নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় সাংবাদিক। ‘জল পরীর ডানায় ঝাপটা লাগা বাতাস’ (২০১৩), ‘সাদা হাওয়ায় পর্দাপন’ (২০১৫) দুটি কবিতার বই প্রকাশিত। তার লেখা নাটকের মধ্যে ফেরা, তৎকালীন, আদমের সন্তানেরা উল্লেখযোগ্য। লেখালেখির জন্য ২০১৫ সালে হত্যার হুমকি প্রাপ্ত হন।

সৈয়দ মেহেদী হাসান

আমার পরিচয় খুঁজচ্ছি জন্মের পর থেকেই। কেউ পেলে জানাবেন কিন্তু....

সৈয়দ মেহেদী হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রহমান হেনরীর চাকরিচ্যুুতির আফটার ইফেক্ট

১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১:১৬



অশ্লিলতার দায়ে জীবনানন্দ দাশ চাকরি হারিয়েছিলেন। অনেক যুগ পর আবার অশ্লিলতার দায়ে চাকরি হারালেন রহমান হেনরী নামে আরেক কবি বলে সংবাাদমাধ্যম মারফত জানতে পারলাম। এই কবির নিয়মিত পাঠক নই।

কিন্তু এই ঘটনার পক্ষে বিপক্ষে যেভাবে হৈ হৈ রৈ রৈ চলছে তাতে মনে হলো মূল ঘটনা চাপা পড়ে গেছে আওয়াজের তলে।

একপক্ষ স্পষ্টতই বলছেন রহমান হেনরীর চাকরি আরো আগেই চলে যাওয়া উচিত ছিল। আরেক পক্ষ বলছেন কবিতার লেখার জন্য চাকরি কেড়ে নেওয়া রাষ্ট্রের গর্হিত কাজ। মোদ্দা কথা ফেসবুক অনেকটা হেনরীময়। প্রকারান্তরে কিন্তু কবি নিরব। তিনি কোন কিছুই স্পষ্ট করেননি। তাহলে ধরে নিব সংবাদ মাধ্যমের তথ্যই সত্য, কুরূচিপূর্ণ কবিতা লেখার জন্য চাকরি হারিয়েছেন।

কবিতা লিখে চাকরি হারানো কিংবা রহমান হেনরীর চাকরি এতদিন টিকলো কেমনে তা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যথা নেই। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে চাকরি হারানোর আফটার ইফেক্ট নিয়ে।

বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে আবার গরিবভাবে আমরা চিন্তা করতে পারি। যদি গরিবিভাবে চিন্তা করি তাহলে চাকরি হারানোর পরে ফেসবুকে নামডাকওয়ালা কবি-সাহিত্যিকদের স্ট্যাটাসের বন্যা দেখে দুনিয়াটাকেই সার্কাস সার্কাস মনে হয়। সে কবে মদ খেয়েছে, কবে নারীর সাথে আড্ডা দিয়েছে এসব নিয়ে মল্লযুদ্ধে নেমেছে তার বিরোধী কবিপক্ষ। যারা এতদিন সুযোগ পাচ্ছিলেন না। এবার সুযোগ পাওয়ায় ঝাপিয়ে পড়েছেন দমন করতে।

এমন কবি রাজনীতি কতকাল আগে থেকে চলছে জানি না, তবে যখন ছোটকাগজে লেখা পাঠানো, ছোট কাগজ প্রকাম করতাম তখন গিভ এন্ড টেক সাবজেক্টিটির সাথে পরিচিত হই। বিষয়টি হচ্ছে এমন, সাহিত্য সম্পাদকদের লেখা আপনার পত্রিকায় ছাপাবেনতো আপনার লেখা তিনি নিয়ে তার পত্রিকায় ছাপাবে। এভাবে জেলা ভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপ তৈরী হলো এবং তারা নিজেদের যোগ্য, সময়ের প্রতিনিধিত্বশীল কবি-লেখক আখ্যা দিয়ে পরস্পরকে জাহির করতেন। এইসব লেখকরা নিজেদের রবীন্দ্রনাথ ভাবতেন বাকিরা রবিন্দ্রনাথ হলেও ছাইপাস বলে বিশেষায়িত করা হতো।

