![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যাশাদের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা আর প্রত্যাশা পূরণ হয় না... তাও তারা স্বপ্নচারিণী নামে পরিচিতি পেয়ে গেল... ইন্সটাগ্রাম ― @swarochita
"Black and white creates a strange dreamscape that color never can." ― Jack Antonoff
আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমি এর আগে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির ফিল্ম নিয়ে লিখলেও কখনও হলিউড ফিল্ম নিয়ে কিছু লিখিনি। আসলে এখনকার হলিউড ফিল্ম আমাকে তেমন আকর্ষণ করেনা তাই দেখাও হয়না সেই ভাবে। তবে আমি ওল্ড হলিউডের অনেক বড় ফ্যান। যত ইংলিশ মুভি দেখা হয়েছে বেশিরভাগই সব পুরানো দিনের। তাই চিন্তা করলাম এটা নিয়ে একটা নতুন সিরিজ লেখার চেষ্টা করি।
তাছাড়া নতুন মুভি গুলো নিয়ে লেখার মানুষের অভাব নেই, তাই আমার লেখা নতুন করে কে পড়বে। ক্ল্যাসিক ফিল্মগুলো নিয়ে রিভিউ খুব কম চোখে পড়ে। তাই এই ফিল্ম গুলো নিয়ে নিজের ভালো লাগা এবং মন্দ লাগা গুলো একটু শেয়ার করার চেষ্টা করছি। যারা পুরানো ফিল্ম দেখতে অনেক পছন্দ করেন আশা করছি তাদের ভালো লাগবে। বিখ্যাত হলিউড পরিচালক ফ্রাংক কাপরার চারটি ফিল্ম আজকের পোস্টে তুলে ধরলাম।
১) It's a Wonderful Life:
এই ফিল্মের কাহিনী শুরু হয় জর্জ বেইলি নামের এক বালককে ঘিরে। সে ছোট বেলায় তার ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে একটা কানের শ্রবণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তার একটা ফ্রেন্ড ছিল মেরি নামে। ছোটবেলা থেকেই মেরি জর্জকে পছন্দ করতো। বড় হওয়ার পরও তার এই পছন্দের পরিবর্তন হয়নি। জর্জের বাবা হঠাৎ মারা যাওয়ায় তাকে ব্যবসার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হয়। পড়াশুনা তাই সে শেষ করে উঠতে পারেনা। তবে তার ছোট ভাই হ্যারিকে সে ঠিকই পড়াশুনা করতে পাঠায়। এদিকে মেরির সাথে জর্জের আবার পরিচয় হয় বড় হওয়ার পর। এবার জর্জও পছন্দ করতে শুরু করে মেরি কে। ঘটনা ভালোভাবেই চলছিল। জর্জ তার জীবনে খুব খুশি ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই সব এলোমেলো হয়ে যায়। জর্জ একটা বিপদের সম্মুখীন হয়। জীবনের প্রতি খুব বিষাদগ্রস্থ হয়ে পড়ে। জীবনটা তার কাছে অর্থহীন মনে হয়। তার মনে হতে থাকে তার জন্মই যদি না হত এই পৃথিবীতে তাহলে কতই না ভালো হত। মৃত্যুকে সেই মুহূর্তে তার কাছে সব সমস্যার একমাত্র সমাধান বলে মনে হয়। কিন্তু সিনেমার টাইটেলেই তো বলা আছে জীবন অনেক সুন্দর। তাহলে সেটা কিভাবেই বা অর্থহীন হয়!
