু সাধ গ্রহন করিবে আছে যত প্রাণ

ক্ষুধায় কাঁধে মানুষের প্রাণ কত অসহায়
লুন্ঠন করিয়া অত্যাচারী সম্পদ বানায়
আপন স্বার্থে মানুষের ক্ষতি সাধিত হয়
কোথায় আছে ধর্ম মানুষের কি পরিচয়
কত নিষ্ঠুর পাষুন্ডু বর্বর মানুষের হৃদয়
চাঁদাবাজি সন্ত্রাসি করা কোন বিধানে কয়
চন্দ্র সূর্য আকাশ জমিন যা কিছু সৃষ্টি রয়
স্রষ্ট্রা সাজিয়েছে সকলের জন্য জগতময়
সকল কর্মে পরকালের ভয় থাকিতে হয়
কর্মই দিবে মানুষের মাঝে ধর্মের পরিচয়

এসো ভাই হিন্দু এসো ভাই মুসলমান
এসো ভাই বৌদ্ধ এসো ভাই খৃষ্ট্রান
ধর্মের গন্ডি কাটিয়ে মিলায়ে দেই প্রাণ
মানুষের মত মানুষ হই সকলে সমান
সকলে এক স্রষ্ট্রার সৃষ্টি যিনি প্রভু মহান
কে আল্লাহ ঈশ্বর হরি কে হয় ভগবান
মসজিদ মন্দির গির্জায় খুজে হয়রান
মানব হৃদয়ের দিল কাবাতে তাঁর স্হান
স্রষ্ট্রার প্রতি মানুষের ভালবাসার প্রমাণ
ধর্মের শিক্ষায় মানুষ হয়ে হবে মহিয়ান

মহাপুরুষ গন করিয়াছে ধর্ম প্রতিষ্ঠিত
দলমত নির্বিশেষে মানুষ ধর্ম ব্যক্তিগত
ধর্মের শিকলে আবদ্ধ মানুষের জগত
ফতোয়ার আদেশে হয় ভিন্ন ভিন্ন মত
দন্দ লাগাইতেছে যত মোল্লা পুরোহিত
মানবতাই মানুষের ধর্ম হওয়া উচিত
কল্যানেই সকল ধর্ম হইবে নিবেদিত
সত্যি চিরকাল মানুষের মঙ্গল নিশ্চিত
মানুষ খুন করছে মানুষ ঘৃণ্য কাজ গর্হিত
ধর্ম যথার্থ যদি মানুষের কল্যান নিহিত

৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১

শুভ্র বিকেল বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন, সকল ধর্মের মূলপ্রতিপাদ্য বিষয় মানবতা। সকল ধর্মের সকল মানুষ সৃষ্টি করেছেন স্রষ্টা সুতরাং হিন্দু বোদ্ধ খ্রীষ্ঠান সবই যেহেতু তার সৃষ্টি তবে আমরা কেন হিন্দু মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হাঙ্গামা করতে যাব? আমাদের উচিত সকল কিছুর উপরে মানবতা বা মনুষত্বের স্থান তবেই সমাজে শান্তি ফিরে আসবে।
চমৎকার কবিতার, সৃষ্টিশীল চিন্তার জন্য আরো একবার ধন্যবাদ। সবসময় পাশাপাশি থাকুন, শুভকামনা।

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শুভ্র বিকেল ,




তোফায়েল আহমেদ টুটুল বলেছেন: পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র প্রাণী যে মানুষ হয়ে জন্ম গ্রহণ করার পরেও আবার নিজেকে মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হয়।
এর চে' সত্য আর কিছু নেই ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২

শুভ্র বিকেল বলেছেন: হুম শতভাগ সত্য বলেছেন। ধন্যবাদ।

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২০

প্রামানিক বলেছেন: পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র প্রাণী যে মানুষ হয়ে জন্ম গ্রহণ করার পরেও আবার নিজেকে মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হয়।
দারুণ সত্য কথা।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১২

