নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় সাংবাদিক। ‘জল পরীর ডানায় ঝাপটা লাগা বাতাস’ (২০১৩), ‘সাদা হাওয়ায় পর্দাপন’ (২০১৫) দুটি কবিতার বই প্রকাশিত। তার লেখা নাটকের মধ্যে ফেরা, তৎকালীন, আদমের সন্তানেরা উল্লেখযোগ্য। লেখালেখির জন্য ২০১৫ সালে হত্যার হুমকি প্রাপ্ত হন।

সৈয়দ মেহেদী হাসান

আমার পরিচয় খুঁজচ্ছি জন্মের পর থেকেই। কেউ পেলে জানাবেন কিন্তু....

সৈয়দ মেহেদী হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানগুলো বহুজাতিক কোম্পানীর পকেটে

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৪



১.
দুই বন্ধু ১০ টাকা দিয়ে এক প্যাকেট বাতাস কিনল। প্যাকেট ছিড়েতো অবাক; ওমা... বাতাসের প্যাকেটে দেখি চিপস আছে।
বন্ধ দু’জন বিএম কলেজে ঢুকেছে। মোবাইল ফোন কোম্পানী রবি’র বিশাল সাইনবোর্ড দেখে প্রশান্তিতে আটখানা। প্রথম বন্ধু দ্বিতীয় বন্ধুকে বলল, মুদি দোকান একটা পেয়েছি। চল কিছু খাই। দুই বন্ধু থ। কাছে এগিয়ে গিয়েই শোনে গানের শব্দ ভেসে আসছে। এবার দ্বিতীয় বন্ধু প্রথম বন্ধুকে অবাক হয়ে বলে, ওমা... মুদি দোকানে আজকাল গান-বাজনা শিখায়? তবে দুই বন্ধুরই ভুল ভাঙ্গে এবং যথারীতি লজ্জা পায় যখন দেখে মুদি দোকানে রূপ নেয়া ঘরটি আসলে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। বিএম কলেজ ভিত্তিক, নাম ‘সংস্কৃতি পরিষদ’। দু’জন চিন্তায় পড়ে, সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রটি কেন মুদি দোকানের মত
সাইনবোর্ড টানালো।

২.
আর একবার দুধল এর বাসিন্দা খোরশেদ ঘরামীতো অপদস্তই হলেন। যদিও ঘরামী সাহেবের দোষ তেমন ছিল না, তবু কেয়ারটেকারের উষ্ম বাণ শিকার হয়েছে। ঘটনাটা হল, কাস্টমার কেয়ার ভেবে ব্যায়ামাগারে ঢুকে পরেন বেচারা। ঢুকে দেখে সবাই ব্যায়াম করছে। একজনকে সাহস করে বলেই ফেলেন, তার মোবাইলটা সারাবে, লোক কই? অমনি দ্বৈত্যাকায় ব্যক্তিটি দারোয়ানকে ডেকে দিল। খোরশেদ মিয়ার কম্ম সারা। কিন্তু খোরশেদ ঘরামির কি দোষ, বাইরে যে পরিমান রবি’র সিল, সাইনবোর্ড লাগানো তাতে যে কেউ বুঝবে জায়গাটি হয়তো মোবাইল কোম্পানী ভাড়া নিয়েছে।

৩.
উপরের গল্প দুটির কোন নৈতিক শিা নেই। তবে বোধহীন মানুষদের হাতে দায়িত্ব গেলে কতটা দৈন্যতা দেখা দিতে পারে তার ছাপচিত্র মাত্র। প্রসঙ্গত আরো একটি কথা উল্লেখ না করলেই নয়। বাঙালিরা হয়তো ভুলে গেছি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর নাম। যারা উপমহাদেশে মসলা বিক্রি করতে এসে বাঙালীদের প্রভূ বনে গিয়েছিল। ভুলে যাবারই কতা। কবি নাজিম হিকমত তো বলেছেন, মানুষের শোকের আয়ু বড়জোর এক বছর। সেখানে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ইতিহাস বাংলা সৃষ্টি হবার আগের কথা। পরিহাস হল, দনিার প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমে বেহাত হয়ে যাচ্ছে। তার সাথে যোগ দিচ্ছে প্রবল সম্ভাবনা জাগরুক স্বেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন গুলো। স্পর্শকাতর এসব প্রতিষ্ঠান বহুজাতিক কোম্পানীর পকেটে এভাবে চলে যাওয়া সত্যি উদ্বেগের। প্রশ্ন চলে আসে নীতিবোধের, প্রশ্ন চলে আসে জাতিসত্ত্বার বোধন নিয়েও। আসলেই কি আমরা সঠিক পথে এগোচ্ছি বা উদিয়মান প্রজন্ম কি সুপথে এগিয়ে যাচ্ছে? তবে ইতিহাস, ঐতিহ্য আর বাঙালীয়ানার কেন্দ্রগুলোর এমন পুচ্ছ পড়া দৃশ্যত তাৎণিক হতে পারে, কিন্তু ইশারাটা সর্বনাশের।
বরিশাল নগরী ছোট্ট শহর। অ-প্রাঞ্জল নয়, উল্টো সুনসান। এজন্যই হয়তো গঙ্গা, পদ্মা পাড়ি দিয়ে রবি ঠাকুরের বজরা কীর্তনখোলায় এসে পরে এ নগর ছুয়েছিল। নজরুল সাধ করে নাম রেখেছিল প্রাচ্যের ভেনিস। জীবনানন্দর মত কবি, জন্ম দেয় এ শহর। মহাত্মা অশ্বিনী কুমার খুজে পান আলোক প্রজ্জলনের তীর্থভূমি।


এখনকার অবস্থা সকরুন। আদর্শ-ল্য ছেড়ে-ছুড়ে দিয়ে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানগুলো হয়ে গেছে যেন চরিত্রহীন। জগদ্বীশ সারস্বত গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা পায় ১৯২৭ সালে। এখন কিছুটা জৌলুস কমে গেলেও খোদ বাংলাদেশ জন্ম নেয়ার ৪৪ বছর পূর্বেই এর অস্তিত্ব জানান দেয় যুগ-যুগান্তর ধরে স্বাী স্কুলটি। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, দেশ স্বাধীন হওয়া সর্বোপরি নারী শিায় স্কুলটির অবদান সর্বজন পূজ্য। জনশ্র“তি রয়েছে দগদ্বীশ সারস্বত স্কুলের নামে অনেকে বরিশালকে চিনতো। সে রকমের আরও একটি প্রতিষ্ঠান, বরিশাল ব্যায়ামাগার। ১৮৬৮ সালে টাউন কমিটির মাধ্যমে বরিশাল নগরীর গোড়াপত্তন হবার ৯৫ বছর পর ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠা পায় ব্যায়ামাগারটি। তখন জিমনেসিয়াম বলে চিনতো সবাই। সিটি কর্পোরেশন তথা বৃহত্তর বরিশাল বিভাগে এই ব্যায়ামাগারটি প্রাচীন ও একমাত্র চালু ব্যয়ামাগার। অত্যন্ত নিভৃতে ইতিহাসের একটি শক্ত অবস্থান নিয়ে নিয়েছে। এখানে প্রতিদিন সদস্যরা শরীর চর্চা করতে আসে। স্থানীয়ভাবে জানা যায় বরিশালে হাতে গোনা কয়েকটি বিল্ডিং ছিল। যার মধ্যে বিবির পুকুরের পশ্চিম পাড়ে খান বাহাদুর ভবন, তার একটু দেিণ নাম করা জিমনেসিয়াম, বিএম কলেজ আর আদালত।
বর্তমানে দগদ্বীশ সারস্বত স্কুলটির প্রধান ফটক জুড়ে লাগানো হয়েছে বেসরকারী মোবাইল কোম্পানীর একটি বিজ্ঞাপন। ওদিকে ব্যয়ামাগারটির চতুর্পাশ দিয়ে ঢেকে দিয়েছে বিজ্ঞাপনের ব্যানার। বাইরে থেকে দেখে বোঝার সাধ্য নেই প্রতিষ্ঠানগুলো বরিশালের প্রতিনিধিত্ব করে। অবস্থা দেখে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। মোবাইল কোম্পানীটির বিজ্ঞাপন দিয়ে স্কুলটিকে পরিচিত করছে? নাকি, মোবাইল কোম্পানীকে পরিচিত করার দায়িত্ব নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি? একই সাথে বিজ্ঞাপনের অলংকার হয়ে জিমনেসিয়াম ও জগদ্বীশ সারস্বত স্কুলটি চরিত্র বদলেছে। বরিশাল প্রতিনিধিত্ব করার কথা বেমালুম ভুলে বহুজাতিক মোবাইল কোম্পানীর চরণে তৈল মর্দন, পিঠ চুলকানো সর্বোপরি প্রতিনিধিত্ব করছেন?
পাল্লা ভারি করে রেখেছে বিএম কলেজ ভিত্তিক বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী, গবেষণা ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। বিজ্ঞাপনে ঢেকে সংগঠন গুলোর বাইরের চেহারা এমন করা হয়েছে যেন, এক একটি মুদি দোকান।


