নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় সাংবাদিক। ‘জল পরীর ডানায় ঝাপটা লাগা বাতাস’ (২০১৩), ‘সাদা হাওয়ায় পর্দাপন’ (২০১৫) দুটি কবিতার বই প্রকাশিত। তার লেখা নাটকের মধ্যে ফেরা, তৎকালীন, আদমের সন্তানেরা উল্লেখযোগ্য। লেখালেখির জন্য ২০১৫ সালে হত্যার হুমকি প্রাপ্ত হন।

সৈয়দ মেহেদী হাসান

আমার পরিচয় খুঁজচ্ছি জন্মের পর থেকেই। কেউ পেলে জানাবেন কিন্তু....

সৈয়দ মেহেদী হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধন্যবাদ আপনাকে : ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জুমার নামাজের ইমাম নারী

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫২



আমার কাছে ধর্ম হল এক জাতীয় একটি প্রথা। এখানে ঐশ্বরিক কিছু আছে বলে মনে হয় না। ইশ্বর হচ্ছে আবেগীয় ব্যাপার। সেখানে এই মানুষটি ভেঙ্গেছে প্রথা। ধন্যবাদ আপনাকে। সংবাদটি পড়ে আমার ভালো লাগলো। সংবাদটি হল, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন নারীকে যুক্তরাজ্যে জুমার নামাজের ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ইন্ডিপেডেন্ট ইউকের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার ১০০ লোকের জামায়াতে রাহেল রাজা নামের এক কানাডিয়ান লেখিকা এ ইমামতি করেন। এই জামাতের আয়োজক ড. তাজ হারজির মতে, জামায়াতে নারী ও পুরুষের একসঙ্গে প্রার্থনা করা উচিত। যেখানে ইমামতি করবে একজন নারী। এরকম হলে নারী-পুরুষের বৈষম্য কমে আসবে। এ ইমামতির ব্যাপারটি ইসলামের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে অন্যান্য নারীদের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করবে বলেও মনে করেন তিনি। এদিকে একটি যৌথ জামায়াতে ইমামতি করতে পেরে গর্বিত রাহেল রাজা। তিনি বলেন, এটি তার জীবনের একটি গভীর অভিজ্ঞতা। এর আগে ২০০৮ সালে আমেরিকায় আমিনা ওয়াদুদ নামের একজন নারী জামায়াতে নামাজ পড়ানোর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ৪০ জনেরও কম লোকের একটি জামায়াতে নামাজ পড়ান। তবে এই প্রথম কোনো নারী ইমামতি শুরু করলেন তার চাকরি হিসেবে। প্রসঙ্গত, ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী কোনো নারী নামাজে ইমামতি করতে পারেন না। কোরআন-হাদিসের দৃষ্টিতে ইমামতি করার পূর্বশর্ত হচ্ছে পুরুষ হওয়া।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৪

পাউডার বলেছেন: জার্মানি এসাইলাম পেতে তিনটি ধাপঃ
১। কমুনিটি ব্লগ ও নিজের ওয়ারপ্রেস ব্লগে ইসলাম নিয়ে খোঁচান।
২। সাইবারক্যাফে থেকে আন্সারুল্লা নাম দিয়ে নিজেকে হুমকি দিন।
৩। দু তিন মাস পরে জার্মানির এমব্যাসিতে আবেদন করুন।

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৫

স্পর্শহীন আলো বলেছেন: এটা ইসলামে হারাম। ইমাম হওয়ার অন্যতম শর্ত হল পুরুষ হওয়া। আর মহিলার পিছে পুরুষের নামায কবুল হবে না। তাছাড়া মহিলাদের জন্য জুমার নামায ওয়াজিব নয়। এটা ইসলাম ধর্মকে কলুষিত এবং বিভেদ ছড়ানোর জন্য করা হয়েছে।

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৯

পাউডার বলেছেন: @ স্পর্শহীন আলো - কিভাবে হারাম? দয়া করে কোরানের আলোকে ব্যাখ্যা করবেন কি?

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৩

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে আপন খালাকে বিয়ে করে একজন। পত্রিকায় খবর আসলে কেউ বলেছিলেন নারীপুরুষে বৈষম্য কমবে। হয়তো কোন একদিন এমন মানসিকতার কেউ নিজের মাকেই বিয়ে করে বসবে। সত্যিকারের বৈষম্য দূর হবে তখনি। কি বলেন?

৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫২

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: ছোটবেলায় নিড ফর স্পিডে গাড়ি কাস্টমাইজ করতাম। এখন দেখি ইসলামকে তার চাইতে বেশি কাস্টমাইজড করে নেয়া হচ্ছে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার দোহাই দিয়ে। পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থাকে কাস্টমাইজ করাটা কতবড় আহাম্মকি সেটা মুসলিমরা কবে বুঝবে?

৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২৮

ফয়েজ উল্লাহ রবি বলেছেন: এটা ঠিক নয়,তাতে ইসলামের অপমানই হয়েছে।

৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:২৭

পীরবাবা বলেছেন: একজন পুরুষ যেমন চাইলেও বাচ্চা দিতে পারে না, তেমনি নারী চাইলেও ইমামতি করতে পারে না। শুধুমাত্র অংশ নিতে পারে।

৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫১

মোঃ মজনুর রহমান বলেছেন: মহিলার পিছে পুরুষের নামায কবুল হবে না।ইহা ইসলামে হারাম। কোরআন-হাদিসের দৃষ্টিতে ইমামতি করার পূর্বশর্ত হচ্ছে পুরুষ হওয়া। এটা ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে বিধর্মীদের পরিকল্পিত প্রচেষ্টা মাত্র । আমাদের মুসলিমনাধারী নাস্তিকরা উৎসাহী হবে ।

৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২১

দস্যুরাজা বলেছেন: এত স্বল্প বিদ্যা নিয়ে লেখালেখি করা উচিৎ না।

১০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

হানিফঢাকা বলেছেন: যারা এই ব্যাপারে পক্ষে এবং বিপক্ষে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন তাদের সবার কাছে অনুরোধ করছি আপনারা আপনাদের ধরনার পক্ষে এবং বিপক্ষে রেফারেন্স দেন যাতে সবাই বুঝতে পারে ঠিক কোন বিধানের পক্ষে বা বিপক্ষে সমস্যাটা হচ্ছে। দয়া করে মনে হয়েছে বলে বলবেন না, আপনার যা মনে হয় তাই বিধান হবে এমন কোন কথা নেই। সবার মন্তব্য আশা করছি।

১১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮

দস্যুরাজা বলেছেন: Click This Link
http://www.islamicity.org/2576/woman-imam-leading-men-and-women-in-salat/
http://www.questionsonislam.com/question/can-women-be-imam-men-and-women

১২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

রোমেল রহমান বলেছেন: এরূপ ঘটনা খেলাফতের আমলেও হয়েছে। পড়ুন আমির আলি লিখিত ‘ আরব জাতির ইতিহাস’। মূল বইটি লেখা হয় ইংরেজি ভাষায়, ‍Short History of Saracens . এর অনুবাদ করেছে ইসলামী ফাউন্ডেশন।

১৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৪

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: যেটা আপনি বিশ্বাস করেন না সেটা নিয়ে এতো উৎফুল্ল কেন আপনি ?

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৪৭

সৈয়দ মেহেদী হাসান বলেছেন: যাপিত জীবনে শোধনের দরকার রে বন্ধু

১৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫২

রাইসুল ইসলাম রাণা বলেছেন: নামাজ আবেগী ব্যাপার না ভাই,স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ উপকারী। নামাজ হইলো ব্যায়াম। সুতরাং এতে ব্যাটছাওয়াল পড়ালেই কি আর মিয়াছাওয়াল পড়ালেই কি!?

১৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩০

আজাদ মোল্লা বলেছেন: কোরআন ও হাদিসের আলোকে নারীদের সালাত পদ্ধতিকে ইদানিং একটি দল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছে। নিম্নে এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হলো-
সালাত পদ্ধতিতে নারীদের ক্ষেত্রে মৌলিকভাবে দুটি পার্থক্য রয়েছে। আর তা হলো-
১. সতর বা পর্দাকেন্দ্রিক পার্থক্য :
অর্থাৎ যতটুকু সম্ভব গোপনীয়তার মাধ্যমে নারীরা সালাত আদায় করবে। এই মর্মে আল্লাহ মহান পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন,
ﻭَﻗَﺮْﻥَ ﻓِﻲ ﺑُﻴُﻮﺗِﻜُﻦَّ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺒَﺮَّﺟْﻦَ ﺗَﺒَﺮُّﺝَ ﺍﻟْﺠَﺎﻫِﻠِﻴَّﺔِ ﺍﻟْﺄُﻭﻟَﻰ ﻭَﺃَﻗِﻤْﻦَ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻭَﺁﺗِﻴﻦَ ﺍﻟﺰَّﻛَﺎﺓَ ﻭَﺃَﻃِﻌْﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟَﻪُ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟِﻴُﺬْﻫِﺐَ ﻋَﻨﻜُﻢُ ﺍﻟﺮِّﺟْﺲَ ﺃَﻫْﻞَ ﺍﻟْﺒَﻴْﺖِ ﻭَﻳُﻄَﻬِّﺮَﻛُﻢْ ﺗَﻄْﻬِﻴﺮًﺍ
তোমরা গৃহাভন্তরে অবস্থান করবে-মুর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। [সুরা আল আহযাব, আয়াত নং ৩৩]
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ [রা.] থেকে বর্ণিত হুজুর [সা.] এরশাদ করেন নারীদের নিজকক্ষে নামাজ পড়া বাড়িতে নামাজ পড়ার তুলনায় উত্তম, আর নির্জন ও অভ্যান্তরিন স্থানে নামাজ পড়া ঘরে নামাজ পড়া থেকে উত্তম। [হাদিসটি সহিহ, আবু দাউদ ১/৩৮৩, মুসতাদরাকে হাকেম ১/৩২৮]
হজরত আয়েশা [রা.] রাসুল [সা.] থেকে বর্ণনা করেন, ওরনা বা চাদর ব্যতিত নারীদের নামাজ কবুল হবেনা। [আবু দাউদ ১/৪২১ তিরমিজী ২/২১৫-মুসতাদরাকে হাকিম ১/৫১]
উল্লেখিত আয়াত ও হাদিস দ্বারা এ কথার সুস্পষ্টভাবে প্রতিয়মান হয় যে, নারীদের সব সময় পর্দার আড়ালেই থাকা প্রয়োজন। আর নামাজ ইসলামের অন্যতম একটি বিধান সুতরাং নারীর নামাজ অধিক পর্দায় হবে- এটাই বিবেকের দাবী।
আমরা দেখলাম পর্দার ক্ষেত্রে নামাজ পড়ার সময় পুরুষ ও নারীদের কি পার্থক্য আছে, এখন আমরা দেখব নামাজের রুকন বা পড়ার পদ্ধতির ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীদের নামাজের মাঝে কি পার্থক্য আছে
২. রোকন বা পড়ার পদ্ধতিতে নারী ও পুরুষের নামাজের পার্থক্য : চার ধরনের দলীলের আলোকে সংক্ষিপ্ত ভাবে পদ্ধতিগত এই পার্থক্য তুলে ধরা হলো-
১. হাদিস শরীফের আলোকে। ২. সাহাবায়ে কেরামের বক্তব্য ও কর্মের আলোকে। ৩. তাবেয়ী ইমাম গনের ঐক্যমত্যের আলোকে। ৪. চার ইমামের ঐক্যমত্যের আলোকে।
১. হাদিসের আলোকে নারী ও পুরুষের নামাজের পার্থক্য : নামাজি নারীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী ব্যক্তিকে বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে করণীয় কি? রাসুল [সা. এ প্রসঙ্গে বলেন, পুরুষদের জন্য হলো তাসবীহ বলা আর নারীদের জন্য হাতে আওয়াজ করা। [সহীহ বুখারী ১/৪০৩] ইয়াজিদ ইবনে আবী হাবীব [রা.] বলেন, একবার রাসুল [সা.] নামাজরত দুই নারীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তাদেরকে (সংশোধনের উদ্দেশ্য) বললেন যখন সিজদা করবে তখন শরীর জমিনের সাথে মিলিয়ে দিবে, কেননা নারীরা এ ক্ষেত্রে পুরুষদের মতো নয়। [কিতাবুল মারাসিল-ইমাম আবু দাউদ : পৃঃ১১৭]
প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস শায়েখ শুয়াইব আরনাউত [রহ.] হাদিসটির সুত্র সম্পর্কে বলেন, বণর্নাকারী প্রত্যেক রাবী সর্ব্বোচ্চ গ্রহনযোগ্য রাবীদের অন্তর্ভুক্ত সুতরাং হাদিসটি “সহীহ”। [তালীক আলা মারাসিলে আবী দাউদ পৃঃ ১১৭] আহলে হাদিস স্বীকৃত শীর্ষস্থানীয় আলেম নবাব সিদ্দীক হাসান খান বুখারী শরীফের ব্যাখ্যগ্রন্থ ‘‘আওনুল বারী” (১/৫২০) -তে লিখেছেন উল্লেখিত হাদিস সকল ইমামের উসুল অনুযায়ী দলীল হিসাবে পেশ করার যোগ্য। আর এ হাদিসটির উপরই আহলে সুন্নত ও চার মাজহাবসহ অন্যন্যদের আমল চলে আসছে।
উল্লেখ্য এই সব হাদিসের সমর্থনে নারী ও পুরুষদের নামাজ আদায়ের পদ্ধতিগত পার্থক্য ও ভিন্নতাকে নির্দেশ করে । এমন আরো অনেক হাদিস রয়েছে। পক্ষান্তরে এগুলোর সাথে বিরোধ পুর্ন একটি হাদিসও কোথাও পাওয়া যাবে না, যাতে বলা রয়েছে যে, পুরুষ ও নারীর নামাজের পদ্ধতিতে কোন পার্থক্য নেই।
২. সাহাবায়ে কেরামের বক্তব্যের আলোকে নারী ও পুরুষের নামাজের পার্থক্য : হজরত নাফেয় [রহ.] ইবনে উমর [রা.] থেকে বর্ণনা করেন, ওনাকে রাসুল [সা.] -এর যামানায় নারীদের নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, প্রথমত তারা চার পা হয়ে বসত অতপর এক পক্ষ হয়ে বসার জন্য বলা হল। আসারটি সর্বোচ্চ পর্যায়ের সহীহ। [জামেউল মাসানীদ-ইমাম আবু হানীফা [রহ.], খণ্ড ১/৪০০]
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস [রা.] থেকে বর্ণিত ওনাকে নারীদের নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, নারীরা বৈঠকে আংগুলসমুহ মিলিয়ে ও সমবেতভাবে বসবে। [এই হাদিসের সমস্ত রাবী সিকাহ- সুতারাং হাদিস সহীহ, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-খণ্ড ১/২৪২]
৩. তাবেয়ী ইমামগণের ঐক্যমতের আলোকে নারী ও পুরুষের নামাজের পার্থক্য : হজরত হাসান বসরী ও হজরত কাতাদা [রহ.] বলেন, নারীরা যখন সিজদা করবে তখন তারা যথা সম্ভব জরসড় হয়ে থাকবে। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফাঁকা রেখে সিজদা দিবে না, যাতে কোমর উচু হয়ে না থাকে। [ হাদিসটি সহীহ, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, খণ্ড ৩/১৩৭-ইবনে আবী শাইবা ১/৪২]
কুফাবসীদের ইমাম ইবরাহীম নাখয়ী [রহ.] বলেন নারীরা বসা অবস্থায় এক পক্ষ হয়ে বসবে । [সহীহ, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, খণ্ড ১/৪৩]
মক্কা বাসীদের ইমাম আতা ইবনে আবী রাবাহ [রহ.] বর্ণনা করেন নারী যখন রুকুতে যাবে অত্যন্ত সংকোচিতভাবে যাবে এবং হাতদ্বয় পেটের সাথে মিলিয়ে রাখবে। [সহীহ মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৩/১৩৭]
খালেদ ইবনে লাজলাজ সিরিয়া বাসীদের ইমাম , তিনি বলেন নারীদের আদেশ করা হত, তারা যেন নামাযে দুই পা ডান দিক দিয়ে বের করে নিতম্বের উপর বসে। পুরুষদের মত না বসে । আবরনযোগ্য কোন কিছু প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার আশংকায় নারীদেরকে এমনটি করতে হয়। [মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ২/৫০৫]
মোট কথা তাবেয়ীদের যুগে যারা ইমাম এবং ইসলামি বিধি বিধানের ক্ষেত্রে অনুসরনীয় তাদের মতামত থেকে প্রমানিত হল যে, নারী ও পুরুষদের নামাযের পদ্ধতি অভিন্ন মনে করা সম্পুর্ন ভুল । সাহাবি ও তাবেয়ীদের মতামতের সাথে এই ধারনার কোনই মিল নেই।
৪. ইমামের ফিকহের আলোকে নারী ও পুরুষের নামাজের পার্থক্য :
ফিকহে হানাফি : ইমাম আবু হানিফা [রহ.] -এর অন্যতম শাগরেদ ইমাম মুহাম্মদ [রহ.] বলেন আমাদের নিকট নারীদের নামাজে বসার পছন্দনীয় পদ্ধতি হলো উভয় পা এক পাশে মিলিয়ে রাখবে, পুরুষের মতো এক পা দাঁড় করিয়ে রখবে না। [কিতাবুরল আসার ১/৬০৯, আরো দ্রষ্টব্য- হিদায়াঃ ১/১০০-১১০-১১১- ফাতওয়ায়ে শামী ১/৫০৪- ফাতওয়ায়ে আলমগীরি-১/৭৩]
ফিকহে শাফেয়ি : ইমাম শাফেয়ি [রহ.] বলেন, আল্লাহ পাক নারীদেরকে পুরো পুরি পর্দায় থাকার শিক্ষা দিয়েছেন। এবং রাসুলও [সা.] অনুরুপ শিক্ষা দিয়েছেন। তাই আমার নিকট পছন্দনীয় হলো, সিজদা অবস্থায় নারীরা এক অঙ্গের সাথে অপর অঙ্গকে মিলিয়ে রাখবে, পেট উরুর সাথে মিলিয়ে রাখবে এবং সিজদা এমনভাবে করবে যাতে সতরের অধিক হেফাজত হয়। [যাখীরা, ইমাম কারাফী ২/১৯৩]
ফিকহে হাম্বলি : তাকবীরে নারীদের হাত উঠানোর সম্পর্কে ইমাম আহমাদ [রহ.] বলেন, হাত তুলনামুলক কম উঠাবে। [আল মুগনী -২/১৩৯]
এ পর্যন্ত হাদিস, আসারে সাহাবা, আসারে তাবেয়ীন ও ইমামের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের আলোকে এ কথা সুস্পষ্ট হল যে, পুরুষ ও নারীর নামাজের পদ্ধতির অভিন্ন নয় বরং ভিন্ন।।
মৌলিকভাবে নারী ও পুরুষের নামাজের মাঝে পাচ ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে- ১. তাকবিরে তাহরিমার সময় হাত ওঠানো। ২. হাত বাঁধার স্থান। ৩. রুকুতে সামান্য ঝোঁকা। ৪. সিজদা জড়সড় হয়ে করা। ৫. বৈঠকে পার্থক্য।
প্রথম পার্থক্য- তাকবিরে তাহরিমার সময় হাত ওঠানো : এক. ‘ওয়ায়েল ইবনে হুজুর [রা.] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবীজি [সা.]-এর নিকট এলাম, তিনি আমাকে বললেন, হে ওয়ায়েল ইবনে হুজুর! যখন তুমি নামাজ পড়বে তখন তুমি তোমার হাত কান পর্যন্ত ওঠাবে আর নারীরা তাদের হাত বুকের ওপর বাঁধবে। [হাইসামি [রহ.] বলেন, ‘এই হাদিসের সমস্ত রাবী নির্ভরযোগ্য, উম্মে ইয়াহইয়া ব্যতীত। কিন্তু পরবর্তী মুহাদ্দিসগণের নিকট উম্মে ইয়াহইয়াও প্রসিদ্ধ।]
দুই. ‘ইমাম যুহরী (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : নারীরা কাঁধ পর্যন্ত হাত ওঠাবে। [মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা : ১/২৭০]
দ্বিতীয় পার্থক্য- হাত বাঁধা : ইমাম তহাবী (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : নারীরা তাদের উভয় হাতকে বুকের ওপর রেখে দেবে, আর এটাই তাদের জন্য যথোপযুক্ত সতর। (আসসিআয়া : ২/১৫৬, ফাতাওয়ায়ে শামী : ১/৫০৪, আল মাবসুত সারাখসী : ১/২৫)
তৃতীয় পার্থক্য- রুকুতে কম ঝোঁকা : ‘যখন নারী রুকুতে যাবে তখন হাতদ্বয় পেটের দিকে উঠিয়ে যথাসম্ভব জড়সড় হয়ে থাকবে, আর যখন সিজদা করবে তখন হাতদ্বয় শরীরের সাথে এবং পেট ও সিনাকে রানের সাথে মিলিয়ে দেবে এবং যথাসম্ভব জড়সড় হয়ে থাকবে।
চতুর্থ পার্থক্য- সিজদা জড়সড় হয়ে করা : ‘বিখ্যাত তাবেঈ ইয়াযীদ ইবনে আবী হাবীব বলেন, একবার নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নামাজরত দুই নারীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তাদেরকে (সংশোধনের উদ্দেশ্যে) বললেন, যখন সিজদা করবে তখন শরীর জমিনের সাথে মিশিয়ে দেবে। কেননা নারীরা এ ক্ষেত্রে পুরুষদের মতো নয়।’ [কিতাবুল মারাসীল ইমাম আবু দাউদ হা. নং ৮০] আবু দাউদ (রহ.)-এর উক্ত হাদিস সম্পর্কে গায়েবে মুকাল্লিদদের বিখ্যাত আলেম ও মুহাদ্দিস নওয়াব সিদ্দীক হাসান খান ‘আউনুল বারী’ ১/৫২০-এ লিখেছেন, এই মুরসাল হাদিসটি সকল ইমামের উসুল ও মূলনীতি অনুযায়ী দলিল হওয়ার যোগ্য।
হজরত মুজাহিদ ইবনে জাবর [রহ.] পুরুষদের জন্য নারীদের মতো ঊরুর সাথে পেট লাগিয়ে সিজদা করাকে অপছন্দ করতেন। [মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা : ১/৩০৩]
হজরত হাসান বসরী ও কাতাদাহ (রহ.) বলেন, নারী যখন সিজদা করবে তখন সে যথাসম্ভব জড়সড় হয়ে থাকবে। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ফাঁকা রেখে সিজদা করবে না, যাতে কোমর উঁচু হয়ে থাকে। [মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা : ১/৩০৩]
পঞ্চম পার্থক্য- বৈঠকের ক্ষেত্রে নারীগণ উভয় পা বাঁ পাশ দিয়ে বের করে দিয়ে জমিনের ওপর নিতম্ব রেখে ঊরুর সাথে পেট মিলিয়ে রাখবে : হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর [রা.] থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, নারী যখন নামাজের মধ্যে বসবে তখন যেন এক ঊরু (ডান ঊরু) আরেক ঊরুর ওপর রাখে, আর যখন সিজদা করবে তখন যেন পেট ঊরুর সাথে মিলিয়ে রাখে, যা তার সতরের জন্য অধিক উপযুক্ত হয়। [সুনানে কুবরা বাইহাকী : ২/২২৩]
হজরত খালেদ ইবনে লাজলাজ [রহ.] বলেন, নারীদেরকে আদেশ করা হতো তারা যেন নামাজে দুই পা ডান দিক দিয়ে বের করে নিতম্বের ওপর বসে, পুরুষদের মতো না বসে, আবরণীয় কোনো কিছু প্রকাশ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় নারীদেরকে এমনটি করতে হয়। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা : ১/৩০৩)
ইবনে আব্বাস [রা.]-কে জিজ্ঞেস করা হলো যে নারীরা কিভাবে নামাজ আদায় করবে? তিনি বললেন, খুব জড়সড় হয়ে অঙ্গের সাথে অঙ্গ মিলিয়ে নামাজ আদায় করবে। [মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা : ১/৩০২] উপর্যুক্ত সংক্ষিপ্ত আলোচনা একটু মনোযোগের সাথে পাঠ করলে একজন ঠাণ্ডা মস্তিষ্কের পাঠক সহজে অনুমান করতে সক্ষম হবেন যে, নারীদের নামাজের পার্থক্যের বিষয়টি নবীজি [সা.] এবং সাহাবীদের যুগ থেকেই চলে আসছে এবং -এর পক্ষে অনেক শক্তিশালী দলিল রয়েছে।
কিন্তু কিছু কিছু ইসলামী চিন্তাবিদ (?) সালাফ থেকে চলে আসা সুপ্রতিষ্ঠিত মত ও পথকে উপেক্ষা করে নিজের গবেষণালব্ধ মত ও পথকে জনগণের মাঝে চালিয়ে দেওয়ার ও জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

১৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৬

সরলহীন বলেছেন: ওরাতো নামাজ পরছে না............. নারী পরুষের মিলন ঘটাচ্ছে .....

তাই বিভ্রান্ত হবার দরকার নাই আমাদের......

১৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:০১

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: কাদিয়ানীদের কারবার।

১৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০২

আহলান বলেছেন: @আজাদ মোল্লা ভাই .... আপনার উলু বনে মুক্তা ছড়ানোর কোন দরকার নেই। পোষ্ট দাতা কি আপনার এহেন রেফারেন্সে নিজের পছন্দকে অপছন্দ বা এভাবে নামাজ সত্যিই ইসলামে স্বিকৃত নয় বলে মনে করছেন বলে আপনি ভাবছেন? আপনি কি ভাবছেন এই লেখক আসলেই সত্য ইসলামের উনসন্ধান করছেন আর আপনি তাকে কোরআন হাদিসের আলোকে সত্য ইসলামরে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন? মোটেও তা নয়। তারা নারীকে অন্যরুপে দেখতে চায় .... একভাবে দেখেতে দেখতে চোখ নতুন আঙ্গিক আশা করছে ... তাই এই ব্যবস্থা .... নচেৎ যাদের পরিবারে বিন্দু মাত্র ইসলামের জ্ঞ্যান আছে, তারা কখনো এমন পোষ্ট পজেটিভ জ্ঞ্যানে পরিবেশন করতে পারে কি ? এবসার্ড .....

১৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৮

অবিবাহিত ছেলে বলেছেন: মুসল্লিগুলা দেখছেন- একটারও টাকনুর উপর কাপড় উঠানো না. দাড়ি, টুপি তো নেই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.