নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় সাংবাদিক। ‘জল পরীর ডানায় ঝাপটা লাগা বাতাস’ (২০১৩), ‘সাদা হাওয়ায় পর্দাপন’ (২০১৫) দুটি কবিতার বই প্রকাশিত। তার লেখা নাটকের মধ্যে ফেরা, তৎকালীন, আদমের সন্তানেরা উল্লেখযোগ্য। লেখালেখির জন্য ২০১৫ সালে হত্যার হুমকি প্রাপ্ত হন।

সৈয়দ মেহেদী হাসান

আমার পরিচয় খুঁজচ্ছি জন্মের পর থেকেই। কেউ পেলে জানাবেন কিন্তু....

সৈয়দ মেহেদী হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘পত্রিকায় লিখে মেয়েদের ইভটিজিং’ আমাদের মুখে কুলুফ

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৫



পত্রিকা। নিউজ পেপার। গণমাধ্যম। সবকিছুই একার্থবোধক।
পত্রিকার প্রতি সবার সম্মান আলাদা। সাধারনত বলা হয়ে থাকে পত্রিকা না থাকলে অপরাধিরা নিরিহ মানুষকে কোরবানির পশুর মত উৎসাহ-উদ্দিপনা নিয়ে জবেহ করতো। কিন্তু সেই পত্রিকাই যখন একটা মানুষকে বা গোটা জাতিকে জবেহ করে তখন আপনি তাকে কি পত্রিকা বলবেন? তেমনি বরিশালে যে হারে পত্রিকার সংখ্যা বারছে তাতে সাংবাদিক ব্যাতিত সাধারন মানুষ খুজে পাওয়া দুষ্কর। সেই সাথে বাড়ছে পত্রিকা সংক্রান্ত অপরাধ। ইতিমধ্যে এমনই একটি পত্রিকা নিয়ে হৈ-চৈ শুরু হয়। কিন্তু প্রশাসন শেষ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। অর্থাৎ স্থানীয় প্রশাসনও মৌনভাবে সেই অপরাধের সমর্থন জুগিয়ে গেল !

বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক কীর্তণখোলা পত্রিকায় নারী জাতিকে অবমাননা করার দায়ে পত্রিকাটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। বিগত দুইদিন ধরে নারীবাদি, নারী আন্দোলন কর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী, বিশিষ্ট সাংবাদিক, কবি এবং ফেসবুকের হাজার হাজার ব্যবহারকারী এ দাবি জানিয়ে আসছেন তাদের লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের মাধ্যমে। নারী আন্দোলন কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে কঠোর অন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। একই সাথে বরিশাল প্রশাসনের প্রতি আহবান রেখেছেন এধরনের আপত্তিকর পত্রিকা যারা নারীকে পন্য মনে করে তাদের উপর কঠোর নজরদারি রাখতে এবং নারী পুরুষের সমতা স্থাপনের বিপরীতে যারা বিভেদ উস্কে দেয় তাদের উপর কঠোর হস্ত হবারও দাবী করেন তারা। ইতিমধ্যে বরিশালের জেলা প্রশাসক কর্তৃক পরিচালিত জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ ‘সমস্যা ও সম্ভাবনা’ পেজে অবমাননার ঐ সংবাদের ছবি তুলে পোস্ট করে বিচার চেয়েছেন অনেকেই। আর পুরো বিষয়টি নিয়ে বিপাকে পরেছে কীর্তণখোলা কর্তৃপক্ষ। তবে তারা এ ব্যপারে কোন মুখ খুলছেন না। জানা গেছে, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে দৌড়-ঝাপ শুরু করেছেন পত্রিকার প্রকাশক শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত প্রেসক্লাবের সহ-সাধারন সম্পাদক কাজী মিরাজ মাহমুদ।



Ashiq Khan নামক একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী। সমস্যা ও সম্ভাবনা পেজে ২৮ সেপ্টেম্বর ১২টা ২৬ মিনিটে পত্রিকার ছবি পোস্ট করেন। তার স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, আর কতো? একটা দৈনিকের ফ্রন্ট পেইজে এই লিড নিউজ? মাননীয় ডি সি স্যার দরকার হয় নিউজ পড়বো না, কিন্তু দৃষ্টিকটু এমন কিছু দেখতে চাই না। [নিউজ:বিয়ের পর মেয়েদের........]

এর পরপরই শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। বির্তকিত পত্রিকা কীর্তণখোলাকে ‘চটি পত্রিকা’ আখ্যা দিয়ে পত্রিকাটির বিরুদ্ধে গ্রুপ মেম্বাররা তাদের অভিমত ব্যক্ত করা শুরু করেন।

Sheakh Reyad Muhammad Noor লেখেন, এই ‘চটি পত্রিকার’ সম্পাদকের নাম কি রসময় গুপ্ত?

