![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একসময় ব্লগ দিয়ে দুনিয়া বদলানোর স্বপ্ন দেখতাম। এখন সাংবাদিকতায় সেই স্বপ্ন দেখি। ফেসবুক প্রোফাইলঃ https://www.facebook.com/ItsTajul
খুব সুন্দর একটা প্ল্যান ছিল। যেইদিন তার সাথে প্রথম দেখা হলো; তার কাছ থেকে ভালবাসার সাড়া পেলাম। সেইদিনই এই প্ল্যানটা করে ফেলেছিলাম। অনেকেই হয়তো হাসবেন। বলবেন, "জীবনটাতো সবে শুরু হলো বস। সবেতো ক্লাস টেনে পড়েন। এখনো অনেকদূর বাকী...." হ্যা। আসলেই অনেক দূর বাকী। গত এক সপ্তাহ ধরে নিজেকে এই কথাটুকুই বোঝানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু.....পারছিনা।
যাক, প্ল্যানের কথা বলি। পোস্টের প্রথম অংশ পড়ে হয়তো বুঝতে পেরেছেন প্ল্যানটা কার ব্যাপারে। ভালবাসার সেই মানুষটাকে নিয়েই জীবনের প্ল্যানটাকে করেছিলাম। প্ল্যানটা খারাপ ছিলনা। তার ইচ্ছা ডাক্তারি পড়ার। নিজে প্রতিষ্ঠিত হতে চায়। তার পরিবার তার কাছ থেকে অনেক আশা করে। আমার বাবা-মাও চায় আমি ডাক্তার হই। আমার নিজের কোন ইচ্ছা নেই। কম্পিউটার আমাকে খুব টানে। তাই আমার ইচ্ছা এই লাইনেই কিছু একটা পড়বো। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বা এইরকম কিছু একটা। কম্পিউটার রিলেটেড। আমার পরিবারও রাজী। অনেক হিসেব করে সে আর আমি মিলে ঠিক করেছিলাম আমরা বিয়ে করবো। এখন না, ঠিক দশ বছর পরে। তখন আমাদের দুই জনের লেখাপড়া শেষ হয়ে যাবে
সবকিছু ঠিকঠাকমতোই চলছিল। আমার প্ল্যানটা সুন্দর ছিল বলেই মনে করি। কিন্তু এই মাসের ১২তারিখে তার বাবা মারা গেলেন । আমি ভাবলাম আমি সবসময় তার সাথে থাকবো। তাকে পুরোপুরি সাপোর্ট দিয়ে যাবো। কিন্তু এক-দুইদিন যেতেই আমার চিন্তার ভিতরে বিশাল একটা পরিবর্তন আসলো।
তার বাবা যখন জীবিত ছিলেন তখন তার পক্ষে ১০বছর অপেক্ষা করা কোন বিষয়ই ছিলনা। কিন্তু এখন? তার বাবার অনুপস্থিতিতে সে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে। কিন্তু তার পরিবার এখন অবশ্যই চাইবে যতো দ্রুত সম্ভব তার বিয়ে দিয়ে দিতে। তার বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। মেঝো জনের লেখাপড়া প্রায় শেষের দিকে। আগামী ২/৩বছরের মধ্যে তারও বিয়ে হয়ে যাবে। কিন্তু অন্তু এখন পড়ে মাত্র ক্লাস টেনে। এইবছর এসএসসি পরীক্ষা দেবে। তার কি হবে? আমাদের দেশের নিয়ম অনুযায়ী একটা মেয়ের বিয়ের বয়স ১৮ বছর। (আমার এক বন্ধু বলে ২০বছর। তার সাথে এই নিয়ে অনেক তর্কাতর্কিও হইছে।) তার মা একা তাকে ৭বছর কিভাবে লেখাপড়া করাবে? তার বড়বোনের হাজবেন্ড বর্তমানে তাদের পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে এই দূর্যোগের দিনে। কিন্তু সে কয়দিন থাকতে পারবে?
