নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের অর্ন্তভূক্ত বৃত্তাকৃতির দ্বীপের মতন মতলব উত্তর উপজেলায় কোন এক অজপাড়া গাঁয়ে এক জনম দুঃখী মায়ের ঘরে আমার জন্ম।জন্মের আট মাস পর বাবা চলে গেলেন ফেরার দেশে। প্রতিকুল অবস্থার মধ্যেই মায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বর্ন মালা শিখে ..।

শাওন সাফা

মানবতার জয় ;বিবেকের শাসন আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের সবচেয়ে দামী অস্ত্র।

শাওন সাফা › বিস্তারিত পোস্টঃ

"চাই আধুনিকায়ন,চাই নাম পরিবর্তন"

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৩

অপরিকল্পিত ও অব্যবস্থাপনা সহ চরম দুঃর্বিসহ জীবন যাত্রার এক জনপদের নাম ঢাকা মহানগর। এখানে কোমলমতি শিশুরা চার দেয়ালে আবদ্ধ থেকে ব্রয়লার মুরগির মত অবস্থা প্রায়। যদিও কর্ম ব্যস্ততার মধ্যে ছুটি পেলে প্রিয়জনদের নিয়ে একটুকু আধটুকু মুক্ত বাতাস ছুঁইবার জন্য ছুটে আসেন রমনা কিংবা শিশুপার্কে; সেখানেও লাইনে দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা পোহাতে হয় নানা রকম বিড়ম্বনা আর অনিয়ম। দেখতে হয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের হাজারো দৃশ্য। তবুও সোনামনিদের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য দীর্ঘ লাইন পেরিয়ে এক/দুই মিনিটের রাইড উপভোগ করতে আসে সাধারণ মানুষগুলো। আমিও তাদের মধ্যে একজন।

দুপুরের খাবার খেয়ে প্রায় চার বছরের শুআইব কে নিয়ে প্রবেশ করলাম শিশু পার্কে। প্রথম ও দ্বিতীয় রাইডস উপভোগ করার পর তৃতীয় রাইডস উপভোগ করার পর আবারও সেই রাইডস উপভোগ করার বায়না করলে কর্তব্যরত টেকনিশিয়ানের কাছে আরেকটি কুপন চাই। সে কুপন না নিয়ে আবারো লাইনে আসার জন্য প্রস্তাব করল। তাকে সাধ্যমত বুঝাবার চেষ্টা করলাম। কিছুতেই মানতে নারাজ। এক পর্যায়ে বলে ফেলে আমি দেব না পারলে কিছু করে দেখান। দেখাতে গিয়ে লিখিত অভিযোগ করতে গিয়ে আমি যথারীতি আহত। আমার অভিযোগের সাথে যুক্ত হল পুরানো সমস্যা নতুন করে। তাদের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে কেউবা কুপন কিনেও ফিরে যেতে হয় বুক ভরা দুঃখ নিয়ে। অপেক্ষার যেন কমতি নেই। এসব অব্যবস্থাপনার মনে হয় কেহ নেই দেখভাল করার। সেই প্রতিষ্ঠাকালের রাইডগুলোর জড়াজীর্ণ অবস্থা দেখলে মনে বড় দুঃখ হয়। কারন বর্তমান নগর পিতার দায়িত্বে আছেন সফল মেয়র মরহুম মোঃ হানিফ পুত্র। আশা ও বিশ্বাস রাইডস সংখ্যা বৃদ্ধি এবং লিজিং প্রক্রিয়ার রাইডস বাদ দিয়ে নিজস্ব অর্থয়ানে আধুনিক পার্ক হিসাবে গড়ে তোলা।
কোমলমতি শিশুদের জন্য নির্মিত এই শিশু পার্কটির নামকরণ করা হয়েছে একজন দেশদ্রোহী খুনির নামে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং একই সাথে শিশুদের সঠিক ইতিহাস জানানোর লক্ষ্যে শিশুপার্কটির নাম পরিবর্তন করার প্রস্তাব জ্ঞাপন করছি।
যে জিয়াউর রহমানের নামে পার্কটির নামকরণ হয়েছে তিনি ক্ষমতায় আসার জন্য সেনাবাহিনীতে কু’ ঘটিয়ে খুন করেছেন বহু সামরিক সদস্যদের, জড়িত ছিলেন পঁচাত্তর পরবর্তী রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের সাথে, পরোক্ষভাবে ইন্ধন ও প্রত্যক্ষভাবে পুনর্বাসন করেছেন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের। তার নামে শিশুদের প্রধান বিনোদন পার্কের নামকরণ জাতির গৌরবময় ইতিহাসের সাথে পরিহাস মাত্র।
জিন্নাহ এভিনিউ, লিয়াকত এভিনিউ, জিন্নাহ কলেজ এই নাম গুলোরও পরিবর্তন করা হয়ছে। ভাল উদ্যোগ। অথচ খুনি জিয়ার নামে কেন শহীদ জিয়া শিশু পার্ক নামকরণ থাকবে?
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষৎ। তাই বলছিলাম, যেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন সেই জায়গাটি মুছে ফেলার জন্য কোমলমতি শিশুদের নাম করে নিজের নামে নির্মাণ করেন শিশু পার্ক। তার এই কুটকৌশল অনেক দেরীতে হলেও বোধদয় হয়েছে মানুষের অন্তরে। তাই ৭ ই মার্চ, মুক্তিযুদ্ধ ও পাক বাহিনীর আত্মসমর্পন, শিখা চিরন্তনের স্বার্থকতার জন্য ঐ কুখ্যাত ঠান্ডা মাথার খুনির নাম জাতীয় শিশু পার্কের প্রাতিষ্ঠানিক নামকরণ থেকে বাদ দিয়ে অভিশাপ মুক্ত করুন।
বিনীত অনুরোধ রইলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২০

শাওন সাফা বলেছেন: লিখিত অভিযোগ করতে গিয়ে আমি যথারীতি আহত। আমার অভিযোগের সাথে যুক্ত হল পুরানো সমস্যা নতুন করে।

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২১

শাওন সাফা বলেছেন: আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষৎ। তাই বলছিলাম, যেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন সেই জায়গাটি মুছে ফেলার জন্য কোমলমতি শিশুদের নাম করে নিজের নামে নির্মাণ করেন শিশু পার্ক। তার এই কুটকৌশল অনেক দেরীতে হলেও বোধদয় হয়েছে মানুষের অন্তরে। তাই ৭ ই মার্চ, মুক্তিযুদ্ধ ও পাক বাহিনীর আত্মসমর্পন, শিখা চিরন্তনের স্বার্থকতার জন্য ঐ কুখ্যাত ঠান্ডা মাথার খুনির নাম জাতীয় শিশু পার্কের প্রাতিষ্ঠানিক নামকরণ থেকে বাদ দিয়ে অভিশাপ মুক্ত করুন।
বিনীত অনুরোধ রইলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.