![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
**ইসলামী রাষ্ট্রের শাসক হিসেবে হযরত ওমর (রাঃ)
এর কিছু বিখ্যাত উক্তিগুলো দেয়া হলঃ
❥ তোমাদের শাসক হিসেবে আমি হলাম সে ব্যক্তির মত,
যেমন কিছু লোক একত্রে সফর করার সময় টাকা-পয়সাগুলো একজনের হাতে জমা দিয়ে বলে যে- তোমাকে আমাদের প্রয়োজনাদি মেটানোর দায়িত্ব দেওয়া হলো। দায়িত্বপ্রাপ্ত সে ব্যক্তির কি খরচের ব্যাপারে তারতম্য করার সু্যোগ আছে? তেমনি খিলাফতের দায়িত্ব
পালনের ক্ষেত্রেও কারও প্রতি তারতম্য করার অধিকার আমার নেই।
❥ আল্লাহর শপথ করে বলছি- আমি বাদশাহ নই যে,
জনগনকে গোলাম বানিয়ে রাখব। আমি আল্লাহর একজন বান্দা মাত্র। আমাকে শাসনকার্য পরিচালনার দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়েছে।
এটি একটি আমানত, আমার দায়িত্ব হল জনগনের সুখ-শান্তি ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা । যদি এ দায়িত্ব ঠিকমত পালন করতে পারি,
তবেই আমার কৃতকার্যতা। আর যদি আমি শাসন কর্তৃত্বকে নিজের ইচ্ছাধীন করে নিই এবং জনগনকে তাদের প্রয়োজনের জন্য আমার পেছনে হাঁটাহাঁটি করতে বাধ্য করি, তবে আমার ফলশ্রুতি হবে জঘণ্য।
❥ দূরবর্তী নদীতীরে চর্মরোগগ্রস্ত একটি ছাগী যদি মালিশ করার মত একটু তেলের অভাবে কষ্ট পায়, তবে হাশরের দিন সে সম্পর্কেও রাষ্ট্রপ্রধানকে আল্লাহর কাছে জবাবদীহি করতে হবে।
❥ কোন ব্যক্তি যদি ঋণ পরিশোধ করতে অপারগ হয়ে পড়ে, তবে সে ঋণ পরিশোধ করার দায়িত্ব সরকারী কোষাগারকে বহন করতে হবে।
❥ বাকিতে ক্রয় করে যে পোষ্যপালন করেছে,
সে ব্যক্তি যদি ধনবান ও অপরাধী না হয়ে থাকে,
তবে তার সে ধার সরকারী কোষাগার থেকে পরিশোধ করে দাও।
❥ কারও কোন প্রয়োজন থাকলে আমার কাছে এসো।
আল্লাহ আমাকে তোমাদের সকলের কোষাগারের
রক্ষক ও বণ্টনকারী বানিয়েছেন।
❥ রাষ্ট্রের কোষাগারে যা আছে, তা জনগনের আমানত
এবং তাদের কল্যানের জন্যই সঞ্চিত। যে পর্যন্ত জনগণের
প্রয়োজন পূর্ণ না হবে, সে পর্যন্ত আমাদেরকে খরচ করতে হবে।
যদি কোষাগার শূন্য হয়ে যায়, তবে কষ্টের জীবন সকলে
মিলে ভাগ করে নেব।
❥ শাসকরা যখন বিগড়ে যায় তখন জনগনও বিগড়াতে শুরু করে। সর্বাপেক্ষা ইতর সে ব্যক্তি যার প্রভাবে তার অধীনস্থদের মধ্যে অনাচার বিস্তার লাভ করে।
❥ যে তোমার সামনে দোষ ধরে সেই প্রকৃত বন্ধু,
আর যে সামনে প্রশংসা করে সেই শত্রু ।
❥ যে আমার দোষ দেখে অনুগ্রহ করে তা আমাকে জানায়
তাঁর প্রতি আল্লাহর করুণা অশেষ ধারায় বর্ষিত হোক।
তথ্য সূত্র- "বিশ্বনবী (সাঃ) ও চার খলিফার জীবনী"মূল লেখকঃ
আল্লামা তালিবুল হাশেমী অনুবাদঃ মরহুম হাফেজ মুফতী মোহাম্মদ নূর উদ্দিন এর বই থেকে নেয়া হয়েছে
