নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ রক্ষার সৈনিক

মারুফ মুনজির

আমাকে যে ভালবাসে তাকে আমার খুব ভাল লাগে

মারুফ মুনজির › বিস্তারিত পোস্টঃ

রক্তে লেগেছে যৌবনতরঙ্গ

২৩ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯

দাদাদের লিঙ্গে তেল মাখতে মাখতে
মানচিত্র থেকে মুছে যাচ্ছে নদী।
একটা কুত্তা পুলিশে ধরা তরুণীর পাছার কাপড় ধরে টানছে
এটা নাকি প্রতিবাদের ভাইরাল ছবি।
অথচ দিন দিন তরুণীদের পাছার কাপড় ছোট হয়ে যাচ্ছে।
তরুণের মাথায় ট্রিপল এক্সের ঘোর।
রাত নামলে ফুটপাতে শুয়ে পথশিশু দেখে উচু দালানের স্বপ্ন।
মাছরাঙা নীল হারিয়ে কুৎসিত পাখি।
কুকুর ছাড়া আর কেউ নেই বুদ্ধিজীবী সম্বর্ধনা মঞ্চে।

রাষ্ট্রযন্ত্রের মালিকেরা উন্নয়ন উন্নয়ন বলে চেচাচ্ছে।
কিন্তু টিঁকে থাকার স্বপ্নে
এক মহিলা রাজপথে নেমে গেছে রিকসা নিয়ে।
নারীর প্যাডেলের সাথে ৩৬০ ডিগ্রিতে ঘোরে সম্পদের গণমুখি সুষম বণ্টন।
ধর্ষিত শিশুর ছেঁড়া যোনীপথে গুমরে মরেছে রাষ্ট্রের পরাজয়।
জীবনের জটিলতায় সারারাত ধরে ডাকছে পেচাঁ।

রাষ্ট্রসত্তা গুপ্তঘাতকের ছুরির মতো
চেনা ভাষায় অদ্ভুত চিত্রকল্প
ঝুলিয়ে রাখে মানুষের নাকের ডগায়।
প্রতিদিন তা দেখে জনগণ স্থিতিবাচক শীতঘুমে,
ভুলে গেছে কিভাবে আগুন জ্বালাতে হয়।
আজ মানুষ বড় সস্তা।
পয়:নালীতে হাওয়া দিয়ে মানুষ মারা যায়।
আধুনিকতার যুগচিহ্ন ফ্লাইওভার ভেঙে পড়ে মানুষের উপর।
ধানগাছের শীষ হারিয়েছে কাচা সবুজ।

বেকার তরুণেরা ভাবছে এ জনমে মনে হয় বিয়ে হবে না।
নারীরা ভাবছে সমানাধিকারে রয়েছে পুরুষতন্ত্রের কবর।
একদল মাইক নিয়ে রাজপথে চিৎকার করে—সুন্দরবন বাচাঁও,
আরেকদল সমানে পিটিয়ে খালি করে রাজপথ।
মাথা জুড়ে প্রশ্ন—
২৬ বছরের পুরনো সাবমেরিন অতি আধুনিক প্রযুক্তি হয় কিভাবে?
রক্তদাগে নামতা পড়ে শিশু, হিসেব করে আজ মরলো কত।

শহরজুড়ে চাপাতিতে রক্তের দাগ
আত্মঘাতী যুবকের পকেটে গ্রেনেড।
রাস্তায় চাপ চাপ রক্ত,
শরীরের ভগ্নাংশ ঝুলে থাকে সীমান্তের কাঁটাতারে।
ফুটপাতে বসবাসরত নরনারীর সঙ্গমের দৃশ্য শাসকের টেবিলে,
চড়াদামে তা বিক্রি করে অনুদান খায় রাষ্ট্রসত্তা।
কোলাহলে ভেজার মতো বৃষ্টি নেই এই শহরে।

এখন থেকে শাহবাগের মোড়ে কোন পণ্য নয়
শুধু থাকবে মানুষের বিজ্ঞাপন।
অন্ধকারের গলি থেকে মশাল হাতে আসছে মানুষ—
রাজপথে কোণঠাসা মানুষের
বিপ্লবে শানিত ঝাঝালো পদধ্বনি।
মগজে মগজে অনুরণিত দ্রোহ।
দৃষ্টিসীমানা জুড়ে বিক্ষোভ, মুষ্টিবদ্ধ হাত, মুক্তির কোলাহল।
রক্তের দাগে লাল ফুলে ভরে উঠছে শাহবাগের পুষ্পবিতান।

আজ অস্থির তরুণ-মানস রক্তে লেগেছে যৌবনতরঙ্গ,
আর নয় ভাষণ, আর নয় রক্তের অক্ষরে কবিতা পাঠ।
এবার সদাজাগ্রত অস্তিত্বের পুনর্জন্ম,
হননের উল্লাসে বিজয়ের স্বপ্ন।
নারীর খোঁপার কাটা এখন শানানো ছুরি।
তোমাদের সামরিক শটগানে ঝরে পড়া প্রাণের রক্তে
লেখা হচ্ছে সাধারণ মানুষের পুনরভ্যুত্থানের ইতিহাস।
সাধারণ জনতা জানে—
মৃত্যুর আরেক নাম সংগ্রাম,
গুলি খাওয়ার আরেক নাম বাঁচার লড়াই।
গ্রেফতারের আরেক নাম অনাগত সুদিন, নতুন সকাল।
মুক্তি তোর হবে বাঙালি, মুক্তি তোর হবেই।

বিকেল ৫.১০, ১৩ মার্চ ২০১৭

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: হাহাহা চরম। :)

২৩ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২

মারুফ মুনজির বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩

কাশফুল মন (আহমদ) বলেছেন: ভাল লেখেছেন

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ভাল লাগল। চরম কবিতা

৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমরা তো দিন দিন আরোও কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.