(১) বিদেশী ভাষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (২) রসায়ন কাব (৩) বিএম কলেজ ডিবেটিং কাব (৪) সন্ধানী ডোনার কাব (৫) ক্যাফেটেরিয়া (৬) সংস্কৃতি পরিষদ হল উল্লেখযোগ্য।
উল্লেখিত সংগঠনের প্রত্যেকের নির্ধারিত ল্য রয়েছে। আলাদা আলাদা ল্েযর মধ্যে সবার আবার একটি মিল আছে। তা হল, দেশ ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে চর্চা করা। এ সমস্ত ুদ্র সংগঠনে দেশ-জাতি-সংস্কৃতি সমৃদ্ধের চেষ্টা-আত্তি কতটা হয় সেটা প্রশ্ন সাপে। তাই বলে বিদেশী কোম্পানীর প্রতিনিধিত্ব করার মুখোশ পরে কতটা বাংলা-বাঙালী সমৃদ্ধে কাজ করছে সেটা বোঝা স্বাভাবিক যে, কাক দিয়ে যেমন কোকিলের স্থান পূরণ হয় না তেমনি চরিত্রহীন হয়ে দেশ-জাতি সমৃদ্ধ করার কথা বলাও ভন্ডামী। ভন্ডদের পাল্লাই ভারি হচ্ছে দিন দিন। অথচ প্রতিষ্ঠান গুলোকে দেখা যায় না নিজস্ব ভাবনার কোন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হতে। বিএম কলেজের সংগঠনগুলো বছরের মধ্যে জাতীয় দিবসে যোগ দিয়ে কলেজ প্রশাসনের কাছ থেকে বিল ভাউচার করেই পগার পার। কিন্তু সারা বছর ব্যানার টানিয়ে মৌনভাবে প্রচার করে যায় বহুজাতিক কোম্পানীর গুণগান।

একটি বেসরকারী চ্যানেলের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রবি আজিয়াটা লিমিটেড তার নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে রেখেছে মায়ানমারেও। মায়ানমারের অপরাধীরা এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বাংলাদেশের ভিতরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে অপরাধ সংঘঠিত করে। কোম্পানীটির বিরুদ্ধে রয়েছে জঙ্গীদের অর্থ প্রদানের অভিযোগ। পাশাপাশি দেশে নিষিদ্ধ ভিওআইপি ব্যবসা তার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে চালাচ্ছে বছরের পর বছর।
পাশ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোতে বহুজাতিক কোম্পানীকে বিবেচনা করা হয় উচ্চমার্গীয় গণিকাবৃত্তির সাথে। অথচ আমাদের এখানে একটি বহুজাতিক মোবাইল কোম্পাণীকে মাথার তাজ করে রাখছে সমাজের ল্যাবরেটরী হিসেবে খ্যাত শিা প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক সংগঠন আর সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।
এই যদি হয় সংগঠিত কর্মকাণ্ড তখন বাঙালী হিসেবে লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে মনে পড়ে। তার সেই কবিতার লাইন...

“রেখেছ বাঙালী করে,
মানুষ করোনি...”

অনেকেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভুইফোড় বলার চেষ্টা করেছেন। আমার ধারণা, এরা ভুইফোড়ও নয়। তবে ল্যচ্যুত। এ দায়টা সময় সাপে। অর্থাৎ বর্তমানে হয়তো জাতিবোধহীন, দেশপ্রেম রহিত কোন নেতৃত্বের হাতে পরিচালিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠান গুলো। একটু পিছনের পাতা উল্টানো জরুরী। এ কথা গর্ব করে বলা যায় বিএম স্কুলের মাঠের বৈশাখী মেলা বরিশালের উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক আবহ। বিখ্যাত এই মেলার উৎপত্তি কিন্তু সেই জগদ্বীশ সারস্বত স্কুলের মাঠে। উদীচীর নেতৃত্বে শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে পরিসর বাড়তে থাকলে মেলাটি স্থানান্তর করে বিএম স্কুলে নিয়ে আসা হল। কিন্তু সেখানে এসে কি ল্যচ্যুত হয়নি উদীচীর বৈশাখী মেলা? মাত্র দুই বছর আগে বহুজাতিক কোম্পানী বাংলালিংক এর আর্থিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয় বৈশাখী মেলা। বরিশাল সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এটাই ছিল প্রথম বহুজাতিক কোম্পানীর কাছে নিজেদের সংস্কৃতিকে পরিহাসের উপাদান করা। এ ঘটনা ঘটার পর সাধারণ সচেতন মানুষের মধ্যে বিরুপ মন্তব্য সৃষ্টি হলে বহুজাতিক কোম্পানীর সাইনবোর্ড ব্যবহারের শর্তে অর্থ সহযোগীতা নেয়া বন্ধ করে দেয় উদীচী বরিশাল।



একথা বলা মোটেই অযৌক্তিক হবে না যে, সময়ের সাথে সাথে ঘুনপোকা ধরেছে আমাদের সংস্কৃতি, শিল্প প্রতিষ্ঠানে। আর এভাবে চর্চা চলতে থাকলে এটুকু নিশ্চিত করে বলা যায়, ভবিষ্যতে প্রতিবন্ধি ও পরনির্ভর জাতি গঠিত হবে। যার গোড়াপত্তন এই অবয়ের মাধ্যমে।
অভিযোগ রয়েছে উদীচী যেমন আর্থিক সহযোগিতা নেয়ার জন্য বৈশাখী মেলায় বাংলালিংকের সাইনবোর্ড ব্যবহার করেছিল, তেমনি সংস্কৃতি পরিষদ, রসায়ন কাব, সন্ধানী, ডিবেটিং সোসাইটি, বিদেশী ভাষা প্রশিণ কেন্দ্র, জগদীশ সারস্বত বিদ্যালয় ও বরিশাল ব্যায়ামাগার রবি’র সাইনবোর্ড ও দেয়ালে লোগো ব্যবহার করতে অনুমতি দিয়েছে টাকা নিয়ে। তাহলে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক এগুলো কি বিজ্ঞাপনি সংগঠন বা স্কুল?
তেমনই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে। প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ নিশ্চিত করেছেন বহুজাতিক কোম্পানীর বিজ্ঞাপন তাদের প্রতিষ্ঠানে ঝুলানো একটি গর্হিত কাজ। তবে এ জন্য কারো কাছ থেকে কোন আর্থিক সহযোগিতা নেয়নি।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৬

হাবীব কাইউম বলেছেন: কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো টাকা কামাচ্ছে, সে টাকা দিয়ে যদি কারো কিছু করে দেয়, খারাপ না। তবে কথা হচ্ছে যে প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করে দিচ্ছে, সে প্রতিষ্ঠানের কথা অনুযায়ী করে দিলেই ঝামেলা থাকে না। অর্থাৎ

১. সাইনবোর্ডের জমিনে তাদের রং ব্যবহার করা যাবে না।
২. তাদের নাম/লোগো থাকবে নিচে এক কোনায়।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সৈয়দ মেহেদী হাসান বলেছেন: ঝামেলাটা ঠিক তার বিপরীত। এখানে প্রতিষ্ঠানের নামের চেয়ে বিজ্ঞাপনদাতার নাম বিশ্ব বরেন্য করে দেয়া হচ্ছে।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৭

হাবীব কাইউম বলেছেন: আমার বাড়িও বরিশাল। পোস্ট ভালো লাগলো।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সৈয়দ মেহেদী হাসান বলেছেন: বাহ !

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩০

জাহিদ নীল বলেছেন: valo bolcen vai

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.