নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার জন্য ভাল থাকা কামনা।

তাল পাখা

সত্য সন্ধানী।

তাল পাখা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অষ্টমী \'কুমারী\' পূজায় মুসলীম কিশোরী।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮

খবরে প্রকাশ, ভারতের কলকাতার কালনার কাশিপাড়ায় প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ও পালিত হতে যাচ্ছে 'কুমারী' পূজা।হিন্দুদের ঐতিহ্যবাহী এ 'কুমারী' পূজায় প্রতি বছর ব্রাহ্মন ঘরের একজন কিশোরীকে পূজার আসনে বসানো হয়। অনুসারীরা ভক্তিসহকারে তাকে পূজা করে।

ভারতের বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এলাকার মোড়লেরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা মাথায় রেখে এক মুসলীম কিশোরীকে পূজার আসনে বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখা বা ফিরিয়ে আনার প্রয়াসকে অবশ্যই সাধুবাদ জানানো উচিত, সাধুবাদ জানাই।কিন্তু যে কিশোরীকে তারা পূজা করতে যাচ্ছে সে যে গো-মাংস খাওয়া মুসলীম। যে কিনা গো-মাংস খেয়ে পূজার আসনে বসবে তাকে কী করে গো-মাতা পূজারীরা পূজা করবে? তাতে কি তাদের পূজা শুদ্ধ হবে? একজন মুসলীম বা কী করে নিজেকে পূজার আসনে বসাতে পারে? কী করে তার ঈমান থাকবে?

এক ধর্মের অনুসারী অন্য ধর্মের সংস্কৃতি পালনের মধ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার প্রচেষ্টা এক অপকৌশল বৈকি অন্য কিছু নয়। আমি একজন মুসলীম। আমি মূর্তি পূজায় বিশ্বাসী নই। সেই আমি কী করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য মূর্তি পূজা করতে যাব? আমার ধর্ম তো এমন দেউলিয়া নয় যে, অন্য ধর্মের সংস্কৃতি পালনের মাধ্যমে আমাকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। আমি আমার ধর্মীয় অনুশাসন পালনের মধ্য দিয়েই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সক্ষম। অন্য ধর্মের আচার অনুষ্ঠান পালন না করেও আমি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে পারি, আমার ধর্ম আমাকে সেই শিক্ষাই দেয়। অন্য ধর্মে কী আছে তা আমার জানা নেই।
যারা এসব করছেন, হয় তারা চাপে পড়ে করছেন, না হয় না বুঝে করছেন। যারা করাচ্ছেন এবং ফলাও করে প্রচার করছেন তাদের রয়েছে কুমতলব। প্রকৃতপক্ষে তারা দুনিয়ার বুক থেকে ধর্মকেই মুছে দিতে চায়।
তবে তাদের কোন প্রচেষ্টাই সফল হবেনা ইনশাল্লাহ।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬

সুমন কর বলেছেন: লেখাটির উৎস কোথায় ?

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪

তাল পাখা বলেছেন: দৈনিক আমার বাংলাদেশ পত্রিকা গতকাল ভারতীয় একটি ইংরেজি পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রকাশ করেছে।

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৩

মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: কোন খবরে প্রকাশ?

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩

তাল পাখা বলেছেন: আমার বাংলাদেশ নামক অনলাইন পত্রিকাটি প্রকাশ করেছে।

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৫

সাইফুর রহমান পায়েল বলেছেন: কিছু অনলাইন পত্রিকা বাদে আর কোথাও তো কিছু দেখছি না ভাই। কোথায় পেলেন??
পত্রিকা গুলো তো এর প্রসংশা করছে।

আমার দেশ "আর বুধবারে অনুষ্ঠিত হবে কুমারি পূজা। বইয়ের পাতা ছেড়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী বর্ষা খাতুন এখন মায়ের কাছে শিখতে চাইছে পূজার সময় তার করণীয় সম্পর্কে।’
এদিকে দুর্গাপূজার আয়োজক ষষ্ঠীচরণ আর প্রতিদিন নামাজ পড়তে অভ্যস্ত সিদ্দিক আহমেদ কোথায় যেন এক হয়ে গেছেন। তাঁদের দুজনের কাছেই এখন, ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’ কিংবা ‘হিন্দু না ওরা মুসলিম ঐ জিজ্ঞাসে কোন জন’ কালনার পরিবেশটাই এখন এমন। স্থানীয় বাসিন্দা বাবুলচন্দ্র বাড়ই বলেন, ‘দেশে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে যে ভেদাভেদ তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে এর চেয়ে ভালো উদ্যোগ আর হয় না।’"
বাকি যা আছে সব প্রায় এই নিউজ কপি করা। যদিও কেউ কেউ বলছে টাকার জন্য মেয়েকে দেয়া হয়েছে।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

তাল পাখা বলেছেন: জি আপনি ঠিক বলেছেন। একটি অনলাইন পত্রিকা প্রকাশ করেছে।

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪

কানিজ রিনা বলেছেন: আরে ভাই কিছুদিন আগে ভারতের মন্দিরে
ঈদের নমাজ পড়া হল। আরে ভাইআছেন কোথায়।
মনে হয় একদিন হিন্দু মুসলিম এক প্লেটে বসে
গোমাংসও ভখ্খন করবে। আশায় থাকলাম।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫২

তাল পাখা বলেছেন: আশায় থাকলাম।

৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৬

মেজদা বলেছেন: ধর্মের গোড়ামীগুলো ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাক, সেই কামনা করি।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

তাল পাখা বলেছেন: তার আগে বুঝা দরকার কোনটা ধর্মের গোঁড়ামি আর কোনটা ধর্মের মূল বিষয়বস্তু। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.