নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের জীবন প্রতিদিন তার বেঁচে থাকার লাইসেন্স নবায়ন করে ।প্রকৃতি এটা নিয়ন্ত্রন করে,যেদিন নবায়ন হবেনা,সেদিন মৃত্যু অনিবার্য ।

স্বপ্নের শঙ্খচিল

আমার মনের মাঝে শঙ্খচিল ডানা মেলে প্রতিদিন,ভুলতে পারিনি সেই অভিমান আবার ফিরে আসা তোমার কাছে !

স্বপ্নের শঙ্খচিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাদী মুহাম্মদের এই আত্নত্যাগ কেন ?

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭

আমি এই ঘটনায় খুবই মর্মাহত :
তাই আমার এক বন্ধুর লেখা থেকে সবার জানার জন্য কিছূ বিযয় তুলে ধরলাম

যে ঘরে সাদী মহম্মদের মৃতদেহ পাওয়া গেল, সেই ঘরটিতে বসেই গেল বছর মার্চ মাসে তার সঙ্গে দীর্ঘ আলাপের সুযোগ হয়েছিল। আমার ইন্টারভিউর জন্য ১৫ মিনিটই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু তিনি আমাকে আড়াই ঘন্টার ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। (নিউজ লিংক কমেন্টে...)
আমার মোবাইল ফোনটি চুরি হওয়ায় সেই রেকর্ড, ছবি হারিয়ে ফেলেছি। কিন্তু স্মৃতিতে ভাসছে সেই কথাগুলো। স্বাধীন দেশে তার মায়ের মতো শহীদজায়াদের মূল্যায়ন কেন হলো না? সেই আক্ষেপই ঝরেছিল আধা ঘন্টার বেশি সময়।
সেদিন উনার মায়ের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম, উনি বলেছিলেন- আরেকদিন এসো, মায়ের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেব। মা আজ একটু অসুস্থ আছেন। সেই শহীদজায়া মা ৯৬ বছর বয়সে মারা গেলেন কয়েক মাস আগে।
মাকে হারিয়ে সাদী মহম্মদ হয়তো বিষণ্ণ ছিলেন। কিন্তু তার চেয়েও বড় হৃদয়-বিদারক ঘটনার সাক্ষী হয়ে কাটিয়েছেন অনেক অনেক বছর।
১৯৭১ সালে তার বাবাকে (শহীদ সলিম উল্লাহ) হত্যা করা হয়েছে তারই চোখের সামনে। সেদিনের সেই ভয়াল স্মৃতি কিভাবে ভুলবেন তিনি? মায়ের লড়াই দেখে হয়তো তিনি সাহস পেতেন।
সেই মা যখন মারা গেলেন, হয়তো তিনিও জীবনের উপর থেকে সাহস হারিয়েছেন।
সাদী মহম্মদ কেন আত্মহত্যা করলেন? তা আমরা কেউই জানি না, জানবো না হয়তো কোনোদিন। কিন্তু ৭১ এর সেই ভয়াল স্মৃতি যে তাকে প্রতিনিয়ত তাড়িয়ে বেড়াতো, তা বুঝেছিলাম সেই আড়াই ঘণ্টার আলাপে।
সাদী মহম্মদের সঙ্গে সেদিন আলাপের পর থেকে আমি যখনই সলিম উল্লাহ রোড পার হয়ে বাসায় ফিরি, রাস্তার পাশের কবরস্থানটার দিকে তাকায় আর ভাবি এখানে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের গণকবর। তার পাশেই এখন রঙচটা কতশত বাড়ি, রেস্তুরা। অথচ এই কবরে অন্তত ২৫জনকে কুয়োর মতো একটা জায়গায় পুঁতে রাখা হয়েছে। তাদের প্রায় সবাই সাদী মহম্মদের স্বজন-প্রতিবেশি।
বাসার সামনের ঈদ গাঁর মাঠে তাঁর সামনেই জবাই করা হয়েছে তার খালাতো ভাইকে। সেই ভাইকে মারার আগে গলায় দড়ি দিয়ে টেনে-হেঁচড়ে ঘুরানো হয়েছে পুরো পাড়া।
চোখের সামনেই বাবাকে ছুড়ি মারা হয়েছে। সেই বাবাকে হাসপাতালে নিতে পারেননি। অনেকটা সময় ছুরির আঘাতের পরও বেঁচে ছিলেন সলিম উল্লাহ। আহত অবস্থায় বাবা তাকে বলেছিলেন, 'আমি হয়তো বাঁচবো না। তোমরা বাঁচো'। বলে ধাক্কা দিয়ে সাদীকে পালাতে বলেছিলেন।
