নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় সাংবাদিক। ‘জল পরীর ডানায় ঝাপটা লাগা বাতাস’ (২০১৩), ‘সাদা হাওয়ায় পর্দাপন’ (২০১৫) দুটি কবিতার বই প্রকাশিত। তার লেখা নাটকের মধ্যে ফেরা, তৎকালীন, আদমের সন্তানেরা উল্লেখযোগ্য। লেখালেখির জন্য ২০১৫ সালে হত্যার হুমকি প্রাপ্ত হন।

সৈয়দ মেহেদী হাসান

আমার পরিচয় খুঁজচ্ছি জন্মের পর থেকেই। কেউ পেলে জানাবেন কিন্তু....

সৈয়দ মেহেদী হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে কারনে ঢাকায় সাংবাদিক হয়রানি হলে মফস্বলের সাংবাদিকদের প্রতিবাদ করা উচিত না

২৯ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৫২



রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলরা যে মিথ্যা কথা বলেন সেটাতো আর নতুন করে প্রমাণ দেওয়ার কিছু নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলেই সাংবাদিক গ্রেফতার নয় ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি এমনটাই বলেছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক (যুগান্তর)। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আগের মত সাংবাদিক হেনস্থা হচ্ছে না এমনটার আনিসুল হকই বলেছেন ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি (জাগো নিউজ)।

তিনি যেটাই বলুক বাস্তবিক চিত্র আগের মতই আছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদক বাজারদর নিয়ে সংবাদ প্রচার করায় রাতের আঁধারে তাকে তুলে নেওয়া হলো। এর আগে আবার সরকারের মুখপাত্র একাত্তর টেলিভিশনে দলভূক্ত সাংবাদিক ফারজানা রুপা এ নিয়ে আলোচনা-বৈঠক করেছেন।

আমার কথা ভিন্ন, ঢাকায় কোন সাংবাদিক আটক বা হয়রানির শিকার হলে আমরা যারা মফস্বলের চাল-চুলোহীন সাংবাদিক রয়েছি তারা প্রতিবাদ জানাতে ঝাপিয়ে পড়ি। অথচ একটি দৈনিকের ৭০ শতাংশের বেশি নিউজ মফস্বলের। মফস্বলের কোন সাংবাদিককে হয়রানি, মারধর, মামলার আসামী করা হলে তখন ঢাকার জাতীয় সাংবাদিকরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমান। খোঁজও নেন না।

যদি মফস্বল থেকে ঢাকার সাংবাতিকদের সাথে যোগাযোগ করা হয় তখন বিপদে পরা সাংবাদিককে পায়ে পায়ে দোষ দেখিয়ে দেন ঢাকাস্থ ওই সাংবাদিক মহোদয়। এমনকি এভাবেও বলতে শুনেছি, হালার তুই ওইখানের নিউজ করতে গেছস ক্যান? তোর কামডা কি ওইখানে?

তখন মফস্বলের সেই সাংবাদিকের পরিণতি কি হয় তাতো বোঝাই যায়। অনেক সময়ে হয়রানির শিকার হলে ঢাকার ডেস্ক থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আপনাকে আর নিউজ পাঠাতে হবে না। নতুবা সদয় হলে হয়তো ছবি দিয়ে লিখে দেয় আমাদের অমুক প্রতিনিধিকে প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অব্যাহতি দেওয়া হলো। তার সাথে কোন যোগাযোগ না করার অনুরোধ রইলো। কিংবা সে যদি এই প্রতিষ্ঠানের পরিচয় দেয় তাকে পুলিশে সোপর্দ করার আহবান রইলো।

অনেক সহকর্মীকে দেখেছি ঢাকার সাংবাদিক ও ডেস্কের মানুষের অসহযোগীতায় সর্বশান্ত হতে। অথচ ঢাকার কেউ সঠিকভাবে বা ভুলভাবে হয়রানির শিকার হন তখন পাড়ায় পাড়ায় আমরা জনমত গড়ে তুলি। মানববন্ধনে গলা ফাটাই। স্থানীয় প্রশাসনের সাথে দরকষাকষি করি।

এই একটি কারণে ঢাকার সাংবাদিক গ্রেফতার, মামলার শিকার, হামলার শিকার ও হয়রানির শিকার হলে মফস্বলের লোকদের প্রতিবাদ করা উচিত না। এমনকি ফেসবুকেও প্রতিবাদ জানানো উচিত না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: সরকার পারলে প্রথম আলোকেই অফ করে দিতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.