আমি তাকে ভালবাসি। তাই তার ভাল চাই। আমি আমার ভালবাসার চেয়ে তার ভাল একটা ভবিষ্যত জীবনকেই বেশি করে চাই। এইচ.এস.সি পরীক্ষার পরে যদি সে কোন একটা ম্যাচিউরড্ ছেলেকে বিয়ে করে ফেলে তাহলে সে খুব সুখে-শান্তিতে থাকতে পারবে। সেই ছেলে হয়তো তাকে তার লেখাপড়া চালিয়ে যাবার সুযোগও করে দেবে। তার জন্যে এরকম ভাল ছেলেদের প্রস্তাবও আছে যারা বর্তমানে ম্যাচিউরড্। যেকোন মূহুর্তে তার রেসপন্সিবিলিটি নিতে পারবে। কিন্তু আমার ভিতরে এই ম্যাচিউরিটি আসতে লাগবে আরো দশটা বছর। সে হয়তো আমার জন্য কষ্ট করে আরো দশটা বছর অতিক্রম করতে পারবে। কিন্তু তা করতে তার অনেক স্ট্রাগল করতে হবে। আমি এখন চাচ্ছি তার কাছ থেকে আস্তে আস্তে দূরে সরে যেতে। তাকে যদি সরাসরি আমি এই কথাগুলো বলি তাহলে সে কোনদিন আমাকে ছাড়বেনা। আর আমাদের সম্পর্কটা গাঢ় হয়েছে ঠিক কিন্তু এমন কোন পর্যায়ে ডায়নি যে সেখান থেকে ফিরে আসা যাবেনা। আমি তাকে ভালবাসি বলেই হয়তো কখনো তার কোন ক্ষতি করিনি।
তার বাবা মারা গেছেন আজকে আট দিন হলো। প্রতিটি মূহুর্ত আমার ভিতরে এই চিন্তাগুলো আসছে। এখন আপনারাই বলুন, আমি যা করতে চাচ্ছি তা কি ঠিক??????????
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৫৬
রাতুল" বলেছেন: হমমম
২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৫৮
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: ভাই খালি হুমমম বইলেন না। কোন সমাধান দিতে পারেন নাকি দেখেন।।।
৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২৭
মুরুববী বলেছেন:
খোকা, ভাল প্রবলেমই ভাধিয়েছ দেখছি !
তোমার প্রতি আমার উপদেশ নিন্মরুপ :
১। ঘটনা দেখ..কোথা থেকে কোথায় যায়..কিছু করার দরকার নাই, যা যেমনে চলে চলুক।
২। মেয়েটার ভাল বিয়ের কথা হলে, তোমার সটকে পড়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে, মেয়েটারও ভাল হবে।
৩। এইসব যাই ঘটুকনা কেন, তোমার মুল ফোকাস যেন তোমার পড়ালেখার দিকেই থাকে...সেটাই আলটিমেটলি তোমার কাজে লাগবে।
বাস, এই যথেস্ট বলে মনে করি। আর শোন, এইসব নিয়া খুব একটা চিন্তা না করাই শ্রেয়, ওন্তত এই বয়সে
২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:০৯
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: ১। আমিও সেটাই ভাবতেছি। চুপচাপ দেখতেছি ঘটনা কতোদূরে যায়।।।
২। মেয়েটার দিক থেকে ভাবলে: সে আমাকে খুব ভালবাসে। অন্য কাউকে আপন করে নিতে হয়তো তার অনেক সময় লাগবে। হয়তো পারবে না। তবে আমার কষ্ট হলেও তার ভাল'র জন্য যেকোন কিছুই করতে পারবো। দরকার হলে নিজের ভালবাসাটাকে বিসর্জন দিলাম। তার কাছে অন্যান্যরা তাদের পছন্দের কথা বলছে ঠিকই। কিন্তু সে সরাসরি না বলে দিছে। এখন তার পরিবার যদি তাকে প্রেসার দেয় বিয়ের জন্য তাহলেও তার না বলার সম্ভাবনা প্রবল। অবশ্য সেই সময় আসতে আসতে আরো ৫/৬বছর চলে যাবে। ততদিনে হয়তো তার মধ্যে পরিবর্তন আসবে। তার চিন্তাধারারও পরিবর্তন হবে।
৩। পড়ালেখার দিকেই ফোকাসটা রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করছি। কতোটুকু পারছি জানিনা।।।
৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৩৪
তোমোদাচি বলেছেন:
আপনার প্রেম আজীবন আপনার মনে জাগ্রত থাকুক!
