নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন অলস মানুষ; ভালোবাসি স্বপ্ন দেখতে, চিন্তা করতে, আর কবিতা লিখতে।পেশায় চিকিৎসক, তবে স্বপ্ন দেখি সাহিত্যের সাথে নিবিড় সখ্য গড়বার।ছাত্রজীবনে জড়িত ছিলাম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে, ভবিষ্যতে কাজ করতে চাই কন্যাশিশু নিরাপত্তা ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে।

তাহমিদ রহমান

প্রবাসী চিকিৎসক ও স্বপ্নচারী। শখের বশে কবিতা লেখার প্রয়াস হয়। হয়তো সেগুলা কবিতা হয়ে ওঠে না, হয় অগোছালো শব্দমালা,জীবনের মতোন...

তাহমিদ রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বড়লোকের সংজ্ঞা কি?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৮

বড়লোক বা উচ্চবিত্ত আসলে কারা?

বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রক, অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিতই আর্থিক খাত নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তেমনি একটি প্রতিবেদন প্রতি চার মাস অন্তর প্রকাশিত হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের তরফ থেকে, যেখানে দেশের ব্যাংকগুলোতে আমানতকারীদের কি পরিমাণ অর্থ আছে সে সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এ বিষয়ক সর্বশেষ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারী। এই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস শেষে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ৭৯,৮৭৭ জন! অর্থাৎ ভুসম্পত্তি কিংবা ব্যবসায় বিনিয়োগ বাদেও ব্যাংকে বৈধভাবেই অন্তত এক কোটি টাকা জমা রাখবার মতো সামর্থ্যবান মানুষের সংখ্যা দেশে অন্তত ৭৯,৮৭৭ জন!
(অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে ২০১৯ সালের জুন মাস শেষে ব্যাংক খাতে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ছিল আরও বেশি, ৮০,৩৯৬ জন! শুধু তাই নয়, জুলাই ও আগস্ট এই দুই মাসে আরও প্রায় ৩ হাজার নতুন কোটিপতি এই তালিকায় যুক্ত হন, পরে সেপ্টেম্বর মাসে সংখ্যাটা কমে যায়)

এই প্রতিবেদনটা পড়ে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশে কাদেরকে বড়লোক বা উচ্চবিত্ত বলা যাবে, সেই বিষয়ে একটা সাধারণ ধারণা পাওয়া যায়। সহজ ভাষায় বলা যায়, সাংসারিক খরচ, ল্যান্ড-প্রপার্টি, ব্যবসায় বিনিয়োগ বাদেও ব্যাংকে যারা কোটি টাকার উপরে অলসভাবে ফেলে রাখার সামর্থ্য রাখেন, তারা-ই বাংলাদেশে উচ্চবিত্ত।

অথচ, মোটামুটি বোধশক্তি হবার পর থেকেই দেখে আসছি যে বড়লোক (উচ্চবিত্ত) কারা, সেই সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষের অদ্ভুতরকমের ভুল ধারণা! কারও ব্যক্তিগত গাড়ি থাকলেই তাকে বড়লোক বলা হয়, নিজস্ব বাড়ি থাকলেও তাকে বড়লোক বলা হয়। কেউ একবার দেশের বাহিরে, এমনকি বাড়ির পাশের ভারতে বেড়াতে গেলেও তাকে বড়লোক আখ্যা দেওয়ার মানুষের অভাব নেই। আবার, দামী রেস্তোরা বা রিসোর্টে যেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চেক-ইন দিলে, ডমেস্টিক ফ্লাইটের ইকোনমি ক্লাসের টিকেট কায়দা করে ধরে ফেইসবুক-ইন্সটাগ্রামে ছবি দিলেও বড়লোক তকমা পাওয়া যায় এখন।
এসবই যে popular misconception বা বহুল প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা (কুয়োর ব্যাঙ এর আকাশ দেখার মতোন), আশা করি বাংলাদেশ ব্যাংকের এই প্রতিবেদনটা জানার পর অনেকেই বুঝতে পারবে এবং যাকে-তাকে বড়লোক ডাকার ভুল অভ্যাস ত্যাগ করবে।

আসলে, পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থায় পেশাজীবী শ্রেণীর পক্ষে সীমিত পরিসরে বিলাস-ব্যসন করা সম্ভব হলেও হতে পারে, কিন্তু উচ্চবিত্ত হওয়া সম্ভব না। আর আমজনতা যেহেতু প্রকৃত ধনীদের জীবনযাপন সরাসরি অবলোকনের সুযোগ পায়না, সেহেতু নিজেদের মধ্যেই অপেক্ষাকৃত ভালো-থাকা ব্যক্তিদেরই বড়লোক ঠাউরে নিয়ে নিজস্ব সীমাবদ্ধতার প্রকাশ ঘটায়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: বড় লোকের সংজ্ঞা জানি না। আমি তো ধনী নই।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৫

তাহমিদ রহমান বলেছেন: ধনী ত আসলে তারা-ই, যারা ব্যাংকে কোটি টাকা অলস ফেলে রাখতে পারছেন

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৪

একাল-সেকাল বলেছেন:
মানি মিটারের পারদ যত উপরে, সে তত বড়লোক

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

তাহমিদ রহমান বলেছেন: ঠিক বলেছেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.