নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অাসাদ

"প্রচার কর, যদি একটি মাত্র আয়াতও হয়"

provat

http://www.facebook.com/asad.rahman.7906

provat › বিস্তারিত পোস্টঃ

যানজট সমস্যার একমাত্র সমাধান হইল:- রাস্তায় গাড়ীর বাধাহীন চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি করা

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

যানজট সমস্যার একমাত্র সমাধান হইল:- রাস্তায় গাড়ীর বাধাহীন চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি করা অর্থ্যা কোনভাবেই রাস্তায় গাড়ীর চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করা যাবে না । যেমন ধরুন -যাত্রাবাড়ি থেকে গাবতলী বা উত্তরা যেতে যথাক্রমে ১০বার বা ১৫বার ট্রাফিক সিগনালে থামতে হয়, ফলে এই সকল সিগনাল পয়েন্টেই গাড়ীগুলি যানজটে আটকে যায় । কিন্ত যদি যাত্রাবাড়ি থেকে গাবতলী বা উত্তরা যেতে কোথাও গাড়ীগুলিকে থামতে না হতো, তবে কি গাড়ীগুলি যানজটের কবলে পড়তো ? অবশ্যই না । যাত্রাবাড়ি থেকে গাবতলী বা উত্তরা যেতে কোথাও গাড়ীগুলিকে থামতে হবে না-এমনই একটি পদ্ধতি আমি বের করেছি, যা খুব সহজেই বাস্তবায়ন করা যাবে এবং তা খুব অল্প সময়ে ও অল্প খরচেই বাস্তবায়যোগ্য । আমার বের করা যানজট নিরসনের এই পদ্ধতিটি দুইটি উপায়ের সমন্বয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে । একটি হলো ওয়ানওয়ে পদ্ধতি এবং অপরটি হলো ওভারপাস পদ্ধতি । ঢাকা শহরের প্রায় অর্ধেক এলাকার যানজট ওয়ানওয়ে পদ্ধতিতে এবং বাকী অর্ধেক ওভারপাস পদ্ধতিতে নিরসন করা যাবে ।



নিন্মে ওয়ানওয়ে পদ্ধতিতে নগরীর কেন্দ্রস্থলের একটি অতিগুরুত্বপূর্ন অথচ প্রবল যানজট প্রবন এলাকার যানজট নিরসনের পরিকল্পনার রোডম্যাপের নকশার মডেল উপস্থাপন করা হইল । এই মডেলটি চ্যানেল আইয়ের 'ট্রাফিক সিগনাল' নামক অনুষ্ঠানে (যা প্রচারিত হয় প্রতি শনিবার সন্ধা ৬টা ২০মিনিটে) আমার সাক্ষাতকারসহ খুব শীঘ্রই প্রচারিত হইবে ।



প্রধানমন্ত্রীর অফিস হতে ফার্মগেইট, খামারবাড়ি,বিমানচত্বর ও আইডিবি ভবন হয়ে আবার ধানমন্ত্রীর অফিস পর্যন্ত রাস্তার যানজট নিরসন হবে নিন্মোক্ত উপায়ে-