তবে, বিয়ে ভালবাসার সফল পরিনতি নয়, সফল সমাপ্তি।
২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:১০
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। পরিনতি আর সমাপ্তি। ঠিক বুঝতে পারলাম না। আমার কাছেতো দুইটাকে একই মনে হচ্ছে।।।
৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৪৬
আকাশ অম্বর বলেছেন: হ্যাঁ, ঠিক।
'ঠিক'এর ঘরে ভুল পড়েছে মন
কিসে চিনবি রে মানুষ রতন
শুভকামনা।
২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:১১
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।
কবিতাটা সুন্দর। আপনি লিখছেন???
৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৫০
নিরীহ মানুষ বলেছেন: তুমি তোমার পরিবারের সাহায্য নাও.......এছাড়া আর পথ দেখি না
২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:১৭
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: আমার আম্মুর সাথে কথা বলছি। সে আমাকে বলছে, "আমি একটা ভালো বউ চাই। বউ-এর বাবার কি হইছে। মায়ের কি হইছে সেইটায় আমার কিছু আসে-যায় না। তুমি ভালমতো লেখাপড়া করো। ও অবশ্যই তোমার জন্য থাকবে।"
আমার আম্মু অন্তুর আর আমার ব্যাপারে সব জানে। সে অন্তুকে খুব পছন্দ করে। আমার পরিবারের কোন আপত্তি নেই। শুধু কথা একটাই। লেখাপড়া করো; প্রতিষ্ঠিত হ্ও; তুমি যা চাবে তাই হবে।
আমি আমার পরিবারের সাহায্য নিতে চাইলেও তাকে অপেক্ষা করতে হবে দশ বছর। আর অন্তুর আম্মু আমার কাছে ওকে দেবে বলে মনে হয়না। মহিলা কোন একটা কারণে আমাকে দুই চোখে দেখতে পারেনা। আমার পরিচিত যতো মেয়ে ক্লাসমেট আছে তাদের মায়েরা আমাকে খুব পছন্দ করে। কিন্তু অন্তুর আম্মু আমাকে পছন্দ করেনা।।।।
৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৫৯
আরাফাত সেতু বলেছেন: ওরে বাবা কঠিন সমস্যা।।তবে নিজের সমাধানটা নিজে ভাবলেই অনেক ভালো হয়। কারন আমার পারসেপশন আপনার সাথে নাও মিলতে পারে। তারপরও চাই মেয়েটি আপনারই হোক।ভালোবাসার চেয়ে বড় আর কি আছে????
শুভকামনা।।।।
২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:১৯
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: আমি এই আটদিন ধরে ভাবছি। কোন সমাধানে আসতে পারিনি। নিজের সমস্যার সমাধানটা নিজে থেকে ভাবাটাই ঠিক। কিন্তু ব্লগে শেয়ার করলে ভিন্ন পারসেপশনের কারণেই অনেক নতুন সাজেশন্স পাওয়া যায়। যেটা আমার মাথায় আসেনা সেটা হয়তো অন্য একজন বলে দেয়। তাই সবার সাথে শেয়ার করি।
আপনার জন্যেও শুভকামনা।।।
৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৫
আকাশ_পাগলা বলেছেন: তার জন্যে এরকম ভাল ছেলেদের প্রস্তাবও আছে যারা বর্তমানে ম্যাচিউরড্।
এসব লোকজন ক্যামন ম্যাচিউরড?????
