নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাইকে ভালোবাসুন।

মুহামমদল হািবব

Nothing just simple.

মুহামমদল হািবব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন জেনে ধন্য হই বাংলাদেশের রাজনীতিতে কে কার মামা চাচা- যারা জানেন না তাদের জন্য।

২১ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, মাত্র এগারো পরিবারের মধ্যে হাতবদল হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতি ও রাষ্ট্রক্ষমতা। ঐ সব পরিবারের সদস্যদের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশের অগণন মানুষের ভাগ্য। গত ৩৬ বছরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ওরাই নিয়ন্ত্রণ করছেন এ দেশের রাজনীতিকে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভাঙাগড়ার খেলায় এ পরিবারগুলোর ভূমিকাই প্রধান।



১৯৮১ থেকে আওয়ামী লীগের হাল ধরে আছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনা রাজনীতিতে থাকতেই উঠে এসেছে বঙ্গবন্ধু-দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম, যদিও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তিনি এখনও সক্রিয় নন। গত ৩৬ বছরের ইতিহাসে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিভিন্ন সময় বঙ্গবন্ধু পরিবারে যারা প্রথম কাতারে ছিলেন, তারা হলেন, বঙ্গবন্ধু ভাই মরহুম শেখ নাসেরের পুত্র শেখ হেলাল, বঙ্গবন্ধুর বড় বোনের জামাই আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম আব্দুর রব সেরনিয়াবাদ ও তার ছেলে আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুজিব বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মরহুম শেখ ফজলুল হক মনির ভাই শেখ ফজলুল করিম সেলিম শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই, শেখ হাসিনার দূর সম্পর্কের ফুফা আমীর হোসেন আমু ও দূর সম্পর্কে ফুফু দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজেদা চৌধুরী, দূর সম্পর্কে চাচতো ভাই বাহাউদ্দিন নাসিম। বঙ্গবন্ধুর দূর সম্পর্কের ভাগ্নে নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন, শেখ শহীদুল ইসলাম, শেখ হাসিনার ফুফা লে. জেনারেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান (বীর বিক্রম), বেয়াই ও কন্যা পুতুলের শ্বশুর খন্দকার মোশাররফ হোসেন রাজনীতিতে যুক্ত আছেন।

১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠিত হলেও বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতিতে আসেন ১৯৮২ সালে। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা ও রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অত্মীয়-স্বজন রাজনীতিতে ছিলেন না।

স্ত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের প্রায় ৫ জন সদস্য রাজনীতিতে যুক্ত। এর মধ্যে বড় ছেলে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান, দলের ভাইস চেয়ারম্যান ছোট ভাই প্রয়াত মেজর (অব.) সাঈদ ইস্কান্দার, নীলফামারী বিএনপি’র সভাপতি ও আপন বড় বোনের ছেলে প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম তুহিন এবং বোন প্রয়াত মন্ত্রী খুরশীদ জাহান হক জাতীয় রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের পাশাপাশি স্ত্রী রওশন এরশাদ, ভাই জি এম কাদের, বোন মেরিনা রহমান রাজনীতিতে অবস্থান শক্তিশালী করেছেন। ভগ্নিপতি প্রয়াত ড. আসাদুর রহমান ও জাতীয় রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন।

যুক্তফ্রন্টের যোগাযোগ ও গণপূর্ত মন্ত্রী কফিলউদ্দিন চৌধুরীর পুত্র সাবেক রাষ্ট্রপতি, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও বর্তমান বিকল্পধারার সভাপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তার পুত্র মাহী বি চৌধুরী। বদরুদ্দোজা চৌধুরী স্ত্রীর ছোট বোন পান্না কায়সার ১৯৯৬ সালের সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত সাংসদ ছিলেন।

দুই ভাই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর পিতা বিশিষ্ট মুসলিম লীগ নেতা মরহুম ফজলুল কাদের চৌধুরী। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ছিলেন সাবেক বিএনপি’র সরকারের সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা। চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং সাবের হোসেন চৌধুরী মামাতো-ফুফাতো-খালাতো ভাই। আবার বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক শ্রম ও জনশক্তিমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর মামা।

ব্যবসায়ী ও মুসলিম লীগ নেতা মরহুম ফজলুল রহমানের ছেলে সালমান এফ রহমান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য। তিনি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং শিল্পপতি সালমান এফ রহমান সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই। সালমান এফ রহমানের নানা সৈয়দ আতিকুল্লাহ এবং সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নানা সৈয়দ আজিজুল্লাহ ছিলেন আপন ভাই। সালমান এফ রহমানের দূরসম্পর্কের ভাই নূরুল হুদার ছেলে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। উভয়ই ঢাকা-১ আসন থেকে নির্বাচন করেন। নাজমুল হুদার স্ত্রী এ্যাডভোকেট সিগমা হুদার বড় ভাই দারা কবির বিয়ে করেছেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খালাতো বোন আতিকা শিরিনকে। ফজলুল কাদের চৌধুরীর আপন ভাগ্নে সাবের হোসেন চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক সচিব ছিলেন । তার ছোট ভাই ও ওয়ান ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী ঢাকা-১০ আসন তেজগাঁও-রমনা এলাকায় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।



