নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন অলস মানুষ; ভালোবাসি স্বপ্ন দেখতে, চিন্তা করতে, আর কবিতা লিখতে।পেশায় চিকিৎসক, তবে স্বপ্ন দেখি সাহিত্যের সাথে নিবিড় সখ্য গড়বার।ছাত্রজীবনে জড়িত ছিলাম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে, ভবিষ্যতে কাজ করতে চাই কন্যাশিশু নিরাপত্তা ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে।

তাহমিদ রহমান

প্রবাসী চিকিৎসক ও স্বপ্নচারী। শখের বশে কবিতা লেখার প্রয়াস হয়। হয়তো সেগুলা কবিতা হয়ে ওঠে না, হয় অগোছালো শব্দমালা,জীবনের মতোন...

তাহমিদ রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বইয়ের কথা ৪ঃ রিপু কাহিনী

০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:২৮




শফিক রেহমান।
তিনি একজন ব্যতিক্রমী মানুষ।
আলোচিত, সমালোচিত, বিতর্কিত, আবার ভালোবাসায়-সিক্ত।
ব্যতিক্রমী উপস্থাপনা (সেটা ছাপা অক্ষরে হোক কিংবা সবাক মাধ্যমে), আর বৈচিত্রপূর্ণ কর্ম ও জীবনধারায় তিনি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র।

৮০'র দশকের দুর্দান্ত যায়যায়দিন ম্যাগাজিন এর সাহসী সম্পাদক, ক্লাসিক আর্টশো লাল-গোলাপ এর আর্টিস্টিক প্রেজেন্টার, বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবসের প্রবক্তা - এরকম বহু সুপরিচয়ে পরিচিত হলেও শফিক রেহমানের লেখক পরিচয়টা কিছুটা আড়ালেই থেকেছে সবসময়।

একারণে স্বাভাবিকভাবেই যাযাদি'র বাহিরে মি. রেহমানের অন্য কোনো লেখা পড়া হয়নি আমার। তাই হঠাৎ করে তাঁর 'রিপু কাহিনী' বইটা যখন হাতে পেলাম, আগ্রহ নিয়েই পড়লাম।

★★★

সম্ভবত, ৬০ থেকে ৮০'র দশক-ই মনুষ্য-ইতিহাসের স্বর্ণালী সময়। এইসময়ে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা যেমন জীবনকে সহজতর করেছে,একইসাথে তারহীনতার পূর্বযূগ হিসেবে মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কের প্রাচীন উষ্ণতা বজায়ে থেকেছে। পাশাপাশি বাস করেও বিচ্ছিন দ্বীপে পরিণত হবার অভিশাপ তখনো মানুষকে স্পর্শ করেনি।

সেই ষাট এবং সত্তর এর দশকের শুরুতে পূর্ব বাংলার রাজধানী ঢাকা আর ঢাকা কেন্দ্রিক শহুরে মধ্যবিত্ত জীবনের লেখচিত্র হলো 'রিপু কাহিনী'।

'সাপ এবং সিঁড়ি', কিংবা 'সিজারিয়ান' - এই দুটো গল্পে যেমন রিপু নামক মরণাস্ত্রের সুপ্রাচীন ব্যবহারের কাহিনী-ই মিস্টার রেহমান সম্পূর্ণ নিজস্ব ভঙ্গিতে লিখেছেন, তেমনি 'ফ্লাইট পিকে ৪৫৭' গল্পে তৎকালীন অশান্ত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ঠিকই উঠিয়ে এনেছেন।

তবে পুরো বইয়ে আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে 'একটি চাঞ্চল্যকর সংবাদ'।

"রিপু কাহিনী'র কোন দিকটি আমাকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষিত করেছে?"

-অর্ধশতাব্দীর পুরনো context এ বইটি লেখা হলেও এখানে শফিক রেহমান এর লেখনভঙ্গী আজকের সময়ে চেয়েও contemporary।
আর আফসোস হয়েছে উনার লেখার দুষ্প্রাপ্যতায়।

সবমিলিয়ে পূর্ববঙ্গীয়সাহিত্যের বৈচিত্রময় এক সংগ্রহ এই বইটি। বর্তমানে ছাপা অক্ষরে পাওয়া না গেলেও, pdf ভার্শন সহজপ্রাপ্য।

(ছবিঃ সংগৃহীত)

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:০৭

সোনাগাজী বলেছেন:



চারিত্রিক দিক থেকে লোকটি ভালোই জালিয়াত ও মিথ্যুক; সেই লোকটা কি লিখতে পারে?

