নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাংবাদিকতা নিয়ে পড়ালেখা করছি। পাশাপাশি অনলাইন জার্নালিস্ট হিসেবে কাজ করছি দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে। ব্লগে ফেরার ইচ্ছা বহুদিনের। একদিন হয়তো হুট করে আবারও রেগুলার হয়ে যাবো।

তাজুল ইসলাম মুন্না

একসময় ব্লগ দিয়ে দুনিয়া বদলানোর স্বপ্ন দেখতাম। এখন সাংবাদিকতায় সেই স্বপ্ন দেখি। ফেসবুক প্রোফাইলঃ https://www.facebook.com/ItsTajul

তাজুল ইসলাম মুন্না › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজও মনে পড়ে সেই প্রিয় মানুষটিকে...

১৬ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৪

আমার দাদী মারা গিয়েছে প্রায় ২ মাস হল। প্রিয় কেউ মারা গেলে কেমন অনুভুতি হয় তা প্রায় সবাই-ই জানেন। কিন্তু প্রিয় মানুষটি কষ্ট পেয়ে ধীরে ধীরে মারা গেলে কেমন লাগে তা হয়তো সবাই জানেনা..... সেই লাগাটাই আমার জীবনে এসেছে।





দাদীকে কেমন ভালবাসতাম তা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমার জন্মের পর থেকেই দাদীকে অসুস্থ দেখি। তিনি স্ট্রোক করেছিলেন। স্ট্রোক করার পর তিনি বেঁচে ছিলেন প্রায় ৮ বছর। কিন্তু আমার প্রতি দাদীর ভালবাসা এবং তার প্রতি আমার ভালবাসা ছিল প্রচুর। প্রতিনিয়ত দাদীর একটি করে শক্তি শেষ হচ্ছিলো। একজন মানুষের জীবন প্রদীপ কিভাবে আস্তে আস্তে নিভে যায় তা আমি দেখেছিলাম আমার দাদীকে দিয়ে। সে আমাদের বাসায় আমার চোখের সামনে ছিল দীর্ঘ সময়। সময় পেলেই আমি আমার প্রিয় দাদীর কাছে গিয়ে বসতাম। দেখতাম প্রিয় মানুষটির কষ্ট। দেখতে হত। কিছুই করার ছিল না। দাদীকে প্রায়ই আঙ্গুর খাওয়াতাম। এই একটা জিনিস আমার দাদী সবচেয়ে ভাল করে খেতে পারতো। তাও প্রস্তুত করে দিতে হত। আঙ্গুরের উপরের পাতলা আবরণটাকেও সে গিলতে পারতো না। তাই সেটাকে ফেলে তারপর দিতে হত।



আমার দাদীকে আমি যতটুকু ভালবাসতাম তার থেকে অনেক বেশি ভালবাসতো আমার বড় দুইভাই। তারা দুইজন বড় হয়েছিল দাদীর স্নেহ নিয়ে। আমার মা কখনো আমার বড় ভাইদেরকে মারলে বা কিছু বললে তারা সরাসরি আমার দাদীর কাছে গিয়ে নালিশ করতো। তখন আমার দাদী আমার আম্মুকে বকতো।



************************************



আমার দাদী যেদিন মারা গেলেন সেদিন বিকাল তেকেই বোঝা যাচ্ছিলো যে তার ভিতরে কিছু একটা হচ্ছে। শ্বাস নেওয়ার সময় ভীষণ শব্দ হচ্ছিলো। আমি একটু পরপর গিয়েই দেখছিলাম দাদীর অবস্থা। আমার দাদীর শ্বাসের সাথে ঘড়ঘড় করে শব্দ হচ্ছিল। শব্দটি এখনো আমার কানে বাজে। আমার দাদীর অবস্থা খারাপ হয়েছিল বিকাল ৪টা থেকে। সে মারা গেল সবাই আসার পরে। তখন ঘড়িতে প্রায় ৭:৩০টা বাজে। এই প্রথম আমি কাউকে নিজের চোখের সামনে মারা যেতে দেখলাম। সেই প্রথম ব্যক্তিটি আমার প্রিয় দাদী.......



