নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবাসী চিকিৎসক ও স্বপ্নচারী। শখের বশে কবিতা লেখার প্রয়াস হয়। হয়তো সেগুলা কবিতা হয়ে ওঠে না, হয় অগোছালো শব্দমালা,জীবনের মতোন...
অতনুর বাসায় গেলাম আমরা চারজন।
কাকীমা বড়ো বাটিতে করে চারটে দইবড়া রেখে গেলেন সামনে।
অতনুদের চারটে গাই আছে। এরমধ্যে দুটো আবার কিছুদিন আগে বাছুর দিয়েছে।
অতএব, দইবড়া নিশ্চিত ঘরে বানানো।
কল্লোল আর আমি ভাবছিলাম, ছোটো বাটি আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবো নাকি টপাটপ মুখে পুরে দেবো।
সিদ্ধান্ত নিতে পারলামনা। চটজলদি সিদ্ধান্ত নেবার মত ধী আমাদের নেই।
মিথুন দা আমাদের গুরু, পুঁথিগত বিদ্যায় না হলেও বৈষয়িক বিদ্যায় ত বটেই।
তিনি কালবিলম্ব করলেন না। একসাথে দুটো দইবড়া মুখে পুরে দিলেন। আর চিবানোর ফাঁকে ফাঁকেই বললেন,
'বুঝলি ছোকরার দল, আমি সারাজীবনই মিনিমালিজমের চর্চা করে আসছি'
শিবলীটা ভীষণ লোভী। মৃদুস্বরে গাই গুই করে উঠলো, 'দাদা একাই দুটো সাবাড় করে দিলে....'
আমি থামিয়ে দিলাম।
গুরুর মুখে মুখে তর্ক করতে নেই।
তাছাড়া, মিনিমালিজম এর চর্চা করে এমন গুরু এই ভোগবাদী জগতে পাওয়া ভারী দুষ্কর, হু হু বাবা!
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৩৯
তাহমিদ রহমান বলেছেন: তবে মিথুন দা'র মতোন মিনিমালিস্ট হলে আবার বাকিদের জন্য পেরেশানির ব্যাপার!
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:২০
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের মস্তিষ্কেরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, আমরা প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ সিদ্ধান্ত নিতে পারি। নিয়মিত যে কাজ গুলো করতেই হবে, সে গুলো করতে গেলেই অনেক গুলো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে হয়। এরপর জীবন যাত্রা কমপ্লেক্স হলে স্বাভাবিক থেকে আরো বেশি সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরকার পড়ে। এ জন্যই মিনিমালিস্ট হওয়া দরকার।