Romeo Talukder লেখেন, চটি পেইজের এ্যাডমিন থেইকা নিউজ পেপারের সম্পাদক হইলে যা হয় আরকি। মানহীন এই পত্রিকা গুলো বন্ধ করা উচিত। এই সব ফাউল পত্রিকার জন্য গজায় আরে কিছু আতেল সাংঘাতিক।

Babu Hemsworth লেখেন, ‘সাংবাদিক যদি আন্ডার মেট্টিক হয় তবে যা হয়’

Rubayat Rony লেখেন, সাবধান সবাই ! এরপর আসছে একশিরার রোগীর অন্ডকোষ দেখতে কেমন তার ছবিসহ প্রতিবেদন।



চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য Javier Jewel লেখেন, একজন সাংবাদিক হিসেবে বলছি, এই পত্রিকাটি বাইরের বিভাগের কেউ পেলে বরিশালের সম্মান আর কিছুই বাকি থাকবে না। একটা আঞ্চলিক পত্রিকা সেই অঞ্চলের দর্পণ। এই পত্রিকা বরিশালের জনগণের নোংরা রুচির ছবিই তুলে ধরছে। এই নিউজটা কোনোভাবেই তিন কলাম জায়গা পেতে পারে না। বড় জোড় সিঙ্গেল কলাম বক্স নিউজ হতে পারে। আর সবচেয়ে বড় আপত্তিকর হচ্ছে এই নিউজে যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে সেটা। পত্রিকায় চোখ বুলিয়ে বুঝলাম, কোন নিউজটা কোথায় বসানো উচিত, সাব-এডিটর এটা জানেন না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, অতিরিক্ত বানান ভুল চোখে পড়ছে। এবং ন্যারেটিংয়ে এক শব্দ বারবার রিপিট হয়েছে। এই পত্রিকার এডিটর সম্ভবত সাংবাদিকতার চেয়ে বিজনেস নিয়ে বেশি মনযোগী। তাই পত্রিকার কাটতি বাড়াতে এই নিউজকে ছবিসহ ৩ কলাম করে প্রথম পেইজে বসানোকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। অথবা সাব-এডিটর আর পেইজ ডিজাইনার মিলে পেইজগুলো কোয়ার্ক ডিজাইন শেষ করার পর এডিটর সাহেব ডামি প্রিন্ট নিয়ে চেক করেন না। পত্রিকায় যারা কাজ করছেন, তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে 'গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা' বিভাগে পড়ে আসেন না। কিন্তু সাংবাদিকতায় ট্রেনিং ও কর্মশালা অংশগ্রহণ জরুরি। মফস্বলের পত্রিকা অফিস জাতীয় পত্রিকার বিশিষ্ট সাংবাদিকদের এবং সাংবাদিকতার অধ্যাপকদের এনে নিজেদের নতুন নিয়োগ দেওয়া রিপোর্টার ও সাব-এডিটরদের জন্য অন্তত শর্ট ট্রেনিং হলেও আয়োজন করতে হয়।

Sohag Biswas লেখেন, বরিশালের অধিকাংশ আঞ্চলিক পত্রিকায় যেসব বার্তা প্রধানরা বসেন তাদের কেউই সাংবাদিক হওয়ার যোগ্যতে রাখেনা। এদের অনেকেই পত্রিকা বানানেও ভুল করবে।

Shamim Khan লেখেন,বরিশালে পাঠকের চেয়ে যেমন পত্রিকা বেশি, তেমনি সাধারন পাবলিকের চেয়ে সাংবাদিক বেশি! আমি বরিশালেরই। পরিচিত যত মাথামোটা, ঘাড়বাকা, সাবেক বদমাইশ, এলাকার নামি বেয়াদব, সবগুলাই এখন সাংবাদিক!!! ভাবা যায়?!!

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলাম লেখক, গাজী টিভির বার্তা সম্পাদক সাঈফ ইবনে রফিক লেখেন, ‘উনারা অনেক বড় সাংবাদিক। কমেন্ট করতে ভয় পাই।’

ডিসি পরিচালিত ‘সমস্যা ও সম্ভাবনা’ পেজে করা এই পোস্টে ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩১৭ লাইক, ৪ টি শেয়ার ও কয়েক শ’ কমেন্ট করে দিয়ে পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে গ্রুপ মেম্বাররা।



