নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাজী তাহমিনা

ব্রতচারী মেয়ে

কাজী তাহমিনা ভালোবাসেন পড়তে, পড়াতে, ঘুরতে, খেতে ও আড্ডা দিতে। জন্ম সিলেটে, বেড়ে ওঠা বাবার বদলির চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইংরেজি সাহিত্যের এককালের ছাত্রী; এখন পড়াচ্ছেন ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে।

ব্রতচারী মেয়ে › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইনির জন্য মার সান্ধ্যকালীন গল্প

০২ রা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫

ইনির জন্য মার সান্ধ্যকালীন গল্প
-কাজী তাহমিনা

একদেশে ছিল একটা ব্যাঙ আর 'ইনি' নামের একটা ছোট্ট মেয়ে।ছোট্ট মেয়েটা সারাদিন সবাইকে বিরক্ত করতো, আর শুধু দুষ্টুমি করতো।
একদিন দুষ্টু মেয়েটার মা তাকে অনেক বকা দিলো। বকা খেয়ে দুষ্টু মেয়েটার খুব মন খারাপ হলো। সে চুপিচুপি ঘরের এক কোনে গিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদতে লাগলো। তখন, একটা ইয়া বড় ব্যাঙ এসে, ইনিকে বললো,
'কাঁদছিস কেন, রে ছোট্ট পোনা?
আর কাঁদিস না, মিষ্টি সোনা।
আমার সাথে যাবি?
দুইটা মাছ খাবি?'
চোখ মুছতে মুছতে ইনি বললো,
'কে তুমি?
আমাদের বাসায় কি করে এলে?
মাছ তো আমি খাইনা,
অচেনা লোকের সাথে যাইনা।'
ব্যাঙটা তখন বললো, 'সে কি রে, বোকা! আমি তো তোকে চিনি। তোর নাম ইনি।
তুই তো ভাত খাসনা,
ইশকুলেও যাসনা।
দুষ্টুমিতে সেরা,
ঘাড়টাও তোর ত্যাড়া। '
ইনি তখন বললো, 'ওহে কোলাব্যাঙ, কোরোনা ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ। যাও তুমি চলে- না হয়, মাকে দেবো বলে।'
ব্যাঙটা তখন বললো, 'যা, বল, গিয়ে, তোকে যাবো নিয়ে।'
ইনি তখন চিৎকার করে তার মাকে ডাকলো। বললো, 'মা, দেখো, দেখো। একটা ব্যাঙ আমাকে নিতে এসেছে।'
মা এসে দ্যাখে কি, ইনি একটা ছবির ব্যাঙের সাথে কথা বলছে। তারপরে মা যেই হাতটা বাড়ালো, ওমনি ইনি ঝপাৎ করে মার কোলে উঠে গেলো আর চকাস চকাস মাকে দুটো চুমু দিয়ে দিলো।
তারপর বললো, 'মা, একটা গল্প বলো তো।'
মা তখন শুরু করলো, 'একদেশে ছিল একটা ইয়া বড় ব্যাঙ, আর ছিল একটা ছোট্ট মেয়ে....'
'তারপর?', ইনি বললো।
তারপর?
তারপর কি, তা তো তুমি জানোই।
মার গল্পটা শেষ!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

নক্ষত্রের আমি বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে!!

২| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭

সানহিমেল বলেছেন: তুই তো ভাত খাসনা,
ইশকুলেও যাসনা।
দুষ্টুমিতে সেরা,
ঘাড়টাও তোর ত্যাড়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.