তেজগাঁও প্রধানমন্ত্রীর ক‍ার্যালয়ের সামনে থেকে ফার্মগেইট, খামারবাড়ি ও বিজয়স্মরনী এলাকার ক্রসিংপয়েন্টগুলিতে অসহনীয় যানজট এখন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। এক মিনিটের পথ যেন মাঝে মাঝে একঘন্টায়ও ফুরায় না। কোন কিছুই করার নেই যেন আমাদের যোগাযোগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়সমূহের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাব্যক্তিদের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মহানগরীর তথা রাজধানীর কেন্দ্রস্থলের যানজট নিরসনের জন্য। উচ্চপদস্থ এই সকল কর্তাব্যক্তিরা নিজেরা তো কিছুই করতে পারে না, আবার কেউ ভালো পরামর্শ দিলে তাও গ্রহন করে না, পাছে নিজেদের‍ যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এই ভয়ে। ফলে আমাদের অতি সহজে সমাধানযোগ্য সমস্যাগুলিরও আর কোন সমাধান হয় না বছরের পর বছর ধরে। ঢাকা মহানগরীর যানজট সমস্যাও এমনি একটি সহজে সমাধান যোগ্য একটি সমস্যা কিন্তু ওই সকল কর্মকর্তাদের কারনে মনে হয় এই সমস্যার কোনই সমাধান নাই। সমগ্র ঢাকা মহানগরীর যানজট সমস্যার সহজ সমাধান নিয়া দীর্ঘদিন দৌঁড়ঝাপ করে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাব্যক্তিদের মনগলাতে ব্যর্থ হয়ে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে অবশেষে স্পট বাই স্পট যানজট কবলিত এলাকাগুলির যানজট নিরসনের কৌশলগুলি ধারাবাহিকভাবে ব্লগে লিখে সকলকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে আজ বিজয়স্মরনী ও ফার্মগেইট এলাকার‍ যানজট নিরসনের আমার প্রস্তাবটি তুলে ধরলাম। অত্র এলাকার যানজট নিরসনের জন্য বড় কোন অবকাঠামো, যেমন ফ্লাইওভার নির্মানের কোন প্রয়োজন নাই । শুধুমাত্র অত্র এলাকার রাস্তাগুলিকে ওয়ানওয়ে রাস্তায় রূপান্তর করেই এই এলাকার যানজট পুরাপুরি নিরসন করা সম্ভব বলে আমি অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি । আমার প্রস্তাবিত এই ওয়ানওয়ে রাস্তাটি হবে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে সোজা দক্ষিণে ফার্মগেইট পর্যন্ত, তারপর ফার্মগেইট হইতে খামারবাড়ি পর্যন্ত, তারপর খামারবাড়ি হইতে সোজা উত্তরে আইডিবি ভবন সংলগ্ন চৌরাস্তা পর্যন্ত, আবার সেই চৌরাস্তা হইতে পুরাতন বিমান বন্দরের ভিতর দিয়ে যাওয়া নুতন রাস্তাটির শেষপ্রান্ত পর্যন্ত অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গিয়ে এই ওয়ানওয়ে রাস্তাটি শেষ হবে । বিজয়স্মরনীর বিমান চত্বর থেকে বিলুপ্ত র‌্যাংগসভবন সংলগ্ন স্বাধীনতা চত্বর পর্যন্ত রাস্তাটি হবে টু ওয়ে পদ্ধতির সংযোগ সড়ক। উপরে বর্নিত ওয়ানওয়ে রাস্তার মাঝখানের সকল ডিভাইডার ও লাইটপোষ্টগুলি অবশ্যই সম্পূর্নরূপে সরিয়ে ফেলতে হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু কিছু রাস্তায় আবার বিশেষ ধরনের ডিভাইডার পুন:নির্মাণ করতে হবে। এখন আসি এই ওয়ানওয়ে রাস্তাটি দিয়ে কিভাবে গাড়িগুলি চলাচল করবে সেই বর্নণায় । ওয়ানওয়ে রাস্তাটির বর্ননা‍ যেখান থেকে শুরু করেছিলাম, গাড়ির চলাচলের বর্ননাও সেইখান থেকে শুরু করলাম‍, যথা-মহাখালীর দিক থেকে আসা গাড়িগুলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে দিয়া দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়ে বিলুপ্ত র‌্যাংগসভবন মোড়ে এসে তিনভাগ হয়ে প্রথমভাগ বামদিকে টার্ন নিয়ে ওভারপাস দিয়ে সোজা নাবিস্কোর দিকে চলে যাবে, দ্বিতীয়ভাগ ডানদিকে টার্ন নিয়ে বিজয়স্মরনী রাস্তার উত্তরাংশ দিয়া চীনমৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পূর্বদিকের রাস্তা হয়ে আগারগাও ও মিরপুর-১০ এর দিকে চলে যাবে এবং তৃতীয়ভাগ বিজয়স্মরনী রাস্তার