►► “শাসক হিসেবে ওমর (রাঃ) এর কিছু বিখ্যাত উক্তি” ======================= **ইসলামী রাষ্ট্রের শাসক হিসেবে হযরত ওমর (রাঃ) এর কিছু বিখ্যাত উক্তিগুলো দেয়া হলঃ ❥ তোমাদের শাসক হিসেবে আমি হলাম সে ব্যক্তির মত, যেমন কিছু লোক একত্রে সফর করার সময় টাকা-পয়সাগুলো একজনের হাতে জমা দিয়ে বলে যে- তোমাকে আমাদের প্রয়োজনাদি মেটানোর দায়িত্ব দেওয়া হলো। দায়িত্বপ্রাপ্ত সে ব্যক্তির কি খরচের ব্যাপারে তারতম্য করার সু্যোগ আছে? তেমনি খিলাফতের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও কারও প্রতি তারতম্য করার অধিকার আমার নেই। ❥ আল্লাহর শপথ করে বলছি- আমি বাদশাহ নই যে, জনগনকে গোলাম বানিয়ে রাখব। আমি আল্লাহর একজন বান্দা মাত্র। আমাকে শাসনকার্য পরিচালনার দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়েছে। এটি একটি আমানত, আমার দায়িত্ব হল জনগনের সুখ-শান্তি ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা । যদি এ দায়িত্ব ঠিকমত পালন করতে পারি, তবেই আমার কৃতকার্যতা। আর যদি আমি শাসন কর্তৃত্বকে নিজের ইচ্ছাধীন করে নিই এবং জনগনকে তাদের প্রয়োজনের জন্য আমার পেছনে হাঁটাহাঁটি করতে বাধ্য করি, তবে আমার ফলশ্রুতি হবে জঘণ্য। ❥ দূরবর্তী নদীতীরে চর্মরোগগ্রস্ত একটি ছাগী যদি মালিশ করার মত একটু তেলের অভাবে কষ্ট পায়, তবে হাশরের দিন সে সম্পর্কেও রাষ্ট্রপ্রধানকে আল্লাহর কাছে জবাবদীহি করতে হবে। ❥ কোন ব্যক্তি যদি ঋণ পরিশোধ করতে অপারগ হয়ে পড়ে, তবে সে ঋণ পরিশোধ করার দায়িত্ব সরকারী কোষাগারকে বহন করতে হবে। ❥ বাকিতে ক্রয় করে যে পোষ্যপালন করেছে, সে ব্যক্তি যদি ধনবান ও অপরাধী না হয়ে থাকে, তবে তার সে ধার সরকারী কোষাগার থেকে পরিশোধ করে দাও। ❥ কারও কোন প্রয়োজন থাকলে আমার কাছে এসো। আল্লাহ আমাকে তোমাদের সকলের কোষাগারের রক্ষক ও বণ্টনকারী বানিয়েছেন। ❥ রাষ্ট্রের কোষাগারে যা আছে, তা জনগনের আমানত এবং তাদের কল্যানের জন্যই সঞ্চিত। যে পর্যন্ত জনগণের প্রয়োজন পূর্ণ না হবে, সে পর্যন্ত আমাদেরকে খরচ করতে হবে। যদি কোষাগার শূন্য হয়ে যায়, তবে কষ্টের জীবন সকলে মিলে ভাগ করে নেব। ❥ শাসকরা যখন বিগড়ে যায় তখন জনগনও বিগড়াতে শুরু করে। সর্বাপেক্ষা ইতর সে ব্যক্তি যার প্রভাবে তার অধীনস্থদের মধ্যে অনাচার বিস্তার লাভ করে। ❥ যে তোমার সামনে দোষ ধরে সেই প্রকৃত বন্ধু, আর যে সামনে প্রশংসা করে সেই শত্রু । ❥ যে আমার দোষ দেখে অনুগ্রহ করে তা আমাকে জানায় তাঁর প্রতি আল্লাহর করুণা অশেষ ধারায় বর্ষিত হোক। তথ্য সূত্র- "বিশ্বনবী (সাঃ) ও চার খলিফার জীবনী"মূল লেখকঃ আল্লামা তালিবুল হাশেমী অনুবাদঃ মরহুম হাফেজ মুফতী মোহাম্মদ নূর উদ্দিন এর বই থেকে নেয়া হয়েছে
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭
আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: পড়ি আর আফসোস করি...........
আমরা কোন জামানায় আছি!!!