নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কোন রকম বেঁচে আছি....................

যতটুকু আছে সব উজার করে দেব...............

মোঃ সফিকুল ইসলাম

সেদিনের এক বিকেলে, তোমার চোখে জল দেখেছি। সেকথা আমি কত রাত একা একা ভেবেছি, আর জানিনা, কেন এত কষ্ট পেয়েছো তুমি........................

মোঃ সফিকুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার ''মা'' কি আমাকে ক্ষমা করবেন............ একটি দুঃখ ও কষ্টের স্মৃতি।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:০৪

প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই ? আমি ভালো।



আপনাদের সাথে আমার অতি দুঃখ ও কষ্টের একটি স্মৃতি শেয়ার করার জন্যই এ পোষ্ট।



জানিনা আমার এ লেখা আপনাদের মনকে একটুও স্পর্শ করতে পারবে কিনা।



_________________________________________





সেই ১৯৯৬ সালের কথা। ছাত্র জীবন। আমার অনেক ক্লাশ মেট তখন জাবি, ঢাবি, বুয়েট ও ঢাকা কলেজে পড়তো। আমি থাকতাম ঝালকাঠী। আমি মাঝে মাঝে ঢাকা যেতাম। একেক সময় একেক হলে থাকতাম। প্রায়ই চারুকলায় আড্ডা দিতাম। এ সময় চারুকলায় ভর্তিচ্ছুক কয়েকজনের সাথে আলপ হয়। এক সময় ঘনিষ্ঠতা। তাদেরই মাঝে একজনের নাম ছিল কাজল। ওর সাথে ঘনিষ্ঠতা একটু বেশী হয়। ওর বাড়ি ছিল মেহেরপুর। একদিন কাজলকে বললাম যে, চল, আমাদের ঝালকাঠী ঘুরে আসবি। ও কখনো ঝালকাঠী যায়নি, তাই রাজী হয়ে গেল। আমরা ২ দিন পরেই ঝালকাঠী রওয়ানা হয়ে গেলাম। আমার রুমেই ওকে থাকতে দিলাম (আমি এস এস সি পরীক্ষার পরই একটা রুম বরাদ্দ পেয়েছিলাম)।



কাজল ঝালকাঠীতে এসে মহা খুশী। সারাদিন আড্ডা, ঘোরাফেরা। শুধু খাওয়ার সময়ে বাসায় আসা। আবার আড্ডা। এভাবে ২/৩ দিন যাবার পর কাজল বললো, সে চলে যাবে। আমি অমত করলাম না। কারন এই ২/৩ দিনের মধ্যে কাজলকে আমি মোটামুটি সব জায়গাতেই ঘুড়িয়েছি। ঝালকাঠীর প্রসিদ্ধ খাবারও ওকে খাইয়েছি।



আমি বাসায় এসে মাকে বললাম, ''মা'' আমার বন্ধু কাজলতো কাল সকালে চলে যাবে, ওকে একটু ভাল-মন্দ খাওয়ানো লাগেনা ? জবাবে মা বললো, ঠিক আছে। তো, দুপুরে আমরা ভাল-মন্দ খেলাম। বিকালে আবার আড্ডা, ঘোরা ফেরা। রাতে বাসায় খেতে আসলাম, মা বললো যে, রান্না করা খাবার সব বিড়াল খেয়ে ফেলেছে। আমি ডিম রান্না করে দিই, তোরা সেইটা খা। মায়ের এই কথা শুনেতো আমার মাথা ফোরটি নাইন হয়ে গেল। আমি তখন মায়ের সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করলাম, যা বলার মতো না। রাগ করে কাজলকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম। ওকে নিয়ে হোটেলে খেলাম। ও যদিও খেতে চায়নি। রাতে বাসায় ফিরিনি। কাজলকে নিয়ে অন্য এক বন্ধুর বাসায় ছিলাম। সকালে ওকে বরিশাল নিয়ে মেহেরপুরের বাসে তুলে দিয়ে আসব।