শুনো তোমাকে কিছু কথা বলি। মাথায় রাখো। তার বাবা যেহেতু তোমাকে কথা দিয়েছিল, তার মৃত্যুর পরে তার পরিবার সেই কথা ভুলে যাবে??? তার পরিবারের সাথে কথা বল তুমি।
যার সাথে প্রেম কর, এই বয়সেই তার বাবার সাথে তোমার কথা হত মেয়েটাকে নিয়ে, এটা ত অনেক বড় ব্যাপার। তাই না? তাহলে এখন তার পরিবারের সাথে কথা বল।
অংক করে লাইফ চলে না। আর, লাইফটা অনেক বেশি জটিল সেটা তুমি টের পাবে কয়েকদিন পরেই। এখন মেয়েটা তোমাকে ভালবাসে, তুমি সম্পর্ক রাখলা না, পরে তোমার ভয় পাওয়ার মত কিছুই হল না। ধরো, আলাদা এলাকায় বা আলাদা শহরে আলাদা ভার্সিটিতে যেতে হল। সময় আর পরিবেশ মেয়েটাকে তোমার থেকে দূরে সরিয়ে আরেকজনের কাছে নিতে পারে। এখন তুমি যেই প্ল্যানই কর, পরে সেটা খাটবে না।তখন ঘুরে ফিরে সব সেইম।
আমি তোমাকে দুইটা জিনিস বলি। এগুলা নিয়ে চিন্তা কর। এক। মেয়ের ফ্যামিলির সাথে মেয়েটাকে নিয়ে তোমার কথা হয়েছে। এটা খুব পজিটিভ ব্যাপার। এবার আরও কথা বল। শিওর হও।
আর দুই। তোমরা দুজনেই যদি ভাল কোন সাবজেক্টে ভাল জায়গায় পড়াশোনা কর, তাহলে সমস্যা মিটে যায়। মানে, ধর, মেয়েটা পাবলিক মেডিকেলে পড়তেছে। সেটা ফ্যামিলি বেয়ার করবে না?? না করার কিছু নেই। তাছাড়া তখন একটা ভাল জায়গায় পড়াশোনা করলে মেয়েটার কথা আর ইচ্ছা অনিচ্ছাও তার ঘরের মানুষ দাম দিতে বাধ্য থাকবে।
পরে কী হয় জানিয়ো।
২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:১২
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: ওর বাবার সাথে কথা হইছে ঠিক। কিন্তু ওর মা কোন একটা কারণে আমাকে দুই চোখে দেখতে পারেনা। তার পরিবারের সাথে কথা বলে কোন লাভ হবে বলে মনে হয় না। আমি আমার আম্মুকে একদিন পাঠাইছিলাম ওদের বাড়িতে। ওর আব্বুর সাথে কথা বলে। আমার আম্মু তাদের বাসায় গেছিল শুধু একটা কথাই বলতে, "আপা, ছেলেমেয়েরা বুঝতে পারেনাই বলে একটা রিলেশন বানিয়ে ফেলছে। এখন এটা থাক। আল্লাহ্ তাআলা যদি রাখে তাহলে অবশ্যই এই রিলেশনটা আরো এগিয়ে যাবে। আপনি আপনার মেয়েকে ভালভাবে লেখাপড়া করান। ওর লেখাপড়া বন্ধ করা প্রয়োজন নেই।" উল্লেখ্য, আমার সাথে রিলেশনের কথা জাইনা ওর লেখাপড়া বন্ধ করে দিছিল ওর মা।।।
২১ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৫
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: আর আমার আম্মুকে বলছে যে আমি নাকি অন্তুকে বিরক্ত করি। সে এককথায় বলতে গেলে আমার আম্মুকে অপমান করছে। ভদ্রতার বিন্দুমাত্র সে দেখায় নাই। শুধু আমার আম্মু না। অন্তুর লেখাপড়া বন্ধ করে দেওয়ায় ওর এক বান্ধবীর আম্মুও গেছিল ওদের বাসায় ওর আম্মুকে বোঝাতে। তার সাথেও খুব খারাপ ব্যবহার করে অন্তুর আম্মু।।।
৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৫
আকাশ_পাগলা বলেছেন: তার জন্যে এরকম ভাল ছেলেদের প্রস্তাবও আছে যারা বর্তমানে ম্যাচিউরড্।
এসব লোকজন ক্যামন ম্যাচিউরড?????
