![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আসলে তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ বা জ্ঞানী ব্যাক্তি নই। কিন্তু আমি তাই বলি যাই বলি তা আমি বিশ্বাস করি।
আজকে বাংলাদেশে যে দুইটা বিষয় খুব আলোচিত তা হল জামাত-শিবির আর প্রজন্ম চত্বর। আসুন আমরা দেখি এই দুই আন্দোলনকারীদের মধ্যের পার্থক্য। প্রথমেই আলোচনা করি তাদের মূল্যবোধ নিয়ে। আসুন দেখি জামায়াত শিবির কি বিশ্বাস করেঃ-
১) ওরা অন্ধ ভাবে ওদের নেতাদের অনুসরন করে। নেতাদের নির্দেশের সত্য মিথ্যার প্রভেদ বোঝার চেষ্টা করে না।
২) ওরা মনে করে ১৯৭১ সালের একটা মুক্তিযুদ্ধ একটা গণ্ডগোল।
৩) ওরা মনে করে এই বাংলাদেশ সৃষ্টিই ভুল, এই দেশের পাকিস্তানের সাথে থাকা উচিৎ।
৪) ওরা মনে করে ১৯৭১ সালে যারা পাকিস্তান রক্ষা করা চেষ্টা করেছে মানে রাজাকাররাই প্রকৃত যোদ্ধা।
৫) ওরা ওদের রাজনৈতিক নেতাদের ধর্মীয় নেতা মনে করে।
৬) ওরা মনে করে ওদের বিরোধী যারাই আছে তারা বিপথগামি। এই ক্ষেত্রে নাস্তিক শব্দটা তারা সবচেয়ে বেশী ব্যাবহার করে।।
৭) ওরা মনে করে সসস্র বিপ্লবের মাধ্যমে বহু মুসলমানের জীবনের বিনিময়েও যদি ওরা ক্ষমতায় যেতে পারে সেইটাই হবে এই দেশে ইসলাম কায়েম।
৮) ওরা মনে করে এই দেশ শুধু মুসলমানের এখানে অন্য কোন ধর্মের লোক থাকতে পারে না মানে ওরা চায় ৪৭ এর দেশবিভাগের চেতনায় ফিরে যেতে। ইত্যাদি।
অপর দিকে প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনকারীদের মূল্যবোধ ও বিশ্বাস নিচে দিলামঃ-
১) তারা কোন ভাবেই তাদের নেতাদের অন্ধ ভাবে অনুসরন করে না, প্রায় সবসময়ই গঠনমূলক সমালোচনা করে। যেমন - বেলুনে চিঠি লিখে উড়িয়ে দেয়ার কর্মসূচি।
২) ৩০ লক্ষ প্রান আর ৩ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী।
৩) ওরা বোঝে বাংলাদেশে স্বাধীনতার মর্ম আর সার্বভৌমত্তের কি অর্থ।
৪) ওরা জানে কারা মুক্তিযোদ্ধা আর কারা এই দেশের স্বাধীনতা বিরোধী
৫) ওদের কোন রাজনৈতিক নেতা নেই, স্বাধীনতার চেতনাই ওদের পথপ্রদর্শক
৬) ওরা গঠন মূলক আলোচনা আর সমালোচনায় বিশ্বাসী
৭) ওরা জানে ইসলাম শান্তির ধর্ম ,ওরা বিশ্বাস করে অশান্তি করে ইসলাম প্রচার সম্ভব নয়
৮) ওরা বিশ্বাস করে ধর্ম যার যার কিন্তু রাষ্ট্র সবার। সব ধর্মের মানুষের সাথে সহবস্থানে ওরা বিশ্বাসী।
আসুন এবার দেখি দুই গ্রুপের কর্মপদ্ধতি। প্রথমেই আলোচনা করি জামাত শিবিরের করমপদ্ধতিঃ-
১) ওরা অপপ্রচার এবং প্রোপাগান্ডায় বিশ্বাসী।
২) ওরা সব কিছুতেই ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করতে চায়।
৩) ওরা মিছিলের নামে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীও সাংবাদিকদের উপর আঘাত করে।
৪) ওরা জাতীয় মসজিদে আগুন লাগায়
৫) ওরা জাতীয় মসজিদের ইমামকে লাঞ্চিত করে।
৬) ওরা জাতীয় পতাকায় আগুন দেয়।
৭) ওরা শহিদ মিনারে ভাংচুর চালায়।
অপরদিকে,
১) ওরা মানুষের কাছে সত্য ইতিহাস তুলে ধরে , মানুষকে জানায় জয় বাংলা মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান আওয়ামীলীগের না।
২) ওরা সকল ধর্ম, বর্ণের মানুষকে সমান চোখে দেখে
৩) ওরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করে, কোন ভাংচুর/ হাঙ্গামায় বিশ্বাস করে করে না।
৪) ওরা সকল মুক্তিযোদ্ধার জন্য সকল ধর্মের উপসানালয়ে দোয়া চায়।
৫) ওরা শান্তি পূর্ণ কর্মসূচীতে বিশ্বাসী যেমন মোমবাতি প্রজ্জলন, নিরবতা পালন, পতাকা উড্ডয়ন সহ অহিংস কর্মসূচি।
৬) ওরা মাথায় জাতীয় পতাকা , শহিদ মিনারের মর্মার্থ বোঝে।
৭) ওরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেয়।
এখ্ন আপনি বলেন আপনি কি করবেন? প্রতিরোধ করবেন নাকি এখনো ভুল খোজার অজুহাতে একটা মিথ্যা আরও বাড়তে দিবেন। সিদ্ধান্ত আপনার। আমরা প্রজন্ম চত্বরে আপনার অপেক্ষায় আছি।
©somewhere in net ltd.