![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোথা থেকে শুরু করবো ?
আচ্ছা শুরু করার আগে তোমার একটা নাম দেই
কি নাম দেবো, কি নাম দেবো
তোমার নাম স্বপ্নবালিকা।
না না তুমি আমার দূর পাহাড়ের মেঘ বালিকা।
তোমাকে যতবার ছুঁতে যাই, তুমি শরীর ঘেঁষে ভিজিয়ে দাও আমাকে
তোমার সাথে প্রথম দেখা হয়
ফাগুনের আগুনে উষ্ণ এক শেষ বিকেলে।
হলুদ গাঁদার শাড়িতে, কার্জন হলের পুকুর পাড়ে।
ঠোঁটের ভাঁজে মুগ্ধতা
দিঘীর জলের দর্পনে পড়েছিল তোমার ছায়া
আমি তোমার নাম দিয়েছিলাম- শেষ বিকেলের মেয়ে।
ও মেয়ে তোমার কষ্ট আমায় দিবে?
তুমি বললে-
কষ্টের জন্য আমার চোখে একফোটা জল নেই,
কিন্তু ভালবাসার জন্য আছে বড্ড অভিমান।
বড্ড অভিমান ভাঙাতে ইচ্ছে করছে যে বালিকা।
- মান ভাঙাবে?
তার আগে বলো- আমার লেখা 'এক জয়িতার গল্প' টা পড়েছো?
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের শকুন্তলা, অনুসূয়া ও প্রিয়ংবদাকে জানো?
- পড়েনি, যাদের নাম বলেছো জানাতো দূরের কথা কখনও দেখিনি।
- হা হা হা তাহলে বাপু অভিমান আমারই থাক।
তার থেকে চলো-
শ্রাবণ মেঘের দিনে বৃষ্টিতে ভিজি
ভেজা হাওয়ায় উষ্ণ আবেগে
শহরের ভেজা পথে খালি পায়ে অনেকটা পথ হাটি।
আজ কিন্তু তোমাকে নীল শাড়িতে খুব দারুন লাগছে।
তোমার আরেকটি নাম দেই- তোমার নাম, তোমার নাম
প্রগাঢ় নীলের সম্ভাষণে- নীল অপরাজিতা
আচ্ছা আজ নীল শাড়ি পড়েছো কেনো?
- কেনো আবার, নীল লজ্জার আড়ালে আকাশ কে জানাতে চাই
মেঘকে একটু সরাও, তোমার সাথে হাত মেলাব।
আরো বলবো- তোমার মতো হাসতে না পারলেও, আমি বেশ কাঁদতে পারি।
বালিকা, তুমি কি জানো?
তুমি আমার এক কবিতার অরণ্য।
- না না আমি কারো কবিতার অরণ্য নই,
আমি রবি ঠাকুরের ‘সাধারন মেয়ে’।
- তোমার এই সাধারন ফ্রেমে লুকিয়ে আছে অসাধারন।
ঐ যে সেদিন চারুকলার বকুলতলার বেদিতে একটা সুন্দর বিকেলে
সাধারন ভঙিতে বসে কি অসাধারন ব্যক্তিত্ব তুলে ধরলে।
মনে হয়েছিলো- নিপুণ সৌন্দর্যের শোভামণ্ডিত আধার।
ঐতো সেদিন এক সন্ধ্যায় বেগুনি পাড়ের শাড়িতে তোমাকে মনে হয়েছিল-
সৌন্দর্যের নিগুঢ় আলোড়নে- অতুল লাবণ্যে উপত্যকার বেগুনী ফুল।
তোমার টলটলে চোখ এক নান্দনিক ঐশ্বর্য।
বালিকা আবার কি দেখা হবে তোমার সাথে?
সেই অনুরাগ আর প্রত্যাশার চাহনিতে,
পথের ধুলিকে ভিজতে দেবেনা বলে সামলে নিবে কি চোখজল?
বলবে কি আবার- তোমার ঘরে ভালবাসা বৃষ্টি হয়ে নেমে আসুক।
স্বপ্ন বালিকা, এখনো ঢাবির চত্বরে তোমাকে খুঁজি
এখনো তোমার অপেক্ষায়-
আমার বিধ্বস্ত আত্মার রজনী-স্বপ্নহীন,
গুমোট বুকে বিষন্ন রোগের নিষিদ্ধ চাষ।
শহরের অনিদ্রারোগীদের সাথে আকুলতা নিয়ে খুঁজছি ঘুম।
অসফল সঙ্গমের শোকে ভাঙছে সম্পর্ক।
এক্সরে প্লেটে শুধু বুকের হাড় ভাঙাটা উঠে আসে,
আড়ালে থেকে যায় ক্ষতচিহ্নে বিচ্ছেদকাতর হৃদয়টা।
স্বপ্ন বালিকা, বৈরি মনের বিড়ম্বনা শেষে
যুগ্ম চোখে স্বস্তিময় নিশ্চয়তায়-
প্রবল অনুধ্যানে আজও তোমার অপেক্ষায়।
দুপুর ৩.৪৫, ৩০ জানুয়ারি ২০১৭
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৬
ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভালো লাগলো +।