![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবতার জয় ;বিবেকের শাসন আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের সবচেয়ে দামী অস্ত্র।
নাটক দেখে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। নাটক দেখতে কম বেশী সব শ্রেণি-পেশার মানুষই পছন্দ করেন। নিঃসন্দেহে কিছু নাটক হৃদয়ের খোরাক যোগায়, আবার কিছু নাটক ঘৃণার খোরাক যোগায়। কাহিনি ও মূল চরিত্রের বৈসাদৃশ্য দেখা দিলে নাটক তখন হয় সমালোচনার পাত্র।
বিশেষ করে নাটক করতে হলে ভাল অভিনেতা-অভিনেত্রীও হওয়া চাই। নচেৎ 'ফ্লপ' হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। যেমন জননন্দিত দর্শক উপভোগ্য নাটক ছিল- সংসপ্তক, বহুব্রীহী, রূপনগর। বর্তমানে মোশারফ করিমের নাটক খুবই জনপ্রিয় বলে দর্শক মুখে প্রচারিত। তবে এসব নাটক হচ্ছে কল্পনার রং তুলি দিয়ে আঁকা, রূপকথার গল্প দিয়ে সাজানো।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমাদের সদ্য স্বাধীন দেশে মেজর জিয়াউর রহমান যে নাটকের সূচনা করে গেছেন জানি না সেই নাটকের শেষ অধ্যায় কখন, কবে, কিভাবে সমাপ্ত হবে?
বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা যে সকল নাটকের মহরত করছেন তা দেশ ও জাতির জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। স্বাধীন বাংলাদেশে সর্বপ্রথম যিনি রাজনৈতিক নাটকের মহরত করে গেছেন সে আর কেহ নয় এই সাবেক সেনাপ্রধান। রাষ্ট্রক্ষমতার জন্য সকল প্রকার নাটকের 'জন্মদাতা' হিসেবে ইতিহাসে সমধিক পরিচিত। আবার ইতিহাসের 'খলনায়ক' হিসেবেও আলোড়ন সৃষ্টিকারী রাষ্ট্রনায়ক।
সোজাকথা 'হত্যা'র নাটক বা 'রাজনৈতিক' নাটকের 'প্রবক্তা' ছিলেন তিনি। তিনি নানান প্রকার 'ক্রু' ও 'ষড়যন্ত্র' করে হত্যা, খুনের নাটকীয়তার মধ্যদিয়ে রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে জন্ম দিতে লাগলেন 'কাল্পনিক মিথ্যা' নাটক। সেই 'জাগদল' থেকে 'বিএনপি' নামক 'ভুয়া' নাট্যগোষ্ঠী একের পর এক মিথ্যা নাটক জনতার সম্মুখে উপস্থাপন করে মিথ্যা সংস্কৃতি চালু করে বাঙালির প্রকৃত চরিত্রে দুর্নীতির বীজ বপন করে গেছেন।
সেই বীজ শিকড়ঘেরা বৃক্ষ হয়ে সমাজের রন্ধে রন্ধে মিলেমিশে একাকার। আজ বঙ্গবন্ধুর বাংলায় সাধারণ নাগরিক মেধাবিকাশের পথ পরিহার করে ঝুঁকছে রাজনীতির নাটকের দিকে। রাজনীতি করলে অল্প পরিশ্রমে অল্প সময়ে টাকার 'কুমির' হওয়া যায়। এমন মনভাবাপন্ন হয়ে ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, তরুণ ছাত্রসমাজ সকলেই দৌড়াচ্ছে একই দিকে। লক্ষ্য একটাই তা হল দুর্নীতির প্রতিযোগিতা। এ অসম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে জাতি হিসেবে আমরা অযোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছি।
অবহেলা আর অবজ্ঞার কারণে নতুন প্রজন্ম মেধা বিকাশে নিরুৎসাহী হয়ে পড়ছে। এ ধরনের পরিণতি আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের পরিপন্থী। কেবল অসত্য কাহিনি দ্বারা জল গোলা করার বহুরূপী ষড়যন্ত্রের নাটক সাজিয়ে, বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, একটা হ-য-ব-র-ল অবস্থায় ফেলে, বিদেশি অভিনেতা কর্তৃক নাটকের স্যুটিং করে দিনের আলোটাকে ম্লান করে দেয়া ছাড়া আর কোন লাভ হবে না বলে আমি মনে করি।
মা যেমন সন্তানের কাছে নিষ্পাপ, তেমনি সাধারণ জনগণ রাষ্ট্র বা সরকারের কাছে নিষ্পাপ। সন্তানের ধারণা মা কোনরূপ অন্যায়মূলক নাটক করতে পারেন না। মায়ের উচিত সন্তানের বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নাটক তৈরি করা। যে সকল নাটক সত্য ঘটনাকে পুঁজি করে নির্মিত হয় সে সব নাটকই আলোর মুখ দেখে, সফলতাও অনিবার্য এবং পুরস্কার প্রাপ্তও হয়। যেমন বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা সফল রাজনীতির কারণে দেশে এবং দেশের বাহিরে নামি-দামি খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান তাকে সম্মানস্বরূপ এ্যাওয়ার্ড প্রধান করেছেন।