সকাল সাড়ে আটটার দিকে কাজলকে নিয়ে বাসায় আসলাম ওর ব্যাগ নিতে। বাসায় এসে শুনি যে আমার মা স্ট্রোক করেছে, তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আমার মা খুবই ধার্মীক ছিলেন। ৫ ওয়াক্ত নামায রোজা করতেন। প্রতিদিন ভোরে ফজরের নামাযের পর কোরআন শরীফ পড়তেন। ঘটনার দিনও মা নামায পড়ে জায়নামাজে বসে কোরআন শরীফ পড়ছেন। এবং এই কোরআন শরীফ পড়া আবস্থাতেই স্ট্রোক করেন। আমার মায়ের ডায়বেটিস ও প্রেসার ছিল। গত রাতে হয়তো আমাকে নিয়ে খুব চিন্তা করেছে। হয়তো সে জন্যই এ অবস্থা।



বাসায় এই খবরটা শোনার পর আমি হতবাক হয়ে গেলাম। আমি আমার অন্য এক বন্ধুকে বললাম কাজলকে বাসে উঠিয়ে দিতে। আমি সাথে সাথে বরিশাল হাসপাতালে চলে গেলাম। মাকে মহিলা ওয়ার্ডে পেয়িং বেডে রাখা হয়েছে। ডাক্তার বলেছে যে, ৭২ ঘন্টা না গেলে কিছু বলা যাবে না। আমি মায়ের কাছে গেলাম। তার কোলের পাশে বসলাম। মায়ের হাত ধরে আমি কাঁদতে লাগলাম। মা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমার মা স্ট্রোক করার ফলে বাক শক্তি হাড়িয়ে ফেলেছে। আমি সারাদিন মায়ের পাশেই বসে ছিলাম। রাতে মহিলা ওয়ার্ডে পুরুষ লোক থাকতে দেয়না। আমি হাসপাতালের বাড়ান্দায় একটা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। সাথে আমার বন্ধু কবির ছিল। ও সন্ধ্যার সময় এসেছে। সকালে উঠে আবার মায়ের পাশে। এভাবেই ৭২ ঘন্টা কেটে যায়। মায়ের অবস্থা ভালোও না আবার খারাপও না। ডাক্তার বললো, আপনারা যদি রোগীকে ঢাকা নিয়ে যেতে চান, তবে যেতে পারেন। এটা জাষ্ট সান্তনা।



আমরা মাকে ঢাকা নিয়ে যাবার জন্য মনস্থির করলাম। সন্ধ্যায় লঞ্চ যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। সাথে একজন ইনটার্নি ডাক্তার রাখলাম। আমি , আমার বাবা, আমার ছোট একটা বোন, আমার এক ফুপু, সবাই সাথে ছিলাম। আমার বাবা তার এক বন্ধুকে আগে থেকেই ঢাকা সদরঘাটে এম্বুলেন্স নিয়ে রেডী থাকতে বলেছে। রাতে লঞ্চে তেমন কোন সমস্যা হলো না।



আমরা সকাল ৬ টায় ঢাকা সদরঘাট পৌছলাম। লঞ্চ থেকে নেমে আমার মাকে এম্বুলেন্স যোগে বারডেম হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। তখন সকাল ৬:৩০। প্রথমে মাকে জেনারেল বেডে রাখা হলো। হাসপাতালে ভর্তির যাবতীয় নিয়ম কানুন শেষ করে মায়ের কাছে আসলাম। ৭ টায় ডাক্তার আসলো, তিনি মায়ের সিটি স্ক্যান করার উপদেশ দিল। ঢাকায় তখন সিটি স্ক্যান শুধু বারডেমেই ছিল (আমি যতদুর জেনেছি)। ওখানের ডাক্তার তার প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট শুরু করলো। এবং দুপুরের দিকে সিটি স্ক্যান করতে বললো। আমি ও আমার বাবার বন্ধু, সাড়ে এগারটার দিকে একাউন্টস সেকশনে গিয়ে সিটি স্ক্যানের জন্য ১০,১৫০/= টাকা জমা দিয়ে রশিদ গ্রহন করে দুপুর ১২ টা ২০ এ আমাদের বেডে আসলাম। এসেই শুনলাম যে, আমার মা ১২:১৫ মিঃ ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন)। খবরটা শোনার সাথে সাথে আমি অচেতন হয়ে যাই। পরে শুনেছি যে, আমি নাকি ২ ঘন্টা অচেতন ছিলাম।



