![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আসলে তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ বা জ্ঞানী ব্যাক্তি নই। কিন্তু আমি তাই বলি যাই বলি তা আমি বিশ্বাস করি।
দীর্ঘ আন্দোলনের পর শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি পেয়ে সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৩০০ টাকা। যেই বেতন কার্যকর হয়েছে এই ডিসেম্বর মাস থেকে। বেতন দেওয়ার পর দেখা যাচ্ছে হাজিরা বোনাস, ওভার টাইম সহ অনেকেই ১১ হাজার, ১২ হাজার টাকা পেয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ্। বেতন পাওয়ার পর শ্রমিকদের আনন্দ দেখে সত্যিই মন ভরে গেছে। যদিও গ্রেডিং জটিলতার কারনে কেউ কেউ হতাশা প্রকাশ করেছে কিন্তু বেশীরভাগ শ্রমিককেই তৃপ্ত দেখা গেছে।
এমন না যে শ্রমিকদের আনন্দ দেখে স্টাফদের কস্ট হয় । কিন্তু পরিবর্তিত অবস্থায় স্টাফদের কিছুটা চাপের ভিতর পরতে হচ্ছে । যেমনঃ-
- মালিকেরা এখন সুইং লাইনে হেলপার কমানোর ব্যাপারে বেশী আগ্রহী এবং হেলপার কমানোর ফলে স্বাভাবিকভাবে উৎপাদনের হার কমে গেছে কিন্তু মালিকেরা স্টাফদের কাছ থেকে ঠিক আগের মতই উৎপাদন চাচ্ছে। এর ফলে স্টাফদের বাড়তি শারীরিক এবং মানসিক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
- মালিকেরা এখন অতিরিক্ত শ্রম ঘন্টায় শ্রমিকদের কাজ করানোর ব্যাপারে আগ্রহী না বরং তারা অতিরিক্ত শ্রম ঘন্টা ছাড়াই আগের সমান উৎপাদন করানোর ব্যাপারে বদ্ধপরিকর । আর এই উৎপাদনের জন্য মালিকেরা চাপ প্রয়োগ করে থাকে স্টাফদের।
- উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা না ছুতে পারলে স্টাফদের উপর নেমে আসে অকথ্য গালিগালাজ আর খারাপ ব্যাবহার। এই ক্ষেত্রে মালিকেরা শ্রমিকের সল্পতার কোন অভিযোগ শুনতেই রাজি না। স্টাফরা নীরবে নিভৃতে এই কস্ট মুখ বুজে সয়ে যায় এমনকি শ্রমিকেরা কাজে অবহেলা করলেও তাদের মুখ বুজে সহ্য করতে হয় কারন শ্রমিকদের সাথে কোনরুপ কঠোর না হবার ব্যাপারে উপরের ম্যানেজমেন্টের কড়া নির্দেশ থাকে।
- স্টাফদের ভিতর বেশীরভাগই দেখা যায় মাস্টার্স পাশ থেকে এইচএসসি পাশ করা । চাকরির সল্পতা আর অল্পসময়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন নিয়ে অনেকেই এই সেক্টরে চাকরিতে ঢুকে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা বেতনে। কিন্তু নতুন পে স্কেলের পর দেখা যাচ্ছে অনেক শ্রমিকই স্টাফদের চেয়ে বেশী বেতন পাচ্ছে যা স্টাফদের জন্য নিদারুন কস্টের কারন হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এমনও দেখা যাচ্ছে কোন সেকশন ইনচার্জ তার অধনস্তদের চেয়ে কম বেতন পাচ্ছে কিন্তু তাদের পক্ষে বলার কেউই নাই। তারা কখনোই ঐক্যবদ্ধ না হওয়াতে খুব সহজেই তাদের উপর যেকোন জুলুম তারা বিনা প্রতিবাদে মেনে নিচ্ছে।