আহত বাবাকে রেখে তিনি সেদিন পালিয়েছিলেন। দূর থেকে দেখেছিলেন, বিহারীরা তার বাবাকে মারতে দলবেঁধে ছুটে আসছেন। এরপর কি হয়েছিল তিনি আর দেখেননি। নিজের জীবন বাঁচাতে পাশের বাড়িতে আশ্রয় চেয়েছিলেন। ভয়ে অনেকে আশ্রয় দেননি।
১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ এই বাড়ির ছাদে বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো হয়েছিল। ২৬ মার্চ ছিল শুক্রবার।
বাড়ির সামনেই মসজিদ, জুম্মার নামাজ থেকে কেবল ঘরে ফিরেছেন সলিম উল্লাহ। মসজিদে জড়ো হওয়া অবাঙালিরা গুজব ছড়ায়, সলিম উল্লাহর বাড়ি থেকে মসজিদের দিকে গুলি ছোড়া হয়েছে।
জুম্মার নামাজে গিয়েই সলিম উল্লাহ বুঝেছিলেন, খুব খারাপ কিছু হতে যাচ্ছে। নামাজ না পড়েই বাসায় চলে এসেছিলেন সেদিন।
মসজিদে জুম্মার নামাজে কারা যেন উস্কানি দিয়েছে, এর পর থেকেই তাদের বাড়িতে ঢিল ছুঁড়া শুরু হয়। বিকেলের পর নিচতলায় আগুনও দেয়া হয়। রাত পর্যন্ত চলে হামলা। সবই নিজ চোখে দেখেছেন সেদিনের কিশোর সাদী।
সন্তানদের নিয়ে দু'তলা থেকে পাশের বাড়িতে লাফিয়ে পড়েছিলেন শহীদ সলিম উল্লাহর স্ত্রী। মচকে গিয়েছিল পা। সেই মচকানো পা নিয়েই মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস ছুটে বেড়িয়েছেন বাঁচার আশায়। স্বাধীন দেশে ফিরে এত বড় সংসার নিয়ে সেই মায়ের আরেক লড়াই চলে, যা পাশে থেকে দেখেছেন সাদী মহম্মদ।
জীবন যুদ্ধে এত সাহসের সঙ্গে লড়াই করার পরও জীবনের এই শেষবেলায় তিনি কেন আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিলেন? তার উত্তর হয়তো মিলবে না কোনোদিন। কিন্তু তাজমহল রোড দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ওই কবরস্থানটা, ঈদ গাঁ মাঠ আর পাশের পুরনো চারতলা বাড়িটা দেখলেই আমার চোখ জলে ভিজবে।
সাদী মহম্মদ সেদিন আড়াই ঘণ্টায় কত আলাপ যে করেছিলেন। বলছিলেন, এই বাড়িটাই মোহাম্মদপুরের প্রথম চারতলা বাড়ি। এক সময় এই বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে বিকেলবেলা তারা দূরবীন দিয়ে ডিআইটির ঘড়িটায় দেখতেন কয়টা বাজে? পরে অনেক উঁচু উঁচু ভবন হওয়ায় আর দেখা যায় না। এ কথা শুনে আমি অবাক হয়েছিলাম।
শেখ কামাল ছিলেন তার বড় ভাইয়ের বন্ধু, প্রায়ই এসে রাতে থাকতেন। অনেক সময় বাসায় না বলেই চলে আসতেন। বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী তাদের বাসায় প্রায়ই টেলিফোন করতেন।
সেদিনের সেই আলাপের পর আমি যখনই ওই ঈদগাঁ মাঠের পাশ দিয়ে যায়, কবরস্থানের দিকে তাকাই আর শ্রদ্ধায় নত হই। সলিম উল্লাহ রোডে এখন অনেক খাবারের দোকান হয়েছে। সেখানে গেলেই ভাবি সময় কেমন পালটে যায়?
কিন্তু সাদী মহম্মদ কি এত সহজে ভাবতে পারতেন? এই সলিম উল্লাহ রোড, তাজমহল রোড যে তার জীবনের কী ভয়ংকর অধ্যায়! তাই তো শহরের আধুনিক বিবর্তন হওয়ার পরও হইতো তিনি সেই পুরনো বাড়িটা ছাড়তে পারেননি। নতুন কোনো ফ্ল্যাটে উঠেননি। এই বাড়িটাকেও কোনো ডেভলপারকে দেওয়া হয়নি। আজন্ম তিনি এই বাড়িতেই থেকেছেন। আর এই বাড়িতেই তিনি নিজেই নিজের জীবনের যবনিকাও টেনেছেন।
বিদায় সাদী মহম্মদ;
এই বাংলাদেশ আপনার বাবার রক্তে-ভেজা, আপনার মায়ের জীবনযুদ্ধের উপর গড়ে উঠা বাংলাদেশ।



রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী, শিক্ষক ও সুরকার সাদি মহম্মদ বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন থেকে রবীন্দ্র সংগীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। অসংখ্য সিনেমা ও নাটকে প্লেব্যাক করেছেন । সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিশ্বভারতী থেকে রবীন্দ্র সংগীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা সাদি মহম্মদ একাধারে শিল্পী, শিক্ষক ও সুরকার ছিলেন।
২০০৭ সালে 'আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে' অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
২০০৯ সালে তার 'শ্রাবণ আকাশে' ও ২০১২ সালে তার 'সার্থক জনম আমার' অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।
২০১২ সালে চ্যানেল আইয়ের 'লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড' এবং ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমির 'রবীন্দ্র পুরস্কার'সহ অনেক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
শহীদ সলিম উল্লাহর ছেলে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সাদি মহম্মদ এবং নৃত্যশিল্পী শিবলী মহম্মদ
বাংলাদেশে সংস্কৃতি অঙ্গনে খুবই চেনা মুখ। সলিম উল্লাহ ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা।
হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসা কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা তাঁকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাই।
যখন এখানে আসেন, তাঁকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি আমরা। আত্মীয়স্বজনের কাছে জানতে পারি,
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিজ বাসায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
তাঁর গলার মধ্যেও ফাঁস দেওয়ার চিহ্ন পাই।’
এ সময় শরীরের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না বলেও জানান চিকিৎসক।
পরিবার-বন্ধু সবাই বলছেন, মা হারানোর পর বিষণ্নতা ঝেঁকে বসেছিল শিল্পীর জীবনে। জীবনভর সংগীতের পেছনে ছুটে চলা মানুষটির নানা অপ্রাপ্তির ডায়েরি তৈরি হয়েছিল মনের মণিকোঠায়।
সবশেষ সাদি মহম্মদের মানসিক অবস্থা নিয়ে শামীম আরা নীপা বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই বিষণ্নতায় ভুগছিলেন, শিবলী আমাকে বলেছিল, তুই একটু আয়, আমরা সাদি ভাইকে একটু বোঝাতে চাই, তুই থাকলে সাদি ভাই কথা শোনে।
এসেছিলাম, অনেকক্ষণ কথা হলো, কথা দিয়েছিল আর ডিপ্রেশনে যাবে না।
তখন বলছিলাম, তুমি একজন চিকিৎসকের কাছে যাও, উত্তরে বলেছেন, “না, আমারটা আমি বুঝব।
তোমরা আমাকে নিয়ে ভেবো না”।’
শুধু তা–ই নয়, হতাশা-মনের কষ্টগুলো ভুলে থাকতে শিল্পীকে অনুষ্ঠান করারও পরামর্শ দেন নীপা।
তিনি জানান, ‘বলেছি তুমি অনুষ্ঠানের মধ্যে ঢুকে যাও। তাহলে এই যে তোমার কষ্ট হচ্ছে, খালাম্মার জন্য বিভিন্ন কারণে, সেটা কেটে যাবে। বলেছেন, করবেন। আমি বললাম, তাহলে পয়লা বৈশাখেই করি, উত্তরে বললেন, “না, আমি চৈত্রসংক্রান্তিতে করব।”
সব যন্ত্রণা ভুলতে স্বেচ্ছামৃত্যুর পথই বেছে নিলেন গুণী শিল্পী এবং সংগীতের গুরু সাদি মহম্মদ।
তাঁর মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে মোহাম্মদপুর জামে মসজিদ কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বরেণ্য এই সংগীতশিল্পী।
রইল আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা ।