যে শ্রেণী এখন রহমান হেনরীর বিপক্ষে ফেসবুকে জোয়ার তুলেছেন তারা যে হীনমন্য তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই বলে ভাবার অবকাশ নেই রহমান হেনরীও খুব উচ্চ মার্গিয় চিন্তার। কয়েক বছর আাগেও তাকে দেখেছি, একইভাবে তার পক্ষে যিনি নেই সেই কবি/লেখকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে প্যানেলসহ ঝাপিয়ে পড়ে অপমান-অপদস্তের আখড়া করে তুলতেন। অর্থাৎ কবি হতে গিয়ে কবি রাজনীতি কিংবা কবি প্যানেল গড়ে তোলাই যেন উভয়ের মূখ্যতা।

সে কারনেই ইট মেরে পাটকেল খাচ্ছেন খোদ কবি/সাহিত্যিকদের কাছ থেকে।

আরর যদি এই ঘটনাকে গভীরভাবে চিন্তা করি তাহলে বোঝা যায়, আমাদের কণ্ঠ রোধ হতে হতে আর কোন কণ্ঠই থাকলো না। কবিতায় আসলে কুরুচিপূর্ণ বলে কিছু নেই। প্রতিটি ভাষাই সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ। শব্দ কখনো অসুন্দর হতে পারে না। আর কবিতাতো উচ্চমাত্রার শব্দপ্রবাহ। একে বিশ্লেষণ করা যায়, বধ করা যায় না। হ্যাঁ বিশ্লেষণ হতে পারে, যেগুলো নিয়ে আপত্তি সেগুলো কবিতা হয়েছে নতুুবা হয়নি। কিন্তু কুরুিচিপূর্ণ কবিতা বলতে কিছু নেই।

আর কবিতার বিচার আমলা করতে পারেন বলে মনে হয় না। কারন এমনও কবিতা আছে যা সৃষ্টির ১০০ বছর পরও সময়কে শাসন করে। ফলে কোন কবিতা কোন সময়ের তা বিবেচনা করতে হলে অপেক্ষা করতে হবে। কবির ভাষা আর সরকারি ভাষা এক না এটিতো পুরানো কথা। যদি কবিতার জন্য চাকরি কেড়ে নেওয়া হয় সেটি অন্যায়। তাছাড়া কবিতার নামে যদি রহমান হেনরী কোন ইজম প্রতিষ্ঠায় কাজ করেন সেটি আরো মারাত্মক অন্যায়। কারন কবিতাকে নিয়ে কারুরই ছেলেখেলা করা উচিত নয়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১:৪৪

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: শব্দ মানুষের আচরণের মতোই সুন্দর-অসুন্দর, শ্লীল-অশ্লীল হতে পারে। তবে এও ঠিক, একই কবিতা একজনের কাছে শ্লীল, অন্যের কাছে অশ্লীল বিবেচিত হতে পারে। আবার সময়ের সঙ্গেও অশ্লীল কবিতা শ্লীল বা শ্লীল কবিতা অশ্লীল হয়ে উঠতে পারে অনেকের নিকট। কাজেই কুরুচিপূর্ণ কবিতা বলে সমালোচকদেরও গলা টেপার দরকার নেই। কবি-কর্মচারীর কবিতায় অশ্লীলতার কারণে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের সুনাম বিনষ্ট হলে, তার চাকরিও যেতে পারে, অবাক হওয়ার কিছু নেই। আবার রহমান হেনরীর অশ্লীল কবিতা কালোত্তীর্ণ হলে টিকে যাবে, তখন শতবর্ষ পরে প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা হবে আরও বেশি। বর্তমানে সমালোচনার নামে কুরুচিপূর্ণ সমালোচনা করে "কুরুচিপূর্ণ সমালোচনা" বলতে কিছু নেই, না বললেই হলো।

২| ১৮ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:৫২

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: এক ধরনের পাঠক আছেন যারা কবিতার ভাব বুঝে না
একটা শব্দ দ্বারা কবি কোন কিছু ভাব প্রকাশ করেছেন
কিন্তু এক শ্রেণীর পাঠক সেটা বুঝতে চায় না বলে এটা
খারাপ- অশ্লীলন- এটা আসলেই দুঃখজনক ঘটনা---
আমাদের স্বাধীনতা থাকবে না -------

৩| ১৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:১৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কবিতার "ক" ও বুঝিনা। তাই মন্তব্য করা থেকে বিরত রইলাম।

৪| ১৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: আজাইরা পোষ্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.