শুভ্র বিকেল বলেছেন: হুম, দারুণ সত্য বলেছেন ওনি।

৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬

তোফায়েল আহমেদ টুটুল বলেছেন: সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
আসলে আমরা ধর্ম নিয়ে অনেক বাড়াবাড়ি করতেছি । মুলত আমরা কেহ ধর্মের অনুসারী হয়ে ধর্মের মূলমন্ত্র কেহ জানার বা বুঝার চেষ্টা করিনা । মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছে আশরাফুল মাখলুকাত হিসাবে আর আমরা শ্রেষ্টত্বের প্রমাণ দেয়ার জন্য আমাদেরকে দান করেছে বিবেক নামক সত্তা । বিবেকের উপলব্দি দ্বারা ভাল মন্দ বিচার করাই আমার মতে ধর্ম ।
ধর্ম মানুষের কথা বলে .জীবনের কথা বলে .মানবতার কথা বলে .মনুষ্যত্বের কথা বলে ।
আপনাদের মন্তব্যে অনুপ্রাণীত হয়ে আরো একটি কবিতা তুলে ধরলাম।

ধর্মের মর্ম

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আর তিরিশ দিন রোজা
মুমিন মুসলমান জগতে আল্লাহকে খোঁজা।
হজ্জ করতে মক্কা মদীনায় যাকাত প্রদানে,
ইসলামের পরিচয়ে মানুষ দাবী রাখে ঈমানে।
ফরজ ওয়াজিব সুন্নত নফলের নিত্য আমল,
মুয়াজ্জিনের আযান মসজিদে জামাতের দল।

ভোলানাথ মহেশ্বর সর্বদা স্বরণ শ্রীমধুসুদন,
ভগবান শ্রী কৃষ্ণ গোপাল নারায়ণ নিরাঞ্জন।
হরি নাম করে সম্বল কেঁদে ফেলে আঁখিজল,
শিবের চরণে ভক্তি ব্রহ্মা বিষ্ণু গণেশ সকল।
জয় মা কালী নিতে পদ ধূলি মন্দিরে পুজা,
লক্ষী স্বরসতী দূর্গা দেবীর কৃপা রাস্তা সোজা।

ঈশ্বরের আরাধনায় খৃষ্টানের সকল প্রার্থণা,
যীশু খৃষ্টের জন্মোৎসব বড়দিনের উপাসনা।
বৌদ্ধ ধর্মের গৌতম বুদ্ধ জগতে মহা সাধক,
সাধন ভজনে আবার সকলেই তার উপাসক।
সৃষ্টি কি আর ভিন্ন জনের একজন পরমেশ্বর,
পরকালে স্রষ্টার নিকট দিতে হবে এর উত্তর।

হিন্দুরা সব মসজিদ ভাঙ্গবে এই কি মূলমন্ত্র,
মুসলমানের কি মন্দির ভাঙ্গা ইসলামের তন্ত্র।
খৃষ্টান যত গীর্জা নিয়ে করবে শুধু মারামারি,
বৌদ্ধদের মঠ প্রতিষ্ঠা চলছে কত বাড়াবাড়ি ।
ধর্ম নিয়ে কাড়াকাড়ি দেখি যখন হই অবাক,
ধর্মের মর্ম বুঝিনা কেবল পিটাই ধর্মের ঢাক।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

শুভ্র বিকেল বলেছেন: অসাধারণ কবিতা লিখেছেন ভাই, সত্যি অনেক সুন্দর। শুভকামনা নিরন্তর। সব সময় পাশাপাশি থাকুন। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আজ মনবতা শূন্য কোটায় নেমে গেছে ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৯

শুভ্র বিকেল বলেছেন: হুম মানবতা, আর মানসিকতা যেভাবে লোপ পাচ্ছে সামনের দিনগুলোতে এসব মিউজিয়ামে খুঁজতে হবে। অনেক অনেক
ধন্যবাদ।

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। তোফায়েল ভাইয়ের মন্তব্য ভাল লাগলো।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

শুভ্র বিকেল বলেছেন: হ্যা তোফায়েল ভাই দারুণ মন্তব্য করেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ মাইদুল ভাই।

৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: অনেকদিন ব্লগে আপনাকে দেখছিনা।

কেমন আছেন ?

নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯

শুভ্র বিকেল বলেছেন: মনে করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মাইদুল ভাই। ব্যাস্ততার কারনে আসতে পারছি না। আশা করি শিঘ্রই আসব আবার।

৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:১৩

বলেছেন: গঠনমূলক শক্তিমান লেখনী।ভালোলাগা রেখে গেলাম

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

শুভ্র বিকেল বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা জানবেন ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.