নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অাসাদ

"প্রচার কর, যদি একটি মাত্র আয়াতও হয়"

provat

http://www.facebook.com/asad.rahman.7906

provat › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্তমানে একদলীয় শাসন কায়েমের স্বপ্ন দেখা, মই বেয়ে চাঁদে যাওয়ার স্বপ্নের শামিল

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪১

যদি প্রশ্ন করি যে, বংগবন্ধু শেখ মজিব ও তারই কন্যা শেখ হাসিনার মধ্যে কে বেশী বুদ্ধিমান,ঞ্জানী ও বিচক্ষন ?

নিশ্চয়ই একশত জনের মধ্যে একশত জনেরই উত্তর হবে- অবশ্যই বংগবন্ধু । কারন-বংগবন্ধুর সাথে তো কারো তুলনা করাই চলে না । আমিও এই ব্যাপারে সম্পূর্ন একমত ।

এখন তাহলে আসি মূল আলোচনায়, স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধস্ত এই বাংলাদেশে, যখন বংগবন্ধু দেশের দায়িত্বভার গ্রহন করেছিলেন, তখন তাকে শুরু করতে হয়েছিল একদম প্রথম থেকে, একেবারে শূন্যহাতে । কিন্ত তখন সমস্যার কোন অন্ত ছিল না । বংগবন্ধুর মতো অভিজ্ঞ, বিচক্ষন রাজনৈতিক নেতাও তখন সেই সমস্যাগুলি মোকাবেলা করতে গিয়ে রীতিমতো হিমসিম খেয়ে গিয়েছিলেন । পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে, তিনি শেষ পর্যন্ত একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে বাধ্য হয়েছিলেন । কিন্ত বংগবন্ধুর নেওয়া সেই সিদ্ধান্ত, হিতে বিপরীত হয়েছিল । দেশের অধিকাংশ মানুষই, তার এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি । মানুষ প্রকাশ্যে তার জোরালো বিরোধীতা না করলেও মনে মনে অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর আকাংখাই তখন এক হয়ে গিয়েছিল । যার ফলশ্রুতিতে ১৫ই আগষ্টের বংগবন্ধুর সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পরও মানুষের মধ্যে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি ।
স্বাধীনতার ৪৩বছর পরের, বর্তমান এই বাংলাদেশের অবস্থার এখন আমূল পরিবর্তন হয়েছে । মানুষ যেমন এগিয়েছে অর্থনৈতিকভাবে, তেমনি এগিয়ছেে শিক্ষা-দীক্ষায়ও । মানুষের ধ্যান ধারনা ও মন-মানসিকতায়ও এসেছে অনেক পরিবর্তন । প্রযুক্তিতেও দেশ এগিয়েছে অনেক । বর্তমান সরকারই কিন্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নদ্রষ্টা । অথচ এই সরকারই কিনা স্বপ্ন দেখছে, আবার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমের, যা বর্তমান বিশ্বে কেউ কল্পনাও করতে সাহস পাচ্ছে না । গত একযুগে পৃথিবীর বড় বড় একদলীয় শাসন ব্যবস্থার রুপকাররা, যারা কিনা পরিচিত ছিল স্বৈরশাসক হিসাবে নিন্দিত,সমালোচিত ও ঘৃনীত এবং তাদের মসনদ তাসের ঘরের মতো ভেংগে পড়েছে । যেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশে, প্রয়োজনের তাগিদেও বংগবন্ধুর মতো নেতা টিকিয়ে রাখতে পারেননি এবং যার কারনে বংগবন্ধুকে অত্যন্ত নির্মমভাবে নিহত হতে হয়েছিল পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়স্বজনসহ, সেইখানে আবার তারই কন্যা শেখ হাসিনা আবার কিভাবে সেই একদলীয় অভিশপ্ত শাসন ব্যবস্থার দিকে পা বাড়িয়েছেন ?

একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে অনেকদূর পর্যন্ত এগিয়ে গেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বংগবন্ধুর নির্মম পরিনতির জন্য একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েমই দায়ী-এটাকে বিবেচনায় না নিয়ে, তিনি বরং কি কারনে বংগবন্ধু একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে পারেননি-সেটাকে বিবেচনায় নিয়ে ,তার নিজের চিহ্নিত কারনগুলি মাথায় রেখে, সেগুলির যাতে পূনরাবৃত্তি না ঘটে, সেইদিকেই পুরাপুরি মনোনিবেশ করে এগুচ্ছেন বলেই অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ।
কিন্ত বংগবন্ধুর আমলের চেয়ে বর্তমানে শেখহাসিনার রয়েছে প্রবল প্রতিপক্ষ, যে কিনা বিগত ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনটি, নির্দলীয় সরকারের অধীনে হলে বর্তমানে ক্ষমতাসীন থাকার ছিল সমূহ সম্ভাবনা । এমনই একটি প্রবল প্রতিপক্ষকে সম্পূর্ন নির্মূল করার যে পরিকল্পনা নিয়ে বর্তমান সরকার এগুচ্ছে, তা বুমেরাং হয়ে নিজেদের অস্তিত্বকেই বিপন্ন করে ফেলতে পারে শেষ পর্যন্ত । কারন বংগবন্ধুর মৃত্যুর পরে, আওয়ামীলীগকে আবার ঘুরে দাঁড়াতে সময় লেগেছিল প্রায় ২১বৎসর । বর্তমানে ক্ষয়িষ্ঞু জনসমর্থন নিয়ে, শুধুমাত্র আইনশৃংখলা বাহিনীর উপর নির্ভর করে, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমের স্বপ্ন দেখা- আমার কাছে তাই সিড়ি বেয়ে চাঁদে যাওয়ার স্বপ্ন দেখার মতোই মনে হচ্ছে ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০৬

ডিজ৪০৩ বলেছেন: আপনার কথা মানলাম আওায়ামীলীগ একদলীয় শাসন কায়েম করছে , তাহলে একদলীয় শাসন বাবস্তার ইতিহাস পাল্টে দিতে হবে , কারণ পৃথিবীর একদলীয় শাসন বাবস্তাই কখনও নির্বাচন হয়নি । কিন্তু আওামীলীগের ইতিহাস বলে সে কখনও নির্বাচন না দিয়ে ক্ষমতাই গেছে । আপনি কি বলতে পারেন নির্বাচন নিয়ে কখনও টালবাহানা করছে , যদি করে থাকে তাহলে সেই দিনটা একটু জানালে উপকৃত হব । আশা রাখি জানাবেন ?

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

"এখন তাহলে আসি মূল আলোচনায়, স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধস্ত এই বাংলাদেশে, যখন বংগবন্ধু দেশের দায়িত্বভার গ্রহন করেছিলেন, তখন তাকে শুরু করতে হয়েছিল একদম প্রথম থেকে, একেবারে শূন্যহাতে । "

-কিচু বলতে চান, কিন্তু বুঝেন না যে, কি বলছেন; ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সবই ছিল, ছিল না শেখ সাহেবের সৃজন ক্ষমতা।

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৩

ডিজ৪০৩ বলেছেন: আপনার অবগতির জন্য জানাতে চাই যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশে আগে দেশ গড়ার কাজ না নির্বাচন ? কোন দেশে হয়েছে যুদ্ধ শেষ করে নির্বাচন দিয়েছে ?

৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৩

মিতক্ষরা বলেছেন: "কিন্তু আওামীলীগের ইতিহাস বলে সে কখনও নির্বাচন না দিয়ে ক্ষমতাই গেছে । আপনি কি বলতে পারেন নির্বাচন নিয়ে কখনও টালবাহানা করছে , যদি করে থাকে তাহলে সেই দিনটা একটু জানালে উপকৃত হব । আশা রাখি জানাবেন ?"

আপনি কি বাংলাদেশের লোক নন? ইতিহাস কি একেবারেই জানেন না? আওয়ামী লীগ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসলেও নিজেরা নিরপেক্ষ নির্বাচন কখনও দেয় নি। শেখ মুজিবও দেন নি। সেজন্যেই আওয়ামী ইতিহাস সবচেয়ে বেশী রক্তাক্ত।

এরশাদ আন্দোলনের কারনে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন বলে তিনি অপঘাত মৃত্যু থেকে রেহাই পেয়েছেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.