আমার মনে হয় পুরানো হলিউড ফিল্ম খুব বেশি না দেখলেও এমনিতে নতুন হলিউড মুভি যারা নিয়মিত দেখেন তারাও মোটামুটি সবাই এই ফিল্ম দেখে ফেলেছেন। কিন্তু তারপরও এটা নিয়ে লিখেছি কারণ ফ্রাঙ্ক কাপরার নাম মনে হলেই এই ফিল্মের কথা আমার সবার আগে পড়ে মনে পড়ে। তার পরিচালিত এটাই আমার প্রথম দেখা ফিল্ম ছিল। এই ফিল্মটা দেখেছিলাম অনেক আগে যখন আমি এখনকার মত এত বেশি পুরানো হলিউড ফিল্ম দেখিনি। এই ফিল্ম দেখেই আমি জেমস স্টুয়ার্টকে চিনি। কিন্তু তখন আমি তাকে জর্জ বেইলি বলতাম। পরে আমি তার অনেক সিনেমা দেখেছি। কিন্তু তারপরও এই সিনেমার কল্যাণে আমি তাকে বেশ অনেক বছর ধরেই জর্জ বেইলি বলতাম। জীবন নিয়ে খুব হতাশায় থাকলে অনেকেই এই ফিল্মটি দেখার জন্য সাজেস্ট করে থাকে। আমি অবশ্য তেমন কিছু বলছিনা। কারণ একজন ডিপ্রেসড মানুষ কখনই ফিল্ম দেখে হতাশা কাটিয়ে ফেলতে সক্ষম হবে না। তবে এই ফিল্মটি দেখার পর অনেকেই জীবন নিয়ে একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করতে বাধ্য হবে।
মুক্তির তারিখ ― ২০ ডিসেম্বর ১৯৪৬
আইএমডিবি রেটিং ― ৮.৬/১০
ব্যক্তিগত রেটিং ― ১০/১০
জনরা ― ফ্যান্টাসি, ড্রামা, রোমান্স
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ― অ্যাকাডেমি পুরস্কার (১টি)
২) Arsenic and Old Lace:
এই ফিল্মের কাহিনী যে কিভাবে লিখবো তাই বুঝতে পারছিনা। বেশি কিছু লিখে ফেললে স্পয়লার হয়ে যেতে পারে।
এর কাহিনী শুরু হয় মরটিমার ও ইলেইনকে নিয়ে। মরটিমার ইলেইনকে অনেক ভালোবাসলেও সে ইলেইনকে বিয়ে করতে অনেক ভয় পায়। তারপরও ইলেইন তাকে কনভিন্স করে বিয়ে করার জন্য। তাদের বিয়ে হয়ে যায়। মরটিমারের বিয়ের পর তার দুইজন ফুফু মার্থা এবং অ্যাবি ব্যাপক খুশি হয়। মরটিমারের মা-বাবা বেঁচে না থাকায় তারাই মরটিমারের ফ্যামিলির অভিভাবক। মরটিমারের বিয়েভীতির পিছনের কারণ হল তার ভাই টেডির মাথায় মারাত্মক সমস্যা আছে। সে সবসময় নিজেকে রাজনীতিবিদ রুজভেল্ট মনে করে এবং তার মতই আচরণ করে। টেডির কর্মকান্ড হাস্যকর হলেও, এতে কারও কোনো ক্ষতি হয়না। কিন্তু মরটিমার চিন্তা করে পাগলামি প্রায় সময় বংশগত হয়ে থাকে। মরটিমার নিজেও যদি ভবিষ্যতে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন ইলেইনের অনেক প্রবলেম হবে। এই চিন্তা করে সে বিয়ের প্রতি কিছুটা অনীহা প্রকাশ করতো। কিন্তু হঠাৎ করে মরটিমার আবিষ্কার করে তার দুই ফুফুও মানসিকভাবে অসুস্থ এবং তাদের কর্মকাণ্ড টেডির মত হার্মলেস নয়। ঘটনা আরও গুরুতর করার জন্য আবির্ভাব হয় মরটিমারের আরও এক ভাই জোনাথনের। তার অবস্থা খুব সিরিয়াস পর্যায়ের। একদিনের ভিতর এত জিনিস হজম করা মরটিমারের জন্য অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। সে চিন্তা করে বিয়ে করে আসলেই অনেক বড় ভুল করে ফেলেছে।