আজ দাদীকে খুব বেশি মনে পড়ছে। দাদী উঠতে বসতে না পারায় তার বিছানা থেকে সবসময় একটা গন্ধ আসতো। সেই গন্ধটাকে সরানোর জন্য আমরা একটা রুম স্প্রে ইউজ করতাম। আজকে বাসায় শুটকি নিয়ে আম্মু কি যেন করছে। শুটকির গন্ধ সরানোর জন্য আমি রুমে নিজের অজান্তেই দাদীর স্প্রেটাকে দিলাম। সঙ্গে সঙ্গে মনে পড়লো আমার দাদীকে। মনে হল আমার সামনের বিছানায়ই আমার দাদী শুয়ে আছে.......







আল্লাহ আমার দাদীকে বেহেশত নসিব করুক.....

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৫১

আবু সালেহ বলেছেন: "আল্লাহ আমার দাদীকে বেহেশত নসিব করুক..... "

আমিন.........

১৬ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৩৯

তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৬ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

প্রীটি সোনিয়া বলেছেন: লেখাটা পড়ে আমার দাদীর কথা মনে পড়ে গেল,বুকটা মোচড়ে উঠলো......আপনাকে মন্তব্য করার জন্যই লগ ইন করলাম।

খুব ভাল লাগলো লেখাটা....মন ছোঁয়া লেখা।

আল্লাহ আপনার দাদীকে বেহেশত নসিব করুন....আমিন।

১৬ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১০

তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৪

মাহবুবা আখতার বলেছেন: লেখা পড়ে অনেক কথা মনে পড়ে গেল। ঠিক যেন আমার নানী। নানী মারা গেছেন বেশিদিন হয়নি। তবু মাঝে মাঝেই মনে পড়ে।
এখন আবার দাদীও ভীষণ অসুস্থ।
সবাই যে এভাবে ধীরে ধীরে চলে যাবে একটা সময় ভাবতে অবাক লাগে।
তোমার দাদীর জন্য দোয়া রইল।

১৬ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: আমার নানীও এখন অসুস্থ। ক্যান্সার.......

৪| ১৬ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

নাবিক বলেছেন: আল্লাহ আপনার দাদীকে বেহেশত নসীব করুক।

১৬ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৪০

তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ১৬ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

নিবেদীতা বলেছেন: আল্লাহ আপনার দাদীকে বেহেশত নসিব করুক.....

(আমিন)

১৬ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৪০

তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: আমিন

৬| ১৬ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

মারুফ হায়দার নিপু বলেছেন:
আমার দাদুকে নিয়েও একটা লেখা দেবার ইচ্ছে আছে।

আপনার লেখা ভালো লাগলো। +

১৬ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৪০

তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: দিয়ে দিন।


রেটিং এবং কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ

৭| ১৬ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

সারওয়ার জামান চন্দন বলেছেন: আমার দাদীকে আমি দেখিনি কিন্তু আমার বাবার মৃত্য দেখেছি খুব কাছে থেকে .... অনেক কিছু মনে পড়ে যাচ্ছে। বাবা তুমি ভাল থেকো।

আল্লাহ আপনার দাদীকেও বেহেশত নসিব করুক.....

