নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের এক নেতার বিচার শেষ হলেও বিদায়ী বছরে রায় দিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারেননি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিজয়ের মাসে রায় না হওয়ায় কবে নাগাদ হবে এটা কেউ বলতে পারছেন না। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের ধারণা, পূর্ণাঙ্গ রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে কমপক্ষে আরও এক মাস। সে ক্ষেত্রে জানুয়ারির মধ্যে রায় প্রত্যাশা সবার।
২০১২ সালজুড়ে যুদ্ধাপরাধের বিচারের কার্যক্রম ছিল বেশ আলোচিত। এখন পর্যন্ত দুটি ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন কোনো মামলা রায় ঘোষণার পর্যায়ে আসেনি।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচার দ্রুত করতে চলতি বছর আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।
গ্রেফতার করা হয় জামায়াত-বিএনপির ১১ নেতাকে। তারা হলেন:
গোলাম আযম
মতিউর রহমান নিজামী
আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী
আবদুল কাদের মোল্লা
মোহাম্মদ কামারুজ্জামান
মীর কাসেম আলী
এটিএম আজহারুল ইসলাম
আবদুস সোবহান
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও
আবদুল আলীম।
এর মধ্যে সাঈদীর বিচার শেষ হলেও বাকিদের মামলা বিচারাধীন। এ ছাড়া পলাতক আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার এবং প্রবাসী চৌধুরী মাঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামানের অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ চলছে। এসব শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে হত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ, ধর্ষণ, অগি্নসংযোগ, ধর্মান্তরকরণসহ একাত্তরের বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
সাঈদী :
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ বিচার শুরু হয় জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর। উভয় পক্ষের চূড়ান্ত যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শেষ হয় ৬ ডিসেম্বর। ওই দিন ট্রাইব্যুনাল বলেন, রায় অপেক্ষমাণ। কবে নাগাদ রায় হতে পারে_ সে বিষয়ে কেউ এখন বলতে পারছেন না। এদিকে, যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে স্কাইপিতে প্রবাসীর সঙ্গে কথা বলার বিতর্ক এড়াতে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক পদত্যাগ করায় সাঈদীর বিচার ফের শুরু করার আবেদন জানানো হয়েছে।
গোলাম আযম :
গত ১৩ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের ৬২টি ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিচার শুরু হয়। তার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১৭ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। ৭ জন সাফাই সাক্ষীর মধ্যে ১২ নভেম্বর থেকে গোলাম আযমের ছেলে বরখাস্ত সেনা কর্মকর্তা আবদুল্লাহিল আমান আযমির জবানবন্দি শুরু হয়। বর্তমানে শুনানি মুলতবি। এদিকে গোলাম আযমের বিচার ফের শুরু করতে ১৯ ডিসেম্বর আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে ২৪ ডিসেম্বর থেকে শুনানি শুরু হয়।
নিজামী :
১৬টি ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে গত ২৮ মে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। গত ২৬ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষী মাওলানা মিছবাহুর রহমান চৌধুরী ও দ্বিতীয় সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা জহিরউদ্দিন জালাল ১৮ ডিসেম্বর সাক্ষ্য দেন। নিজামীর বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে ২৩ ডিসেম্বর আবেদন করা হয়েছে।
মুজাহিদ :
সাতটি ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে গত ২১ জুন জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষের ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। ২৬ ডিসেম্বর পরবর্তী সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।
কাদের মোল্লা :
ছয় ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে গত ২৮ মে আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। দুই তদন্ত কর্মকর্তাসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর আসামিপক্ষের সাফাই সাক্ষ্য শেষ হয়। ১৭ ডিসেম্বর থেকে রাষ্ট্রপক্ষের চূড়ান্ত যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়।
কামারুজ্জামান :
গত ৪ জুন নয় ধরনের ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিচার শুরু হয়। এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ১৫ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
সাকা চৌধুরী :
২৩টি অপরাধের ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে গত ৩ মে বিএনপি নেতা সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষের ১৭তম সাক্ষীর (ক্যামেরা ট্রায়াল) সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
আলীম :
নয়টি ঘটনায় ১৭টি অভিযোগে বিএনপি নেতা সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীমের বিরুদ্ধে গত ১১ জুন চার্জ গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে রাষ্ট্রপক্ষের ১৭তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
বাচ্চু রাজাকার :
গত ২ সেপ্টেম্বর ১০টি ঘটনায় ২২টি অভিযোগে পলাতক আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। ৪ নভেম্বর অভিযোগ আমলে নিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এর পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ রাষ্ট্রপক্ষের ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। ২৩ ডিসেম্বর থেকে চূড়ান্ত যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়।
মীর কাসেম ও আজহার :
জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে আগামী ২৯ জানুয়ারি এবং এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৫ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রেখেছেন ট্রাইব্যুনাল।
এ ছাড়া বুদ্ধিজীবী হত্যার অভিযোগে ইসলামী ছাত্রসংঘের সাবেক নেতা চৌধুরী মাঈনউদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে গত ১১ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগ।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: চিহ্নিত রাজাকারদের নিয়ে এতো শত কাহিনি করার কি আছে? সবাই জানে এরা রাজাকার।সোজা ফাসিঁতে চড়ানো হোক।এরা যতোদিন বাচঁবে শহীদ দের আত্না শান্তি পাবেনা।