১৯৮৯ সালে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঢাকায় সাদি মহম্মদ।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২৬

কামাল১৮ বলেছেন: অভিমান থেকে এই আত্মত্যাগ।সরকারের উপর সমাজের উপর তার এই অভিমান।পারিবারিক কোন সমস্যা ছিলো কিনা সেটা এখনো জানা যায়নি।সমাজ,সরকার তাকে যথাযথ মূল্যায়ন করে নাই।

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: একেবারেই সঠিক ধারনা করেছেন ।
সমাজ বা রাষ্ট্র যুদ্বাহত মুক্তিযোদ্বা পরিবারের জন্য
তেমন কিছুই করে নাই ।

২| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:


কষ্টকর ছিলো ১৯৭১'এর ঘটনাগুলো

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সাদী মহম্মদ ছিলেন গানের পাখি,
উনার গানের একজন ভক্ত আমি

.............................................................................
এমন নরম মনের মানুষ আর কতদিন স্বজন হারানোর
ব্যথা বহন করে যাবেন ।

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: সাদী মহম্মদ পছন্দের শিল্পী ছিলেন। তার পরিবারের সাথে ঘটে যাওয়া এই হৃদয় বিদারক ঘটনা জানা ছিল না। চোখের সামনে এসব দেখে এক জীবন পার করে দেয়া কম কষ্টের না। উসকানি, গুজব এসবে এই উপমহাদেশের মানুষ শত শত বছর ধরে একইভাবে বিভ্রান্ত হয়ে আসছে।

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমি কিছু লিখতে পারছি না,
চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে

৪| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৬

রানার ব্লগ বলেছেন: আমরা গুনী লোকদের অবহেলা করতে ভিষন পছন্দ করি। সেইসাথে এই দেশে এখন শকুনের সংখ্যা বেশি সেখানে গানের পাখির জীবন তো সংকটময় হবেই।

১৫ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৫৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: গানের পাখি যদি কারো জীবনে না আসে
তার বেঁচে থাকাটাই বৃথা ।।।

৫| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:২২

শায়মা বলেছেন: আমি মোহাম্মদপুরের উনার ঐ পুরান বাড়িতে অনেকবার গেছি। উনার মা ভাইবোন সবার সাথেই আমার জানাশোনা ছিলো। পরে অনেকগুলো বছর কথা হয়নি। দেখাও হয়নি। এত সুন্দর গলা আর এত সুন্দর গায়কীর রবীন্দ্র্র সঙ্গীত শিল্পী তিনি। কেনো এইভাবে চলে গেলেন বুঝলাম না।:(

১৫ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:০৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: এক সময় ঐ এলাকায় আমাদের প্রতিদিনের আড্ডা ছিল ।
...................................................................................
সলিমুল্লাহ রোডটি উনার বাবার নামে করা হয়েছিলো ।
এলাকার সবাই কমবেশী উনাদের আত্নীয় হতো ।

৬| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মায়ের মৃত্যু উনাকে একটা ট্রমার মধ্যে নিয়ে গিয়েছিল। উনাকে একা রাখা ঠিক হয়নি।