শুনো তোমাকে কিছু কথা বলি। মাথায় রাখো। তার বাবা যেহেতু তোমাকে কথা দিয়েছিল, তার মৃত্যুর পরে তার পরিবার সেই কথা ভুলে যাবে??? তার পরিবারের সাথে কথা বল তুমি।
যার সাথে প্রেম কর, এই বয়সেই তার বাবার সাথে তোমার কথা হত মেয়েটাকে নিয়ে, এটা ত অনেক বড় ব্যাপার। তাই না? তাহলে এখন তার পরিবারের সাথে কথা বল।
অংক করে লাইফ চলে না। আর, লাইফটা অনেক বেশি জটিল সেটা তুমি টের পাবে কয়েকদিন পরেই। এখন মেয়েটা তোমাকে ভালবাসে, তুমি সম্পর্ক রাখলা না, পরে তোমার ভয় পাওয়ার মত কিছুই হল না। ধরো, আলাদা এলাকায় বা আলাদা শহরে আলাদা ভার্সিটিতে যেতে হল। সময় আর পরিবেশ মেয়েটাকে তোমার থেকে দূরে সরিয়ে আরেকজনের কাছে নিতে পারে। এখন তুমি যেই প্ল্যানই কর, পরে সেটা খাটবে না।তখন ঘুরে ফিরে সব সেইম।
আমি তোমাকে দুইটা জিনিস বলি। এগুলা নিয়ে চিন্তা কর। এক। মেয়ের ফ্যামিলির সাথে মেয়েটাকে নিয়ে তোমার কথা হয়েছে। এটা খুব পজিটিভ ব্যাপার। এবার আরও কথা বল। শিওর হও।
আর দুই। তোমরা দুজনেই যদি ভাল কোন সাবজেক্টে ভাল জায়গায় পড়াশোনা কর, তাহলে সমস্যা মিটে যায়। মানে, ধর, মেয়েটা পাবলিক মেডিকেলে পড়তেছে। সেটা ফ্যামিলি বেয়ার করবে না?? না করার কিছু নেই। তাছাড়া তখন একটা ভাল জায়গায় পড়াশোনা করলে মেয়েটার কথা আর ইচ্ছা অনিচ্ছাও তার ঘরের মানুষ দাম দিতে বাধ্য থাকবে।
পরে কী হয় জানিয়ো।
২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:১৪
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: ম্যাচিউরড বলতে।বয়সে আমার চাইতে অনেক বড় তারা। চাকরী করে। মাসিক ইনকাম ভালই। মোটকথা রেসপনসিবিলিটি নিতে প্রস্তুত। নিজের ক্ষমতা আছে অন্তুকে রাখার।।।।
পরে কি হয় তা জানাবো..........
১০| ২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:০৮
কাব্য বলেছেন: ক্লাস টেনের পোলাপাইন
!! দুইন্না আউগ্গাইয়া গেছেগা :-&
২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:১৫
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: একটা সমাধান ভিক্ষা দেন না ভাই।।।।।।।।।।।।।
১১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২৩
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: প্রথমত গত কয়েকদিন ধইরা আমি খালি টাসকি খাওয়ার উপ্রে আছি। আইজকা আবার খাইলাম। আসলেই আমি একটা আবাল। আমি যে একটা আবাল এই ব্যাপারে আজকে পুরা নিশ্চিত হইলাম।
দ্বিতীয়ত সত্যিই যদি মন থিকা ভালবাইসা থাক, তাইলে ছাইড় না। মাটি কামড়াইয়া ধইরা থাক। আমার নীতি হইতাছে মাটি কামড়ানি নীতি। কারণ বহুত কুড়েঘরেও শান্তি আছে আবার ঐসব ম্যাচিউর ফ্লাট বাড়ীতেও শান্তি নাই। রান্না বান্না করা, কাম করা, টেকা কামানি, খাওয়া দাওয়া ঘুমানি এই সব জীবনের সব কিছু না। কুত্তা বিলাইও নিয়মিত খায় দায় ঘুমায়। মানুষ এই নিয়মিতরে মাঝে মাঝ বুড়া আঙ্গুল দেখাইয়া উলটা পথে চলে বইলাই সে মানুষ। তাই কষ্টকর সময় সামনে, সামনে কষ্ট কইরা দিন কাটাইতে হইব, এইসব ভাইবা যদি হাল ছাইড়া দেও তাইলে তুমাগোর ভালবাসা নিয়া আমার সন্দেহ আছে। সামনের দশ বছর কষ্টে কাটাইবা নাকি সারা জীবন কষ্টে কাটাইবা সেইটা নিজেই সিদ্ধান্ত নেও।
তয় আমি পুরা টাশকিত। ভাইজান আসলেই একটা নিও। সালাম বস!