ক্যারি গ্রান্টের ভক্তরা যারা এই ফিল্ম এখনও দেখেন নি, তাড়াতাড়ি এটা নিয়ে বসে পড়ুন। দেখতে দেখতে ভাববেন এটা কিভাবে মিস হয়ে গিয়েছিল। সবাই জানে তার কমিক টাইমিং দূর্দান্ত। এই ফিল্মে তিনি অসাধারণ ছিলেন। প্রিয় হলিউড অভিনেতার কথা জিজ্ঞাসা করা হলে আমি ক্যারি গ্রান্টের কথা সবার আগে বলবো। ভবিষ্যতে শুধু তার মুভি নিয়ে আমার অন্তত একটা পোস্ট লেখার ইচ্ছা আছে।
মুক্তির তারিখ ― ১ সেপ্টেম্বর ১৯৪৪
আইএমডিবি রেটিং ― ৭.৯/১০
ব্যক্তিগত রেটিং ― ১০/১০
জনরা ― ব্ল্যাক কমেডি, থ্রিলার
৩) It Happened One Night:
এই ফিল্মের গল্প শুরু হয় এলি নামের একটি মেয়েকে ঘিরে। সে তার বাবাকে জানায় সে কিং নামের একজনকে বিয়ে করেছে। তার বাবা আলেকজান্ডার চান এলি এই বিয়ে যেন বাতিল করার জন্য আবেদন করে। আলেকজান্ডারের ধারণা কিং মূলত তার সম্পত্তির জন্য এলিকে বিয়ে করেছে। আর তাছাড়া তিনি মনে করেন এলি আসলে কিংকে আদৌ ভালবাসে না। আলেকজান্ডার তার মেয়েকে অনেক বেশি প্যাম্পার করেন তাই সে কিছুটা জেদী হয়ে গিয়েছে। সবসময় সে জেদ করে তার বাবার অপছন্দের কাজ করতে পছন্দ করে। আলেকজান্ডারের ধারণা কিংকে সে জেদের বশেই বিয়ে করেছে। এই বিয়ে অ্যানাল করার জন্য তাই আলেকজান্ডার নানাভাবে এলিকে মানানোর চেষ্টা করতে থাকে। এক পর্যায়ে এলি পালিয়ে যায়। সে কিং এর সাথে দেখা করার জন্য নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে বাসে যাত্রা শুরু করে। বাসে তার দেখা হয় পিটার নামের এক নিউজ রিপোর্টারের সাথে। পিটার সদ্যই তার চাকুরী হারিয়েছে। পুরো জার্নিতে নানারকম ঘটনা ঘটে। পিটারের সাথে এলি কখনও ঝগড়া করে আবার কখনও তার ভালো বন্ধু হয়ে উঠে। এদিকে আলেকজান্ডার মেয়েকে হারিয়ে খুব দুর্দশাগ্রস্থ। মেয়েকে পাওয়ার জন্য যে কোনো কিছু তিনি করতে রাজি হন।
এই কাহিনী নিয়ে এত সিনেমা বানানো হয়েছে যে তার কোনো হিসাব নেই। উত্তম সুচিত্রার "চাওয়া পাওয়া" এবং আমির খান ও পূজা ভাটের "দিল হে কি মানতা নাহি" এই ফিল্মের রিমেক। অন্যদিকে এই ফিল্মের কাহিনী থেকে ইন্সপায়ার হয়ে দেব আনন্দ এবং ওয়াহিদা রেহমানের "সোলভা সাল" ফিল্মটিও বানানো হয়েছে। এর কাহিনীতে অনেক পরিবর্তন থাকলেও গল্পের থিম একই। এছাড়া আমি ছোটবেলায় একটা বাংলা নাটক দেখেছিলাম এই কাহিনীর উপর ভিত্তি করে বানানো। কিন্তু এগুলোর সবগুলো ছাপিয়ে গিয়েছে ইট হ্যাপেনড ওয়ান নাইট সিনেমাটি। অরিজিনাল যে সব সময় বেস্ট সেটাই এই ফিল্মটি প্রমাণ করে। ফিল্মের মূল অভিনেতা অভিনেত্রী সহ বেশ কয়েকটি শাখায় এটি অস্কার জিতে নেয়। এই ফিল্মের জন্য ফ্রাঙ্ক কাপরাও শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে তার প্রথম অস্কার পান।
মুক্তির তারিখ ― ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৪
আইএমডিবি রেটিং ― ৮.১/১০
ব্যক্তিগত রেটিং ― ৯.৫/১০
জনরা ― রোমান্স, কমেডি
