![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্টিফেন হকিংকে আমরা সবাই কমবেশি চিনি ।"বিগ ব্যাং" থিওরির জনক ।তিনি তার গবেষণা থেকে যেটা বুঝেছেন ঈশ্বর বলে কিছু নেই ।এই মহাবিশ্বের প্রতিটি জিনিস নিজের মত করে চলছে ।কিন্তু আমার এতে একটু আপত্তি আছে ।আপনাদের মাথা কিছুটা ঘোলা করে দেই ।আসুন একটু পর্যবেক্ষণ করা যাক ।
আমরা ত্রিমাত্রিক প্রাণী ।আমাদের ধাতে আছে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা ।যাদের ধাতে এগুলোর সাথে "সময়" যুক্ত হয় তারা চতুর্মাত্রিক প্রাণী ।তাদের জীবনে সময় কোন ফ্যাক্ট না ।একটু চতুর্মাত্রিক বস্তুর উদাহরণ হিসেবে বলা যায় "শক্তি" ।শক্তিকে আমরা চোখে দেখতে পারি না ।এর মানে দাড়ালো, ত্রিমাত্রিক জগতের বস্তুর সাথে চতুর্মাত্রিক জগতের কোন সম্পর্ক নেই ।কোন মাত্রার বস্তু বা প্রাণী অন্য মাত্রার বস্তু বা প্রাণীকে দেখতে পারবে না ।খুব বেশি হইলে অনুভব করতে পারবে ।মহাবিশ্বে অনেক মাত্রা আছে ।এদের মাঝে যে কয়টি পদার্থবিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে সেগুল হল, " x, y, z, t, xi " ।যারা বিজ্ঞানের ছাত্র তারা বলতে পারেন "i" কাল্পনিক সংখ্যা ।কিন্তু পদার্থ বিজ্ঞানে এটির অর্থ আছে ।" i " মাত্রা নির্দেশ করে ।যাই হোক, মূল কথায় ফিরে যাই ।আমরা " x, y, z " মাত্রার প্রাণী ।কিন্তু ধরুণ আমাদের ছায়া ।এর শুধু দৈর্ঘ্য আর প্রস্থ আছে ।কোন উচ্ছতা নেই ।তার মানে এটি দ্বিমাত্রিক বস্তু ।তাহলে আমরা বুঝতে পারি, একটা ত্রিমাত্রিক বস্তু বা জীবের ছায়া হবে দ্বিমাত্রিক ।যদি তাই হয় তবে চতুর্মাত্রিক জীব বা বস্তুর ছায়া হবে ত্রিমাত্রিক ।তাহলে কি আমরা চতুর্মাত্রিক জীবের ছায়া মাত্র !উত্তর হল না ।কারণ আমার জানা নাই ।এই চতুর্মাত্রিক জীবেরা সময় নিয়ন্ত্রন করতে পারে ।কি অদ্ভুত ব্যাপার তাই না !
যাই হোক, যে কথার জন্য এতগুলা প্যাচাল পারলাম সেটা হল, এই মহাবিশ্ব সময় ও স্থান নিয়ে তৈরী একটি সম্প্রসারনশীল বস্তু যা প্রতি নিয়ত সম্প্রসারিত হচ্ছে ।আমরা ত্রিমাত্রিক বলে এই চাদরকে দেখতে পাই না ।সেটা ব্যাপার না ।কথা হল, উনি বলেছেন, এই মহাবিশ্বে যতটা নেগেটিভ চার্জ আছে ঠিক ততটাই পজেটিভ চার্জ আছে ।দুইটার মোট যোগফল শুণ্য ।তারমানে মহাবিশ্ব সূণ্য হতে সৃষ্টি হয়েছে ।কিন্তু আমার প্রশ্ন হল, তাহলে
1. এই মাত্রার চার্জ কি ?
2. এই মাত্রা আসল কোথা থেকে ?
3. সময় ও স্থানের তৈরী চাদরের মত মহাবিশ্বটার চার্জ কি ?
4. এইটা যে সম্প্রসারিত হচ্ছে, কে সেটা সম্প্রসারণ করছে ?
5. তাছারা সম্প্রসারিত হতে হলে বলের দরকার ।আর বলের তো কোন চার্জ নাই ।তাইলে বল গুলা আসলো কই থেকে ?
6. কে প্রয়োগ করছে এই বল ?
আপনার জানেন কোন কিছুই নিজে থেকে তৈরী হতে পারে না ।স্যার আইজ্যাক নিউটনের সুত্র হতেই তা আমরা জানি ।ধরুন একটা চাদর তৈরী করবেন ।এর জন্য আপনের উপাদান অবশ্যই লাগবে ।তূলা থেকে সুতা ।সুতা থেকে কাপড় ।তারপর এই কাপড়কে আপনি মডিফাই করে চাদর বানাবেন ।এত্ত এত্ত এত্ত কাজ মহাবিশ্ব নিজে নিজে করল ???তাও আবার এত সুশৃঙ্খল ভাবে !!! আজব ব্যাপার !এই প্রশ্নের উত্তর কোন বিগ ব্যাং সম্পর্কিত বইয়ে লেখা নাই ।এমনকি স্টিফেন হকিং এর লেখা বইতেও নাই ।আমি বলছি, কারন আমি সব পড়েছি ।মহাবিশ্ব সম্পর্কে আগ্রহ আমার ছোট থেকেই ।
এতক্ষনে আপনারা নিচ্শই উত্তর গুলা মনে মনে ঠিক করে ফেলেছেন ।তার মানে এমন একজন আছেন যিনি এই সবের কলকাঠি নাড়ছেন ।তিনি হলেন মহান " ALLAH " ।আলহামদুলিল্লাহ !সত্যি তিনি অসীম জ্ঞানী ।তাঁর কাছে আমরা তুচ্ছ ।হে আল্লাহ আমরা বড়ই অকৃতজ্ঞ ।তুমি এত কিছু নমুনা দিয়েছ তাও আমরা তোমার শোকর গুজরান করি না ।মাফ করে দাও আমাদের ।
২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৫
তার ছেড়া বলেছেন: ধইন্যা ।ঃ)
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৮
প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: আগে + দিলাম। এখন পড়ে দেখি।