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৩
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: নিজেরে এমনে কইরা কন কেন? কি হইছে যে নিজেরে াাল মনে হয়?
মাটি কামড়াইয়া ধইরা রাখতে চাই। অন্তত এতোদিন রাখছি। আমি তাকে প্রচন্ড ভালবাসি। কিন্তু তারপরেও সবসময় তার সুখটাকেই বেশি করে দেখছি। আমার ভালবাসাকে রক্ষা করার জন্য তাকে কোন বিপদে ফেলে দিতে চাইনা। আর আমার মনে হয় আমি তাকে প্রচন্ড ভালবাসা সত্ত্বেও চাইলেই ভুলতে পারবো। সেও মনেহয় পারবে। কারণ, আজকে আমি তার সাথে কোন কথা বলিনাই। কোনপ্রকার ইন্টারেস্ট দেখাই নাই। সেও দেখায় নাই। দূরে থেকে একবার শুধু দেখছি স্কুলে। দেইখাও না দেখার ভান করছি। আমি যে তারে দেখছি সে সেইটা খেয়াল করেনাই মনেহয়। বাবার মৃত্যুকে সে প্রচন্ড শকড্ হইছে।
আমি আমার যে দোস্তরেই ওরে ছাড়ার কথা কই। হেরাই আমারে কয়, "তুই একটা াাল। তুই এখন ওরে ছাড়লে আমরা সবাই মিল্ল্যা তোরে ঘাড়ামু..." আরেকজন ভদ্র টাইপের দোস্ত কয়, "পাগলামী করিস না। অয় একটু পাগল টাইপের। এই কথা ওর কানে গেলে কি কইরা বসে ঠিক নাই। সুইসাইডও করতে পারে..."
আমি এখনো দোটানায় আছি। ছাড়তে চাই। আবার ভিতর থেকেই বাধা আসে। এখন একটা সিদ্ধান্তে আইসা পৌছাইলাম। লেখাপড়া করতেছি তো। এখন যেমনে চলতেছে সেমনে কইরাই চালাইতে থাকি। দেখতে দেখতে দিন কাইটা যায়। এই পোস্ট লিখছি তিনদিন দেখতে দেখতে চইলা গেল। বাকী দিনগুলাও এইভাবে কইরাই কাইটা যাবে। তারে কিছু বলবোনা ব্রেক আপ বা এই বিষয়ে। দেখি সে কতোটুকু কি করতে পারে। সে যে কয়দিন আছে সে কয়দিনতো তাকে ভালবাসতে পারবো। এখন আমার সাপোর্ট দরকার আছে তার। আমি তাকে তার ভালর জন্য ছাড়তে চাই। কিন্তু আমি এখন তাকে ছাড়লে সে ভেঙ্গে পড়বে। তাতে খারাপ কিছু ঘটতে পারে। এখন আমি তার সাথে থাকবো ঠিকই। কিন্তু বেশি কাছেও না, আবার বেশি দূরেও না। তাকে সবসময় সাপোর্ট দিয়ে যাবো। এভাবে করেই চলুক দিন। ভবিষ্যতে কি হয় দেখি। টিনএজ আবেগের কারণে যদি তার ভালবাসার তৈরী হয় তাহলে সে একসময় আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। যখন তার মধ্যে ভাল-খারাপ বোধটুকু আসবে। আবেগের বাইরে ভাবতে পারবে তখন। আমি সেইজন্য নিজেকে সবসময় প্রস্তুত রাখবো।
অনেক ধন্যবাদ ভাই। নিজেকে কখনো কোন সুপারহিরো ভাবিনাই। নিওকে ভাল লাগে বইলাই তার ফটো লাগায়া রাখছি।
(মন্তব্যটা উল্টা-পাল্টা হইছে। ঠিক কইরা পইড়া নিয়েন একটু.....)
