![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আসলে তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ বা জ্ঞানী ব্যাক্তি নই। কিন্তু আমি তাই বলি যাই বলি তা আমি বিশ্বাস করি।
প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলন শুধুমাত্র কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে শুরু হলেও পরে কিছু প্রাসঙ্গিক দাবি এর সাথে যোগ হয়। এর মধ্যে আছে,
১) সকল যুদ্ধাপরাধীর সর্বচ্চ শাস্তি।
২)জামায়াত ইসলামীকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা।
৩)স্থায়ী ট্রাইব্যুনাল করা।
সকল যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি একটা চলমান পক্রিয়া এটা দ্রুত সমাধানের কোন সম্ভবনা নাই। কিন্তু এর জন্য যে স্থায়ী ট্রাইব্যুনাল করা লাগবে তার ব্যাপারে সরকারকে উদাসীন দেখা যাচ্ছে। এই ব্যাপারে সরকারের মন্তব্য অস্পষ্ট।
আর জামায়েত শিবিরকে নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে বিএনপির কোন অবস্থান দেখা যাচ্ছে না।যদিও তারা তাদের দলনেত্রির বক্তব্যের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করেছে যে তারা জামায়াত শিবিরের সাথেই এক জোটে আছে।আবার তাদের কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলে তারা খুশি। কারন তাতে তারা ভোটের রাজনীতিতে সুবিধা লাভ করবে। কারন তখন জামায়াতের হিডেন ভোট সহ কিছু আওয়ামী বিরোধী ভোট পাবে।
অপরদিকে , সরকারের কর্মকাণ্ডে জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করার কোন আলামত দেখা যাচ্ছে না। তারা চাচ্ছে বিএনপি যেন জামায়েত ইসলামীকে জোট থেকে বের করে দেয়। বিএনপি জোট থেকে বের করে দিলে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে জামায়েতকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব হতো। সেই ক্ষেত্রে পরবর্তীতে জামায়েত ইসলামীকে একেবারে সমূলে নির্মূল করা সম্ভব হতো। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ভোটের রাজনীতির জন্য এই ক্ষেত্রে জামায়েত ইসলামীকে নিষিদ্ধ করতেছে না।
এখন আলোচ্য বিষয় হল এমতাবস্থায় কি করবে প্রজন্ম চত্বরের নেতারা । সরকার বিরোধী মনোভাব নিয়েই আন্দোলন শুরু হলেও সরকার এতদিন আন্দোলনের সাথে সংহতি মনোভাব থাকায় এবং আন্দোলনটা অহিংস হওয়ায় কখনো সরকার আর আন্দোলনকারীরা মুখোমুখি হয় নাই। কিন্তু এখন ন্যায্য দাবির প্রেক্ষিতে সরকার আর আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি হওয়ার উপক্রম।
অপরদিকে, জামায়েত ইসলাম এই আন্দোলনের শুরু থেকেই বিরোধিতা করে আসছে। এই আন্দোলনকে ভণ্ডুল করার জন্য হেন কোন অপচেষ্টা নাই যা তারা করে নাই। এখন তাদের সাথে আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে বিএনপি সহ জাতীয় পার্টিও।
তাই দেখা যাচ্ছে সামনের সময়ে একটা ন্যায় দাবির বিপরীতে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই অবস্থান নিবে। অতিতেও এইসব রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থে এই বিষধর লালন পালন করেছে। এখনও তারা অতিতের পথে যাচ্ছে। অতীতে এই সাপ মারার দাবিতে জনগন কখনো রাস্তায় নামেনি কিন্তু এবার জনগন সাপের বিষ নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর।রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সাধারন মানুষ হিসেবে আমার আবেদন আপনারা নিজের স্বার্থ বাদ দিয়ে দেশ অ জনগনের স্বার্থ খেয়াল রাইখেন,আর আন্দোলনের নেতাদের প্রতি আমার আহবান কোন অবস্থাতেই ন্যায় দাবির সাথে আপোষ করা যাবে না।
আপোষ না সংগ্রাম
সংগ্রাম, সংগ্রাম
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৪
তাজমুল আক্তার বলেছেন: প্লীজ তাহরির স্কয়ার বইলেন না ।
২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩
আতিকুল০৭৮৪ বলেছেন: আমি কোন আশা দেকতেছি না, কোন চাল চালাচ্ছে কিছুই বুজা যাচ্ছে না।
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৫
তাজমুল আক্তার বলেছেন: তাদের উচিৎ সমর্থকদের বিভ্রান্ত না করে সব কথা সোজা সাপটা বলা
৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯
শফিক১৯৪৮ বলেছেন: মনে হয় এরা বিক্রি হয়ে গেছে, অন্তত আজকের বিএনপির হরতালের বিরুদ্ধে ভুমিকাটা তাই বলে।
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৭
তাজমুল আক্তার বলেছেন: আমিও একই ভয়ে আছি। তবে এখনি এই ডিসিশন এ পৌঁছানোর সময় হয় নাই মনে হয়।
৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯
নন্দনপুরী বলেছেন: যত বাধাই আসুক ,যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি হবেই হবে ...ইনসাআল্লাহ
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৮
তাজমুল আক্তার বলেছেন: ইনশাল্লাহ
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫
এম ই জাভেদ বলেছেন: ন্যায্য দাবি আদায় না হলে শাহবাগ হবে তাহ্ রির স্কয়ার। প্রজন্ম চত্বরের নেতাগন চাপ বা প্রলোভনে পিছুটান না দিলেই হয়। তা করলে তারা ইতিহাসের মির জাফর হিসাবে দেশবাসীর কাছে ঘৃণার পাত্র হয়ে উঠবেন।