নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একশত সিপাহী ঢাল-তলোয়ার লইয়া যে ক্ষমতা না রাখে, অনুতাপের হাত তাহার চেয়ে অধিক ক্ষমতা রাখে।
প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিগুলো কিছু কিছু ব্যাপারে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিগুলোর থেকে বেশি সুবিধা ভোগ করে থাকে। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিগুলোতে কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ বার্ষিক আয়ের কোন লক্ষ মাত্রা থাকে না, শেয়ারের মূল্য নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় না, ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সম্পর্কে জবাবদিহিতার পরিমাণ তুলনামূলক কম।
তাছাড়াও ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে রয়েছে মালিকের স্বাধীনতা, এমনকি প্রাইভেট কোম্পানি গুলোতে প্রবৃদ্ধির পরিমাণও বেশি। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মালিক মার্ক জুকারবার্গ সব সময়ই চান ফেসবুক প্রাইভেট কোম্পানি হিসেবেই কাজ করে যাক। তবে একটি সফল প্রাইভেট কোম্পানি পরিচালনার ক্ষেত্রে জন্যে কিছু নীতি অনুসরণ করতে হয়। যেকোন আকৃতির প্রাইভেট কোম্পানির সফল্যের জন্যে আছে ছয়টি স্বর্ণ নীতি।
লক্ষ্য নির্ধারণ করাঃ
একটি কোম্পানির অবশ্যই নিজেদের সম্পর্কে ও তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে পূর্নমাত্রায় জ্ঞ্যান থাকা উচিত। কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা অনেক কম বেতনেও অনেক বেশি উৎপাদনশীল হতে সক্ষম হয়, যদি তাদের কাজের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। প্রতিযোগীতাপূর্ণ পরিবেশে ব্যবসায়িক কৌশলগুলো কাজে লাগানোর জন্যে কোম্পানিগুলোর মিশন নির্ধারণ করে নেয়া দরকার।
কর্মীদের সন্তুষ্ট রাখাঃ
এসএএস (SAS) নামক ক্যালিফোরনিয়ার একটি সফল সফটওয়্যার কোম্পানির চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এবং কো-ফাউন্ডার জিম গুডনাইট বলেছিলেন, প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের যদি বিশ্বাস করানো যায় যে, তারা পরিবর্তন আনতে সক্ষম, তাহলে তারা সত্যিই পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হয়। ব্যবসায়িক সফট ওয়্যার প্রস্তুতকারক কোম্পানিটির সাফল্যের পিছনের মূল কারণ ছিল, প্রতিষ্ঠানটির পিছনে নিয়োজিত জনশক্তি। দক্ষ কর্মী ব্যবস্থাপনার কারণে কোম্পানিটি আইবিএম এবং ওরাকলের মতোন শক্তিশালী কোম্পানি গুলোর সাথে প্রতিযোগীতায় টিকে যায়। কর্মীদেরকে বেতন দেয়ার পাশাপাশি মেডিকেল সুবিধা, সন্তানদের স্কুল সুবিধা, গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্প, যাতায়াত সুবিধা, বাসস্থান ইত্যাদি সুবিধা প্রদান করে থাকে কোম্পানিটি।
দ্রুত প্রতিক্রিয়া প্রদান করাঃ
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিগুলোর একটি বড় অসুবিধা হলো, যে কোন বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রদানে বিলম্ব হওয়া। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিগুলো এই দিক থেকে অনেক এগিয়ে। যেকোন সিদ্ধান গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রাইভেট কোম্পানিকে তেমন ঝামেলা পোহাতে হয় না। আর এই কোম্পানিগুলোর সাফল্য অনেকটা নির্ভর করে, এই সিদ্ধান্ত গুলো কতোটা দ্রুততার সাথে নেয়া হচ্ছে। তাছাড়া বিভিন্ন পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে না পারলে, প্রাইভেট কোম্পানিগুলর জন্যে প্রতিযোগীতায় টিকে থাকা এক অর্থে অসম্ভব।
দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পণাঃ
ঝুঁকি গ্রহণ এবং মুনাফা অর্জনের দিক থেকে প্রাইভেট কোম্পানিগুলো তুলনামূলক অনেক বেশি স্বাধীনতা ভোগ করে। একটি প্রাইভেট কোম্পানির সাফল্যের জন্যে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পণার দরকার। প্রাথমিক মেয়াদে অধিক মুনাফা না অর্জন করে, বরং ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করার দিকে দৃষ্টি দেয়া দরকার। আমেরিকার সবচেয়ে বড় প্রাইভেট কোম্পানি ‘কারগিল’ এর সফল্যের পেছনে ছিলো দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা। বর্তমানে কোম্পানিটির মুলাফার পরিমাণ ১৩৪ বিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বে ৬৬টি দেশে কারগিল তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে চলেছে।
পরিবার ভিত্তিক ব্যবসা পরিচালনাঃ
বিশ্বের সবগুলো প্রাইভেট কোম্পানির প্রায় অর্ধেকই পরিচালিত হয়ে আসছে কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের দ্বারা। আপনার ব্যবসায়িক কাজ-কর্মে আপনার কোন আত্মীয় বা বন্ধু যতোটা না দ্বায়িত্বশীল থাকবে, কোন অপরিচিত ব্যক্তি ততোটা দ্বায়িত্বশীল নাও হতে পারে। পারিবারিক ভাবে গড়ে উঠা ব্যবসাগুলোর সাফল্যের হারও তুলনামূলকভাবে বেশি।
একত্রে কাজ করার মনোভাবঃ
প্রাইভেট কোম্পানি মানে এই নয় যে, আপনাকে একাইপথ চলতে হবে। ভাল প্রাইভেট কোম্পানিগুলো তাদের বোর্ড মেম্বারে এবং এক্সিকিউটিভ পজিশনে বাইরে থেকে সেরা কর্মীদেরকে নিয়োগ করে থাকে। তারা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে বাইরে থেকে উপদেষ্টা ও পরামর্শদাতা এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মতামত গ্রহণ করে থাকে। প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ উন্নয়নের জন্যে সর্বোচ্চ জোর দেয়া উচত। প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকের সহযোগীতামূলক মনোভাব বজায় রেখে কাজ করে গেলেই একমাত্র সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।
http://finance.priyo.com/node/2070
©somewhere in net ltd.