নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অাসাদ

"প্রচার কর, যদি একটি মাত্র আয়াতও হয়"

provat

http://www.facebook.com/asad.rahman.7906

provat › বিস্তারিত পোস্টঃ

"সরকারীদল আওয়ামীলীগ কেন গনঅভ্যুথানের মাধ্যমে নিজেদের প্রস্থান প্রত্যাশা করে ?"

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা যে এখনও শেষ হয়ে যায়নি, তা বর্তমান সরকারই দশম জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমান করে দিয়েছে ইতিমধ্যে । বর্তমান সরকারীদল আওয়ামীলীগই নিজেদেরকে গনতন্ত্রের ধারক ও বাহক হিসাবে প্রতিনিয়ত জাহির করে বেড়ায়, অথচ এই আওয়ামীলীগই ১৯৭৫সালে একবার একদলীয় বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে গনতন্ত্রের কবর রচনা করেছিল। আবার এই আওয়ামীলীগই জনগনের ভোটের অধিকার, জনগনের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে, সংবিধান থেকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা উঠিয়ে দিয়ে প্রকারান্তরে শুধু জনগনের ভোটের অধিকারই কেড়ে নেয়নি, সেই সাথে বিরোধীদলগুলির নির্বাচনে আসার পথও রুদ্ধ করে দিয়েছে । এইখানেই ক্ষান্ত থাকেনি বর্তমান সরকারীদল আওয়ামীলীগ । দলীয় সরকারের পরিবর্তে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে, নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবীতে আন্দোলনরত বিরোধীদলকে দমাতে এমন কোন পন্থা নেই যে, সরকারীদল আওয়ামীগ গ্রহন করেনি । এমনকি মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের মতো অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়কেও তারা ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে চলেছে- নির্দলীয়,নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবীতে চলমান আন্দোলনকে ঠেকাতে । কিন্ত এই নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন গুলিই কেবল, স্বাধীনতার পরে সবচেয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার স্বীকৃতি পেয়েছে- সর্বসাধারন থেকে দেশে-বিদেশের সর্বমহলে এবং এই সকল নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারগুলিই পেরেছে কেবল তাদের পূর্ন মেয়াদকাল পূরন করতে, যা অতীতের কোন দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার পারেনি । সুতরাং নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক সর্বমহলে । তাছাড়া, বর্তমান সরকারীদলও যদি কোন দিন বিরোধীদলে যায়, তবে তখন তাদেরও প্রয়োজন হবে আবার এই নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা । জনগন না চাইলে, বাংলাদেশের কোনদলের পক্ষেই আজীবন ক্ষমতায় থাকা একটা আকাশ কুসুম কল্পনা ছাড়া আর কিছুই না, যা বংগবন্ধু শেখ মুজিবই, তার জীবদ্দশায় প্রমান করে গেছেন । বিরোধীদলের আন্দোলনকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আখ্যা দিয়ে, জনসমর্থন নাই বলে যা খুশী বললে বা করলে কিন্ত বাস্তবতাকেই অস্বীকার করা হবে মাত্র । মনে রাখতে হবে যে, "যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রু পক্ষকে দূর্বল মনে করা, বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয় ।" আর একটি কথা মনে করিয়ে দেই যে, "হাতি গর্তে পড়লে কিন্ত চামচিকাও লাথি মারে ।" বর্তমানে সরকার বিরোধীদলের প্রতি দমন-পীড়নের নামে যে পোড়া-মাটির নীতি গ্রহন করেছে,তা থেকে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে যে, জনগনের সমর্থন নিয়ে, বর্তমান সরকারের পক্ষে পূনরায় ক্ষমতায় আসা বা ক্ষমতায় থাকা একেবারে অসম্ভব । কিন্ত জনগনের সমর্থন ব্যতীত, অন্য কোন উপায়ে ক্ষমতায় আসার বা ক্ষমতায় থাকার চিন্তা করা, আওয়ামীলীগের জন্য মারাত্মক বিপর্যয় নিয়ে আসবে, এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই । তাই আমি বলব যে, বিরোধীদলের সাথে জনগন নাই, বিরোধীদল গনঅভ্যুথান সৃষ্টি করতে পারবে না, এই ধারনা নিয়ে যদি সরকারীদল, তাদের বর্তমান দমন-পীড়ন নীতির মাধ্যমে বিরোধীদলকে দমন করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখে,তবে এর জন্য যে কি পরিমান চড়া মূল্য দিতে হবে, তা বোধ হয় কেউ কল্পনাও করতে পারছে না, যেমনটা পারেনি বংগবন্ধু স্বয়ং । তাছাড়া, গনজাগরন মঞ্চের ও অখ্যাত হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের কথা কি এতো তাড়া তাড়ি ভূলে গেছে, সরকারীদলের নীতিনির্ধারকেরা ? বর্তমান সরকারীদলকে, আবারও বিরোধীদলে যেতে হবে- এই কথা যদি দ্রুত বিশ্বাস করতে পারে সরকারীদল, তবে বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে সসম্মানেই বেরোতে পারবে বর্তমান সরকারীদল আওয়ামীলীগ-এই কথা আমি বেশ জোর দিয়েই বলতে পারি ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০২

হাসিব০৭ বলেছেন: আওয়ামিলীগের নেতা কর্মীরা এত বিশ্রী ভাষায় কথা বলে মনে হয় থাপ্রাইয়া দাতগুলা ফেলাইয়া দেই। সবগুলা একেকটা রাবিশ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.