![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকাল ১৫ই ডিসেম্বর ৪৩তম বিজয় দিবসের কয়েক ঘন্টা পূর্বে একুশে টিভির সংবাদ দেখার সময় একটি প্রতিবেদনে চোখ আটকে গেল আমার । প্রতিবেদনে দেখাচ্ছে যে, একজন ৫০ছুই ছুই বয়সের লোক, কখনও ঠেলাগাড়ি ঠেলছে, কখনও বা ক্ষেতে খামারে শ্রমিকের কাজ করছে, আর উপস্থাপক বর্ননা করছেন যে, বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছেলে জীবিকা নির্বাহ করছে ঠেলাগড়ি ঠেলে বা পরের জমিতে কৃষি শ্রমিক হিসাবে কাজ করে । সুতরাং পাঠকেরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাতজন বীর শ্রেষ্ঠর একজন হলো বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন । আর বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছেলে ঠেলাগাড়ি ঠেলে ও পরের জমিতে দিনমজুরী করে জীবিকা নির্বাহ করছে । জাতি কি প্রতিদানই দিল স্বাধীনতার বীর শ্রেষ্ঠদের ! একজন বীর শ্রেষ্ঠের প্রতি জাতির প্রতিদান যদি হয় এইরুপ, তাহলে বীরহীন লাখো লাখো শহীদদের প্রতি জাতির প্রতিদানের নমুনা কিরুপ হতে পারে, নিশ্চয়ই আর ব্যাখ্যা করে বলার প্রয়োজন আছে কি ? কিন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দাবীকারীদের, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেরুপ উচ্চকন্ঠিত দেখা যায়, তাতে মনে হয় মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের চেয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীরাই স্বাধীনতার সুফল ভোগের সবচেয়ে বড় দাবীদার এবং তারা একচেটিয়া ভোগও করছেন কোনরকম রাখঢাক না রেখেই । বীর শ্রেষ্ঠেদের জন্য কিছু স্মৃতি যাদুঘর আর কবরখানা পাকা হওয়াই মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদানের বিনিময়ে শ্রেষ্ঠ পাওয়া । এই সকল স্মৃতি যাদুঘরই হলো বীর শহীদদের রেখে যাওয়া পরিবার পরিজনদের কাছে একমাত্র শান্তনা । মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের জন্য সবচেয়ে লজ্জার আর অপমানের ব্যাপার হলো যে, স্বাধীনতার পরের এই ৪৩ বছর সময়ের মধ্যেও স্বাধীনতা যুদ্ধে, বীর শহীদদের একটি পূর্নাংগ তালিকা সরকারের পক্ষে করা সম্ভব হলো না । প্রকৃতপক্ষে ১৯৭১সালের স্বাধীনতা সংগ্রামে কতজন লোক জীবন দিল, তার সঠিক সংখ্যাও কেউ বলতে পারবে না । কোন দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিল, এই সকল বীর শহীদেরা, একবার ভেবে দেখুন তো ! অথচ এই সকল বীর শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা বা যাওয়ার জন্য আমাদের বিবেকহীন ,স্বার্থপর, প্রচন্ড ক্ষমতালিপসু রাজনীতিবিদেরা কি নির্দয় আর পাষন্ড আচরনটাই না করে চলেছে দিনের পর দ, এই দেশের, ঐ সকল জনগনের সাথে, যাদের অসীম ত্যাগ আর তিতীক্ষার বিনিময়ে আমরা পেয়েছি বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রটি ।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩০
provat বলেছেন: হা, পারেন ।
২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫১
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: স্বাধীনতা খালেদা, মীর কাশিম, হাসিনা, ফারুক, ফালু, সালমান, ওরি্যনদের জন্য; এবং এজন্য ডামী তাজুদ্দিন দায়ী: মুক্তিযোদ্ধাদের খালি হাতে বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়ে ফাকিং পাকি প্রশাসনের লোক দ্বারা বাংলাদেশ চালায়েছে।
৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫১
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়েছে ত কি হয়েছে , তার বাপই সম্মান পাইনি সে কেন পাবে? তার বাপ দেশ স্বাধিন করে করেছিল পাপ সে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে করেছে মহাপাপ।
৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
উড়োজাহাজ বলেছেন: যাউকগা, শেষ পর্যন্ত চুরি তো করেনি। আমাদের নেতারা কিন্তু চুরি করছেন।
৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০১
মোঃ শিলন রেজা বলেছেন: বিষয়টা খুবই মর্মস্পর্শী। টিভিতে যখন প্রতিবেদনটা দেখলাম তখন চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। সরকার জোর গলায় তাদের মিথ্যা গালগল্প প্রচার করে কিন্তূ মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবন বাজি রেখে গেরিলা মিশন চালিয়ে দেশ স্বাধীন করেছ তাদের সঠিক মূল্যায়ন কোন সরকারই করেনি।
৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২০
আসিফ মাহমুদ বলেছেন: কারো কাছে সংবাদের ফুটেজটি আছে কি ?
৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৬
মেমননীয় বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে যারা নিহত হয়েছেন তারা কিছুই পাননি।
যদিও দেশটা তারা প্রানের বিনিময়ে অর্জন করে দিয়েছিলেন।
যারা জীবিত ছিলেন তারা বা তাদের উত্তরশুরিরা অনেক কিছু দেশের কাছ থেকে নিয়েছেন বা পেয়েছেন।
৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৩
মামুinসামু বলেছেন: সামুতে এই নিয়ে আরেকটি পোষ্ট ছিল।
৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৪
ভোরের সূর্য বলেছেন: আমরা গরীব দেশ। খুব বেশী কিছু করার ক্ষমতা আমাদের নাই। কিন্তু এর পরেও শহীদ মুক্তি যোদ্ধাদের জন্য যা করা হচ্ছে তা একদম ফেলে দেয়ার মত নয়।
বীর শ্রেষ্ঠদের প্রতি মাসে ১২০০০টাকা করে সম্মানী দেয়া হয়।রেশন দেয়া হয়। তাছারা সরকারী,আধাসরকারী,স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান,সন্তানের পর নাতি নাতনীদের জন্যও কোটা আছে এবং বেশ ভাল পরিমাণের কোটা।কিছুদিন আগেও বিসিএস এর কোটা নিয়ে বেশ আন্দোলন হয়ে গেল। এখন কথা হচ্ছে যে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান কিংবা তাদের নাতি নাতনীদের মিনিমাম ঐ কোটার যোগ্যতা অর্জন তো করতে হবে। অনেক গরীব মানুষ চেষ্টা করে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা কিন্তু সরকারের দ্বায়ীত্ব না যে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান কে স্কুলে ভর্তি করে দেয়া।আজকে দেখুন যাদের বাবা বা নানা,দাদারা যুদ্ধ করেনি তাদের কি এই সুযোগগুলো আছে?নাই।আসলে ভাই নিজেদেরও ইচ্ছা এবং তাগিদ থাকতে হবে।
সরাসরি যারা যুদ্ধ করেছেন মানে মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ এরকম দিনমজুরী করলে সেটা আসলেই খারাপ এবং অবশ্যই তাদেরকে সাহায্য করা উচিৎ কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং বংশ পরম্পরায় নাতি নাতনীরা কে কি করবে এতদূর পর্যন্ত দেখা বা দায়িত্বনেয়া কিন্তু কাজের কথা নয়। তার পরেও কিন্তু সরকার ৩জেনারেশন মানে মুক্তিযোদ্ধা+মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান+মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানের জন্য সবধরনের চাকরিতে কোটা রেখেছে।আমরা সবাই জানি যে এই চাকরির বাজারে কোটার কি মূল্য এবং কি বিরাট একটি সুবিধা।এই সুবিধাগুলো কিন্তু শুধুমাত্র দেড় লাখ থেকে দুইলাখ মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবার রা পাচ্ছে। সাধারণরা পাচ্ছেনা।
মোদ্দা কথা হল সরকার হয়তো খুব বেশি কিছু করতে পারছে না।দেশের সামর্থ্য অনূযায়ী চেষ্টা করছে কিন্তু সাথে সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং তাদের নাতি নাতনীদেরো নিজেদের চেষ্টা করতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২০
আসিফ মাহমুদ বলেছেন: স্বাধীনতা কাদের জন্য ? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আসলেই কি ছিল ? খুব জানতে ইচ্ছে করে। ভাই আপনার এই ব্লগটি কি আমি ফেসবুক এ শেয়ার করতে পারি ?