১২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২৭
মামদোভুত বলেছেন: তাজুল, দাওয়াত দিতে ভুইলোনা কিন্তু
ঐডা কেডা? বাবলী নি?
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৮
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: না ভাই। ঐটা বাবলী না। বাবলীতো একজন সুপরিচিত ব্লগার (কে সেইটা জানতে চাইয়েন না)। আমাকে বোকা বানানোর জন্য মজা করছিল। অনেকাংশে সার্থক হইছে। আবার অনেক আগেই ধরা পড়ে গেছে আমার এক দোস্তের সাথেও সেইম ফান করতে গিয়া। সে মনেহয় জানতো না যে ঐ ছেলে আমার ক্লোজ ফ্রেন্ড।।।
অন্তুর ব্যাপারে আরো জানতে নিচের পোস্টটারে পড়তে পারেন। আর আমার কাছেও আমার এই লাভস্টোরি সম্পূর্ণটা লেখা আছে। জীবনের প্রথম প্রেম-তো। ভুলতে চাইনা কখনো। একদিন সময় করে কিছু এডিট করে পোস্ট করবো।।।
Click This Link
১৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৫
আহাসান বলেছেন: কী অবস্থা, মুন্না ?
কেমন আছ ?
কি ভাবলে ?
কি করলে ?
আমরা যেমন ভাবি, তেমন হলে তো হতোই...
তবু, যা আছি, তারচেয়েও তো খারাপ হতে পারত। এটা ভেবেই আমি সান্তনা পাই। অনেকটা শেখ সাদীর সেই হারানো জুতার মত।
তোমার তো আরও সিরিয়াস ব্যাপার।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: অবস্থা: মোটামুটি
খারাপ নেই।
অনেক ভাবার পরে সিদ্ধান্তে এসে পৌছেছি।
তাকে সবকিছু বলতে গিয়ে তার সামনে যখন দাড়ালাম তখন আমার মধ্যে কি যেন একটা হয়ে গেল। বারবার মনে হতে লাগলো, "ঐ মেয়েকে ছাড়া আমি বাঁচবোনা।" তারপরও সাহস সঞ্চয় করে তাকে সবকিছু খুলে বললাম। বলার পরে খাইলাম একটা ঝাড়ি। সে আমার জন্য অপেক্ষা করতে প্রস্তুত।।।
১৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৯
যীশূ বলেছেন: বিষয়টা তার সাথে খোলাখুলি আলোচনা কর, দুজন মিলে সিদ্ধান্ত নাও। বাবা মারা যাওয়ায় মেয়েটা অনেক কষ্টে আছে, তার পাশে অন্তত এই সময়টা থাকো।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:১৩
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: এই কাজটাই করেছি। তার পাশে আছি। আশা করি ভবিষ্যতেও থাকতে পারবো।।।
১৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৪
শ।মসীর বলেছেন: জীবন কে চলতে দাও জীবনের মত করে, এখনই কোন ডিসিশন নেয়ার দরকার নেই, ভালবেসে যাও, ভালবাসা দাও..................।
সময় বলে দিবে কি করতে হবে, সব কিছুই সময়ের প্রয়োজনে।
তুমি এখন সরে আসলে ব্যাপারটা কাপুরুষের মত হবে। লড়ে যাও। তার অনুভূতিকে ও সন্মান দেখানো তোমার কর্তব্য। ম্যাচিউরড কেউ তার সাথে যে ম্যাচিউরড আচরন করবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই, তার চেয়ে ইমম্যাচিউরড হলেও ভালবাসার মানুসটিই ভাল।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:১৭
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আমি এইটাই করছি।।।
১৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:০৯
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: এখন দূরে সরে যাওয়া টা কোন ভাবেই উচিত হবে না ।
ওর ভাল বিয়ের অফার আসলেই কেবল দূরে সরে যাওয়া উচিত হবে।
এনিওয়ে সুন্দর জীবন কামনায় ।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:১৯
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। সরে যাওয়ার প্রয়োজন বোধহয় হবেনা। সে অপেক্ষা করতে পারবে। আর বেশি সমস্যা হলে: আমার পুরো পরিবারের সাপোর্ট আছে আমার সাথে।।।
১৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৩৫
নীরজন বলেছেন: হ্যালো মুন্না............