আমি চেতনা ফিরে পাবার পর, আমার বাবার বন্ধুকে নিয়ে মায়ের মৃত্যু সনদ সংগ্রহ করলাম। এর পর একটা এম্বুলেন্স ঠিক করলাম, মায়ের মরদেহ ঝালকাঠী নিয়ে যাবা জন্য। হাসপাতালের যাবতীয় ফর্মালিটি শেষ করে বিকাল ৩:৩০ এ আমরা ঝলকাঠীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। সারাটা পথ যে কি কষ্টে কেটেছে। মায়ের মরদেহের পাশে বসে আছি। আমি কাঁদতে পারছিনা, পাশে আমার ছোট বোনটাকে সান্তনা দিচ্ছি। এদিকে কষ্টে আমার বুক ফেটে যাচ্ছে।



রাত ৯:৩০ এ আমরা ঝালকাঠী পৌছলাম। আমাদের বাসায় তখন হাজারো মানুষের ভীর। মনে হয় ঝালকাঠী শহর যেন একটা শোকের শহরে পরিণত হয়েছে।আমি আর ঘরের মধ্যে যেতে পারিনি। আমি ঘরের সামনে রাস্তার পাশেই বসে পড়লাম। আমার বন্ধুরা সবাই আমাকে সান্তনা দিচ্ছে। এর পরের কথা আমি আর ভাবতে পারছিনা। পরের দিন বাদ জোহর মায়ের নামাজে জানাজা শেষে ঝালকাঠী পৌর কবরস্থানে মায়ের মরদেহ দাফন করা হয়।



এর পর থেকেই নিজেকে শুধু অপরাধী মনে হয়। মনে হয়, আমি যদি ঐ দিন মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার না করতাম, মাকে যদি কষ্ট না দিতাম, তাহলে হয়তো এমন নাও হতে পারতো। আমার মা কি আমাকে ক্ষমা করবে ? আল্লাহ কি আমাকে ক্ষমা করবে ? আমার বিবেক কি আমাকে ক্ষমা করবে ?



জনশ্রুতি আছে যে, যাহারা হজ্জ করে, তাহারা নাকি হজ্জের পর ৪১ দিন পর্য্যন্ত নিঃষ্পাপ থাকে। এটা আল্লাহই ভালো জানেন। আমার মা ও বাবা এক সাথে হজ্জ করেছিল। আমার মা সব সময়ই বলতেন যে, ''আল্লাহ তুমিতো আমাকে মৃত্যু দিবাই, তো আমাকে এই ৪১ দিনের আগেই মৃত্যু দিও''। আল্লাহ আমার মায়ের মনের কথা ফেলতে পারেনি। ঐ ৪১ দিন শেষ হবার আগেই আমার মা মৃত্যু বরণ করেন।



আল্লাহ তাকে বেহেশত্ নসিব করুন।



প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা সবাই আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন। আমার মা যেন পরকালে শান্তিতে থাকেন। আর সবার কাছে একটাই অনুরোধ, আপনারা কখনো মা বাবার সাথে খারাপ ব্যবহার করবেন না। ''মা'' কি জিনিস আমি তা আমি এই সাড়ে চৌদ্দ বছর যাবৎ উপলব্ধি করছি। মা নেই যার, এই দুনীয়ায় তার চেয়ে বড় কপাল পোড়া আর কেউ নাই।