আমি অভিনয় জানি না, আমার দ্বারা অভিনয়ের কাজ করা হলে পাঠকপ্রিয় নাটক তৈরি করা সম্ভব কবে না। যেটুকু হবে তা হবে ব্যঙ্গচিত্র, আমি তাই বিশ্বাস করি। তেমনি ভুয়া নাটকের অভিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের ঘনিষ্ট বন্ধু একবার মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের স্বাক্ষর জাল করেছে, তা আমরা দেখেছি। আরো দেখেছি ভারতের বিজিপি নেতা অমিত শাহ'র সাথে টেলি আলাপের বিষয়টিও পরবর্তীতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
সকল ষড়যন্ত্রের সেরা নাটক হিসেবে মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছিল ইহুদিদের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাথে গোপন বৈঠক করে সরকার উৎখাতের মহাপরিকল্পনার নাটকটি। দুর্ভাগ্যবশত মেন্দি এন সাফাদির সাথে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর ষড়যন্ত্রের 'বোমা ব্লাস্ট' হলে দেশে-বিদেশে ব্যাপক কম্পন জাগে। আমরা তখন বিষয়টি জানতে পারি। এরপর থেকে নাটকের হোতা গ্রেপ্তার হলে তাকে বাঁচানোর জন্য বহুমুখী নাটক হয়। আমরা দেখেছি, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা ও তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে পাতানো নাটক মঞ্চস্থ করে তারা।
চক্রান্তের নাটকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক সহ তার পরিবারকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে সফল হয়েছিল তারা। আজ ২০১৬ সালে এসে তারই দৌহিত্র সজীব ওয়জেদ জয়কে ঘিরে তাদের সকল রাজনৈতিক নাটকের মহরত উদযাপন করছে সেও আবার ইহুদি রাষ্ট্রের লিকুদ পার্টির নেতা, সাবেক মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সাথে।
ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। বিবিসিকে দেওয়া মেন্দি এন সাফাদির নাটকীয় বক্তব্য প্রমাণ করে বিএনপির সাথে তাদের গোপন ষড়যন্ত্র হয়েছিল। ভাবতে ভীষণ অবাক লাগছে বিবিসির সংবাদ প্রচারে। যে বিবিসিকে গোটা বিশ্বের জনগণ সেরা সংবাদদাতা হিসেবে জানত তারা কি করে বিএনপির এক প্রবাসী নেতাসহ তারেকের সেই বন্ধু যিনি স্বাক্ষর জাল করে ধরা পরেছিলেন তাদের উপস্থিতিতেই জয়কে এডিট করে মেন্দি এন সাফাদির সাথে যুক্ত করে ভিডিও চিত্র পরিবেশন করেন। যা ডাহা মিথ্যা বলে সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের অপহরণ ও হত্যা ষড়যন্ত্র, মোসাদের সাথে তাদের ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠককে আড়াল করার জন্য জয়ের সাথেও সাফাদির বৈঠক হয়েছে মর্মে বিবিসিতে যে ভিডিও প্রচারের নাটক মঞ্চস্থ করছেন তা সম্পূর্ণ অসত্য। আর মিথ্যায় যে তাদের গিলে ফেলেছে এটাই তাদের শেষ নমুনা।
হে আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুন। নতুবা ধ্বংস নিশ্চিত করুন। দেশের মানুষগুলোকে একটু স্বস্তি দান করুন। মিথ্যার জয় হলে তোমার প্রেরিত রাসূল (স.)-এর আদর্শ বিনষ্ট হবে। তুমি তো পরাক্রমশালী সর্বজান্তা। তুমি ছাড়া কেউ নেই এ সমস্যার সমাধান করা। তুমি রহমতের ফেরেশতা দ্বারা প্রকৃত সত্য উদঘাটনে সহায়ক হও। আমাদেরকে মিথ্যার বেড়াজাল থেকে মুক্ত কর। যুদ্ধাপরাধী মুনাফেকের দলকে আশ্রয়দাতাদের কবল থেকে ১৬ কোটি প্রাণের সত্যের বন্দনা করার পথ সুগম করে দাও। আমিন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬
শাওন সাফা বলেছেন: সেই বীজ শিকড়ঘেরা বৃক্ষ হয়ে সমাজের রন্ধে রন্ধে মিলেমিশে একাকার। আজ বঙ্গবন্ধুর বাংলায় সাধারণ নাগরিক মেধাবিকাশের পথ পরিহার করে ঝুঁকছে রাজনীতির নাটকের দিকে। রাজনীতি করলে অল্প পরিশ্রমে অল্প সময়ে টাকার 'কুমির' হওয়া যায়। এমন মনভাবাপন্ন হয়ে ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, তরুণ ছাত্রসমাজ সকলেই দৌড়াচ্ছে একই দিকে। লক্ষ্য একটাই তা হল দুর্নীতির প্রতিযোগিতা। এ অসম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে জাতি হিসেবে আমরা অযোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছি।