নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় সাংবাদিক। ‘জল পরীর ডানায় ঝাপটা লাগা বাতাস’ (২০১৩), ‘সাদা হাওয়ায় পর্দাপন’ (২০১৫) দুটি কবিতার বই প্রকাশিত। তার লেখা নাটকের মধ্যে ফেরা, তৎকালীন, আদমের সন্তানেরা উল্লেখযোগ্য। লেখালেখির জন্য ২০১৫ সালে হত্যার হুমকি প্রাপ্ত হন।

সৈয়দ মেহেদী হাসান

আমার পরিচয় খুঁজচ্ছি জন্মের পর থেকেই। কেউ পেলে জানাবেন কিন্তু....

সৈয়দ মেহেদী হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাংঘাতিক ধারার সাংবাদিকতা: সেকাল ও একাল

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯



সংবাদ কোন আড়তদারের গুদামে মজুত থাকে না কিংবা ব্যাংকের ভল্টেও সুরক্ষিত থাকে না যে ইচ্ছেমত তুলে এনে পরিবেশন করলাম। তবে বর্তমানে এমনটিই চলছে ব্যাপকভাবে।

একজন গেরস্থ যেমন আয়-বানিজ্য করে পরিবারের অন্য সদ্যদের খাওয়ায়-পড়ায় তেমনি একজনের আহরিত সংবাদ অপরাপরগণ ভাগ বাটোয়ারা করে নিজেদের মতহ করে অন লাইনে প্রচার করে। কি চমৎকার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান!

নব্বই দশকেও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে গায়ের ঘাম ঝড়াতে হয়েছে। সরেজমিনে সংবাদ/ প্রতিবেদন সংগ্রহের জন্য রাত-বিরাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ছুটতে হয়েছে।

এখন হ্যালো ওসি সাব, হ্যালো বড় কর্তা, নিউজ টিউজ দেন দেখি। তারাও যা পারে নিউজ দেয়। তাহারা ছাপায়। অতএব কার্যতঃ ওসি বিভিন্ন অফিস আদালতের বড় কর্তারাই সাংবাদিক আর ঐসমস্ত সাংবাদিকরা বড়জোর মুহুরী।

মটরসাইকেলে বড় করে প্রেস লিখে যারা দাপিয়ে বেড়ায় ১৬ আনার ১২ আনাই মূলতঃ প্রস। টাকা দিলেই “চিৎ কাইত” বোর্ডিং।

সরকারি অধিদপ্তরসমূহের মধ্যে প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স অ্যাক্ট এর বাস্তব প্রয়োগকারীদের ১৮ মাসে বছর। তাও শেষ হতে চায়না। তথ্য মন্ত্রণালয়ের জঙ্গী বিরোধী পোষ্টার দেখলাম। কালো শেডে এম-১৬ অটোমেটিক রাইফেল উচিয়ে যেভাবে জঙ্গীর প্রতিকৃতি তাতে মনে হয় জঙ্গী গোষ্ঠীতে দলে দলে যোগ দিন। নিয়মানুযায়ী সেখানে লাল কালিতে ক্রস দেবার কথা, তা নেই।

ডিএসবি অফিসের সামনে দেখলাম বুলডোজার এনার্জিং ড্রিংকস্ শক্তিতেই ভক্তি, ইত্যাদি কেন ? সব রেখে শক্তিকে ভক্তি করবো কেন? জঙ্গী-সন্ত্রাসীরা এরপর বলবো সত্য শক্তিতে ভক্তিতে, ভক্তিতে মুক্তি। জনমনে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা কোন ভুলের বিষয় নয়, রীতিমত দণ্ডনীয় অপরাধ। সৎ, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ধারায় মূখ্য সংবাদ বিবেচ্য।

গৌন সংবাদ বিবেচ্য বলতে দুটি শব্দ আছে। অসহায় মানুষ, দূর্ণীতি, অস্ত্র, মাদক, নারী ও শিশু পাচার পরিবেশবাদীতা, উন্নয়মূলক প্রতিবেদন এভাবে সাধারণত শ্রেণী বিন্যাস হবে। পূর্বানুসৃত এবং অগ্রীম সংবাদও জরুরীত্ব বিবেচনায় মূখ্য সংবাদ হিসেবে পরিগণিত। কিন্তু অন লাইন সাংবাদিকতায় এসবের বালাই নেই, নেই কেন ? সংবাদ পাচ্ছি, দিচ্ছি, কম্পিউটার তা ছাড়িয়ে দিচ্ছে ব্যাস এতেই ষোলকলা পূর্ণ।

স্বকীয়তা অর্জন একটা মৌলিক এবং মার্জিথ বিষয়। অস্কার ওয়াইল্ডকে তার মা একটা শার্ট উপহার দেন। জবাবে ওয়াইল্ড চিঠিতে লেখে মা, তোমার পাঠানো ফ্ল্যালোনের শার্টটা বড়ই সুন্দর, আমি মুগ্ধ, কিন্তু মা ওটা আমি পড়তে পারছিনা কারণ ওটা বড়ই কর্কশ। তোমার অস্কার ওয়াইল্ড এটা দ্বারা আমি কিছুই বুঝাতে চাইনা, শুধু বলতে চাই পরিশ্রম লব্ধ অর্জন সেটার আবেদন সর্বব্যাপী। সাংবাদিকতাকে অনেকে পেশা এবং নেশা হিসেবে দেখে। এখানেই সমস্যা। এটা একটা সেবা।

দেশ, জাতী, মানুষের সেবা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক প্রচার আন্দোলনেও এটা নব নব ধারার সূচনায় আবদ্ধ নবজাগরণের জন্য। মানুষ এবং সমাজ কেমন আছে সেটা বোঝাতে বেশী জরুরী বিষয়টার নামই সাংবাদিকতা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮

বর্ণিল হিমু বলেছেন: হলুদ সাংবাদিক....!

২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

পবন সরকার বলেছেন: সুন্দর লেখা

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: এখনি এমনটা বন্ধ হওয়া উচিৎ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩

সৈয়দ মেহেদী হাসান বলেছেন: বন্ধ করার মানুষ বন্ধ্যা হয়ে গেছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.