১৫ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:০৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আশে পাশে অনেকেই তো ছিলো
কিন্ত তার মনের কথা, বেদনা কেউ বুঝতে পারছিলনা ।

৭| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আমার ধারণা উনি ভয়াবহ মানসিক টেনশনে ভুগছিলেন এবং মানসিক ভারসাম্য সঠিক ছিল না। উনার উপযুক্ত চিকিৎসা দরকার ছিল যেটা হয়নি। তার অনেক কেয়ার দরকার ছিল। আমাদের দেশের বেশীর ভাগ মানুষ মানসিক বিষয় নিয়ে উদাসীন। এখানে পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা সীমাহীন।
বর্তমানে ঢাকাতে এই ধরনের মানসিক সমস্যার অনেক ডাক্তার আছেন।

১৫ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:২৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: উনার কিছু গানের সিডিউল করা হয়েছিলো,
.......................................................................
সুতরাং তিনি স্বাভাবিক কাজকর্ম ও করছিলেন ।
তার কিছু পরে এমন কিছু হয়েছিলো যার কারনে
চুড়ান্ত ডিপ্রেশনে চলে গিয়ে , পরবর্তী ঘটনা ঘটে ।
হয়ত তদন্তর পর তা জানা যাবে ।

৮| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ২৩ মার্চে তাদের বাড়ির ছাদে বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো হয়েছিল - এ থেকেই বোঝা যায় স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য এ পরিবার কতখানি নিবেদিত ছিলেন। কী নিষ্ঠুর ভাবেই না তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছিল! পড়তে পড়তে একদিকে গা শিউরে ওঠে, অন্যদিকে বেদনায় বুক ভেঙে আসে। স্বাধীনতার জন্য এত আত্মত্যাগ, অথচ শহীদজায়া পেলেন না কোনো মূল্যায়ন, সাদি মহম্মদও কোনো স্বীকৃতি পেলেন না। এ কষ্টের কোনো তুলনা হয় না।

তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

১৫ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আপনার এই উপলব্ধির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
.............................................................................
আমাদের এই দেশে সোনার ছেলে চাইনা ,
চাই সত্যি কারের আত্নসম্মান , ত্যাগী ,সৎ রাজনীতি ও
বাস্তববাদী সমাজ ।
যেখানে সাদাকে সাদাই বলবে ,
ক্ষমতার জোরে কালোকে সাদা বানাবে না ।

৯| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:০৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: মহান আল্লাহ উনার মৃত্যু এভাবেই নির্ধারণ করেছেন। জন্ম মৃত্যু বিয়েতে বান্দার কোন হাত নেই।

১৫ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৫৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: তাহলে তো আত্নহত্যা জায়েজ করলেন,
কোন হাদিসে আছে এই কথা ........???

১০| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




আমি আবারো বলছি এই সংগীত শিল্পীর উপযুক্ত কোন চিকিৎসাই হয়নি।
উনার গুরুতর মানসিক সমস্যা ছিল যেটা চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব ছিল।

১৫ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ঊনার মনের দু:খ বেদনা , আর নিজ চোখে দেখা
অমানুষিক নির্যাতন , হত্যা এসবের মানসিক যন্ত্রনা সহ্য করতে পারছিলনা ।
তাই মায়ের বিয়োগ আর কোন ভাবেই ভারসাম্য রাখতে দিলনা ।

১১| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:১৮

কোলড বলেছেন: He was rumored to be closeted and unfortunately suicide is more prevalent among this group of people.

১৫ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমরা তার মনের অমানুষিক যন্ত্রনা বুঝতে পারছিনা ,
তাই এই আত্নত্যাগের র্মম আমরা বুঝনা বা এর প্রতিকার
করতে সমাজ বা রাষ্ট্র এগিয়ে আসবেনা ।

১২| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা আত্মহত্যাই আসলে হত্যা।

১৫ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫১

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ইফতারের পর তানপুরা নিয়ে সংগীত চর্চা করছিলেন।
সংগীত চর্চার একটা সময় দরজা বন্ধ করে দেন।
অনেকক্ষণ বন্ধ দেখে পরিবার দরজা ভেঙে দেখতে পায় সাদী মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ।