এইটা মে বি তোমার ব্লগে আমার প্রথম কমেন্ট..........
প্রথম পোস্টটাই সমস্যা সংকুল...........যাই হোক...........তোমার পরিবারের সাপোর্ট যখন আছেই তখন আর টেনশন না করে মন দিয়ে পড়ো........
আর জানোই তো...........সময় সব কিছু বলে দেয়.............অপেক্ষা করো ভালো কিছুর জন্য।
ভালো থেকো।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৫
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: দিনকাল ভালই কাটছিল। কিন্তু আবার শুরু হয়েছে ঝগড়া। সে কেন যেনো আমার অপছন্দের কাজগুলো করেই মজা পায়। গতকালকে ধমক মারছি। তারপরে রাগ করে চলে গেছে।।।।।।।
১৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:০৯
আহমেদ রাকিব বলেছেন: শামসীর ভাই তোমার কমেন্তের কথাগুলাই আমি বলতে চাইছিলাম।
@লেখক, আপনার ভাবনাগুলো ভাল লাগলো। তবে এখনো অনেক দেরী। অন্তত দুই তিন বচ্চরের মধ্য আপনাকে তেমন কোনো কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে না। আপনি এই সময় আপনার নিজের ক্যারিয়ারের দিকে সচেষ্ট থাকুন। চেষ্টা করুন আপনার সর্বস্ব দিয়ে যেন এই তিন বছরে আপনি আপার সেরা সাফল্যটা পান। আর তখন যদি তার বিয়ে নিয়ে কথা বার্তা হয় তখন আপনি সামনা সামনি বিষয়টা ফেস করুন। আপনি তাদেরকে দেখান আপনার ভবিষ্যত। আমার মনে হয় না তেমন কোনো বিশাল ঝামেলা হবে যদি না আপনি আপনার গন্তব্য থেকে দূরে সরে না যান। ধৈর্য্য ধরুন। মাথা ঠান্ডা রাখুন। হুট করে আবেগের বসে এখনি কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে ভালবাসাটাকে হারিয়ে যেতে দেয়াটা সমিচীন মনে করছি না। প্রকৃত ভালবাসার এখন বড়ই অভাব। এই দুঃসময়ে তার পাশে থাকাটাই এখন বেশি জরুরি।
ভাল থাকুন, সবসময়।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৮
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। খুব ভাল কথা বলছেন। ভালো থাকবেন।।।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৫৩
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: তার বাবার সাথে আমার ফোনে কথা হইছিল। সে আমাকে বলছিল, "বাবা, আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি। তুমি বড় হ্ও। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হও। তোমার যতোদিন লাগে লাগুক আমি আমার মেয়েকে তোমার জন্য রেখে দেব। যে যাই বলুক না কেন।।।"
এখন সেই মানুষটাই নেই যে আমাকে কথা দিয়েছিলেন। তিনি চলে গেলেন। আর আমাকে ফেলে রেখে গেলেন এই অথৈ সমুদ্রে......