নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করি। প্রচণ্ড কল্পনাপ্রবণ মানুষ। ঠায় দাঁড়িয়ে পুরো পৃথিবী নিয়ে ভেবে ফেলি। মায়া কম, ক্রোধ বেশি। তবে সেটা নিজের ভেতরে পুষে রাখার অসীম ক্ষমতা আছে আমার।

জনৈক অভদ্রলোক

দুই আর দুই যোগ করলে কত হয়? আমি: চার ব্যতীত অন্য কোন সংখ্যা হতে পারে না। হলে ভেবে দেখছি....।

জনৈক অভদ্রলোক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি বরাবরই ভাষ্কর্যের পক্ষে

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:২০

বাংলাদেশে এখন কয় ধরণের মানুষ আছে জানেন? ২ ধরণের। একদল ভাষ্কর্যের পক্ষে, আরেকদল ভাষ্কর্যের বিপক্ষে। আমি পক্ষের দলে সবসময়েই। না আওয়ামীদের পা চাটতে নয়। প্রয়োজনে জিয়াউর রহমানের ভাষ্কর্যও যদি তৈরি হয় আমি তারও পক্ষে। জামায়াতে ইসলামি যদি কোনদিন ক্ষমতায় এসে মনে করে সাঈদী সাহেবের একটা ভাষ্কর্য তৈরি করলে মন্দ হয় না, আমি সেদিনও ভাষ্কর্যের পক্ষেই থাকবো।

ভাষ্কর্য হলো একটা জাতীর শিক্ষা, সংষ্কৃতি, ঐতিহ্যের প্রতিফলক। একটা মনুষ্য তৈরি মূর্তি অনেক কিছু ধারণ করতে পারে। অন্যদের কাছে নিজেদেরকে চেনায় ভিন্নভাবে। মানুষ ভাষ্কর্য দেখবে সেটা সম্পর্কে জানবে, সেটাকে শ্রদ্ধা করবে এটাই তো হওয়া উচিৎ। বাবার হাত ধরে হাঁটতে বের হওয়া শিশুটা কৌতুহলবশত বাবাকে জিজ্ঞেস করবে- বাবা এটা কে? বাবা তাকে পরম স্নেহ নিয়ে বোঝাবে ইনি আমাদের জাতীর পিতা। যার ত্যাগে তুমি পেয়েছো এই রাস্তাটায় স্বাধীনভাবে হাঁটার অধিকার। ইনি আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক। যার দরাজ কণ্ঠে সেদিন বেতার থেকে লাখো বাঙালী শুনেছিলো এই বাংলার স্বাধীন হওয়ার বার্তা। এটা হলেন ভাসানী। যার সাধাসিধে জীবন যাপন তোমার অনুকরণ করা উচিৎ। ইনি মাওলানা সাঈদী। যে মৃত্যুমুখেও কারও কাছে মাথা নত করেননি। যার ধ্যান ধারণায় শুধুই পরম দয়ালু আল্লাহ। হ্যা এটাই তো হওয়ার কথা- নাকি?

আমি ভাষ্কর্যবিরোধীদেরও পক্ষে যদি সেটা হয় লালসালু গল্পের মতন। যদি সেটা হয় ভাষ্কর্যের পাদদেশে ভক্তদের নাচন কোদন কিংবা টাকার ছড়াছড়ি। আমি শান্তির পক্ষে, আমি শিল্পের পক্ষে। আমি এই পৃথিবীতে সৌহার্দ্যের বৃষ্টি নামানোর পক্ষে। আমাকে দোষ দেবেন না।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: এরা সমাজের নিকৃষ্ট প্রাণী, এরা দেশ ও স্বাধীনতাবিরোধী।

ভুলে গেলে চলবে না- কৃষক বীজ বপন করতে জানেন.. কৃষক আগাছা উপরে ফেলতেও জানেন ।

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৪

ফটিকলাল বলেছেন: সাঈদীর মতো হারামখোরকে মাওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর সাথে এক কাতারে ফেলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যে রাজাকার বাংলাদেশের জন্মের বিরোধিতা করে যা সর্বসম্মতক্রমে প্রমানিত সে এক হারামজাদা ছাড়া কিছুই নয়