প্রয়াত আবুল হাশিম অবিভক্ত ভারতের মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার ছেলে বিশিষ্ট লেখক ও বামপন্থী নেতা বদরুদ্দীন উমর। মরহুম হাশিমের মেয়ে নাগিনা জ্জোহার সাথে বিয়ে হয় আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম শামসুদ্দোহার। শামসুদ্দোহা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৭০ সালে জাতীয় পরিষদ এবং ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য হন। শামসুদ্দোহার তিন পুত্র নাসিম ওসমান, সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান। এর মধ্যে শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান জেলা আওয়ামী লীগের নেতা। তার অপর ভাই নাসিম ওসমান জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত। তিনি ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে নারায়নগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

এ রাজনীতিতে আরেকটি পরিবার বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের পরিবার। জনাব মেননের পিতা তৎকালীন স্পীকার মরহুম আব্দুল জব্বার খান। তিনি হাই কোর্টের বিচারপতি ছিলেন। বিচারপতি পদ থেকে অবসর নেয়ার পর আইয়ুব খান সরকারের স্পীকার ছিলেন। পরবর্তী কালে এমএনএ (মেম্বার অব ন্যাশনাল এ্যাম্বেসি)। মেনন পরিবারের সঙ্গে শেরেবাংলা পরিবারের আত্মীয়তা রয়েছে। মেননের নানি ছিলেন শেরেবাংলা আপন ফুফাতো বোন। সেই সূত্রে ফজলুল হক মেননের মামা। রাশেদ খান মেননের ফুপাতো দুলাভাই সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান জনাব মেননের আপন বোন সেলিমা রহমান সাবেক ৪দলীয় জোট সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রী ছিলেন। ওপর ভাই এ জেড এম ওবায়দুল্লাহ ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের কৃষিমন্ত্রী এবং এনায়েতউল্লাহ খান ছিলেন জিয়াউর রহমানের মন্ত্রীসভার তথ্যমন্ত্রী।

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও স্বাধীকার আন্দোলনের নেতা মরহুম তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিঞার জ্যেষ্ঠ পুত্র সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে গৃহায়ণ, গণপূর্ত, তথ্য উপদেষ্টা ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেন। ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি ছিলেন। বাকশাল গঠনের প্রতিবাদে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। আরেক পুত্র প্রায়াত আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জাতীয় পার্টি (ম) প্রধান ছিলেন এবং বর্তমান বিজেপি আন্দাবিল রহমান পার্থ তার পুত্র। সংগ্রহীতও



তথ্য উপাত্ত কিছুটা ভুল হতে পারে,সংশোধন করে দিন যদি কারো কাছে থাকে। ধন্যবাদ।







মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

ওডিসিয়াস বলেছেন: আন্দালিব পার্থের বাবা নাজিউর রহমান মঞ্জুর। এখানে আপনি যার কথা বলতে চেয়েছেন তিনি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর, বিজেপির প্রধান। হাসিনার প্রথম মন্ত্রিসভার বন মন্ত্রী।

২| ২১ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১

ওডিসিয়াস বলেছেন: রওশন এরশাদ ও বিদিশা এরশাদের নাম বাদ গেছে। বিদিশা খুব বেশি প্রচারিত না হলেও গজাপা গঠনে তার ভূমিকা ছিল। আর রওশন এরশাদ এখনও রাজনীতিতে সক্রিয়।

৩| ২১ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ২য় পুত্র আনোয়ার হোসেন মন্জু এরশাদের আমলে মন্ত্রী ছিলেন আর গত আওয়ামী লীগ আমলে যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন। অন্য দিকে ভোলার নাজিউর রহমান মন্জুর দূর্নিতীর দায়ে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন স্বাধীনতার ৩ বছর পর। তিনিও পরে এরশাদের মন্ত্রী হয়েছেন। তিনি আবার শেখ সেলিমের দুলাভাই। তার ছেলে পার্থ আবার শেখ হেলালের জামাই।

৪| ২১ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

মুহামমদল হািবব বলেছেন: আপনাদের দুজনকেই ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৫| ২১ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

paglakanai বলেছেন: আনোয়ার হোসেন মঞ্জু যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন

৬| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

আশীষ কুমার বলেছেন: মহাকাব্য !!

৭| ৩০ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:০২

বিভ্রান্ত _পথিক বলেছেন: আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এখনো মারা যায় নাই। নাজিউর রহমান মঞ্জু অন্য একজন যার ছেলে পার্থ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.