দক্ষিণাংশ দিয়ে মনিপুরীপাড়ার দিক থেকে আসা ও নাবিস্কোর দিক থেকে ওভারপাসের ওপর দিয়ে আসা গাড়িগুলির সাথে মিশে সোজা ফার্মগেইটের দিকে চলে‍ যাবে। ফার্মগেইটের কাছে এসে পাটগবেষনা কেন্দ্রের সামনে গাড়িগুলি আবার তিনভাগে বিভক্তহয়ে প্রথমভাগ বামদিকের রাস্তা দিয়া হলিক্রস কলেজের দিকে যাবে, দ্বিতীয়ভাগ পুলিশবক্সের সামনে দিয়া ডানদিকে টার্ন নিয়ে কাওরানবাজার-গ্রীনরোডের দিক থেকে আসা মিরপুরগামী গাড়িগুলির সাথে মিশে পার্কের উত্তরাংশের রাস্তাদিয়া খামারবাড়ির দিকে চলে যাবে। তৃতীয়ভাগ হলিক্রস কলেজের দিক থেকে আসা গাড়ির সাথে মিশে সোজা কাওরানবাজারের দিকে চলে যাবে এবং এদের মধ্য থেকে আবার কিছু গাড়ি ফার্মগেইট পানিরপাম্পের দক্ষিণপাশ দিয়া ইউ টার্ন করে ফার্মগেইট ফুটওভারব্রীজের দিকে আসবে । তারপর ফুটওভার ব্রীজের নীচ থেকে গাড়িগুলি দুইভাগ হয়ে প্রথমভাগ পার্কের দক্ষিনদিকের রাস্তা দিয়া মানিকমিয়া এভিনিউ হইয়া সোজা আড়ং এর দিকে চলে যাবে, দ্বিতীয়ভাগ বিলুপ্ত র‌্যাংগসভবন মোড়ের দিক থেকে আসা গাড়ির সাথে মিশে পার্কের উত্তরদিকের রাস্তা দিয়া খামারবাড়ির পশ্চিমপ্রান্তে গিয়ে আবার দুইভাগ হয়ে প্রথমভাগ সোজা মানিকমিয়া এভিনিউ হয়ে আড়ং এর দিকে চলে যাবে, দ্বিতীয়ভাগ আড়ং এর দিক থেকে মানিকমিয়া এভিনিউ হয়ে আসা গাড়ির সাথে মিশে ডানদিকে টার্ন নিয়ে সংসদভবন ও মনিপুরীপাড়ার মাঝখানের রাস্তাদিয়া সোজা উত্তরদিকে ক্রিসেন্টরোড-বিমানচত্বর মোড়ের দিকে চলে যাবে । মনীপুরীপাড়ার উত্তর প্রান্তের বিমানচত্বর ক্রসিং এ এসে গাড়িগুলি আবার তিনভাগে বিভক্ত হয়ে প্রথমভাগ বামদিকে টার্ন নিয়ে ক্রিসেন্ট রোডে ঢুকে সোজা পশ্চিমদিকে জিয়ার মাজারের দিকে চলে যাবে, দ্বিতীয়ভাগ ডানদিকে টার্ন নিয়ে বিজয়স্মরনী রাস্তার দক্ষিনাংশ দিয়া বিলুপ্ত র‌্যাংগসভবন মোড়ে এসে আবার ডানদিকে টার্ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কা‍র্যালয়ের দিক ও নাবিস্কোর দিক থেকে ওভারপাসের উপর দিয়ে আসা গাড়িগুলির সাথে মিশে সোজা ফার্মগেইটের দিকে চলে‍ যাবে এবং তৃতীয়ভাগ ক্রিসেন্ট রোড হইতে আসা ও র‌্যাংগসভবন মোড় থেকে বিজয়স্মরনী রাস্তার উত্তরাংশ দিয়ে আসা গাড়িগুলির সাথে মিশে সোজা আগারগাঁ এর দিকে অগ্রসর হবে । আগারগাঁর দিকে অগ্রসরমান গাড়িগুলি থেকে মহাখালীগামী গাড়িগুলি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এসে ইউ টার্ন করে মিরপুর-শ্যামলীর দিক থেকে আসা গাড়িগুলির সাথে মিশে পুরাতন বিমানবন্দরের ভিতরের রাস্তা দিয়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে এসে আবার দুইভাগ হয়ে‍ যাবে । প্রথমভাগ বামদিকে টার্ন নিয়ে জাহাংগীর গেইট হয়ে মহাখালীর দিকে চলে‍ যাবে, আর দ্বিতীয়ভাগ ডানদিকে টার্ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দক্ষিণ প্রান্তে মহাখালীর দিক থেকে আসা গাড়িগুলির সাথে মিশে র‌্যাংগসভবন মোড়ের দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্বের বর্ননা অন‍ুযায়ী তিনভাগে বিভক্ত হয়ে তিনদিকে চলে যাবে । আমার বর্ননা অন‍ুযায়ী‍ যদি রাস্তাটিকে ওয়ানওয়ে রাস্তায় রুপান্তর করা হয়, তবে এই এলাকার রাস্তার কোন ক্রসিংপয়েন্টেই আর ট্রাফিক সিগন্যালের মাধ্যমে গাড়ি নিয়ন্ত্রনের প্রয়োজন হবে না এবং গাড়িগুলি চলবে বাধাহীনভাবে, যেমনটা চলে ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে । ফলে এই এলাকার রাস্তাগুলি দিয়ে সম্পূর্ন যানজটমুক্তভাবে গাড়িগুলি চলাচল করতে সক্ষম হবে । অত্যন্ত অল্প সময়ে ও স্বল্প ব্যয়ে এই ওয়ানওয়ে রাস্তাটি বাস্তবায়ন করে অত্র এলাকার যানজট দূর করা সম্ভব বিধায় মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি ।



মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫১

মোরশেদ পারভেজ বলেছেন: inspiring.

আমি জানি ( বিশ্বাস করি) আগামী কয়েক বছর পর ঢাকায় যানজট হবে ইতিহাস; আপনার কাজ আমার বিশ্বাস বাড়িয়ে তুলল।

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

আরিফ আহমেদ বলেছেন: Great, Great job! Go Forward!

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৫

আরিফ আহমেদ বলেছেন: পোস্ট স্টিকি করা হোক

৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

ছাসা ডোনার বলেছেন: আমি যতটুকু দেখেছি তাতে আমার মনে হয় জানজটের আসল কারন হলো বাসগুলোর স্টপেজে না দাঁড়ানো( সারা রাস্তায়, এমনকি রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠায়/নামায়)। তা ছাড়া রাস্তার দুইপাশে অবৈধ দখল করে দোকানপাট দেওয়াতে প্রথম লাইনে কোন গাড়ী চলতেও পারে না বা থামতেও পারে না,তাই রাস্তা হয়ে যায় সংকীর্ন।পিছনের গাড়ীর দাঁড়ানোর দরকার না হলেও দাঁড়াতে হয়,এতেই জানজটের শুরু হয়।ঢাকার চারপাশে যে বেরীবাঁধ আছে যদি তার উপরদিয়ে চারলাইন করে রাস্তা(রিংরোড) তৈরী করা হয় তাহলে সেন্টারে জানজট কমে যাবে। যেমন সদরঘাট থেকে যাদের মিরপুর যাওয়ার দরকার তারা সেন্টার দিয়ে না গিয়ে বেরীবাঁধের (রিংরোড) উপর দিয়েই যাবে। একই ভাবে অন্যান্য এলাকার মানুষও তাই করবে।

৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: হুম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.