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৩৬

তাহমিদ রহমান বলেছেন: এই বইটি ৭০ এর দশকের গোড়ায় লেখা, আমার ভালো লেগেছ পড়ে।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:৪২

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: সত্য বলতে যাযাদি এর সংখ্যা গুলি পড়া হতো গল্প গুলির জন্য। ঐ সময় চটি তেমন একটা সহজলভ্য ছিলো না; তবে যাযাদিতে মোটামুটি ৯০-৯৫% ফিল পাওয়া যেতো। ;)

লাল গোলাপে উনার উপস্থাপনা বেশ ছ্যাবলামি পর্যায়ের মনে হতো। লেখার ক্ষেত্রে কেমন হবে তা ভাবতে একটু ভয়ই লাগছে!

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৩৭

তাহমিদ রহমান বলেছেন: বইটি পড়ে আমার ভালো লেগেছে। সরল গল্প কিন্তু লেখনভঙ্গী চমৎকার।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:৪১

হাইজেনবার্গ ০৬ বলেছেন: পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। বইটার পিডিএফ এর লিন্কটা কি দয়া করা দেয়া যাবে? আমি আরো এক্টি বই খুজতেছি,লেখক মুন্তাসির মামুন, বইয়ের নাম 'সব সম্ভবের দেশ' এটার কোনো খবর কি দিতে পারেন আমাকে? +++

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৪০

তাহমিদ রহমান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। নীচের সাইটে রিপু কাহিনী বইটি আছে। অন্য বইটির ব্যাপারে বলতে পারছিনা, দুঃখিত।

https://www.banglabook.org/bengali-ebook/page/3/

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৪২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ভালোবাসা দিবস নামে নোংরামি ছড়ানোতে ওনার ভুমিকা ১০০ %।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: শফিক রেহমান অনন্যসব গুণের অধিকারী একজন মানুষ- যাকে আমরা যথাযোগ্য মর্যাদা দিতে পারিনি!

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: একবার তার সাথে দেখা হয়েছিলো।

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উনি একজন অসম্ভব মেধাবী মানুষ। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। যদিও ধর্ম বিরোধী ও মুক্তচিন্তার মানুষ ছিলেন। তবে ধর্ম বিদ্বেষী কথা বেশী বলতেন না। পেশায় একজন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট। লন্ডন থেকে পাশ করা। বিশ্বের ১ নং একাউনটিং এবং প্রফেশনাল সারভিস ফার্ম KPMG এর বাংলাদেশের প্রতিনিধি 'রহমান রহমান হক' চার্টার্ড একাউন্টেন্টসে কিছু দিন অংশীদার হিসাবে ছিলেন।

৯০ এর দশকে ওনার লেখা যায় যায় দিন এবং মৌচাকে ঢিল নিয়মিত পড়তাম। রোমান্টিক মাইন্ডের ছিলেন। মইন আর মিলার প্রেমের গল্প থাকতো যায় যায় দিনের শেষের পাতায়। সেখানেও অনেক কিছু শিক্ষণীয় ছিল। ওনার আরও একটা পত্রিকা ছিল। নামটা ভুলে গেছি। কম টাকায় এত ভালো জ্ঞানের উৎস তখন আর কিছু ছিল না। তবে ওনার রাজনীতিতে আসা ঠিক হয়নি। ফলে বিপদে পড়েছেন। রাজনীতি বাদ দিয়ে সাংবাদিকতা এবং সাহিত্য চর্চা করলে আরও ভালো করতেন। ওনার নীতি, নৈতিকতা সম্পর্কে আমার পরিষ্কার ধারণা নেই। যদিও কিছু ব্যাপারে গুঞ্জন শুনেছি। সত্য, মিথ্যা বলতে পারবো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.