নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবধর্ম

অ‌প্রিয় সত্য

ধর্ষনের রাজ্যে পৃথিবী পশুময়, তনু, মনু, সাবিত্রী, পূর্ণিমারা যেন রক্তাক্ত মানচিত্র..ধর্ম ও পশু মুক্ত সমাজ চাই । নারী বান্ধব রাষ্ট্র্র চাই।

অ‌প্রিয় সত্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে খোলামেলা কিছু কথা বলতে চাই।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে খোলামেলা কিছু কথা বলতে চাই।

সীমান্তে বিজিবির অবস্থানটা আমার কাছে পরিষ্কার না। তারা কী রোহিঙ্গাদের মানবতার খাতিরে প্রবেশের সুযোগ করে দিবে নাকি দেশের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাবে ? আজকের পত্রিকায় দেখলাম তারা মিয়ানমার থেকে পাঁচটি নৌকায় করে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠিয়েছে। অর্থাৎ আমরা ধরেই নিতে পারি রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধেই বিজিবির অবস্থান।

আমার প্রশ্ন হল, তাহলে এই কয়দিনে ২ লাখ রোহিঙ্গা কীভাবে প্রবেশ করল ? প্রাণের তাগিদে দুর্গম এলাকা দিয়ে দু একশো মানুষ প্রবেশ করতেই পারে, কিন্তু সংখ্যাটা যখন দু লাখ ছাড়িয়ে যায় তখন কিন্তু বিজিবির যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্নটা চলে আসে। আপনি বলতে পারেন , এত বড় দুর্গম সীমান্ত পাহারা দেবার মত পর্যাপ্ত বিজিবি সেখানে ছিল না, তাহলে এর উত্তর হল, পর্যাপ্ত বিজিবি কেন সেখানে পাঠানো হল না ?

যদি দু লাখ রোহিঙ্গা বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে তাহলে তো এদেশে আইএস প্রবেশ করা ছেলেখেলা ব্যাপার হয়ে গেলো। এই দুই লাখ রোহিঙ্গার সাথে করে আইএসএর সদস্য প্রবেশ করেনি , এই নিশ্চয়তা কে দেবে ? যেখানে আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থাটা এমন যে গতরাত থেকেই প্রশাসনের সাথে জঙ্গিদের গুলি বিনিময় চলছে ।

আপনি যদি মানবতার দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের প্রবেশের সুযোগ করে দিয়ে থাকেন, তাহলে অন্তত আপনার সেই অবস্থানটা পরিষ্কার করা উচিৎ। আমি অবশ্যই রোহিঙ্গাদের এরকম বিপদের মুহূর্তে তাদের পাশে দাড়ানোর মহৎ কাজকে সমর্থন করি। সেটা তারা মুসলমান না হয়ে হিন্দু , বৌদ্ধ কিংবা খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের হলেও করতাম। কিন্তু অবশ্যই আমার নিজের ভৌগলিক অবস্থান বিলিয়ে দিয়ে না।

এভাবে চলতে থাকলে সংখ্যাটা ৫ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সব চাইতে বড় চিন্তার বিষয় হল এই লাখ লাখ রোহিঙ্গারা কিন্তু কিছুদিনের ভেতরেই ভোটার আইডি কার্ড পেয়ে বাংলাদেশী হয়ে যাবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের ভোট ব্যাংক বাড়ানোর স্বার্থে অনেক আগে থেকেই রোহিঙ্গাদের এসব সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছে।

এরকম দুর্যোগ মুহূর্তে অন্যান্য দেশে শরণার্থীদের নিবন্ধন করার নিয়ম থাকলেও বাংলাদেশে এখনো সেটা শুরু হয়নি। তাদের ভাষা টেকনাফ এবং কক্সবাজারের স্থানীয়দের ভাষার সাথে মিল থাকাতে সহজেই তারা মিশে যাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের সাথে। এর আগে যে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছিল তাদের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, মাদক, যৌন ব্যবসা এবং চুরি-ছিনতাই দখলবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগও বিদ্যমান হরহামেশা।

টেকনাফে পাহাড় কেটে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রোহিঙ্গা বস্তি নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে সংখ্যায় তারা বাংলাদেশির চাইতেও বেশি। ইতিহাস বলে, কোন একটা জায়গায় যে জাতের সংখ্যা বেশি থাকে একদিন সেই স্থান তাদের দখলেই চলে যায়।

পাশ্ববর্তী দেশ ভারত কেন এই রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে চুপ করে আছে জানেন ? কেননা তারা সবার প্রথমে তাদের দেশের কথাই আগে ভাবছে।
ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে বিদ্রোহী তৎপরতায় লিপ্ত যোদ্ধাদের অনেকেই মিয়ানমারের জঙ্গলে গিয়ে আশ্রয় নেয়। ফলে তাদের শায়েস্তা করতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সহযোগিতা তাদের প্রয়োজন।

বিপর্যস্ত রোহিঙ্গাদের প্রতি আমাদের মানবিক দায়িত্ব অবশ্যই আছে, সেটা যতটুকু সম্ভব আমরা সাধ্যমত করব, এজন্য মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক ভাবে চাপ প্রয়োগ করার পাশাপাশি সীমান্তে কঠোর অবস্থান আমাদেরকে নিতেই হবে। দেশকে বিলিয়ে দিয়ে আমরা না রোহিঙ্গা , না বাঙ্গালি কাউকেই ভালো রাখতে পারব না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.