ওদিকে নারী আন্দোলন কর্মী, প্রবাসী লেখক ভায়লেট হালদার তার নিজস্ব ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘কীর্তনখোলা’ বরিশালের আঞ্চলিক দৈনিক। পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠার সংবাদ শিরোনাম 'বিয়ের পর মেয়েদের কোমর মোটা হয় কেন?' এটা সংবাদ!!! এ ধরণের সংবাদ পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় স্থান পায় কি করে? এসব পত্রিকার মালিক, সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক কে বা কারা? কি উদ্দেশ্যে এসব পত্রিকা চলে? কারাই বা এর পাঠক? এসব দেখার কি কেউ নেই নাকি সবার রুচি একই স্তরে নেমে এসেছে? টাকা থাকলে পত্রিকার মালিক হওয়া যায়, সাংবাদিক পরিচয়পত্র পকেটে নিয়া ঘোরা যায়! কি বিচিত্র দেশ! বড় বড় জ্ঞানীগুনীজনের শহর বরিশাল, মহামানবদের দেহত্যাগের পরে বরিশালে বোধহয় আর মানুষের জন্ম হচ্ছে না, জন্ম নিচ্ছে আজব সব বিচিত্র প্রাণীরা। লজ্জিত আর অপমানিতবোধ করছি।

সেখানে লেখেন, Trisha Banerjee ‘নিজেদের অসুস্থ মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন মালিক এবং সম্পাদকেরা। আর খবর খুজে পায়নি দেওয়ার মতো। সেই কারণে এবং পুরুষদের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে এসব নিকৃষ্টমানের খবর ছাপাচ্ছেন।’

Nazmulhossain Faysal কমেন্ট করেন, ছিঃছিঃছি কে এই পত্রিকার মালিক সম্পাদক ওনাদের তো বেনামি চটি পত্রিকা বের করার যোগ্যতা ছিল কেন ডিসি সাহেব দৈনিক পত্রিকার অনুমতি দিলেন?



Adword Rahul লেখেন, এই পত্রিকার মালিক এবং সম্পাদক হল আলহাজ্ব কাজি মিরাজ আর এটা কোন লেবেলের পত্রিকা সেটা তো বুঝতেই পারছেন ! এই পত্রিকার মালিকের আরও একটা পত্রিকা আছে, খেয়াল করে দেখেন, আপনি যে পাতার ছবি দিয়েছেন সেই একই পাতায় ডি সি মহাদ্বয়ের ছবি আছে এবং ঠিক লাল মার্ক করা ছবিটার পাশেই ।

কবি তুহিন দাস লেখেন, জামাতী পত্রিকা।......দলের সঙ্গে রুচির ব্যাপারও থাকে। বাম পত্রিকা ভ্যানগার্ড নিশ্চয়ই এসব ছাপবে না। এ তো বিদেশী পত্রিকার পেজ নং থ্রিতে যেমন রমরমা গসিপ থাকে তেমন বিষয়। এসব পাঠক খুব খায়, কাটতি বাড়ে, আলোচিত হয় পত্রিকা।


Al-Amin Babu লেখেন, এই পত্রিকার পারমিশন দেছে কোন হালার পো হালায় ? পত্রিকার প্রথম পাতায় ডিসি সাহেবের ছবি লগেই মাতারিগো ছবি আর নিউজ হইলো বিয়ার পর মাইয়া মানুষের কোমড়ে মেদ হয় কেন ? পত্রিকার সম্পাদক আবার আলহাজ। এই বরিশাল জন্ম দিয়েছে হাজারো গুণীজন কে যারা সারাবিশ্বে নামউজ্জল করেছে আমাদের আমরা বরিশালের গর্বিত সন্তান , আমরা কিছুতেই এই সব ‘আউর কাউর’ দেখতে চাইনা আমাদের শহরে!! নতুন প্রজন্ম জেগে ওঠো, বন্ধ করো এই সব, আমরা বরিশাইল্লারা গোয়ার মানতে রাজি আছি কিন্তু আমরা বরিশাইল্লারা অশালীন না !! বরিশালে কি শিক্ষিত মানুষের শর্ট পড়ছে???