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ― অ্যাকাডেমি পুরস্কার (৫টি)
৪) Mr. Deeds Goes to Town:
মার্টিন সেম্পেল নামের একজন ভদ্রলোক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে তার একজন দূর সম্পর্কের ভাগ্নে মিস্টার লংফেলো ডীডস তার সম্পত্তির মালিক বনে যায়। ডীডস এর আগে কখনও মার্টিন সেম্পেলকে দেখেনি। তাই তাকে এত সম্পত্তি দিয়ে গিয়েছেন বলে সে একটু অবাক হয়। সে একজন খুব সাধারণ মানুষ। তার বড়লোক হওয়ার বিশেষ কোনো শখ কোনকালে ছিল না। শহরে এসে সবকিছু দেখে তার মাথা খারাপ হবার দশা। কাকে বিশ্বাস করবে আর কাকে করবেনা সেটাই বুঝতে পারেনা। মার্টিন সেম্পেলের অন্য আত্মীয় ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছে কিভাবে এই সম্পত্তি আইনত দখল করা যায়। এদিকে মিস বেব বেনেট নামের একজন সাংবাদিক মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ডীডসের সাথে পরিচিত হয়। প্রতিদিন তার সাথে ডীডসের দেখা হয়। ডীডস অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটায় আর বেনেট তার টীম মেম্বারদের সাহায্যে ডীডসের ছবি তুলে রাখে। বেনেট নিউজপেপারে ডীডসকে নিয়ে মজার সব আর্টিকেল লিখে এবং তার ছবিগুলো ছাপায়। তার নিক নেইম দেয় মিস্টার সিনডারেলা ম্যান। এমন সব কর্মকাণ্ডের জন্য মিস্টার সেম্পলের আত্মীয় সুযোগ পেয়ে যায় তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি ক্লেইম করার।
মুক্তির তারিখ ― ১২ এপ্রিল ১৯৩৬
আইএমডিবি রেটিং ― ৭.৮/১০
ব্যক্তিগত রেটিং ― ১০/১০
জনরা ― কমেডি, ড্রামা, রোমান্স
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ― অ্যাকাডেমি পুরস্কার (১টি)
"Cinema is a mirror by which we often see ourselves." ― Alejandro Gonzalez Inarritu
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪২
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: আমি মূলত ত্রিশের দশকের শেষের দিক থেকে শুরু করে পঞ্চাশের দশক পর্যন্ত হলিউড ফিল্মগুলো বেশি দেখেছি। আপনি বেশিরভাগই আশির দশকের ফিল্মের কথা বলেছেন যার কিছুই আমার দেখা হয়নি। আপনার লেখা পুরানো মুভি গুলোর ভিতর ১৯৫৩ সালের টাইটানিক, টাইম মেশিন, রোমান হলিডে শুধু দেখেছি। হোম এলোন আর বেবি'স ডে আউট তেমন পুরানো না হলেও এই দুটো দেখেছি কারণ এগুলো সবারই দেখা আসলে। গানস অব নাভারন এবং ব্রিজ অন দা রিভার কাওয়াই পুরানো ফিল্ম হলেও দেখিনি কারণ ওয়ার বেইজড ফিল্ম সেইজন্য। যুদ্ধের সিনেমা না দেখার চেষ্টা করি। মন অনেক দিন খারাপ থাকে। জাপানিস অ্যানিমেটেড ফিল্ম গ্রেভ অফ দ্যা ফায়ারফ্লাইস দেখার পর থেকে আমি যুদ্ধের ফিল্মগুলো এড়িয়ে যাই। তবে গ্রেগরি পেক এবং উইলিয়াম হোলডেন এর জন্য এই দুটো মুভি আমার লিস্টে আছে দেখার জন্য । তারা আমার বেশ পছন্দের অভিনেতা। এছাড়া প্রজেক্ট এ আছে লিস্টে, শুনেছি ফিল্মটা মজার। আপনার কমেন্ট দেখে ঠিক করেছি তাড়াতাড়ি নামিয়ে ফেলবো ফিল্মটি।
