নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় খুঁজচ্ছি জন্মের পর থেকেই। কেউ পেলে জানাবেন কিন্তু....
কাল রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরি। আজ দুপুরে গরিবের আশ্রয় স্থল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গেলাম। সিরিয়ালে দাড়িয়ে থেকে, ঝগড়া-ফ্যাসাদ করে প্রায় এক ঘন্টায় বর্হি বিভাগের টিকিট পেলাম। শেষে গেলাম ডাক্তারের রুমের সামনে। প্রথমে মেডিসিন পুরুষদের জন্য ১০৭ নম্বর কক্ষে ঢুকে স্লিপটি জমা দিলাম। কম্পাউন্ডার জানালো, ডাক্তারে নাস্তা করতে গেছেন। তখন দুপুর সোয়া ১২টা হবে। ওই ভদ্রলোক বললেন, ১০৩ নম্বর কক্ষে চলে যান। গেলাম। সেখানে একজন কিশোর বসা। স্লিপটি জমা দিতেই বললেন, এখানে জমা দিছেন কেন?
: কোথায় জমা দিব ভাই?
: ১০৭ নম্বরে যান। গিয়া ডাক্তার দিয়া রেফর করাইয়া আনেন।
আমি গেলাম আবার ১০৭ নম্বরে। সেখানে বসা মুরব্বিকে বললাম, কাকা ১০৩ নম্বরের ভাইতো বলল রেফার করাইয়া দিতে।ভদ্রলোক এবার স্লিপটি হাতে নিলেন। তখনই একজন নারী বের হয়ে যাচ্ছেন ডাক্তারের কক্ষ থেকে। তার পিছনে একজন পুরুষ। বুড়ো লোকটি স্লিপটি এগিয়ে দিলেন সেই পুরুষ ভদ্রলোকের দিকে। তিনি স্লিপটি ফিরিয়ে দিয়ে বললেন, এখন না।
শেষে, কম্পাউন্ডার সাহেব আমাকে বুঝিয়ে বললেন ডাক্তার স্যারের আবার স্ত্রী অসুস্থ। এই যে বের হয়ে গেলেন। আইজ আর হইবে না।
আমি বললাম, তাহলে আমি কি করতে পারি?
তিনি এবার একটা সিল মেরে বললেন, যান আবার ১০৩ নম্বরে।
আসলাম ১০৩ নম্বরে। স্লিপটি জমা দিতেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন সেই কিশোর। বললেন, ওই মিয়া বলছি ডাক্তার দিয়া রেফার করতে। এখানেতো শুধু সিরিয়াল যে পরছে তার সিল। যান আপনার ডাক্তার দেখানো লাগবে না।
বললাম ভাইয়া, আমার খুব সমস্যা।
: আপনার সমস্যা তাতে আমার কি? (পাশের একজনকে বলতে লাগলেন) দ্যাশে এ্যাত মানুষ। আর এক রোগ। মরে না কেউ। খালি আইয়া কইবে, আমারে এট্টু দেহাইয়া দেন।
তখন ভাগ্রক্রমে ১০৭ নম্বর কক্ষের মুরব্বি এসে পরলেন। তিনি বললেন, এই ভাইয়ের স্লিপটা জমা নে। তার পায়খানার রাস্তায় সমস্যা
কিশোরের সাথে যুক্ত হলনে আরকে যুবক। বললনে, কি ভাই আপনার হোগা ফুডা হইয়া গেছে?
আমি তার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম।কই দেখি বলে, স্লিপটা নিয়ে নিলেন। দেখে বললেন, যান তিন দিন পরে আসবেন। স্যার আইজকা অনেক ব্যস্ত।
আমি বললাম, আপনি বলার কে? আপনার স্যারই বলুক কবে আসব। তখন সেই কিশোর আর যুবক একত্র হয়ে বললেন, হোগা ফুডা মানষরে এত দাপট। যা ব্যাডা তোরে দেখবে না। যা পার কর।
আমি হতবাক হয়ে গেলাম। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া যেখানে আমার অধিকার সেখানে ডাক্তারের সহযোগীদের দ্বারা এমন আচরণ পাওয়াও কি আমার অধিকার?
শেষে চিন্তা করলাম, হয়তো কথা বললে বাকবিতন্ডা হত। ডাক্তারের সহযোগীরা আমাকেই আটকে পেটাতো। পূর্বের অভিজ্ঞতায় বলছি, তারপর পুলিশ এসে আমাকেই থানায় নিয়ে যেত। আর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি ডেকে হাজারো রোগীর সেবা বন্ধ করে দিত।
তার চেয়ে থাক, আজ না হয় চিকিৎসা না নিয়েই যাই।
শেষে চলে এলাম বাসায়। কি আর করার।
ঘটনাটি ১ সেপ্টেম্বর, শেবাচিম হাসপাতালের
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৭
skyblue01711 বলেছেন: দেশ পরিবহন আর ডাক্তারের কাছে জিম্মি !!
৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪০
রানার ব্লগ বলেছেন: ইউনিয়ন বলে একখানা ব্যাপার আছে যার সুফল সারা বিশ্বের লোক ভোগ করে আর আমরা তার কুফল গুল ভোগ করি। ডাক্তার চলে গেলেই সেবা বন্ধ এই প্রথম শুনলাম, একজন গেছে তার পরিবর্তে অন্যকেউ তো আছে, তার এসিস্টেন্ট বা অন্য কোন ডাক্তার। যাইহক আপনার প্রতি সহমর্মিতা জানাই। তারাতারি সুস্থ হয়ে উঠুন।
৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:১৭
অধৃষ্য বলেছেন: এত কঠিন না হলেও কিছুটা দুর্ব্যবহার আমার কপালেও জুটেছিলো অন্য একটা হাসপাতালে। আমরা তো অসহায়।
৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সীমাহীন উন্নত চিকিতসার ব্যবস্থা করেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৮
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ওখানে কোন সেবা আছে নাকি? ওখানে ডাক্তাররাও কসাই ওখানে জব করে ভিজিটিং কার্ডের ক্রেডিট দেখানোর জন্য! আর ডাক্তার আপনাকে দেখলেও (সহযোগি প্রফেসর/যারা থ্রেড দিছে) (এরা পরোক্ষভাবে ডায়াগনিষ্ট ল্যাবের এজেন্ট)-রা অনেকগুলো টেস্ট ধরিয়ে দিত ঐ খান থেকেই টেস্ট করে নিয়ে আসবেন । আবার আপনার উপকার করার জন্য বলবে ভাই 25% ডিসকাউন্ট পাবেন--ঐ হাপাতাল গুলো ওরাই চালায়! সামান্য একসিডেন্টের রোগিও ঢামেক এ রেফার করে--এই যদি হয় ঢাকার চিত্র জেলা শহরের অবস্হা কি হবে ভাবুন।