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে মসজিদ, মন্দির,গীর্জা,প্যাগোডা,ভাস্কর্য, মুর্তি সব একসাথেই থাকবে। ৭১ সালে ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়ে তো এই ফায়সালাই করে দিয়ে গেছেন।

৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:০০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সাইদী জেলে থাকা কয়েদি । বেশী কিছু আর বলার নাই

৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি সুযোগ সন্ধানী।

৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।সাঈদীর মুর্তিও থাকতে পারে,সয়তানের মুর্তি আছে মক্কায়।

৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৫৮

মরুর ধুলি বলেছেন: ইসলাম কি বলে ভাস্কর্য আর মুর্তির ব্যাপারে?

৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৮

স্থিতধী বলেছেন: ৬ নং মন্তব্যের সাথে একমত। সাইদীর মূর্তিতে আমরা সন্তান সহ পাঁথর ছুড়ে মারার প্রাক্টিস করতে পারি। সাইদী যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাওয়ার কারনে, শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে ওয়াজে " জাহান্নামের ইমাম" নামে সম্বোধন করে গেছে। ৭২ এর শিক্ষানীতি প্রণয়নকারী ডঃ কুদরাত ই খোদা কে " গজব এ খোদা" নামে সম্বোধন করে গেছে । আমরা তাঁর কীর্তি ভুলি নাই, ভুলবোওনা, তাঁর মূর্তিতে নিয়মিত পাঁথর ও দোররা মারার প্রচলন থাকা উচিৎ ।

৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৫

এমেরিকা বলেছেন: আমি ভাস্কর্যের পক্ষে, মূর্তির পক্ষে নই। মূর্তি থাকবে মন্দিরে, রাস্তায় নয়। স্মৃতিসৌধের ভাস্কর্য দেখুন। তাতে কোন প্রাণীর অবয়ব নেই - কিন্তু কত বক্তব্য আছে - কত শিক্ষা আছে। সাতটি স্তম্ভকে নানানভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। শীর্ষবিন্দুটি আকাশ ছোঁয়ার ইচ্ছে ব্যক্ত করে। এটিকে পাশ থেকে দেখলে ধ্বংসস্তুপ থেকে পাখা মেলা ফিনিক্স পাখির মত লাগে। কিন্তু ঢাবি ক্যাম্পাসে সোপার্জিত স্বাধীনতা নামের লতাগুল্মে পেঁচানো তথাকথিত ভাস্কর্য দেখে আপনার কি মনে হয়? এতে কোন বক্তব্য আছে? এই ধরণের ভাস্কর্য কেবল রাষ্ট্রীয় কোষাগার লুট ছাড়া আর কোন উদ্দেশ্যে বানানো হয়না।

১০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।সাঈদীর মুর্তিও থাকতে পারে,সয়তানের মুর্তি আছে মক্কায়।

সহমত।

১১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৫

এমেরিকা বলেছেন: এখানে সাঈদীর মূর্তি নিয়ে যে যা বললেন, তাতে আমার একটা আশংকা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ তো চিরদিন ক্ষমতায় থাকবেনা। কিন্তু মূর্তিগুলো তো থাকবে। তখন আওয়ামী লীগকে যারা ঘৃণা করে, তারা যদি সেই ভাস্কর্যগুলোর অসম্মান করে, সহ্য করতে পারবেন কি? মোল্লারা আপনার উপকার করছে - বোঝার চেষ্টা করুন।