১৩| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:১৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: স্বনামধন্য এই গায়ক সেচ্ছায় দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্ত এখন উনি এবং উনার পরিবারকে নিয়ে যে ধরনের টানা হেচরা হচ্ছে সোস্যাল ্মিডিয়ায় তা খুবই দুঃখজনক। একজন বরেন্য শিল্পীকে শ্রদ্ধা করতে আমরা শিখি নাই।

১৫ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫১

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বুধবারও ইফতারের পর তানপুরা নিয়ে সংগীত চর্চা করছিলেন।
আর তারপরই যেন স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে বেছে নেন ।সংগীত চর্চার একটা সময় দরজা বন্ধ করে দেন।
অনেকক্ষণ বন্ধ দেখে পরিবার দরজা ভেঙে দেখতে পায় সাদী মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ।
পরিবারসহ কাছের মানুষদের ধারণা, গত বছর জুলাইতে মায়ের মৃত্যুর শোক সহ্য করতে পারছিলেন না তিনি।
একাকীত্বেও ভুগেছেন ,অনেক অভিমানও জমে ছিল।
এভাবেই ৬৯ বছর বয়সে জীবন থামিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন শিল্পী।

১৪| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আত্মহত্যা মানুষ এমনিতেই করে না। যার জীবনের উপর দিয়ে যায় সেই বুঝে।
যেখানেই থাকুক না কেন, ভালো থাকুন।

১৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: যার জীবনের উপর দিয়ে যায় সেই বুঝে।
.................................................................
এটাই বাস্তবতা ।
অথচ আমাদের অনেক সংস্হা আছে,
যারা নাম কিনতে অভিযান চালায়, সাধারন মানুষের উপর
সরকারী আইন প্রয়োগ করে নির্যাতন চালায় ।
আমাদের ও সোসাল সার্ভিস আছে,
তারা কি পারতনা এই ধরনের সামাজিক ও মানসিক ভয়াবহতার
আওতায় যারা আছে তাদের নিয়ে কাজ করতে ???

১৫| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫৬

মিরোরডডল বলেছেন:




যে কোন মৃত্যু কষ্টের। আর সেটা যদি হয় আত্মহত্যা তাহলে আরও কষ্ট।
স্বাভাবিক মানসিক অবস্থায় কেউ সুইসাইড করেনা।

সেই লেভেলের মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে গেলেই এটা সম্ভব।
যেটা কখনোই কাম্য না।

সাদির এভাবে মৃত্যু অপ্রত্যাশিত!
ভালো থাকুক ওপারে।

১৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সাদির এভাবে মৃত্যু অপ্রত্যাশিত!
........................................................................
উন্নত বিশ্বে এই ধরনের সামাজিক ও মানসিক ভয়াবহতার
প্রে ক্ষি তে কি ব্যবস্হা আছে, জানা থাকলে একটু বলুন !!!

১৬| ১৬ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৩৮

সোহানী বলেছেন: আমরা কখনই কোন গুনীকে সন্মান জানাইনি। আমরা দালাল বাটপার তেলবাজদেরকে মাথায় তুলে নাচি। মুক্তিযুদ্ধ বলে বলে মুখের ফেনা তুলে ফেলি কিন্তু বাস্তবে তাদেরকে অপমান অপদস্থ করতে ব্যাস্ত থাকি।

ধিক্ আমাদের।

১৬ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমরা কখনই কোন গুনীকে সন্মান জানাইনি।
............................................................................
হৃদয়ের অন্তস্হলে এই মনোভাব সাধারন মানুষ জানে ।
প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধকালীন পরিবার এবং আহত, অপমানিত, ক্ষতিগ্রস্হ
কাহারও সঠিক মূল্যায়ন হয় নাই ।
মাঝখান থেকে বহু ভূঁয়া মুক্তিযোদ্ধার নামের ভীড়ে সম্মানিত মুক্তি যোদ্ধারা
ঘৃনা ও দু:খে দূরে লোক চক্ষুর অন্তরালে চলে গেছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.