''যখন রাত্রি নিঝুম, নেই চোখে ঘুম, একলা শুন্য ঘরে। তোমায় মনে পড়ে মাগো তোমায় মনে পড়ে''





_________________________________________



মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:০৯

সমুদ্রচারী বলেছেন: কিচু বলার নাই...।ভালো থাকেন

০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৩২

মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৫১

টিনটিন` বলেছেন: আল্লাহ আপনার মাকে বেহেশত্ নসিব করুন।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৩৩

মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেছেন: আল্লাহ যেন আপনার দোয়া কবুল করেন।

ধন্যবাদ।

৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৫৬

রােশদ সুলতান তপু বলেছেন: যে ছেলে তার মায়ের জন্যে সারা জীবন ধরে বুকের মধ্যে দুঃখ বয়ে নিয়ে চলে আর অন্তর থেকে দোয়া করতে থাকে- তার মা নিশ্চয়ই পরকালে কোন অশান্তিতে থাকতে পারেন না। আল্লাহ নিশ্চয়ই আপনার মাকে পরকালেও শান্তিতে রাখবেন। আর আপনি দুঃখ করবেন না। আপনার সাথে আমিও দোয়া করি আপনার মায়ের জন্যে।
আমারও বাবা নেই। বাবা হারানোর দুঃখ আমিও বুঝি। মনে হয় যেন পৃথিবীর সবকিছু দিয়ে দেয়া যাবে যদি একটিবার বাবাকে দেখা যেত। কথা বলা যেত। মনে হয় যেন মাথার উপরের চির-নিশ্চিন্তের একটা ছাদ হারালাম।
ভাল থাকবেন। আমার জন্যে দোয়া করবেন।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৩৫

মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেছেন: আনেক ধন্যবাদ ভাই, আমাকে সমবেদনা জানাবার জন্য।

দোয়া রইলো।

ভালো থাকবেন।

৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:১৩

অক্টোপাশ বলেছেন: আল্লাহ তাকে বেহেশত্ নসিব করুন।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:১৯

মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেছেন: তাই যেন হয়।

৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:২২

শাহাদাত রুয়েট বলেছেন: পোস্টটা পড়ে খুবই খারাপ লাগলো। তবে আপনি যে এ ব্যাপারের জন্য দু:খিত তা জেনে ভালো লাগছে।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:২৮

মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, আমি শুধু আমার বুকের মধ্যের কষ্টটা আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্যই এই পোষ্টটি করেছি।

৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:২৪

ডেইফ বলেছেন:
আপনার মায়ের জন্য দোয়া করবো আমি।
আল্লাহ ওঁনাকে শান্তিতে রাখুক।
কিন্তু একটা কথা বলছি ভাই কিছু মনে করবেননা, আপনার প্রতি আমার কোনো সমবেদনা নেই। মানুষ ভুল করতে পারে, কিন্তু যেই মানুষ তার মা-বাবর সাথে খারাপ ব্যবহার করে আমি তাদেরকে একদম পছন্দ করিনা। আমার নিজেরও মা-বাবা নেই। কিন্তু কখনো আমরা দু'ভাই বাবা-মা'র মনে কষ্ট দিয়ে কিছু বলিনি বা তেমন কোনো কাজ করিনি।
আজ আপনি ব্যথিত আপনার মা নেই দেখে। একটি সামান্য ব্যাপার নিয়ে আপনি যে ব্যবহারটি করেছিলেন মা এর সাথে, কি গ্যারন্টি ছিল যে আজ তিনি বেঁচে থাকলে যে এমন ব্যবহার পেতেন না আপনার থেকে?