সর্বশেষ একটা কাহিনী বলি। জনৈক রহমান সাহেবের সঙ্গে সেইদিন দেখা হলো। অন্য সবদিনের মতো তাকে সদা হাস্যোজ্জল মুখে দেখতে পেলাম না। অনেক দিনই এই গার্মেন্টস সেক্টরের সাথে যুক্ত আছেন তিনি। কাজ করেন স্টোর বিভাগে। কথায় কথায় বললো যে বাসা পরিবর্তন করবে সামনের মাসে। জিজ্ঞেস করলাম কেনো? সে বললো, ‘’ জীবন চালাতে খুবই কস্ট হচ্ছে। পরিবার আর সন্তানের নিত্যনতুন চাহিদায় গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। টিকে থাকার জন্য তাই তুলনামূলক কম ভাড়ার বাসা খুজে বের করেছে নবীনগর এলাকায়।‘’ আমি চুপ করে রইলাম। সে বলতে থাকলো নতুন চাকরি খুজছে। এই চাকরিতে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির পর মালিক বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট করবে না বলে দিয়েছে। আমি বললাম , যদি চাকরি না পান? সে বললো , চাকরি না পেলে দূরে কোন গার্মেন্টস এ ওয়ার্কার হিসেবে চাকরি শুরু করবে। প্রতিদিন সকালে বাসা থেকে বের হয়ে কে কোথায় যায় তার খোঁজ কি কেউ রাখে? মাস শেষে টাকাটাই তো আসল কথা।
আমি দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। হেলপার থেকে চাকরি শুরু করা রহমান সাহেব মধ্যবিত্ত জীবনের টানা পোড়েন ভালোই টের পাচ্ছে।।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৩৭
তাজমুল আক্তার বলেছেন: মে দিবস আসে শ্রমিকদের জন্য... তাদের অধিকার ঠিকই প্রতিষ্ঠিত হয় আজ অথবা কাল কিন্তু স্টাফদের হাহাকার হাহাকারই থেকে যায়
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ঘটনা পুরা সত্যি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে।
অনেক ধন্যবাদ এটা সামনে নিয়ে আসার জন্য
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৩৮
তাজমুল আক্তার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ সহমত জানানোর জন্য
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০
মায়াবীহরিনী বলেছেন: রতিদিন সকালে বাসা থেকে বের হয়ে কে কোথায় যায় তার খোঁজ কি কেউ রাখে? মাস শেষে টাকাটাই তো আসল কথা। পিড়াদায়ক
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৪২
তাজমুল আক্তার বলেছেন: আসলেই পীড়াদায়ক। তার কথাগুলো বুকে লাগছি্লো।
৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০০
জনাব মাহাবুব বলেছেন: এক অংশের বেতন বাড়লো আরেক অংশকে বঞ্চিত করা হলো। ব্যাপারটা আসলেই কষ্টদায়ক।
বেতন বাড়লে সবারই একই স্কেলে বেতন বাড়ানো প্রয়োজন। নইলে সমাজে শ্রেণী বৈষম্য আরও প্রকট হয়ে দেখা দিবে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৪১
তাজমুল আক্তার বলেছেন: শুধু বৈষম্য না লোকে শিক্ষা গ্রহনের ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করবে। কারন শিক্ষার সাথে সংগতিপূরণ পারিশ্রমিক না পাওয়া সমাজের জন্য ক্ষতিকর
৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৯
সংগ্রামী মন বলেছেন: Vai amio staff namer jata kola pisto,Obosta begotik,Allah Sahajjo korun,Ammin,R donnobad vai apnaka
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১০
তাজমুল আক্তার বলেছেন: স্টাফদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করার সময় এসেছে.।.।
৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২
সংগ্রামী মন বলেছেন: Possible na vai,karon Akhon je cakrir bajar tata keo tr chakrir risk niba na
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ষ্টাফদের ঘটনা সথ্যি হলে সত্যি খুবই কষ্টের।
আসলে সমন্বয়হীনতা সবর্ত্র!! আছে মালিকদের সীমাহীন লোভ!!!
মে দিবস আসে মে দিবস যায় কেবলই আনুষ্ঠানিকতায়!!!