![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আফতাব সাহেব কিছুদিন ধরে খুব বিব্রতকর অবস্থার মাঝে আছেন ।তিনি তার পূর্ব স্মৃতি মনে করতে পারছেন না ।শুধু এটুকু মনে করতে পারছেন যে তিনি একজন অংকের প্রফেসর ।কিন্তু তিনি এটাও জানেন না যে তিনি কোন কলেজের প্রফেসর !
তিনি পার্কের ঘাসের উপর বসে সব মনে করার চেষ্টা করছেন ।যদিও গত ছয়দিন যাবৎ তিনি এই কাজ করে যাচ্ছেন, কিন্তু ফলাফল শূণ্য ।হঠাৎ তার চোখে একটি জিনিস পড়ল ।তিনি দেখলেন, একটি গাছের চারা, তাতে কিছু পাতা আনুমানিক ১০-১২ টা হবে ।কিন্তু কিছুদিন আগেও তিনি এর চাইতেও কম পাতা দেখেছিলেন ।তার মাথার ভিতর সবকিছু গুলিয়ে গেলো ।তিনি আবার ভুলে গেলেন যে তিনি কিছুই মনে করতে পারছিলেন না ।সেই স্থানে জায়্গা করে নিয়েছে একটি হিসাব ।তিনি একটি ঘোরে মাঝে হিসাব করতে করতে কাগজে দোকানে গেলেন ।কাগজ কেনার সময় দেখলেন তার পকেটে মাত্র ২৭ টাকা আছে ।যাই হোক তিনি আবার কাগজ কলম কিনে পার্কে এসে হিসাব করা শুরু করে দিলেন ।
পেজের পর পেজ যাচ্ছে, তিনি কিছুই মেলাতে পারছিলেন না ।একসময় তিনি লক্ষ্য করলেন তিনি সঠিক পথেই এগুচ্ছেন ।
পেয়েছেন, তিনি পেরেছেন ।আর মাত্র কিছু সমীকরণ ।তিনি আপন মনে বলতে থাকলেন, " .....…। মহাবিশ্ব আলোর গতির অর্ধেক বেগে যদি গতিশীল হয় তবে আইনস্টাইনের ই সমান এম সি স্কয়ার সুত্রটির কিছু ত্রুটি রয়ে যায় ।তাহলে..… " আবার উনি তার হিসাবে হারিয়ে গেলেন ।কিছুক্ষন পর উনি বের করলেন যে [ E=mc2 ] এর সংশোধিত রূপ ।সেটা হল [ E=mc2-3T ] ।কিন্তু তিনি এই "T" কোথায় পেলেন ?এটাতো সময়ের "t" নয় ।তাহলে কি ??? তিনি আবার পেজের উপর হুমরি খেয়ে পড়লেন । কিন্তু তিনি দেখলেন তার পেজ শেষ হয়ে গেছে ।তিনি তার কাগজ গুলার উপর একটি পাথর চাপা দিয়ে গেলেন পেজ কিনে আনতে ।রাস্তায় যেতে যেতে তিনি সমীকরণটি নিজের মনে উল্টে পাল্টে নিচ্ছিলেন ।প্রথম থেকে হিসাব করতে করতে তিনি একটু অদ্ভুত বিষয় খেয়াল করলেন ।তার সমীকরণে সময় " t= 0 sec " আসে ।এটা কিভাবে সম্ভব ।থিওরী অব রিলেটেভিটিতে বলা আছে সময় শূণ্য বলে কিছু নাই ।যদি কখন সময় শুণ্য আসে তবে বুঝতে হবে সে এমন এক মাত্রার প্রাণী যে সময় নিয়ন্ত্রন করতে পারে ।তার মানে কি তিনি এই মাত্রার জীব না ?তাহলে তিনি কে ?তার পরিচয় কি ?তিনি কি তাহলে সময় সংকোচন করে মাত্রা পরিবর্তন করার সূত্র আবিষ্কার করে ফেললেন !এটা তো অবিশ্বাস্য কথা !
ঠিক সেই মূহুর্তে রাস্তার অপর দিক থেকে একটি দ্রুতগামী বাস চলে আসল ।অসতর্ক থাকার কারনে বাসটি চলে গেল ঠিক তার মাথার উপর দিয়ে ।থেতলে দিল তার মাথা ।লোকজন জড় হতে শুরু করল ।সবাই হায় হায় করতে থাকল ,বাসটাকে আটকানো হল ।আফতাব সাহেব মারা গেলেন ।আফতাব সাহেবের মৃত্যুর আগে মনে পড়ল তিনি কে ।কিন্তু সেটা বলার সুযোগ পাওআর আগেই সব কিছু অন্ধকার ! তার সাথে মারা গেল তার বিখ্যাত আবিষ্কার যা আমাদের মত তৃতীয় মাত্রার প্রাণীদের সাথে চতুর্থ মাত্রার প্রাণীদের যোগাযোগের উপায় ।
আজ সারাদিন রাজু খুব বেশি কিছু কাগজ কুড়াতে পারে নাই ।মানুষ আজকাল খুব কৃপণ হয়ে গেছে ।কাগজ ও ফেলতে চায় না ।একটু কাগজ ফেললে কি হত !তাদের কোন ক্ষতি হত না, বরং রাজুর একটু উপকার হত ।হাটতে হাটতে সে এক জায়্গায় কিছু নতুন কাগজ দেখতে পেল ।আশে পাশে কেউ নেই ।কাগজ গুলার উপর একটা পাথর চাপা দেয়া । সে এগিয়ে গেল ।দেখল কাগজে কিসব হিজিবিজি লেখা । " ধুর !মানুষ র কাম পায় না ।কি এগল্যা আজারা কতা লিকসে " বলে সে আশে পাশে কেউ আছে কিনা দেখে নিল ।না কেউ নেই ।এই সুযোগ ।সে কাগজ গুল তুলে নিয়ে তার বস্তায় ঢুকাল ।যাক, তাও তার কাগজ আর একটু বেশি হল ।ঠিক সেই মুহূর্তে সে লোকজনের চিৎকার শুনতে পেল ।তাকিয়ে দেখে রাস্তায় জটলা ।কিছু মানুষ একটা বাসকে ভেংগে ফেলছে ।" ধুর !মনে হয় একসিডেন হইছে ।হোক গা ,আমার কি !আমি আমার কাগজ পাইছি ।মানুষ তো মরবই ,মানুষ কি সারা জেবন বাইচ্যা থাকে নাহি ?যাই গা, কাগজ গুলা বেইচ্যা আসি ।"
একটি অতি মুল্যবান সুত্রের ডাটা এখন একটি টোকাই এর ময়্লার বস্তায় অবস্থান করছে ।
২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৪
তার ছেড়া বলেছেন: কেউ আমারে মাইরালা ! ইন্জিনিয়ার মানুষ সাইন্স কম বুঝলে আমরা তো ছাগু হইয়া যামু ।
৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৫
তার ছেড়া বলেছেন: কেউ আমারে মাইরালা ! ইন্জিনিয়ার মানুষ সাইন্স কম বুঝলে আমরা তো ছাগু হইয়া যামু ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৩
প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: সাইন্স কম বুঝি। সূত্র দেখলে মাথা ঘুরায়