পানশালার কবি লেখেন, আমি বরিশালে যোগােযাগ করেছি। সেখানের বন্ধুরা জানিয়েছে: এই চটি পত্রিকার সম্পাদক কাজী মিরাজ মাহমুদ নাম তার। যিনি পত্রিকার মালিক হয়েছেন ফোটো সাংবাদিকতা করে। এই পত্রিকার বার্তা সম্পাদক একজন দোকানের কম্পিউটার অপরেটর ছিল সালেহ টিটু। কয়েকদিন পূর্বে এই পত্রিকার সাংবাদিক খান আব্বাস শেবাচিমের সামনে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাঁদা চাইতে গিয়ে গণধোলাই খায়। তা নিয়ে পত্রিকা কর্তৃপক্ষ পোস্টারিং করে। মূলত খান আব্বাসকে সবাই নারী খেকো বলে জানে। নারীদের সাথে প্রতারনা করে টাকা পয়সা হাতানোই তার ধান্ধা। যিনি এক ভিক্ষুকের ১০০ টাকা ছিনতাই করে ধরা পরার পর তাকে ছাড়িয়ে আনতে যান কাজী মিরাজ মাহমুদ। মিরাজ মাহমুদ বরিশালে দুটি হোটেল চালায় যেখানে মেয়েদর দিয়ে দেহ ব্যবসা করায়। হোটেল দুটি হলো পোর্ট রোডে হোটেল সী ভিউ, এবং হাসপাতাল রোডের প্যারাডাইস। আমি জেনেছি যিনি নিজে সংবাদের ফোটো তুলতে গিয়ে অপরের স্ত্রী নিয়ে পালান তার সম্পাদনার পত্রিকাতো কখনো সমাজে ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না। কাজী মিরাজ মাহমুদ হলো এমন যিনি অপরের বৌ নিয়ে পালিয়েছিলেন এবং সেই নারী এখনো তার ঘরে। সমাজের পত্রিকার একটা দায় আছে। কিন্তু এই পেপারটা শুরু থেকে এভাবে চটি ধারার সংবাদ ছেপে আসতেছে। এরা সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে থাকে। আর নারী হলো এদের কাছে পন্যের মত। নয়তো এমন চটি সংবাদ ছাপে কি করে? চরিত্রহীন সম্পাদক কাজী মিরাজ মাহমুদকে নারী জাতিকে অবমাননা করার জন্য প্রকাশ্যে জুতাপেটা করা হোক বলে ঐখানের প্রশাসনের প্রতি আহবান রাখছি।

ভায়লেট হালদার-এর পেস্টটি ৬ বার শেয়ার হয়েছে। আর লাইক কমেন্টস অসংখ্য।



এ ব্যপারে মহিলা পরিষদ বরিশালের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক প্রতীমা সরকার বলেন, নারীদের অবমাননা করে এধরনের সংবাদ যারা প্রকাশ করেছে আমি মনে করি সেই পত্রিকার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেয়া উচিত। এরাতো কোন পত্রিকা নয় বরংছ একটা এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নেমেছে। যেহেতু ডিসি মহোদয়ের পেজে এই সমস্যাটি ফলাও করা হয়েছে এখন ডিসি মহোদয়ের কাছে অনুরোধ রাখবো যেন পত্রিকাটির বিরুদ্ধে মন্ত্রনালয়ে লিখিত পাঠিয়ে দাফতরিক ভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।

মহিলা পরিষদ বরিশালের সভাপতি রাবেয়া খাতুন বলেন, এ ধরনের সাংবাদিকতার প্রয়োজন আমাদের দেশে নেই। মেয়েদের পশ্চাৎ দেশের ছবি উদঘাটনের মত পত্রিকার নোংরামি প্রকাশ করে এরা কোন পত্রিকা নয়। যেহেতু ডিসি মহোদয়ের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে এখন তার সিদ্ধান্তের সাথে আমরা আছি। পাশাপাশি এই ব্যপারে মহিলা পরিষদ অবশ্যই পদক্ষেপ গ্রহনে সক্রিয় থাকবে।


এখন প্রশ্ন হলো একটি পত্রিকাই যদি নারী জাতিকে অবমাননা বা ইভটিজিং করে থাকে তাহলে নারীদের সর্ম্পকে পরবর্তী প্রজন্ম শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখাবে কি করে? সভ্যতার এই চরম উৎকর্ষের সময়েও আমরা কি আসলেই সামনে এগোচ্ছি, নাকি আধুনিকতার বেশাবরণে পিছনে যাচ্ছি ক্রমে? গনমাধ্যম হলো সমাজকে সুস্থ করবে। কিন্তু এসব পত্রিকা দেখলেতো আমরাই অসুস্থ হয়ে পরছি। এর থেকে মুক্তি আসবে কি করে?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৯

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: ছিঃ

২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:০৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
এই সংবাদ প্রথম পাতায় স্থান পাওয়া নিয়ে সবাই অভিযোগ করছে, কিন্তু এই সংবাদ পত্রিকায় ছাপায় কীভাবে তা নিয়ে কেন কেউ সোচ্চার হচ্ছে না।

এটা তো পত্রিকায় স্থান পাওয়ার মত কিছুই না। জাস্ট জনসম্মখে অবমাননা করা হলো নারীদের।
নামও তো চরম দেখি। কীর্তনখোলা।

ব্যবস্থা নেওয়া হোক এদের বিরুদ্ধে।

৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:২০

আনিসা নাসরীন বলেছেন: এগুলাকে পত্রিকা না বলে অন্যকোন নামে ডাকা উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.