১২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৪

স্থিতধী বলেছেন: @ এমেরিকা। আপনি নিজে নিজের কথা পরিষ্কার বুঝেনতো যা লিখেন? আপনার কথা শুনে আমার বুয়েট পাস সাংবাদিক দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদকের কথা মনে পড়ে গেলো । সে ২০১৩ শাহবাগ আন্দোলনের শুরুটা দেখেই বলেছিলো যে এক সময় নাকি মুক্তিযোদ্ধাদেরও বিচার হবে ১৯৭১ এর কর্মকাণ্ডের জন্য ! বর্তমান আওয়ামী লীগের উপর সাধারণ মানুষের যতোই ক্ষোভ ঘৃণা থাকুক তাঁর অর্থ যদি হয় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে আঘাত হানা, তাজউদ্দীনের ভাস্কর্যে আঘাত করা, শহীদ মিনার, স্মৃতি সৌধে হাত দেওয়া, মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে কঠাক্ষ করা ইত্যাদি তাহলে যারাই এটি ঘটাবে তাঁরা অত্যন্ত পরিষ্কার ভাবেই স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রবিরোধী লোক। তাঁরা কঠিনভাবে বাংলাদেশের আইনে শাস্তি পাবার যোগ্য । যেকোন স্বাধীন দেশ তাঁর অস্তিত্বের মূল স্তম্ভ গুলতে আঘাত দেওয়া লোকদের সহ্য করেনা। সাইদী আর গো আযমের মতো কীটগুলোকে হিরো দেখিয়ে বাঁচানোর জন্য আপনার তথা রাশিয়ার মতো মাল্টি পার্টিদের বালখিল্য যুক্তিচেষ্টা গুলো বাংলার মাটিতে কোটি কোটি বার প্রয়োগ করেও লাভ হবেনা। সাইদী, গো আযমদের ক্ষমতা ছিলোনা বাংলাদেশে এমনকি হুসেইন এরশাদ এর লেভেলেও যায়, আর সে জায়গায় বঙ্গবন্ধু , চার নেতাদের লেভেলে যাওয়ার কথা ভুলেই যান । ওই শুধু আওয়ামী আর ভারত বিদ্বেষ দিয়ে দেশপ্রেম প্রকাশ করা লোকেরা কোন কালেই এদেশে সাইদীদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারবেনা, পারবে শুধু কিছু নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে। আপনি বরং বোঝার চেষ্টা করুন যে আপনি যদি নিয়মিত সামুতে এসব মতবাদ প্রকাশ করে যান তবে অতি শীঘ্রই হয়তো আপনাকে এবারে 'চায়না' নামক একটি মাল্টি বানিয়ে নিতে হবে ।

১৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: কোনো নাস্তিক, মুক্তমনা বা প্রগতিশীল শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভাঙেনি। কওমী জননীর সন্তানেরা ভেঙেছে। এরাতো জননীর কাছের মানুষ। তাই আর আপসোস নাই। এসব তাদের ঘরোয়া ব্যাপার স্যাপার।

১৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৪

জনৈক অভদ্রলোক বলেছেন: সবার মন্তব্য পড়লাম। কেউ তো সুযোগ সন্ধানীও বানিয়ে দিলেন। যাইহোক, সবাই যে নিয়ম মেনে দল, মত, জাতী, গোত্র, বর্ণের দলে ঘুরবে এমনটা নয়। হতে পারে সে তার নিজস্ব রাস্তা সৃষ্টি করে নিয়েছে। হতে পারে সে তার নিয়মে একটা ধর্ম পালন করে, হতে পারে তার নিজের নিয়মে চলা রাজনৈতিক দলের সদস্য শুধু সে নিজেই, হতে পারে তার মতের আর কেউ নেই এ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে। হ্যাঁ সেটাই আমি। একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ। যে দলে এত সংঘর্ষ, যে ধর্মে এত নিয়ম, যে মতে এত অমত, যে বর্ণে এত অ্যালার্জি, যে জাতীয়তাবোধে এত দোটানা; আমি চাই না সে দল, মত, ধর্ম, গোত্র, বর্ণ। আপনার কাছে আমাকে গ্রহণ কিংবা বর্জনের পূর্ণ স্বাধীনতা আছে। সেটাকে কাজে লাগান।

১৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৬

ফটিকলাল বলেছেন: সাঈদী যে জাকাতের টাকা মেরে ফ্লাটও কিনছে এটাও জানতাম। এই মহাবাটপারের জন্য যে জামাতীদেরই মন কাঁদে সেটা এখন শিশুরাও বোঝে।

রাজাকার সবসময়ই রাজাকার সে কখনো মানুষ হতে পারে না। বাংলাদেশী হবার যোগ্যতা অনেক পরে আসতেছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.