আর হিচককের টপ রেটেড ফিল্মগুলোর বেশিরভাগই আমার দেখা। আমার ইচ্ছা আছে সময় পেলে তার পরিচালিত ফিল্ম নিয়ে একটা পোস্ট লেখার। হলিউডের ফিল্ম নিয়ে এরপর যদি কিছু পোস্ট করি তাহলে হয়তো হিচকক পরিচালিত প্রিয় কিছু ফিল্ম নিয়েই লিখবো।
অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে আমার পোস্ট পড়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এতো সেই আদি যুগের সিনেমা!! দেখা হয় নাই।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৩
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: সবার তো আর সবকিছু ভালো লাগবেনা। যেমন আমার নতুন সিনেমা ভালো লাগেনা তাই দেখা হয় না। নতুন অ্যাকটর অ্যাকট্রেসদেরও চিনি না সেই ভাবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১১
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন।
শুধু প্রথম মুভিটাই দেখেছি।
বাকি গুলো দেখব নিশ্চয়ই।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৪
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: বাকিগুলোও ভালো লাগবে আশা করছি। ভালো থাকবেন।
৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:১৯
অনল চৌধুরী বলেছেন: হলিউডের সোনালী দিনের ছবির দেখার আনন্দ কি আর এখনকার ছবি দেখে পাওয়া যাবে???
সাড়ে চুয়াত্তর ভাই, স্নেক ইন দ্যা মাংকসি শ্যাডো হলিউড না , হংকং এর বিখ্যাত কুংফু ছবি।
এই ছবিটা ৮০’র দশকে ঢাকার মধুমিতা এবং পরে জোনাকিতে চলেছিলো।
আপনি প্রতি সপ্তাহে আমার হলিউডের ছবির তালিকা থেকে ৩ টা করে ছবি দেখবেন। হলিউডের বিদ্রুপাত্মক,বর্ণবাদ ও আগ্রাসনবিরোধী চলচ্চিত্র-১,২,৩
ভালোভাবে বোঝার জন্য একটা ছবি ২ বার দেখবন্
কিছুদিন পর আপনার লেখার জন্য নতুন নতুন বিষয় পাবেন।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৫
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: না পুরানো ফিল্মের সাথে নতুন ফিল্মের কোনো তুলনা খাটেনা। পুরানো গুলো এভারগ্রিন।
ভালো থাকবেন।
৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০২
মিরোরডডল বলেছেন:
ওল্ড ক্ল্যাসিক মুভি বেশি ভালো লাগে ।
প্রিয় কিছু মুভির ট্রেইলার শেয়ার করলাম ।
y
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৯
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: আমি মূলত ত্রিশের দশকের শেষ থেকে ষাটের দশকের শুরুর দিকের হলিউড ফিল্ম বেশি দেখেছি। তাই রোমান হলিডে, সাবরিনা, কাসাব্ল্যাঙ্কা অনেক আগে দেখা। এগুলো আসলে সবারই খুব প্রিয়। আনা কারেরিনা অনেক পরের ফিল্ম তাই দেখা হয়নি। তবে আমি এটার খুব নাম শুনেছি। ব্রিফ এনকাউন্টার, রোমিও এন্ড জুলিয়েট পুরানো হলেও এই দুটো ব্রিটিশ ফিল্ম, হলিউডের নয়। ব্রিফ এনকাউন্টার দেখার ইচ্ছা আছে আমার।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আপনার পছন্দের ফিল্ম সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো।
৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৬
মিরোরডডল বলেছেন:
আনা কারেরিনা প্রথম করেছে ১৯৩৫, তারপর বেশ কয়েকবার রিমেক হয়েছে ।
Brief Encounter 1945 যেটা করেছিলো তারচেয়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছে 1974 সোফিয়া লরেন আর রিচার্ড বার্টন অভিনীত যেটা । আশা করি এটা ভালো লাগবে ।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৬
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: আমার ব্রিফ এনকাউন্টার পুরানো টাই দেখার ইচ্ছা আছে। চেষ্টা করবো আপনার সাজেশন অনুযায়ী ১৯৭৪ সালের টাও দেখার যখন ইচ্ছা হবে আর কি।
আনা কারেরিনা ১৯৩৫ সালের আছে সেটা জানি। গ্রেটা গার্বো আছে ওটাতে লীডে। কিন্তু আমি ওটা কোথাও খুঁজে পাইনি তাই দেখা হয়নি। পুরানো অনেক ফিল্ম আমি এমন খুঁজে পাইনি তাই এগুলো ওয়াচলিস্টে আছে অনেকদিন ধরে।
৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনল ভাই আপনার পরামর্শ অনুযায়ী আপনার তালিকা থেকে ছবি দেখব বলে ঠিক করেছি। তবে সপ্তাহে তিনটা সম্ভব নাও হতে পারে। এই পোস্টে স্বরচিতা স্বপ্নচারীণীর দেয়া হলিউড ক্লাসিক মুভিগুলিও বেশ ভালো মনে হচ্ছে। সেগুলিও দেখবো। হাজার হাজার মুভি থেকে ভালো মুভি খুঁজে বের করার এটাই ভালো উপায়। আপনাদের দুজনকেই ধন্যবাদ।
অনল ভাই আপনার দেয়া লিঙ্কে যে পোস্ট আছে সেটা পড়ার পরে মন্তব্য করবো।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার সিনেমা রিভিগুলি পড়ার পরে প্রস্তর যুগের এই সিনেমাগুলি দেখার কিঞ্চিত আগ্রহ হয়েছে।
আমি হলিউডের সিনেমা খুব কম দেখেছি। তারপরও বহু আগে দেখা কিছু সিনেমার কথা মনে আছে। বেশীর ভাগই কমেডি কিংবা অ্যাকশনধর্মী।
যেমন 'গড মাস্ট বি ক্রেইজি', 'পুলিস একাডেমী', 'রেম্বো', 'কমান্ডো', ' বেইবিজ ডে আউট', 'হোম এলন', 'রকি'। জ্যাকি চ্যানের 'প্রজেক্ট এ' খুব হাসির সিনেমা। হাসির সাথে সাইকেল নিয়ে বিচিত্র সার্কাস আছে এই সিনেমায়।
এছাড়া 'দি মেসেজ' মহানবীর (সা) জীবনী নিয়ে তৈরি একটা সিনেমা। এছাড়া যুদ্ধের উপর 'গানস অব নাভারন', 'ব্রিজ অন দা রিভার কাওয়াই'। এছাড়া 'কিং কং', 'জুরেসিক পার্ক'। টাইটানিকের প্রথম সংস্করণ, 'টাইম মেশিন' (পুরনো), ' জার্নি টু দা সেনটার অব দা আর্থ' (পুরনো), 'ইন্ডিয়ানা জোনস এন্ড দা টেম্পল অব ডুম', 'মাস্টার অব দা ওয়ার্ল্ড' (জুল ভারন- পুরনো), 'লিটল হাউস অন দা প্রেইরি', ' দা ব্লু লেগুন'।
কিছু সিনেমা আছে দেখি নাই। কিন্তু অনেক প্রশংসা শুনেছি যেমন 'গান্ধী', ' রোমান হলি ডে', 'স্নেক ইন দা মাঙ্কিস শ্যাডো', 'রবিনসন ক্রুসো'।
এছাড়া নির্মাতা আলফ্রেড হিচককের প্রত্যেকটা সিনেমা ভালো (সাসপেনস মুভি)।