আমার কথাতে আপনি কষ্ট পাবেন জানি কিন্তু বিশ্বাস করুন, আপনার মা'র জন্য আমার বেশ কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আপনার জন্য নয়। ভাল থাকুন সবসময়। জানি, মা-বাবার মনে কষ্ট দিয়ে কেউ কখনো ভাল থাকতে পারেনা।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৩৫

মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেছেন: আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই। কিন্তু ভুল তো মানুষই করে। এখন আমি সারাজীবন এই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করব। এছাড়া আর তো কোন পথ নাই।

আমি যতই খারাপ থাকিনা কেন, মা যেন পরকালে শান্তিতে থাকে,শুধু এইটুকুই চাই।

আল্লাহ যেন তাকে শান্তি দান করেন।

৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৩৪

তৌিহদ েহােসন বলেছেন: আপনাকে বলার কিছু নাই।
ধন্যবাদ সুন্দর করে লেখার জন্য, ভাল থাকবেন।
আল্লাহ যেন আপনার মাকে বেহেস্ত নসিব করেন।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৩৬

মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।

আমি শুধু আমার বুকের মধ্যের কষ্টটা আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্যই এই পোষ্টটি করেছি।

৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৩৯

অভিবাসী বলেছেন: :( :( :( :|
কিছু বলার নাই। ভাল থাকবেন।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪২

মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আমি শুধু আমার বুকের মধ্যের কষ্টটা আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্যই এই পোষ্টটি করেছি।

৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৫৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে স্তব্দ হয়ে গেলাম। মনে হচ্ছে কত কষ্টই না দিই মা'কে.....


আল্লাহ আপনার মাকে জান্নাত নসীব করুক

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আমি শুধু আমার বুকের মধ্যের কষ্টটা আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্যই এই পোষ্টটি করেছি।

''মা'' যে কি, তা এখন বুঝতে পারছি।

১০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১০

স্বপ্নবাজ পথিক বলেছেন: আল্লাহ আপনার মাকে বেহেশত্ নসিব করুন

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আমি শুধু আমার বুকের মধ্যের কষ্টটা আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্যই এই পোষ্টটি করেছি।


আপনার দোয়া যেন আল্লাহ কবুল করেন।

১১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৯

নতুন রাজা বলেছেন: ভাই, মা-বাবা কখনো সন্তানের উপর রাগ করে থাকতে পারেন না। আপনার মা কখনোই আপনার উপর মন খারাপ করেন নাই। কিন্তু মা-বাবার জন্য আপনার দ্বায়িত্ব পালন করতে হবে, তবেই উনারা প্রশান্তিতে থাকবেন। এই দ্বায়িত্ব মা-বাবার শুধুমাত্র জীবিত কালীনই নয়, উনাদের মৃত্যুর পর ও আপনাকে পালন করতে হবে। আশা করি, আপনার করনীয় কি, তা আপনি বুঝতে পেরেছেন।

আল্লাহ্ আপনার মাকে সহ সকল মায়েদের জান্নাত নসীব করুন... আমীন।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আমি শুধু আমার বুকের মধ্যের কষ্টটা আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্যই এই পোষ্টটি করেছি।


আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই। কিন্তু ভুল তো মানুষই করে। এখন আমি সারাজীবন এই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করব। এছাড়া আর তো কোন পথ নাই।

আমি যতই খারাপ থাকিনা কেন, মা যেন পরকালে শান্তিতে থাকে,শুধু এইটুকুই চাই।

আল্লাহ যেন তাকে শান্তি দান করেন।

ধন্যবাদ, আপনার পরামর্শের জন্য।

১২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:০৩

ফাইরুজ বলেছেন: Monta kharap hoe gelo:(

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৫৫

মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আমি শুধু আমার বুকের মধ্যের কষ্টটা আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্যই এই পোষ্টটি করেছি।

১৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৯

ইন হেল বলেছেন: আমার এক মামার জিবনের কাহিনিও এইরকম। আসলে মায়ের প্রতি আমাদের আরো যত্নবান হওয়া উচিত। মরনের পরও মায়ের জন্য কিসু করার থাকে।আশা করি তাই করবেন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:২৮

মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার পরামর্শের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.