![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
। ২০১৪সালের ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনে সর্বমোট ১৫৪জন সাংসদ- জনগনের ভোট দেওয়া ছাড়াই, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইয়াছেন । এর মধ্যে ৫ই জানুয়ারীর ভোট গ্রহনের তারিখের পূর্বেই নির্বাচিত হইয়াছিলেন ১৫৩জন সংসদ সদস্য এবং বাকী একজন প্রধানমন্ত্রীর ছেড়ে দেওয়া আসন থেকেও বিনা নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন । ১৫১ সংসদ সদস্যের সমর্থন পেলেই যেখানে সরকার গঠন করা যায় , সেখানে বর্তমান সরকারীদল নির্বাচনের তারিখের আগেই ১৫৩আসনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন পেয়ে গিয়েছিলেন । ফলে ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনটি ছিল শুধুমাত্র একটি ফটোসেশনের নির্বাচন মাত্র ।
১৫৪জন সংসদ সদস্যের- জনগনের প্রত্যক্ষ ভোট ব্যতীত, বিনা নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়া নাকি বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে আইনসম্মত । কারন, জনগনের প্রত্যক্ষ ভোট ছাড়া, বিনা নির্বাচনে এবং বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় কতজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া যাবে, তার কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা সংবিধানে উল্লেখ করা নেই । সুতরাং ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনে জনগনের প্রত্যক্ষ ভোট ব্যতিরেকে বিনা নির্বাচনে, বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় যে ১৫৪জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইয়াছেন, তারা সকলেই সাংবিধানিকভাবে বৈধ এবং সম্পূর্নরুপে আইনসম্মত । ফলে ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনে, নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের দ্বারা গঠিত সরকারও বৈধ এবং আইনসম্মত ।
এখন যেহেতু, ১৫৪জন সংসদ সদস্য বিনা নির্বাচনে, নির্বাচিত হওয়া- সাংবিধানিকভাবে বৈধ, সুতরাং ৩০০জন সংসদ সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়াও সাংবিধানিকভাবে বৈধই হবে ।
সুতরাং বর্তমান সংবিধান যদি বর্তমান অবস্থায় বহাল-তবিয়াতে থাকে, অর্থ্যাৎ সংবিধানে কোন সংশোধনী আনা না হয় ,তবে বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনের জন্য, এইদেশের মালিক খ্যাত -জনগন আর ভোট দেওয়ারই হয়ত কোন সুযোগ পাবে না । কারন, সংবিধানসম্মতভাবেই যেহেতু ৩০০জন সংসদ সদস্য, জনগনের প্রত্যক্ষ ভোট ছাড়া, বিনা নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে,সেহেতু কোনরাজনৈতিকদলই, সরকারে থাকলে জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচন করে, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করার মতো, এতো বড় বোকামি করবে না ।
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৩
নেবুলাস বলেছেন: সংবিধান তুমি কার?
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৫
মদন বলেছেন: যেহেতু সংবিধান রক্ষার নির্বাচন হয়েছে, যেহেতু সংবিধান অনুযায়ী তারা নির্বাচিত। যেহেতু সংবিধান অনুযায়ী মেজরিটিরা সংবিধান পরিবর্তনের সুযোগ থাকে, সেহেতু সরকারের মেয়াদ ২০ থেকে ২০০ বছর বর্ধিত করলেও তা সংবিধান সম্মতই হবে।
জয় বাংলা।