১৬ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৩২

তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ১৬ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪

আশিক হাসান বলেছেন: লেখাটা পড়ে মনে হল অনেকদিন আমার দাদীকে দেখিনা । ইচ্ছে হলেও সেটা আজ আর সম্ভবও নয়।আপনার পোস্ট টি পড়ে নিজের কষ্টটা শেয়ার করলাম মাত্র ।

আল্লাহ আপনার দাদীকে জান্নাত দান করুন ,আমীন ।

১৬ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৩২

তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: কষ্ট শেয়ার করলে হালকা হলেও কমে। ধন্যবাদ

৯| ১৬ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:০৬

আকাশচুরি বলেছেন: সবাইকে যেতে হ্য়..আপনার দাদি ভালো থাকবেন

১৬ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৩৩

তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: এটাই মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় সত্য

১০| ১৬ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:৫২

নীভা বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়তে পড়তে বুকটা মোচড় দিয়ে উঠল।
আল্লাহ আপনার দাদীকে বেহেশত নসিব করুন.....
আমি আমার দাদুর কাছেই মানুষ হয়েছি,তিনিও অসুস্থ অথচ তাকে দেখতে যেতে পারছি না।
আমার দাদুর জন্য দোয়া করবেন।

১৬ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৩৬

তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: দোয়া করি। এই বছরে আমি ২জন প্রিয় মানুষকে হারালাম। আর আমার নানীর ক্যান্সার হল।

১১| ১৬ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৪৭

রাশেদ বলেছেন: আল্লাহ তোমার দাদীকে বেহেশত নসিব করুক।

১৬ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৩৯

তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: ধন্যবাদ রাশেদ ভাই

১২| ১৬ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:০১

সাইফুর বলেছেন: মুন্না..তুমিযে কতটা সুন্দর করে লিখেছো..তুমি নিজেও জানো না...ভাইরে..মন টা খারাপ করে দিলা...:(

আল্লাহ তোমার দাদীকে বেহেশত নসিব করুক।

১৬ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৩৯

তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: :(


ধন্যবাদ

১৩| ১৬ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৪৭

অরুনাভ বলেছেন: আল্লাহ তোমার দাদীকে বেহেশত নসিব করুক........

১৬ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৫০

তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: ধন্যবাদ দোয়া করার জন্য

১৪| ১৬ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:১২

তারার হাসি বলেছেন: আপনি এমন করে লিখেছেন যে সবারই সবার কস্টের কথা মনে পড়ছে। আমার দাদী মারা যান আমার বাবার বয়স যখন ৩৮ দিন। তাই আমি এ নিয়ে কিছু লিখছি না।
কিন্তু আমার নানী যেদিন রাতে মারা যান মাঝ রাতে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়, মনে হছিল আমার কলিজা বা এমন কিছু কেউ যেন ছিড়ে ফেলল।
খুব কস্ট হচ্ছিল, অন্যরকম কস্ট।
পরে শুনি আমার নানী নেই।
আল্লাহ আমাদের প্রিয় মানুষগুলিকে শান্তিতে রাখেন এই প্রার্থনা করি।

১৬ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:১৮

তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: আমিন

১৫| ১৭ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ৮:০০

প্রশাসন বলেছেন: হৃদয় ছোয়ালেখা। ধন্যবাদ।

১৭ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:৪২

তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

১৬| ১৭ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ৮:০২

শান্তা২৯ বলেছেন: দাদী শান্তিতে থাকুন

১৭ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:৪৪

তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: ধন্যবাদ

১৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:১৪

কতবতবকতকত বলেছেন: আমিন।


কি ব্যাপার এই পোস্টে বাব্লি আপার কোন কমেন্ট নাই যে,ঘ্যাটনা কি;)

০৯ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:৩৯

তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: ধন্যবাদ

১৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:৩৬

রায়মশাই বলেছেন: সবাই তাদের দাদীর থেকে, আপনার দাদীর মত প্রচুর ভালবাসা এবং স্নেহ পাক।

সবার দাদা-দাদী যেন সুখে-শান্তিতে থাকেন।

১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১০:০৬

তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: ধন্যবাদ

১৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:৫০

নিলা বলেছেন: দাদিমা কে আল্লাহ শান্তিতে রাখেন এই প্রার্থনা করি।

১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১০:০৭

তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.