![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৯০এর গনঅভ্যুথানের পর প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তে আজ অবধি বাংলাদেশে সংসদীয় গনতন্ত্রের সরকারব্যবস্থা চালু রয়েছে । আর সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর হাতেই থাকে দেশের সর্বোময় ক্ষমতা । আর প্রেসিডেন্ট থাকেন আমাদের দেশীয় ভাউরা স্বামীর ন্যায় ক্ষমতাধর অর্থ্যাৎ যিনি প্রধানমন্ত্রীর কথায় উঠেন আর বসেন,বসেন আর উঠেন অর্থ্যাৎ প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার বাইরে একটি কাজও করতে পারেন না । এখন দেখি সংসদীয় গনতন্ত্রীয় সরকার ব্যবস্থা চালুর পর থেকে কারা কারা প্রধানমন্ত্রীর পদ অলংকৃত করেছেন এবং কারা প্রোসিডেন্টের পদ কলংকিত করেছেন । ১৯৯১সন থেকে আজ অবধি তিনবার প্রধানমন্ত্রীর পদ(১৫ই ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনসহ) অলংকৃত করেছেন বেগম খালেদা জিয়া আর দুইবার প্রধানমন্ত্রীর পদ অলংকৃত করেছেন এখনকার প্রধানমন্ত্রী মাননীয়া শেখ হাসিনা। তারপর প্রেসিডেন্টের পদ কলংকিত করেছেন যথাক্রমে সাবেক বিচারপতি সাহাবুদ্দিন,মরহুম আব্দুর রহমান বিশ্বাস,মরহুম ইয়াজউদ্দীন আহমেদ এবং মরহুম জিল্লুর রহমান সাহেব । উপরোক্ত বিশ্লেষন থেকে দেখা যায় যে, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী প্রধানমন্ত্রীর পদ শুধুই নারীরা দখল করে রেখেছেন, আর অন্যদিকে ক্ষমতাহীন তদুপুরি প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় পরিচালিত প্রেসিডেন্ট পদ শুধুমাত্র পুরুষরা দখল করে রেখেছেন । ফলে আজ দেশে ক্রমান্বয়ে পুরুষরা পৌরুষত্বহীন হয়ে পড়ছেন । এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী শতকে সকল পুরুষেরা ঘর কৌন হয়ে যাবে এবং কোন পুরুষকে আর ঘরের বাইরে দেখতে পাওয়া যাবে না । সেই আশংকায় ঘরের নারীরা বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে, কারন তাদেরকে তখন একাধারে সন্তান জন্মদান, লালন-পালন করার পাশাপাশি ঘরের বাইরে গিয়ে আয় রোজগারও করতে হবে । আর অন্যদিকে পুরুষরা শুধু ঘরে বসে রান্না-বান্না করবে ,খাবে, আর ঘুমাবে যেমনটা আমাদের বেদে সমাজে চালু আছে । তাইতো ঘরের নারীরা আজ উঠতে বসতে খোটা দেয় এই বলে যে, দেশে কি কোন পুরুষ মানুষ নাই, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য ? দেশ চালানো কি নারীদের কাজ ? মেয়েদের কাজ হলো রান্না-বান্না করা আর ছেলে-পুলে মানুষ করা সেইসাথে স্বামী-সংসার নিয়ে সুখের তরী বাওয়া । দেশে আজ নারী-পুরুষ সমান অধিকার নিয়ে নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও আন্দোলনে শরিক হচ্ছে অথচ দেশের সর্বোময় ক্ষমতার অধিকারী প্রধানমন্ত্রীর পদ একচেটিয়া নারীরা দখল করে রেখেছে আর রাষ্ট্রপতির গুরুত্বহীন পদে শুধু পুরুষদের বসিয়ে আবার নারী প্রধানমন্ত্রীরই আজ্ঞাবহ করে রেখেছে, যা পুরুষদের জন্য অত্যন্ত অপমানজনকই নয় শুধু, চরম লজ্জাজনকও বটে । তাই আমি আজ জোর দাবী জানাচ্ছি যে, আপনারা নারীরা যদি সত্যি সত্যি পুরুষদের সমান অধিকার চান, তবে সরকারের সর্বোময় ক্ষমতার অধিকারী “প্রধানমন্ত্রীর পদে” শুধুমাত্র পুরুষদেরকে প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান ক্ষমতা বহাল রেখে আগামী পাঁচবারের জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচিত করার জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীকে নিশ্চিত করার জন্য বলুন । আর যদি আগামী পাঁচটি জাতীয় সংসদীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পুরুষদের নির্বাচন নিশ্চিত করতে না পারেন, তবে নারী-পুরুষ সমান অধিকার আন্দোলন পরিত্যাগ করুন । আর সকল পুরুষ ভাইদের বলব যে, নারীরা যদি আমার এই দাবী মানার ব্যবস্থা করতে না পারে, তবে কোন পুরুষকেই যেন নারীদের সমঅধিকার আন্দোলনে সমর্থন দিতে না দেখি, এটা একজন পুরুষ মানুষ হিসাবে সকল পুরুষ ভাইদের নিকট আমার জোর দাবী । কারন, নারীরা যদি সরকার পরিচালনার সর্বোচ্চ পদে পুরুষদের সমঅধিকার না দিতে পারে, তবে কেন পুরুষরা নারীদের সমঅধিকারের জন্য আন্দোলন করবে, যদিও সংসদের শতকরা ৮০শতাংশ সংসদ সদস্যই পুরুষ এবং রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে ও সক্রিয় রাজনীতিতে পুরুষদের অংশ গ্রহন প্রায় ৯৫শতাংশ ?
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
জেরিফ বিন্ আমির বলেছেন:
ভাই ভালোই বলেছেন। নারীরা দেশ চালায় বলেই আজকে আমাদের দেশের এই অবস্থা। খারাপ শোনালেও কথাটা সত্য।